সেই ভালোবাসার নদীটি

লিখেছেন লিখেছেন রেহনুমা বিনত আনিস ০১ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৯:৩৭:২০ সকাল

আমার প্রভু যেন এক মহাসাগর! যা কিছু স্বচ্ছ, সুন্দর ও কল্যাণকর সবকিছুর আধার তিনি। পরম করুণাময় তাঁর সৃষ্টিকুলের প্রতি তাঁর অকৃত্রিম আনুকুল্যের নিদর্শনস্বরূপ সেই মহাসাগর থেকে একটি নদী প্রবাহিত করে দিয়েছেন, যার বর্ণনায় তিনি স্বয়ং বলেছেনঃ

তোমাদের কাছে এসেছে তোমাদের মধ্য থেকেই একজন রাসূল। তোমাদের দুঃখ-কষ্ট তাঁর পক্ষে দুঃসহ। তিনি তোমাদের মঙ্গলকামী, মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল, দয়াময়। (সুরা তাওবাঃ আয়াত ১২৮)

কতইনা যুক্তিযুক্ত কথা এটি! একজন মানবই তো বুঝতে সক্ষম আরেকজন মানবের মনের গতিপ্রকৃতি, তার শক্তিসামর্থ্য, সীমাবদ্ধতা, আনন্দ বেদনা। একজন মানবের পক্ষেই সম্ভব হৃদয়ের গভীরে অপর মানবের প্রতি মঙ্গলাকাঙ্খা, সহানুভূতি, স্নেহমায়ার জোয়ারের টান অনুভব করা। একজন মানবের পক্ষেই সম্ভব এমন একটি জীবনাচারের দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করা যা আরেকজন মানবের পক্ষে অনুকরনযোগ্য, যা মানুষের সীমাবদ্ধতাকে আমলে রাখে, যা তাকে শেখায় নিজের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে নিজেকে স্বমহিমায় বিকশিত করতে। শর্ত একটাই, সেই নদীর উৎসমুখে পৌঁছতে হলে নদীর তীর ধরেই এগোতে হবে, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে হলে তাঁর রাসূলের প্রদর্শিত পথেই চলতে হবে। কেউ যদি নিজের পথ নিজে বেছে নেয় তার সে অধিকার রয়েছে, তবে সেই পথের শেষে যা কিছু মিলে সেটাও তাকে গ্রহন করে নিতে হবে। সেটা সেই কাঙ্খিত মহাসাগরের কিনারা না’ও হতে পারে।

আমরা যাকে ভালোবাসি তাকে কতভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে চাই সে আমাকে ভালবাসে কি’না, বাসলে সে ভালোবাসার গভীরতা কতখানি! তাহলে আমার প্রভু যদি ঝালাই করে নিতে চান আমরা আসলেই তাঁকে ভালবাসি কি’না, বাসলে আমরা ভালোবাসার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে প্রস্তুত কি’না, তবে সেটা যুক্তিসঙ্গত বটে। কিন্তু তিনি আমাদের মত ভালোবাসার মানুষটিকে তার অগোচরে পরীক্ষায় নিপতিত করেন না। বরং নিজের অগাধ ভালোবাসার প্রমাণস্বরূপ তিনি আমাদের আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছেন পরীক্ষার স্বরূপ কি, পথের বেড়ে কোথায় কি বিপদ লুকিয়ে আছে, কোনদিকে গেলে কি বোনাস পয়েন্ট পাওয়া যেতে পারে, কিভাবে খুব বেশী ঘুরাঘুরি না করেও পৌঁছে যাওয়া যায় সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে এবং শুভাকাঙ্খীর মত পথের ধারে দাঁড়িয়ে বার বার পুরস্কারের কথা বলে উদ্দীপ্ত করছেন তাঁর ভালোবাসার পথিকদের। তিনি জানিয়ে দিয়েছেনঃ

