ভুল করে ভুলে যাওয়া

লিখেছেন লিখেছেন রেহনুমা বিনত আনিস ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৬:৩৯:৪৮ সকাল

আমার বিয়ে পিছানো হয়েছিল তিনবার। যতবার বিয়ে পিছানো হয়ে ততবার মাস্টার্স পরীক্ষা পিছানো হয় এবং উভয় গিয়ে পড়ে একই তারিখে। শেষবার বাবা বলল, ‘আমি বিদেশ থেকে কতবার ছুটি নিয়ে আসব? একই দিনে যদি পরীক্ষা হয় তাহলে পরীক্ষা দিয়ে এসে বিয়ের অনুষ্ঠানে আসবে, আর যদি পরীক্ষা দুই একদিন আগেপরে হয় তাহলে তো সমস্যাই নেই’।

একদিকে পরীক্ষা দিচ্ছি, আরেকদিকে বাসায় লোকজন গমগম করছে। আমার এক বান্ধবী ওর বিয়ের সময় বলেছিলো, ‘জানিস, আমার কেমন যেন মনে হচ্ছে অন্য কারো বিয়ে হচ্ছে, আমি কিছুই অনুভব করতে পারছিনা’। এবার বুঝলাম ও কি বুঝাতে চেয়েছে। কেমন যেন নির্লিপ্ত নিরাসক্ত এক দর্শকের ভূমিকায় মনে হচ্ছিল নিজেকে, মনে হচ্ছিল চারপাশে যা ঘটছে তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। আকদের দিন একহাতে একজন মেহদী লাগাচ্ছে, আরেক হাতে বই নিয়ে পড়ছি; একদিকে বান্ধবীরা গল্প করছে, আমি হুঁ হাঁ করে মনে মনে শেক্সপিয়ারের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করছি।

পরদিন, অনুষ্ঠানের দিন আমি ছিলাম চরম অসুস্থ। এমনিতেই লোকজনের সামনে সং সেজে বসে থাকার আমার কোন অভিপ্রায় ছিলোনা। উপরন্তু অসুস্থতার ছুতা দিয়ে বরপক্ষকে বললাম, ‘আপনারা অনুষ্ঠান শেষে বাসায় এসে আমাকে নিয়ে যেয়েন’। কিন্তু বড় আপা বললেন, ‘তুমি মাত্র দু’এক ঘন্টার জন্য এসো। আমরা তোমাকে বেশীক্ষণ বসিয়ে রাখবনা’। ওরা কথা রেখেছিলেন, কিন্তু শেষের দিকে সমস্ত বাঁধানিষেধ অমান্য করে হৈ হৈ করে পুরুষরা ঢুকে পড়ল মহিলাদের হলে। মেজাজ প্রচন্ড খারাপ, অথচ মুখটা হাসি হাসি করে রাখতে হচ্ছে। সেটা নিয়ে আবার কথাকথি, ‘বৌ তো একটু কাঁদলোও না’। আচ্ছা, আমার দুর্বলতা আমি মানুষের সামনে প্রকাশ করব কেন? আমার অনুভূতি মানুষকে দেখাতে হবে কেন?

দুপুরের বিয়ে, বিকেল থেকে লোকজন আসতে শুরু করল বাসায় দেখা করতে। শাশুড়ি আম্মা মেহমানের চাপে অসুস্থ হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী, বোনরা এবং বাসায় অবস্থানরত আত্মীয়স্বজনরা মিলে সাধ্যমত সামাল দিচ্ছেন। এভাবে গেল রাত দশটা পর্যন্ত। নিজে অসুস্থ, নতুন জায়গা আর হাফিজ সাহেবের নাক ডাকা মিলে ঘুম হোলনা। আবার সকাল ছ’টায় নীচতলায় গিয়ে অন্যান্য শহর থেকে আগত আত্মীয়স্বজনদের বিদায় দিলাম। একঝাঁক নতুন মুখ, কিছুতেই মনে থাকছেনা নাম কিংবা সম্পর্ক। নাস্তার পর কিছুক্ষণ আমার রুমের জিনিসপত্র গুছালাম, ঝাড়ু দিলাম। আমি প্রচন্ড গোছালো, আর হাফিজ সাহেব ঠিক উলটো। সুতরাং, ঐ মূহূর্তে ওটাই মনে হচ্ছিল জরুরী কাজ। সারাদিন আরো অনেক মেহমান আসতে রইলেন। সন্ধ্যার দিকে সামান্য পড়ার সুযোগ পেলাম। রাতে খেয়েদেয়ে হাফিজ সাহেব ঘুমাতে গেলেন আর আমি বই নিয়ে বসলাম। সারারাত পড়ার পর সকালের দিকে একটু চোখ লেগে এলো। কিন্তু উঠে পড়তে হোল নাস্তার জন্য। তার কিছুক্ষণ পর আম্মার ভাইয়েরা তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে ঢাকা রওয়ানা হলেন। বিকালের দিকে বড় আপা চলে গেলেন নিজের বাসায়।

