۞۞ বিদেশ গিয়া বন্ধু তুমি আমায় ভুইলো না, চিঠি দিও পত্র দিও জানাইও ঠিকানা ۞۞

লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৮:০৪:২৬ রাত



বিদেশ গিয়া বন্ধু তুমি আমায় ভুইলো না,

চিঠি দিও পত্র দিও জানাইও ঠিকানা/

===========================

চিঠি লিখেছে বউ আমার ভাঙ্গা ভাঙ্গা হাতে/

===========================

চিঠি দিও প্রতিদিন, চিঠি দিও,

নইলে থাকতে পারবো না।

===========================

চিঠির উত্তর দিসরে বন্ধু যদি মোনে লয়,

কাগজ গেল দিস্তায় দিস্তায় কলম গোন্ডা ছয়/

===========================

করুণা করে হলে চিঠি দিও,

খামে ভরে তুলে দিও/

আঙ্গুলের মিহিন সেলাই/

ভুল বানানেও লিখো প্রিয়,

বেশি হলে কেটে ফেলো তাও,/

এটুকু সামান্য দাবি চিঠি দিও,

তোমার শাড়ির মতো/

অক্ষরের পাড়-বোনা একখানি চিঠি’।

প্রিয়ার বিরহে কাতর কবি মহাদেব সাহার হৃদয়ের আকুলতায় সাড়া দিয়ে প্রিয়া চিঠি লিখেছিল কি না জানা হয় নি আজো।

===========================

কবি হেলাল হাফিজ তার কবিতায় লিখেছিলো-

এখন তুমি কোথায় আছো,

কেমন আছো পত্র দিও,

শেষ বিকালে মেলায় কেনা খামখেয়ালীর তাল পাখাটা,

খুব নিশীথে তোমার হাতে কেমন আছে-পত্র দিও’

এসব আবেগমাখা গান ও কবিতা আজ কেবলই স্মৃতি।



এখন আর চিঠির আদান-প্রদান নাই বললেই চলে। আগের দিনে আমরা চিঠি আদান-প্রদান করতাম। প্রিয় মানুষের চিঠির অপেক্ষায় বসে থাকতাম। সেই সময় প্রবাসীদের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল হাতে লিখা চিঠি। যারা পড়ালেখা জানত না তারা ক্যাসেটে কথা বলে পাঠাত। দেশ থেকেও পরিবারের সবাই ক্যাসেটে কথা বলে কারো মাধ্যমে পাঠিয়ে দিত।

এখন কেউ চিঠি লিখে বলে মনে হয় না। সবাই মোবাইলে কথা বলে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে একজন আরেকজনকে দেখে। ছবি শেয়ার করে।



প্রযুক্তির এই কল্যানে আমরা প্রবাসীরা দুরে থেকেও মনে হয় প্রিয়জনদের কাছেই আছি। তারপরেও একটি চিঠি পেতে ইচ্ছে করে। মোবাইলে কথা বলার পর সবকিছু ভুলে যায়। কিন্তু একটি চিঠির ভাষা অনেক দিন মনে থাকে। হৃদয় নিংড়ানো/ভালবাসা দিয়ে মাখা একটি চিঠি পেলে এই দুর প্রবাসে মনটা ফ্রেশ থাকে।

"চিঠি লিখেছে বউ আমার ভাঙ্গা ভাঙ্গা হাতে" মনির খানের এই বিখ্যাত গানটি মনে হয় প্রবাসীরাই বেশী শুনে। এই দুর প্রবাসে আজো আমার কন্যার আম্মার ভাল হাতের লেখা একটি চিঠি পেলাম না।

মোবাইল না থাকলে--------------------

বিদেশ গিয়া বন্ধু তুমি আমায় ভুইলো না,

চিঠি দিও পত্র দিও জানাইও ঠিকানা

এই গানটি গুনগুন করে গাইতে গাইতে প্রবাসীর বউরা ঠিকই চিঠি লিখত।



চট্টগ্রামের রাউজানে একজোড়া প্রেমিক-প্রেমিকা আত্মহত্যার আগে একখানা চিঠি লিখে। চিঠিতে দুইজনকে পাশাপাশি কবর দিতে বলে। তাদের পরিবারও তাদের শেষ ইচ্ছা পুরণ করে।



চিরকুটে যা লেখা ছিল

“মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ি নয়। সবার কাছে আমাদের একটাই অনুরোধ। আমাদের দেহগুলো দয়া করে কাটতে দিবেন না। পাশাপাশিই আমাদের কবর দিবেন। আর সবাই আমাদের ক্ষমা করে দিবেন। আমরা একজন আরেকজনকে ছাড়া বাঁচতে পারবোনা। তাই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলাম। বেঁচে থাকতে তো কেউ আমাদের এই সর্ম্পক মেনে নেবেনা। বাবা মায়ের অবাধ্য হয়ে তাদের মনেও কষ্ট দিতে পারবো না তাই এই পথ বেঁচে নিতে বাধ্য হলাম দুজন”। ইতি: রমজান + সূখী।

বিষয়: বিবিধ

৭৭৬৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File