আমি পৃথিবীস্থ সব কিছুকে পৃথিবীর জন্যে শোভা করেছি, যার মাধ্যমে লোকদের পরীক্ষা করি যে, তাদের মধ্যে কে ভাল কাজ করে। এবং পৃথিবীর ওপর যা কিছু রয়েছে, অবশ্যই তা আমি উদ্ভিদশূন্য মাটিতে পরিণত করে দেব। (সুরা কাহফঃ আয়াত ৭-৮)

সুতরাং, আমরা প্রথমেই জেনে গেলাম এই অস্থায়ী জগতের কোনকিছুর প্রতি মায়া করা মানেই নিজের সময় নষ্ট করা। এর ততটুকুই আমাদের কাজে লাগে যা আমরা অন্যের জন্য ব্যায় করি, বাকী সবটাই খরচের খাতায়। তবু আমরা বার বার এর নয়নাভিরাম চাকচিক্যে বোকা খরগোশের মত দৌড় প্রতিযোগিতার কথা ভুলে গিয়ে খেলাধুলায় রত হই। আর তা দেখে আমাদের রাসূল এত বেশী মর্মাহত হোন, আমাদের জন্য এত বেশী চিন্তিত হয়ে পড়েন যে আমার প্রভু স্বয়ং তাঁর জন্য উৎকন্ঠিত হয়ে পড়েনঃ

যদি তারা এই বিষয়বস্তুর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না করে, তবে তাদের পশ্চাতে সম্ভবতঃ আপনি পরিতাপ করতে করতে নিজের প্রাণ নিপাত করবেন। (সুরা কাহফঃ আয়াত ৬)

তিনি আমাদের মধ্যে সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যাক্তি, কারন আমার প্রভু স্বয়ং তাঁর জ্ঞানের উৎস। আর তাই তিনি জানেন কি কঠিন দায়িত্ব নিয়ে আমরা পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছিঃ

যদি আমি এই কোরআন পাহাড়ের উপর অবতীর্ণ করতাম, তবে তুমি দেখতে যে, পাহাড় বিনীত হয়ে আল্লাহ তা’আলার ভয়ে বিদীর্ণ হয়ে গেছে। আমি এসব দৃষ্টান্ত মানুষের জন্যে বর্ণনা করি, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে। (সুরা হাশরঃ আয়াত ২১)

আমাদের দায়িত্ব কেবল নিজেই প্রতিযোগিতার নিয়ম বুঝেশুনে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হওয়া নয় যে আমরা একছুটে ফিতা ছিঁড়ে বেরিয়ে যাব। বরং এই প্রতিযোগিতায় আমরা সবাই পরস্পর একই শেকলে বাঁধা; সুতরাং এই প্রতিযোগিতায় জিততে হলে সবাইকে সমবেতভাবে এগোতে হবে, একজন বসে পড়লে তাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে উঠিয়ে নিয়ে এগোতে হবে, কেউ দুর্বল হয়ে পড়লে তাকে কাঁধে ভর দিয়ে নিয়ে এগোতে হবে, প্রয়োজন পড়লে সহপ্রতিযোগীকে কাঁধে তুলে নিয়ে এগোতে হবে, কিন্তু এগোনো বন্ধ করা যাবেনা। এভাবে ভাবলে প্রতিযোগিতার নিয়ম সহজ নয় মোটেই, কারণ এখানে আমার প্রতিদ্বিন্দ্বীকে ছেড়ে আমার এগিয়ে যাবার কোন উপায় নেই বরং তার ভাগ্যের সাথেই বাঁধা আমার ভাগ্য। কিন্তু আমরা অধিকাংশই চিন্তাভাবনা করতে অনিচ্ছুক, উপরন্তু পরীক্ষার হলে খেলতামাশা করেই সময় নষ্ট করে ফেলি।

আমরা বোকা বলেই আমাদের প্রভু স্বয়ং আমাদের শিখিয়ে দিয়েছেন, বলঃ

আমাদেরকে সরল পথ দেখাও। (সুরা ফাতিহাঃ আয়াত ৬)