বাসায় তখন আব্বা, চার ননদ আর আমরা। হাফিজ সাহেব চলে গেলেন কাজে। আমরা দু’জন একই জায়গায় কাজ করতাম। একটি নতুন প্রতিষ্ঠানের দু’জন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য একইসাথে দীর্ঘ সময় অনুপস্থিত থাকা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটা সমস্যা। কিন্ত আম্মা নেই, হাফিজ সাহেবও নেই, এই অবস্থায় বোনগুলোকে একা রেখে আমি আমার রুমে বসে থাকব সেটা কিছুতেই ভাল লাগছিলোনা। তাই কিছুক্ষণ পর পর ওদের সাথে বসে আবার রুমে গিয়ে পড়ার চেষ্টা করতে রইলাম। সেদিন আবার সারারাত পড়ে সকালে গেলাম পরীক্ষা দিতে। পরীক্ষা ভাল হোলনা। তিনবছর অনার্সে প্রথম স্থান ধরে রাখার পর, মাস্টার্সের সব পরীক্ষা ভাল দেয়ার পর, একটা পরীক্ষায় যদি পাশই করতে না পারি এই চিন্তায় তখন প্রচন্ড মন খারাপ।

কিন্তু আমার আলহামদুলিল্লাহ কোন ব্যাপার নিয়েই দীর্ঘক্ষণ মন খারাপ করে থাকা হয়না, মন খুব অল্পতেই ভাল হয়ে যায়। কলেজ থেকে বের হয়ে রিক্সা পেয়ে মহাখুশী হয়ে গেলাম। সাধারনত যখন এতগুলো ছাত্রছাত্রী একসাথে বের হয় তখন রিক্সা পাওয়া যায়না। কিন্তু এত বছরে অনেক রিক্সাওয়ালা পরিচিত হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁরা নিজেরাই হাঁক দিয়ে বলতেন, ‘এই যে অমুক ঠিকানার আপা, এত টাকা ভাড়া, আমার রিক্সায় আসেন’। একজনের হাঁক শুনে উঠে বসলাম। ঠিকানা বলতে হোলনা, তিনি আমাকে নিয়ে বাসায় নামিয়ে দিলেন। অনেকক্ষণ বেল টিপলাম, কিন্তু কেউ দরজা খুললনা। আমাদের বাসার গেট আর দরজার মাঝে দুরত্ব মোটামুটি ভালই। সুতরাং, বেল টিপে অপেক্ষা করতে আমরা অভ্যস্ত। তবু এতক্ষণ তো লাগার কথা না! এ’সময় পাড়ার এক মুরুব্বী পাশে দিয়ে যেতে যেতে বললেন, ‘আরে, তুমি কবে এলে? ওরা তো সবাই গতকাল ঢাকা চলে গিয়েছে!’

তখন মনে পড়ল, তাই তো! আমার বিয়ে হয়েছে! গতকাল বাবামা ভাইয়েরা ঢাকায় চলে গিয়েছে, হাফিজ সাহেব আমার জন্য কলেজগেটে অপেক্ষা করার কথা! তখন মোবাইলের যুগ ছিলোনা, পুরো বাংলাদেশে মোবাইল ছিলো দু’টো, একেকটার দাম দেড় দুইলাখ টাকা করে। কি করি, কি করি! আবার রিক্সা নিয়ে গেলাম আমাদের কর্মস্থলে, কারণ বাসা আমি খুঁজে পাবনা। বিয়ের আগে অধিকাংশ সময় আমি থাকতাম বিদেশে, দেশে এলে আমার কলেজ, কর্মস্থল, বন্ধুবান্ধবের বাসা সব ছিলো মোটামুটি একই এলাকায়। আমার শ্বশুরবাড়ী যেখানে সে এলাকায় আমি গিয়েছি সাকুল্যে তিন চার বার, এক বান্ধবীর বাসায়, সেটাও কয়েকবার খুঁজে না পেয়ে ফিরে এসেছি।

