"রহস্য আঁকা বিয়ে বাড়ি"

লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১২:০৮:০১ রাত

দিনগুলো পার হয়ে গেল গল্প লেখব লেখব বলে সময়ই প্রায় চলেই গেল।

কথা হল এই ছোট্ট জীবনে যে কয়টি বিয়ের আয়োজন হতে দেখছি...গ্রামে বিয়ের আমেজ এরূপ ঢাকায় সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপ।আবার কতক পরিবারে আন্তরিকতা আর মায়ায় জড়ানো আর কিছু মুভির মতন লোক দেখানো ফটোশপ এটাই সংখ্যায় বেশি আমার দেখা।কোন একটা বিয়ের ঘটনাকে লিখার কথা চিন্তা করলেই কেন যেন খাপ ছাড়া,

খাপ ছাড়া ভাব জাগে,একটাকেও

মনে হয়নি মানস পটে রেখে নাতি পুতিকে গল্প শুনানোর মত আর্কষণীয়।

তবে এই ঘটনাটি কিন্তু খুব সাধারণ।বিয়ের গল্প মনে হয় আকর্ষণীয় হয় তবে এটা একদম সাদামাটা টাইপের।

(১৩৪৫-১৩৪৯ বাংলা সনে) এর মাঝামাঝি

হবে হয়ত ঘটনাটি। দিনাজপুর ট্টেন স্টেশনে নেমেছে ছেলে পক্ষ চৌধুরী সাহেবের বড় মেয়েকে দেখতে যাচ্ছে তারা।একটা গরুর গাড়ি ভাড়া করা হয়।মুলত একমাত্র গরুর গাড়িই সেই সময়ের ভরসা।

ছেলেকে কারমাইকেল কলেজ থেকে উঠিয়ে নিয়েছে মামারা কত আর ২০বা২২ বছর বয়স ছিল।ছেলেটা

সেই সবুজে ঢাকা ছোট্ট গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেছিল।এতিম ছেলেটি।জন্মের কয়েক মাস পূর্বেই পিতাকে হারিয়েছিলেন।সন্তানটির মা ধার্মিক তার সহোচর্যে বেড়ে ওঠেন।পড়াশুনার প্রতি ছিল প্রচন্ড আগ্রহ।

গ্রামের মাদ্রাসা পড়াশুনা করে ভর্তি হন জেলা স্কুলে।ছোটবেলা থেকেই নামাজী ছিলেন।ছিলেন ধৈর্যশীলও বটে।তবে অংক ইংলিশে বেশ দক্ষ ছিলেন।

মেট্টিক পাশ করে ভর্তি হলেন কারমাইকেল কলেজে।তারুণ্যের ঢেউ খেলানো বয়স হয়ত তখন তার।তিনি মামাদের উত্‍সাহে এক কন্যা দেখার যাত্রা শুরু করেন।হুমম..ঠুগ ঠুগ গরুর গাড়িতে চড়ে আমরা এখন কন্যার বাড়ি দিনাজপুর যাচ্ছি।দিনাজপুরের কন্যার ত বর্ণনা জানার চেষ্টা করা দরকারঃ

জ্বি কন্যা গর্ব অহংকার মুক্ত একজন ব্যক্তিত্ববান মুসলিমা ছিলেন।মুলত চৌধুরী সাহেবের প্রত্যেক সন্তানী নামাযী।

সেই ব্রিটিশ আমলে বাবার হাত ধরে জলপাইগুরিতে পড়াশুনা করতে গিয়েছিলেন।

ক্লাস ছয় পর্যন্ত ওখানে পড়াশুনা করে বাবার হাত ধরে চলে আসেন।

তবে চৌধুরী সাহেব মেয়ের বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মেয়ের ১৬ কিংবা ১৭ বছর বয়সের পর সেই যুগে ভাবতেই অবাক লাগে।

যাক অতঃপর এক পেয়ালা মিষ্টান্ন জিনিস নিয়েই কন্যা প্রবেশ করিল ঘরে।আগেই বলে রাখা ভাল চৌধুরী সাহেব ছেলেকে পছন্দ করেন।

দেখার পর্ব শেষ.

ফিরতি ট্টেনে ঘরে ফিরার উদ্দেশ্যে চৌধুরী সাহেবের গরুর গাড়িতে করে ট্টেন স্টেশনের পথে যাত্রাপথ ধরল ছেলে পক্ষ।এ পর্যন্ত শুনে মনে মনে চিন্তা করছিলাম বিয়েটা বুঝি গেলই পিছিয়ে।

ঐতিহ্যবাহী ঘটনা ঘটল ট্টেন স্টেশনে পৌছেই..

ছেলে জানতে পারল কোন সে ঢাকার ছেলে তার দেখা কন্যাকে দেখতে আসবে পরবর্তী ট্টেনে।এটা কথা হলঃ

মাকে জানানোর সুযোগ ছেলের হল কি হল না।সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলল

ছেলেটা।বলেই ফেললাম..

বিয়েটা হয়েই গেল।

সবুর কর।

চৌধুরী সাহেবের গরুর গাড়ি তখনও স্টেশনেই ছিল।

কি আর করা

পাঁচ সাত ভেবেই ছেলে গরুর গাড়িতে উঠে বসল।তবে পরে হয়ত ট্টেনে তাহারা ঘরে মায়ের কাছে ফিরে আসে।

(পরবর্তীতে উভয় পক্ষই পরস্পরকে দোষারোপ করেছিল।আমি কিন্তু কলমকে থামিয়ে দিয়েছি।যেহেতু

আমার ইচ্ছে হল।)

#নতুন_মস

সূর্যবাড়ি

বিষয়: বিয়ের গল্প

২৩২৩ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

174028
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:০৮
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : যাক অবশেষে একটি লিখলেন, ধন্যবাদ।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৯
127889
নতুন মস লিখেছেন : জ্বি লিখলাম কিন্তু অগোছানো।শুকরিয়া
174038
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:৩৪
আলোর আভা লিখেছেন : আসলেই গল্পের রহস্য আমি বুঝতে পারিনি ।ধন্যবাদ আপু।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২১
127893
নতুন মস লিখেছেন : তেমন কোন রহস্য নেই ত আপু কিন্তু ধারাভাষ্য কারের মত লেখাটি হয়েছে:-):-):-)
174663
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৭
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : আমি এখনও এত্ত বোকা রয়েগেলাম At Wits' End At Wits' End আপনার গল্পটা'র আগা মাথা কিছুই বুঝিনি Sad Sad Sad
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৮
127897
নতুন মস লিখেছেন : শোনা গল্প পর্যায়ক্রমে পরিবর্তিত হয়।তাই ত এমন হল।
176065
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৫:১৮
176155
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:২৩
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ঘটনাটা সুন্দর কিন্তু লেখার ধাঁচটা এলোমেলো লাগল আপু Thinking Thinking
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:২৬
129609
নতুন মস লিখেছেন : জ্বি আপু
আমি লেখতে ভুলে যাচ্ছি
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৪৭
129735
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : Surprised Surprised Surprised
178940
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:০৭
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : বাহ সুন্দরই তো এগুচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই যেন কলম থেমে গেল।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File