আবার সেই শিখিয়ে দেয়া প্রার্থনার পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়ে দিয়েছেন প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয় যা আমাদের এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হবার জন্য, খানাখন্দ এড়িয়ে চলার জন্য, জীবন নামক ব্যাবসায় জ্ঞানের লগ্নি করে ধনাঢ্য হবার জন্য প্রয়োজন হবে। ঐ যে বললাম, তিনি আমাদের আগোচরে আমাদের ভালোবাসার পরীক্ষা নেন না। বরং তিনি পথের ধারে দাঁড়িয়ে থেকে আমাদের হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে যান। কিন্তু এর ফলাফল হতে পারে দ্বিমুখীঃ

আমি কুর’আনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রাহমাত। পাপীদের তো এতে শুধু ক্ষতিই বৃদ্ধি পায়। (সুরা ইসরাঃ আয়াত ৮২)

যারা বিশ্বাস করে এই হাত ধরে, তারা এই পথে সকল বাঁধাবিপত্তি লঙ্ঘন করে নির্বিঘ্নে এগিয়ে যায়। কিন্তু যারা একগুঁয়ে হয়ে জেদ ধরে বসে থাকে সে নিজের পথ নিজেই খুঁজে নেবে, সে আর পথ খুঁজে পায়না। কিন্তু তার অভিযোগ করারও সুযোগ থাকেনা যে সে কোন সাহায্যকারী পায়নি, কারণ বাড়িয়ে দেয়া হাত না ধরার সিদ্ধান্ত ছিলো একান্তই তার নিজস্ব।

যারা বুদ্ধিমান তারা নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করার জন্য আগেভাগেই আবেদনপত্র জমা দিয়ে দেয়ঃ

হে আমাদের পালনকর্তা! নিশ্চয়ই তুমি যাকে দোযখে নিক্ষেপ করলে তাকে অপমানিত করলে; আর জালেমদের জন্যে তো সাহায্যকারী নেই। হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা নিশ্চিতরূপে শুনেছি একজন আহবানকারীকে ঈমানের প্রতি আহবান করতে যে, তোমাদের পালনকর্তার প্রতি ঈমান আন; তাই আমরা ঈমান এনেছি। (সুরা আলে ইমরানঃ আয়াত ১৯২-১৯৩)

তারপর ঈমানের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ভালোভাবে বুঝে নিয়ে পরীক্ষা দিতে বসেঃ

হে ঈমানদারগণ, তোমরা ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক; আল্লাহর ওয়াস্তে ন্যায়সঙ্গত সাক্ষ্যদান কর, তাতে তোমাদের নিজের বা পিতা-মাতার অথবা নিকটবর্তী আত্নীয়-স্বজনের যদি ক্ষতি হয় তবুও। কেউ যদি ধনী কিংবা দরিদ্র হয়, তবে আল্লাহ তাদের শুভাকাঙ্খী তোমাদের চাইতে বেশী। অতএব, তোমরা বিচার করতে গিয়ে রিপুর কামনা-বাসনার অনুসরণ করো না। আর যদি তোমরা ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে কথা বল কিংবা পাশ কাটিয়ে যাও, তবে আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় কাজ কর্ম সম্পর্কেই অবগত। (সুরা নিসাঃ ১৩৫)

উত্তম প্রস্তুতির কারণে তারা কঠিন প্রশ্ন পেলে পিছিয়ে যায়না কিংবা নিজের জন্য সাফাইও দেয়না। বরং তারা জানে দু’জন সাক্ষী প্রতি মূহূর্তে তাদের কর্মকান্ড পর্বেক্ষণ করছেন এবং প্রতিটি দৃষ্টি, শ্বাসপ্রশ্বাস থেকে ইশারা পর্যন্ত লিপিবদ্ধ হচ্ছে। সুতরাং, তাদের প্রভুর সামনে কেবলমাত্র সত্য ব্যতীত আর যেকোন সাফাই অর্থহীন। তারা এটাও জানে পরীক্ষায় ভালো করতে পারলে এই কাঠিন্য, তিক্ততা নিমেষে মিটে যাবে এবং এক অমলিন প্রশান্তিতে ভরে যাবে জীবন।

