কী হচ্ছে বাংলাদেশে!!! অশ্লীলতা ছাড়া কি আর প্রগতিশীল রাষ্ট্র হয়!

লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ আমিনুল হক ২৩ নভেম্বর, ২০১৪, ০২:৫৭:৫৭ দুপুর

আমার যতদূর মনে আছে, গত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে মাদরাসা ও সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর জন্য সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থা নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। নাস্তিক ড. জাফর ইকবালরা তখন এই উদ্যোগকে রুখে দেয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল। তাদের সাথে জমিয়াতুল মোদার্রেসিনের নেতৃত্বে অনেক আলেম-উলামা যোগ দিয়েছিলেন। তারা তখন এটাকে জামাতি শিক্ষা ব্যবস্থা বলে প্রতিরোধে নাস্তিকদের সাথে হাত মিলান। তারা এতে সফলও হন। জোট সরকার আর শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে পারিনি।

আওয়ামী সরকার যখন এলো তখন ঠিকই শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছে নাস্তিক্যতার আবরণে। কিন্তু এখন আর আলেম উলামাদের প্রতিরোধ চোখে পড়ল না। যারাও মাঠে নেমেছিলেন তারাও ডাণ্ডার বারি খেয়ে গর্তে ঢুকে ইয়া নফছি করে জিকির যপছেন।

নাস্তিক কমরেড নূরুল ইসলাম সাকসেস হয়েছেন। তাকে ধন্যবাদ জানাতেই হয়! দেশে এখন ধর্ষণের হার বেড়েছে। ভারতের মত গণ ধর্ষণের হারও বেড়েছে। স্কুল কলেজ, ভার্সিটিতে এখন পর্নো সিডি তৈরী হয়। কনডমসহ নিরাপদ ব্যবস্থাপনায় স্কুলের ছেলে-মেয়েরা যৌন মিলন করার কৌশলও শিখে ফেলছে। এসব তারা সরকারী ব্যবস্থাপনায় পাঠ্যবই থেকে শিখে নিচ্ছে। দেশ সুশীল হচ্ছে। সমকামীরা বাড়ছে। ঐশীরা বাড়ছে। প্রগতিশীলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সোনার বাংলাদেশ।

জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এই রিপোর্টটি একবার পড়ে নিন। এরপর মন্তব্য করুন।

-------

যৌনতায় ভরা একটি বই বিতরণ করা হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলে। স্কুলের শিক্ষকেরা অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রজনন স্বাস্থ্যবিষয়ক এ বই বিতরণ করেছেন। বইটির নাম ‘নিজেকে জানো’। কিশোর-কিশোরীদের জন্য রচিত এ বইয়ের নারী-পুরুষের স্পর্শকাতর অঙ্গের নাম উল্লেখ করে এমন খোলামেলাভাবে আলোচনা করা হয়েছে যা হুবহু প্রকাশযোগ্য নয়। বইটিতে ‘শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন’ অধ্যায়ে লেখা হয়েছে যখন একটি মেয়ে ১০-১২ বছর বয়সে পৌঁছে তখন তার শারীরিক পরিবর্তন শুরু হয়। যেমন, উচ্চতা বাড়ে, মাসিক শুরু হয়, স্তন বড় হয়, বগলে ও ... চুল বা লোম গজায়। এ বয়সে ছেলেদের শরীরের শুক্রাণুযুক্ত রস মাঝে মাঝে মূত্রনালী দিয়ে বের হয়ে আসে, যাকে ... বলা হয়।