কর্মস্থলে পৌঁছলে সবাই খুব খুশী হোল, আবার একটু অবাকও হোল, ‘কি ব্যাপার? হাফিজ ভাই কই? উনি তো আপনাকে আনতে গেল কলেজে সেই কবে!’ জানি, কিন্তু এতবড় কলেজে আমি ওনাকে কোথায় খুঁজতে যাব? উনিই বরং আরো আধঘন্টা পর ফিরে এসে শুনি অফিসে সবাইকে বলেছেন, ‘বৌ কোথায় গেল জানিনা। পুরো কলেজ তন্ন তন্ন করেও খুঁজে পেলাম না’। ওরা বললেন, ‘কই, উনি তো সেই কবে থেকে আয়শা আন্টির রুমে বসে আছেন!’ হাফিজ সাহেব দৌড়াতে দৌড়াতে এসে আমাকে দেখে আশ্বস্ত হলেন। আশ্বস্ত হলেই ওনার মাথা থেকে সব দুশ্চিন্তা ঝরে যায়, উনি আবার ওনার নিত্যকার অবতারে অবতীর্ণ হোন। দুষ্ট হাসি দিয়ে বললেন, ‘আমি তো ভেবেছিলাম বৌ পালিয়েছে! আবার বিয়ে করতে পারব ভেবে কত খুশী হলাম!’

সবার কাছে বিদায় নিয়ে বাসায় ফেরার পথে রিক্সায় জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি গিয়েছিলে কোথায়? সকালে না বললাম পরীক্ষা শেষ হলে নিতে আসব?’

আস্তে করে বললাম, ‘ভুলে গেছিলাম।’

‘তাহলে ঠিক আছে।’

কিন্তু অর্ধেক সত্য বলে থাকতে পারলাম না, লজ্জাশরমের মাথা খেয়ে বলেই ফেললাম, ‘বিয়ে হয়েছে সে কথা ভুলে গেছিলাম, বাসায় চলে গেছিলাম।’

উনি চোখ বড় বড় করে বললেন, ‘কি?!’

তারপর হা হা হো হো করে হাসতে শুরু করলেন। বেচারা নিজেও বুঝতে পারলেন আমার সিস্টেম ওভারলোড হয়ে গিয়েছিলো, মাথা খালি হয়ে গিয়েছে পুরোটা, তাই হেসেই উড়িয়ে দিলেন।

ওহ আচ্ছা, রেজাল্টের কথা! অনেকেই হয়ত জানেন আমি এক অদ্ভুত ছাত্রী। পরীক্ষা দিতে আমার এত মজা লাগে যে পরীক্ষার পর যে রেজাল্ট আসে সেটা আমার কখনোই মনে থাকেনা। পরীক্ষা খারাপ হলে আরো বেশী মনে থাকেনা। যেমন ইন্টারের পর চার পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও, পেপার পত্রিকাতে পড়েও আমার মাথায় আসেনি যে এর মধ্যে আমার রেজাল্টও আছে। এক আন্টি জিজ্ঞেস করার পর ওদের বসিয়ে রেখে কলেজে গেছিলাম চেক করতে, ফার্স্ট ডিভিশন চেকই করিনি, অন্য কোথাও আমার নাম্বার পাইনি, তাই ফিরে এসে নির্লিপ্তভাবে জানালাম ফেল করেছি। এক সপ্তাহ পর জানলাম যেখানে চেক করিনি আমার রেজাল্ট সেখানেই ছিলো।