তারা জানেঃ

আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে।

তাই বলে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সহজ করতে আবদার করতে তো আর বাঁধা নেই! তাই তারা তাঁর কাছেই সাহায্য চায়ঃ

হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্যে কর। (সুরা বাক্কারাঃ আয়াত ২৮৬)

আমরা যাদের ভালোবাসায় আস্থা হারিয়ে ফেলি, তাদের পরিণতি নিয়ে আমাদের বিশেষ মাথাব্যাথা থাকেনা। তখন তাদের উপকার কিংবা অনিষ্টে আমাদের কোন ক্ষতিবৃদ্ধি হয়না। যারা আমার প্রভুর প্রতি নির্লিপ্ত, তিনিও তাদের প্রতি নির্লিপ্ত হবেন এটা স্বাভাবিক। যারা তাঁকে উপেক্ষা করে, তাঁর নির্দেশের তোয়াক্কা করেনা, তাঁর প্রদর্শিত পথকে হেলায় ফেলায় নেয় তাদের জন্য তিনি যদি মায়া করতে যান তাহলে যারা তাঁকে ভালোবাসল, তাঁর জন্য ভালোবাসার পরীক্ষা দিলো, তাঁকে সন্তুষ্ট করার জন্য দিনরাত একাকার করে ফেলল তাদের প্রতি অন্যায় হয়ে যায়। তিনি কখনোই কোন অন্যায়ের সাথে সংশ্লিষ্ট হতে পারেন না। বরং এই একগুঁয়েদের বিপক্ষে তাঁর সেই ভালোবাসার নদী, যাতে কখনো ভাটার টান পড়েনা, তিনিও ফুঁসে উঠবেন সীমাহীন অভিযোগেঃ

হে আমার পালনকর্তা, আমার সম্প্রদায় এই কোরআনকে প্রলাপ সাব্যস্ত করেছে। (সুরা ফুরকানঃ আয়াত ৩০)

তাঁর এবং আমাদের পালনকর্তা বার বার তাঁকে শান্তনা দিয়ে বলেছেন তাঁর দায়িত্ব এই নির্দেশ আমাদের কাছে পৌঁছে দেয়া, আমরা তা গ্রহণ করলাম কি উপেক্ষা করলা তার জন্য তিনি দায়িত্বশীল নন। বরং আমার প্রভু বলছেনঃ

এ সত্ত্বেও যদি তারা বিমুখ হয়ে থাকে, তবে বলে দাও, আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত আর কারো বন্দেগী নেই। আমি তাঁরই ভরসা করি এবং তিনিই মহান আরশের অধিপতি। (সুরা তাওবাঃ আয়াত ১২৯)

তখন আমার সহপ্রতিযোগীটি আমার কাছ থেকে স্নেহের শেকলটি খুলে নেবেন, আমাকে আমার মত ছেড়ে দেবেন, বনবাদাড়ে আমাকে একা ফেলে রেখে এগিয়ে যাবেন, আমার বিরুদ্ধে সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত হবেন, আমাকে আমার প্রভূর সামনে একাই প্রশ্নোত্তর করার জন্য রেখে নীরব হয়ে যাবেন – এর চেয়ে মর্মান্তিক পরিণতি আর কি হতে পারে? যখন আমার নালিশ করার মত, অভিযোগ করার মত, সাফাই দেয়ার মত কোন উপায় থাকবেনা কারণ আমি নিজেই নিজের এই পরিণতি ডেকে এনেছি, এর চেয়ে হৃদয়বিদারক আর কি হতে পারে? হে আমার রাব্ব, যাকে তুমি আমাদের প্রতি রাহমাতের নদী হিসেবে পাঠিয়েছ তাঁকে তুমি আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী বানিয়োনা, তুমি যাকে আমাদের বন্ধু বানিয়ে পাঠিয়েছ তাঁর হাতটি ধরার মত বিবেচনা এবং বোধ আমাদের দিয়ো যেন সেই নদীটি অনুসরণ করে আমরা তোমার ভালোবাসার মহাসাগরের তীরে দাঁড়িয়ে মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিয়ে বলতে পারি, ‘আমি পাইলাম, আমি তাঁহাকে পাইলাম’।