বইটির ‘বন্ধুত্ব ও ভালবাসা’ শীর্ষক অধ্যায়ে একটি শিরোনাম হলো ‘প্রেম করলে কেন ছেলেমেয়েরা ধরাধরি করে?’ এখানে লেখা হয়েছেÑ প্রেম এমন একটি সম্পর্ক যেখানে প্রেমিক প্রেমিকা দু’জনের প্রতি প্রচণ্ড আকর্ষণ অনুভব করে, এ অনুভব হতেই তারা পরস্পরের খুব কাছাকাছি পেতে চায় এবং এ কারণেই অনেক সময় তারা পরস্পরকে স্পর্শ করে। আসলে কোনো সমাজেই এটা ভালো চোখে দেখে না। কৈশোর হলো জীবন গড়ার সময়। এ বয়সে এসব করে তাই সময় নষ্ট না করাই ভালো।

এ অধ্যায়ে আরেকটি শিরোনাম হলো, ‘পরিস্থিতির চাপে যদি দৈহিক মিলনের সম্ভাবনা দেখা দেয় তবে আমি সে অবস্থায় কী করবো?’ এখানে লেখা হয়েছে, বিয়ের আগে ছেলেমেয়েদের দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তবে কোনো ক্ষেত্রে মেয়েরা পরিস্থিতির চাপে এরকম অবস্থায় পড়তে পারে। মনে রাখা প্রয়োজন, আবেগকে ‘না’ বলতে জানাটাও বড় হওয়ার একটা লক্ষণ। পরিচয়ের একপর্যায়ে দৈহিন সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। যদি কারো মনে হয় যে তার প্রেমিক এ ধরনের সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী, তবে মেয়েটাকে এ প্রস্তাবে সায় না দিয়ে বড় কারো সাথে বিষয়টি আলোচনা করা ভালো। যদি তা না করা যায় আর দৈহিক সম্পর্ক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবে গর্ভধারণ থেকে নিরাপদ থাকার জন্য কোনো অস্থায়ী পদ্ধতি ব্যবহার করা জরুরি। এরপরও যদি কোনো সমস্যা হয় তবে উপদেশের জন্য তুমি কাছের কোনো কিনিকে যেতে পারো। (বইটির শেষে বিভিন্ন এনজিও পরিচালিত বেশ কয়েকটি কিনিক/সেবা সংস্থার তালিকা দেয়া রয়েছে এ সংক্রান্ত সেবা গ্রহণের জন্য)।

বইটির এ অধ্যায়ে আরো লেখা হয়েছে, ইচ্ছার বিরুদ্ধে বা অন্য কোনো কারণে দৈহিক মিলনের ফলে একটি মেয়ের পেটে বাচ্চা আসতে পারে। তাই বিয়ের আগে দৈহিক মিলন থেকে বিরত থাকা উচিত। যদি পেটে বাচ্চা এসে যায়, তবে দেরি না করে উপদেশের জন্য মা-বাবা অথবা কাছের কোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে হবে। মা-বাবাকে যদি ব্যাপারটা বোঝানো না যায় আর মেয়েটিকে তারা গ্রহণ না করে, তাহলে কোনো অভিজ্ঞ ডাক্তার বা আত্মীয়ের পরামর্শ নেয়া ভালো।

নিজেকে জানো বইটির আরেকটি অধ্যায়ের নাম ‘দৈহিক সম্পর্ক’। এ অধ্যায়ের শুরুতে লেখা হয়েছেÑ নারী ও পুরুষের মধ্যে যৌন সম্পর্ক স্থাপন খুবই স্বাভাবিক। তবে এতে সামাজিক ও ধর্মীয় নিয়ম মেনে চলা অত্যাবশ্যক। অবৈধ যৌনমিলন তা যেকোনো বয়সেই হোক না কেন সেটা অনৈতিক ও সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়। একমাত্র বিবাহিত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যৌন সম্পর্কই বৈধ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য।

এ অধ্যায়ে একটি শিরোনাম হলো ‘সতী পর্দা কি জানতে চাই?’ এ বিষয়ে যে বিবরণ বইটিতে দেয়া হয়েছে তা প্রকাশযোগ্য নয়।

এ অধ্যায়ে আরেকটি শিরোনাম হলো ‘প্রথম মিলনে কি সব মহিলার রক্ত পড়বে? এই অংশের বর্ণনাও রীতিমতো রগরগে।