একইভাবে মাস্টার্সের রেজাল্টের কথাও আমার মাথায় আসেনি। একদিন আমার সহপাঠী, অনার্সের সেকেন্ড গার্ল এবং একবোতল কোকের শেয়ারের পার্টনার, (তখনকার স্টুডেন্টরা এত বড়লোক হতনা, আমরা এক বোতল কোকে দু’টো স্ট্র দিয়ে খেতাম, এক ঠোঙ্গা ঝালমুড়ি দু’জনে ভাগ করে খেতাম, কিন্তু ঐ খাওয়ায় যে তৃপ্তি ছিলো সেটা এখনকার ছাত্রছাত্রীরা পূর্ণ এক বোতল কোক খেয়েও কোনদিন অনুভব করতে পারবেনা) ছোটি ফোন করে খবর দিলো রেজাল্ট দিয়েছে চার পাঁচদিন আগে; আমার কোন খবর না পেয়ে স্যাররা জানতে চেয়েছেন আমি কোথায়। জিজ্ঞেস করলাম পাশ করেছি কি’না। সে খুব মন খারাপ করে বলল, সে ফার্স্ট হয়েছে, আমি সেকেন্ড প্লেসে চলে এসেছি, কিন্তু ওর মনে আমিই ফার্স্ট। এই না হলে বান্ধবী, যার মনের উদারতা আকাশের সমান, হৃদয়ের গভীরতা সাগরের মতন!

স্যারদের সাথে দেখা করতে গেলে ওরা খুব মন খারাপ করে বললেন, ‘বাবাজী আর ক’টা দিন অপেক্ষা করতে পারলনা? তোমার শুধু ভাইভাতেই ছোটির চেয়ে এগারো নাম্বার বেশী ছিলো। কিন্তু শেক্সপিয়ারের পেপারটা তোমার সব খেয়ে দিলো।’ মনে মনে বললাম, এজন্যই তো শেক্সপিয়ারকে আমার এত অপছন্দ! তবে এর কয়েক মাসের ভেতর আমার ইউনিভার্সিটিতে চাকরী হয়ে যায়। ইন্টারভিউতে শেক্সপিয়ারের ওপরই ছিলো অর্ধেক প্রশ্ন। আলহামদুলিল্লাহ ইন্টারভিউ এত ভালো হয় যে মহিলা শিক্ষক নেয়ার কথা না থাকা সত্ত্বেও আমি সুযোগ পেয়ে যাই! সুতরাং, জীবনের কোন ঘটনাতেই ভেঙ্গে পড়া উচিত না, কারণ সামনে কি আছে তা আমরা কেউ দেখতে পাইনা।

(ভিশু ভাইয়ের কৌতুহল নিবৃত করার উদ্দেশ্যে লেখা, সুতরাং তাঁকেই উৎসর্গ করলাম। হাফিজ সাহেবের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা যে বৌ তাঁকে ভুলে যায় তাকে এত বছর যাবত প্রতিদিন নিজেকে মনে করিয়ে দেয়ার জন্য।)

