রাজধানীতে বন্ধ হচ্ছে বিশ বছরের পুরানো গাড়ী

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ০৪:৪৯:৩৫ বিকাল

রাজধানীর যানজট নিরসন কল্পে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী পহেলা মার্চ থেকে ২০ বছরের পুরনো যাত্রীবাহী ও বিভিন্ন অফিসের স্টাফবাসসহ সকল বাস ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় চলতে না দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) নিয়ম অনুযায়ী ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা ও কমবয়সী চালকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানানো হয়েছে। যানজট নিরসনকল্পে ডিএসসিসি এলাকায় চলাচলকারী বাসগুলোকে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় আনার লক্ষ্যে চলমান এই ব্যবস্থা। নানা মৌলিক সমস্যা রয়েছে আমাদের এ শহরে। মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়িই বড় ভোগান্তি। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারলে যাত্রীসেবা অনেক বাড়বে। যানজটের ভয়াবহতা নতুন করে বলার কিছু নাই, যানজট ঢাকার দুঃখ। এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি দেয়ার উদ্দেশ্যেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শহরে ২০ বছরের পুরনো বাস চলাচল আগে থেকেই আইনগতভাবে নিষিদ্ধ। কিন্তু আইনের প্রয়োগে একটু কম মনোযোগ থাকার কারণে এসব ভাঙ্গাচোরা, ব্যবহারের অনুপযোগী বাস চলাফেরা করছে। এ জন্য ১ মার্চ থেকে এ ধরনের বাস চলা চলে বাধা আসছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা কমবয়সী চালকরা যানবাহন চালানোর সময় দুর্ঘটনা ঘটানোসহ সড়কে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। আইন প্রয়োগে মনোযোগী না হওয়ায় ১২-১৩ বছরের ছোট ছোট ছেলেরা গাড়ি চালাচ্ছে। তারা যেখানে সেখানে গাড়ি রাখছে, বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। বিআরটিএর আইন অনুযায়ী ন্যূনতম শিক্ষা যদি কোন চালকের না থাকে তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে, তাকে বাস চালাতে দেয়া হবে না। বিআরটিএ আইন অনুযায়ী চালকদের ন্যূনতম ৮ম শ্রেণী পাস হতে হয়। মতিঝিল, নিউমার্কেট, সদরঘাট এলাকায় সেখানে সেখানে বাস রেখে সড়কে যানজট তৈরি করা হয়। যত্রতত্র বাস পার্কিং, এক লেইন, দুই লেইন তিন লেইনও দখল করে বাস রেখে দেয়। অনেক সময় দেখা যায় গাড়ি রেখে চালক কোথায় চলে গেছে। তখন পেছনে গাড়ির জট লেগে যায়। এর সীমানা কয়েক মাইল পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। যানজটে পড়ে অনেক রোগীর রাস্তায় মৃত্যু হয়েছে, শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারেনি, এ কারণে সড়কে অনেক নারীর সন্তান প্রসব হয়েছে। আদালতে সময়মতো হাজিরা দিতে না পারায় অনেক নিরপরাধ ও নিরীহ মানুষকে কারাগারে যেতে হয়েছে। তাই রাজধানীর যানজট নিরসনে বাসগুলোকে অচিরেই সুষ্ঠু কাঠামো ও নিয়ন্ত্রণে আনা হচ্ছে।

বিষয়: বিবিধ

৭৭৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

381889
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ রাত ০৯:২২
হতভাগা লিখেছেন : গরু ছাগল চিনতে পারলেই গাড়ির লাইসেন্স পাওয়া যায় আর প্রধানমন্ত্রীর ড্রাইভার ৫ম শ্রেনী পাশ (১২/১৩ বছরের ছেলে তো ৭ম / ৮ ম শ্রেনীতে পড়ার কথা) ----- এটা আমার না , মন্ত্রী শাহজাহান সাহেবের মুখ নিঃসৃত অমিয়বানী ।

আর এসব গাড়ীর রিপ্লেসমেন্ট না করে গাড়ী নামতে না দিলে পাবলিকেরই সমস্যা হবে । ২০ / ৩০ বছর আগের গাড়ি চলাচল বন্ধ করার সপ্তাহ দুয়েক পরই এই সব গাড়ীই আবার রাস্তায় নামবে রং চং মেখে । সাথে সিটিং / কম স্টপেজ লিখে ভাড়া এক দফা বাড়াবে । মাস খানেক যেতে না যেতে সিটিং এর নামে সবগুলো চিটিং করা শুরু করবে ।

সারা ঢাকা শহরকে বৃত্তাকারভাবে রেলপথ দ্বারা ঘিরে ট্রেন সার্ভিস চালু করলে দারুন লাভ হত জনগনের । ৩০-৪০ মিনিটের মধ্যে অফিস হতে বাসায় ফেরা যেত।

কিন্তু জনগনের কল্যানের চেয়ে জনগনকে হয়রানী করলেই সরকার বলে যে কিছু আছে সেটা টের পাওয়া যায় । সেটা সরকার বার বারই জানান দেয় । আর বাসওয়ালাদের পেটে লাথি মারার কাজ কোনভাবেই সরকার করবে না , কারণ এদের মধ্যেই সরকারের নেতা চ্যালা চামুন্ডারা থাকে ।

পুরনো বাস বন্ধ করলে বাস মালিক ও শ্রমিকদের সাময়িক ক্ষতি হলেও সপ্তাহ দুয়েক পর থেকে সেটা পুষিয়ে বাকীটা সময় লাভই লাভ হতে থাকবে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File