দৈহিক সম্পর্ক অধ্যায়ে আরেকটি শিরোনাম হলো ‘মায়ের পেট থেকে কিভাবে বাচ্চা বের হয়ে আসে ?’ এখানে সন্তান প্রসবের যে বিবরণ দেয়া হয়েছে তাও প্রকাশযোগ্য নয়। ‘বাচ্চা কিভাবে হয়?’ শিরোনামে লেখা হয়েছে কিভাবে মায়ের গর্ভে সন্তান আসে তার বর্ণনা।

‘বিয়ের আগে কেউ কেউ কনডম বা খাবার বড়ি ব্যবহার করে। সেটা কি ঠিক?’ শীর্ষক শিরোনামে লেখা হয়েছে এ দু’টি জন্ম নিরোধক ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের ক্ষেত্রে তার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে।

দৈহিক মিলন অধ্যায়ের আরেকটি শিরোনাম হলো ‘অনেকের সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে উঠলে তা ক্ষতিকর। এরকম হলে কিভাবে নিরাপদ থাকা যায়?’ এখানেও লেখা হয়েছেÑ অনেকের সাথে দৈহিক সম্পর্ক থাকলে কনডম ব্যবহার খুবই জরুরি।

বইটিতে যৌনমিলন অধ্যায় আলোচনার আগে কিভাবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে ছেলেমেয়েরা পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ বোধ করে, সে আকর্ষণ এবং ভালোলাগা প্রকাশের উপায় কী সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এ ছাড়া যৌন অনুভূতি প্রকাশের বিভিন্ন উপায় নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।

বইটির পেছনে লেখা রয়েছে মহিলা ও শিশুবিষযক মন্ত্রণালয়। এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড প্রোটেকশন অব চিলড্রেন অ্যান্ড উইমেন প্রকল্পের জন্য। ইউনিসেফের সহায়তায় মুদ্রিত। বইটি প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস (বিসিসিপি)। বইটি প্রণয়নে সহায়তা নেয়া হয়েছে এমন ১১টি সংস্থার নাম বইয়ের শুরুতে উল্লেখ করা হয়েছে। বইটি কী পরিমাণ স্কুলে বিতরণ করা হয়েছে জানার জন্য বিসিসিপি অফিসে ফোন করা হলে এক কর্মকর্তা জানান, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হলে অফিসে আসতে হবে। তবে অনেক দিন ধরেই বইটি বিতরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন এনজিও সংস্থা তাদের কাছ থেকে এ বই নিয়ে বিভিন্নভাবে বিতরণ করেছে। বেসরকারি একটি সংস্থা সারা দেশে যাদের অনেক স্কুল রয়েছে তারাও এ বই তাদের স্কুলে বিতরণ করেছে বলে জানানো হয় বিসিসিপি অফিস থেকে।

কয়েক দিন আগে রাজধানীর একটি স্কুলে এ বই বিতরণ করার পর অষ্টম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী তার বাবার কাছে দেয় বইটি। বইটি পড়ে উদ্বিগ্ন বাবা এ বই আর তিনি তার সন্তানকে পড়তে দেননি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বই নিয়ে রীতিমতো বিব্রত এবং অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়েছেন অনেক অভিভাবক এবং শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে বিরাজ করছে তীব্র ক্ষোভ। প্রশ্ন উঠেছে স্কুলের ছাত্রদের মধ্যে এ ধরনের বই বিতরণের উদ্দেশ্য নিয়ে। সরকারের কোন কর্তৃপক্ষ কী বিবেচনায় তা অনুমোদন করল তা নিয়েও প্রশ্ন অভিভাবকদের।

Click this link

বিষয়: বিবিধ

১৩৫৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

287362
২৩ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৩৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আধূনিক শিক্ষা ব্যাবস্থা!!!
আর চরিত্রের তেরটা।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File