বিষয়: বিবিধ

২৮৭০ বার পঠিত, ৫২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

297406
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৭:০৩
উমমু_শাবাব লিখেছেন : হাহাহা, খুব ভালো লাগলো পড়ে। একটা কথা 'আর হাফিজ সাহেবের নাক ডাকা মিলে ঘুম হোলনা। '' এখনো কি নাক ডাকার কারণে ঘুম হয়না, না অভ্যাস হয়ে গেছে Winking
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৭:২০
240829
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আমার বাবাও ভয়ানকরকম নাক ডাকত, মনে হত এখনই নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে। সুতরাং অভ্যাস হয়ে যাওয়াই হয়ত স্বাভাবিক ছিলো। কিন্তু আমি অতিরিক্ত সেনসিটিভ হবার কারণেই কি'না জানিনা, আজও অভ্যস্ত হতে পারিনি।
অনেক অনেক দিন পর আমার ব্লগে এলেন। ভাল আছেন তো?
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৭:৩২
240830
উমমু_শাবাব লিখেছেন : আমিও ভুলে গেছিলাম Tongue আমার এখানে একটা একাউন্ট আছে! আপনার ফেইসবুকের পোস্ট দেখে অনেকদিন পরে আসলাম। অজান্তে মনে করিয়ে দেবার জন্যে অশেষ ধণ্যবাদ।
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:০১
241053
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : @উমমু_শাবাব Big Grin Big Grin Broken Heart Broken Heart At Wits' End At Wits' End Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out Time Out
297412
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৭:৫৪
ইবনে হাসেম লিখেছেন : লজ্জাশরমের মাথা খেয়ে বলেই ফেললাম, ‘বিয়ে হয়েছে সে কথা ভুলে গেছিলাম, বাসায় চলে গেছিলাম'
Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor খুব মজা লাগলো। চরম মজাদার একটি বিবাহ বাসরীয় চুটকী উপহার দেয়ার জন্য থ্যাংকু ভেরী মাচ
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৭:৫৯
240831
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
297424
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৪০
শেখের পোলা লিখেছেন : " জীবনের কোন ঘটনাতেই ভেঙ্গে পড়া উচিত না, কারণ সামনে কি আছে তা আমরা কেউ দেখতে পাইনা। "
অত্যন্ত সঠিক কথা৷ আপনার লেখায় এমন অনেক কথাই থাকে, তবুও এটার প্রতি আকৃষ্ট হলাম৷ ধন্যবাদ৷
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৩৮
240848
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ Happy
297425
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৪৪
শেখের পোলা লিখেছেন : পুনশ্চ;-আর হাফিজ সাহেব যদি নাক ডাকায় আমার সাথে বাজী ধরেন তবে নির্ঘাত হেরে যাবেন৷
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৪১
240849
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : হুমম, আবার আপনি নিশ্চয়ই আমার বাবার সাথে হেরে যাবেন। বাবার নাকডাকা ভয়ানক ব্যাপার। মনে হয় যেন এখনই দম আটকে গেল! Worried
297430
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:১৩
আয়নাশাহ লিখেছেন : এরকম ভুলে যাওয়া বৌ নিয়ে হাফিজ সাহেব আবার নাক ডাকিয়ে ঘুমায় কি করে সেটাই ভাবছি। আচ্চা মানুষ পেয়েছেন আপনি। সবদিকেই আপনি ভাগ্যবতী। আর হাফিজ সাহেব? তিনিও সত্যিকারের ভাগ্যবান।
আল্লাহ আপনাদের পরিবারে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিন।
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:২২
240956
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ভুলে যাই বলেই তো শান্তিতে নাক ডেকে ঘুমাতে পারে। সুন্দরীদের যেমন লোকে রূপের রহস্য জিজ্ঞেস করে, ওনাকে জিজ্ঞেস করে মোটার রহস্য। উনি বলেন, 'আমি মোটা হই সুখে। কারণ আমার বৌ আমাকে জ্বালায়না'। জ্বালাব কি করে? আমি কিছু না কিছু একটাতে খুশী হয়ে ভুলে যাই কি নিয়ে রাগ করেছিলাম Thinking?Thinking?Thinking?
আপনার দু'আয় আমাদের সবার জন্য আমীন Praying Praying Praying
297437
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:০৩
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : মজার কাহিনী।
আমার বিয়ের দিন বরযাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল বিকেল চারটায়। খুবই ছোটখাট এক ইস্যূতে আমার ক্রোধোন্মত্ত এক চাচাকে (উনার এক বায়রাকে সপরিবারে দাওয়াত দেয়া হয় নি কেন এই ইস্যূতে) বুঝিয়ে শুনিয়ে ম্যানেজ করতে করতে সময় সন্ধ্যা পেরিয়ে গিয়েছিল। পরে রাত সাড়ে আটটায় রওয়ানা দিয়েছিলাম।
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৩০
240957
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : হায় হায়, তাহলে গিয়ে পৌঁছলেন কতক্ষণে? ঐদিকে নিশ্চয়ই সবাই চিন্তায় অস্থির হয়ে যাচ্ছিল! এই ধরনের লোকজন এত স্বার্থপর হয় কেন? Sad
297447
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:২৬
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৩০
