সিইসি নুরুল হুদা কি আরেক বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে?

লিখেছেন লিখেছেন জীবরাইলের ডানা ১৭ অক্টোবর, ২০১৭, ০২:০২:৫০ রাত

সিইসি নূরুল হুদা শহীদ জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তক বলায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠকের পর তা বর্জন করেছেন কাদের সিদ্দিকী । খুব কি অবাক হয়েছেন আপনারা? আমি মোটেও অবাক হই নি। 1975 সালের 25 জানুয়ারি বহুদলীয় গণতন্ত্রকে হত্যার একজন বেনিফিসিয়ারি ছিলেন কাদের সিদ্দিকী । বাকশাল প্রতিষ্ঠার পর তাকে টাঙ্গাইলের গভর্নর করা হয়েছিল। যদিও পনেরই আগষ্টে সব ওলট পালট হয়ে যাওয়ায় সে গদীতে তার বসা হয়নি।

শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর কাদের সিদ্দিকী ভারতে পালিয়ে গিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল; যা রাষ্ট্রদ্রোহিতা । সে সময় জিয়াউর রহমান সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে কাদের সিদ্দিকী রণে ভঙ্গ দিয়ে কলিকাতায় আশ্রয় নেয়।

শেখ হাসিনা তাকে মন্ত্রী করেনি বলেই সে আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে এসেছে। তবে অচিরেই সে পূর্বের জায়গায় ফিরে যাবে বলে মনে হচ্ছে ।

কাদের সিদ্দিকী নিজে একজন মুক্তিযোদ্ধা । জামায়াতের কারণে সে বিএনপির সঙ্গে ঐক্য না করার কথা বহুবার বলেছে। অথচ, জামায়াতের টিভি হিসেবে পরিচিত দিগন্ত টিভিতে মোটা অঙ্কের সম্মানীর বিনিময়ে টক শো উপস্থাপনা করতে তার একটুও বাঁধে নি। ওখানে টাকা জামায়াতকে তার কাছে হালাল করে দিয়েছে।

দুঃখজনক হলো, এহেন নৈতিকতাহীন এই কাদের সিদ্দিকীকে নিয়ে বিএনপির আদিখ্যেতা । ইফতার মাহফিলে তাকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছে। তার সাথে ঐক্য করার জন্য বিএনপির কতিপয় নেতার সে কী দোঁড় ঝাঁপ! যাদের অতি উৎসাহে বেগম খালেদা পর্যন্ত তার স্বামীর সরকারের সাথে শত্রুতাকারী এ লোকটিকে পাশে বসিয়েছিলেন, সেই সব মগজহীন নেতারা এখন কী বলবেন?

লেখকঃ মহিউদ্দিন খান মোহন

বিষয়: বিবিধ

৬৫৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File