240958
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : উপস্থিতির জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ Good Luck
297450
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আহাাহ!! হাফিজ ভাই এর কি চমৎকার একখান চান্স মিস হলো!!!
ভাগ্য ভাল ভুলে গিয়ে বাসায় ঢুকে জাননি যদি কাছে চাবি থাকত!!
মোবাইল তো মনে হয় তখন বেশ চালু হয়েছে। ফিরোজ ভাই এর ছিল তখন সম্ভবত।
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৩৪
240959
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : শাওন প্রায়ই আমাদের বাসায় যেত, ওকে জিজ্ঞেস করে দেখ, চাবি থাকলেও বাইরে থেকে বাইরের গেট খোলা ছিলো একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ। সুতরাং, লাভ হতনা।
আমাদের গ্রুপের কারোরই তখনো মোবাইল ছিলোনা। তবে এর কিছুদিন পর ধীরে ধীরে সবার হাতে মোবাইল চলে আসে।
297458
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:১১
দ্য স্লেভ লিখেছেন : বিয়ে নিয়ে তো সার্কাস খেলা দেখালেন দেখছি....ভুলো মন আমারও কিন্তু পরিক্ষা দিয়ে রেজাল্টের কথা ভোলা এবং বিয়ে করা বৌ/বর এর কথা ভোলা ...এ আবার কিরকম !!! হাফিজ সাহেব লোক ভাল,নইলে এই লোকের সাথে থাকে ক্যামনে ??
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৩৬
240960
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
০৭ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৫:২৬
242571
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : সময় পেলে সেই ভালোবাসার নদীটি পোস্টটি পড়ার আমন্ত্রণ রইল।
১০
297474
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৪৭
রফিক ফয়েজী লিখেছেন : ভালো লাগলো । ধন্যবাদ
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৩৬
240961
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনাকে আমার ব্লগে স্বাগতম Happy Good Luck Good Luck Good Luck
১১
297475
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৪৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : হাফিজ ভাই এর মোবাইল তো ছিল মনে হয়!!!
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৩৮
240962
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : উনি প্রথম মোবাইল কেনেন রাদিয়ার জন্মের আগেপরে, কারণ সেই প্রথম আমরা আলাদা থাকতে বাধ্য হই Happy তার আগে সারাক্ষণই তো একসাথে থাকতাম। মোবাইল দিয়ে কি হবে?
১২
297538
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:১৩
ভিশু লিখেছেন : খুব বেশি পড়ুয়া, চিন্তুক আর ভাবুকদের মনে হয় অমনি হয়... Happy অন্নেক শুকরিয়া... Angel Good Luck
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৪০
240963
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ডাক্তার সাহেব, ঘুমের অভাবেও এমন হয়। এজন্যই আগের কয়েকদিনের বর্ণনা দিলাম। নইলে শুধু কি হয়েছে সেটা বললেই হত Happy
০৭ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৫:২৪
242569
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : সময় পেলে সেই ভালোবাসার নদীটি পোস্টটি পড়ার আমন্ত্রণ রইল।
১৩
297570
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১০:২৫
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৪০
240964
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ভাবীও এমন নাকি? Smug
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০৩:৩৫
246211
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : হুম।। এখনো খালি চলে যায়.....
১৪
297667
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:০২
৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৬:৫৭
241438
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : Happy Happy Happy
১৫
297698
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:১৭
নিরব পড়ুয়া লিখেছেন : আপু অনেক ধন্যবাদ আপনার বিয়ের গল্পটা বলার জন্য।আসলে যারা বেশি ভাবুক তারা নাকি ভুলো মনা হয়।আপনাদের জীবনটা সুখের স্পশে।
১৬
297700
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৫
নিরব পড়ুয়া লিখেছেন : আপু দারুন একটা বিয়ের গল্প বলার জন্য অনেক ধন্যবাদ।যারা ভাবুক টাইপের তাদের জীবনটা একটু ভিন্ন রকম হয় আপনার মত। আপনার সবগুলো লেখায় কিছু না কিছু শিখার থাকে।আল্লাহ যেন আমার বড় বোনকে উওম যাজা দান করেন।আমিন।আর আমি আপনার ছোট ভাই।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৬:৫৮
241439
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনার দু'আয় আমাদের সবার জন্য আমীন Happy Praying Praying Praying
১৭
297977
২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১০:০৮
বইয়ের পাতায় রোদের আলো লিখেছেন : বাহ বাহ Applause


খুশি হলাম 'ভুলোমনা' আরেকজনকে পেয়ে Tongue
৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৬:৫৯
241440
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : হা হা, মিতালী কি আর শুধু শুধু হয়? Winking Love Struck
০৭ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৫:২৪
242568
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : সময় পেলে সেই ভালোবাসার নদীটি পোস্টটি পড়ার আমন্ত্রণ রইল।
১৮
298037
৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:২৮
পুস্পগন্ধা লিখেছেন : বিয়ে কি এত সহজে ভুলা যায়? আপনার ভাগ্য ভাল যে উনি কলেজ থেকে আবার অফিসে গিয়েছিলেম নয়ত আপনার কি হত?

পড়ে অনেক মজা পেয়েছি, অন্যরকম একটি অভিজ্ঞতে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ভিশু ভাইয়ের সেদিনের সেই লিখায় আপনার কমেন্ট পড়ে মনে হয়েছিল ভাইয়া হয়ত ভুলে গিয়েছিলেন কিন্তু সেটা যে আপনি এটা বুঝতে পারলাম আপনার লিখা পড়ে.......হায়রে কপাল!!!। Good Luck Good Luck Good Luck
৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৭:০১
241441
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : তার মানে কি, ভাইয়া ভুললে অসুবিধা নেই, আপু ভুললেই দোষ? :Thinking :Thinking :Thinking Rolling Eyes Rolling Eyes Rolling Eyes
এজন্যই আগের কয়েকদিনের বর্ণনা দিলাম, যাতে আপনারা বুঝতে পারেন ভাইয়া যখন নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল তখন আপুর ওপর দিয়ে কি যাচ্ছিল Crying Crying Crying
৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:১৩
241453
পুস্পগন্ধা লিখেছেন : না না আপু, আসলে মেয়েরা অনেক সিনসিয়ার হয় তো তাই প্রথমে ভাইয়ার কথা মনে হয়েছিল...।Good Luck Good Luck
৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৫৬
241461
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ভুল সবস্ময় সিনসিয়ারিটির অভাবে হয়না, অনেক সময় অতিরিক্ত চাপের কারণেও হয়, এটাই বুঝা গেল Happy
১৯
298538
০১ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ১২:২১
যাররিনের বাবা লিখেছেন : যদি বারংবার ভুলেই না যেতাম তাহলে বৌয়ের অভিমান, রাগ মাখানো প্রতিক্রিয়া, অতঃপর সে রাগ দেখানোর অনুশোচনায় খানিকটা বোনাস আদর যত্ন- কোথায় পেতাম? বেঁচে থাকুক ভুলে যাওয়া মান অভিমান- বেঁচে থাকুন লেখিকা দম্পতি...
০১ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ১২:২৯
241664
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্যের ঝুলি নিয়ে আগমনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। Happy
ভাল থাকুন আপনারাও Happy
০৭ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৫:২৪
242567
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : সময় পেলে সেই ভালোবাসার নদীটি পোস্টটি পড়ার আমন্ত্রণ রইল।
২০
299549
০৬ জানুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:০৮
তারিক রিদওয়ান লিখেছেন : হাহাহাহাহাহাহহাহাহাহা Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor

মাশাল্লাহ! এমন ভালো এবং জিনিয়াস মানুষ দেখলে মনের মধ্যে একটু কনফিডেন্স পাই Happy
২১
299550
০৬ জানুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:০৮
তারিক রিদওয়ান লিখেছেন : স্বপ্ন দেখি আর আফসোস করি, ইশ্‌ আমিও যদি এমন ভাল হতে পারতাম! :(
০৭ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৫:২৩
242566
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ভালর কি দেখলে? Surprised Surprised
সময় পেলে সেই ভালোবাসার নদীটি পোস্টটি পড়ার আমন্ত্রণ রইল।
২২
299708
০৭ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১০:৩০
তারাচাঁদ লিখেছেন : বিয়ের প্রতি অমনযোগী হলে আর যা হয় আর কি ! ঠিকানা পরিবর্তন হওয়ার পরও আবার পুরানো ঠিকানাতেই ।
নিজ বাড়িকে বলুন না, "তোমাকে যে গিয়েছি ভুলে,
সে কথাও গিয়েছি ভুলে,
তাই তো আসি বারবার পথভুলে"
০৮ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৯:৫৮
242659
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : এখন তো আসলেই গিয়েছি ভুলে! তবে কেন যেন বাড়ীর কথা মনে হলে আবুধাবীর স্মৃতিগুলোই ওঠে চোখে ভেসে!
২৩
321977
২৩ মে ২০১৫ দুপুর ১২:০২
আহসান সাদী লিখেছেন : অনেক দিন পর আপনার লেখা পড়লাম। যখনই আপনার যে লেখাটা পড়ি, মনে হয় সেটাই সবার সেরা। তবে এই লেখাট আসলেই সেরা সম্ভবত।

আপনি কই? ব্লগে নাই কেনো?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File