বিষয়: বিবিধ

২২১৬ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

298510
০১ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১০:২০
ইবনে হাসেম লিখেছেন : হে আমার রাব্ব, যাকে তুমি আমাদের প্রতি রাহমাতের নদী হিসেবে পাঠিয়েছ তাঁকে তুমি আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী বানিয়োনা, তুমি যাকে আমাদের বন্ধু বানিয়ে পাঠিয়েছ তাঁর হাতটি ধরার মত বিবেচনা এবং বোধ আমাদের দিয়ো যেন সেই নদীটি অনুসরণ করে আমরা তোমার ভালোবাসার মহাসাগরের তীরে দাঁড়িয়ে মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিয়ে বলতে পারি, ‘আমি পাইলাম, আমি তাঁহাকে পাইলাম’।

আপু, আসসালামু আলাইকুম। বিশ্বাস করুন, এমন সুন্দর গ্রন্থনায় আল কোরআনের বাণীসমূহ দ্বারা সমৃদ্ধ ঈমানের সবক আমি খুব কমই দেখেছি। তাই উপরের উদ্বৃতিটুকু যখন পেস্ট করছি, তখন আমার দু'চোখ ছিল অশ্রুসজল, হৃদয়ের কন্দরে বইছিল প্রিয়জনকে হারানোর মতো হাহাকারের টাইফুন.....
আল্লাহ আপনাকে ও আপনার ছোট্ট গোছানো সুন্দর পরিবারকে দ্বীনের কাজে সবসময় অগ্রগামী রাখুন এই প্রার্থনা।
০১ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১১:৩২
241661
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
আমি যখন সুরা তাওবার শেষের আয়াত দু'টি পড়ি তখন আমার যে অনুভূতি হয়, হৃদয়ে থেকে যে দু'আ নির্গত হয় সেটি আপনাদের সাথে শেয়ার করার উদ্দেশযেই এতকিছু লেখা। আপনাদের ভালো লাগাই আমার শেয়ার করার সার্থকতা।
আল্লাহ আপনার দু'আ আমাদের সকলের জন্য কবুল করে নিন, আমীন।
298534
০১ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ১২:২০
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
০১ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ১২:২৩
241662
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আগামীবার নতুন মন্তব্য নিয়ে আসার প্রত্যাশায় আপনাকে আগাম ধন্যবাদ Good Luck
298566
০১ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:০৩
কাহাফ লিখেছেন :
কুইক মন্তব্যঃ ভালো লাগলো! অনেক ধন্যবাদ ও জাযাকুমুল্লাহু খাইরান!!! Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Rose Rose Rose
০২ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১১:২৭
241863
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : কুইক জবাবঃ যাজ্জাকাল্লাহ খাইর এত ব্যাস্ততার ভেতর সময় করে পড়ার জন্য Happy Good Luck Good Luck
298583
০১ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:৫৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এই চিন্তা থেকে তো আমরা এখন বহুদুরে!!
আমরা জিবনে ক্ষনিকের উল্লাস কেই বানিয়ে নিয়েছি জিবনের লক্ষ।
০২ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১১:২৮
241864
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ভাইবোন মার্কা লেখা স্টিকি হওয়া এবং এই লেখায় পাঠকের অনুপস্থিতিতে মনে হচ্ছে দুঃখজনক হলেও তোমার কথাই ঠিক :Thinking :Thinking :Thinking
298797
০২ জানুয়ারি ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৫
আহমাদ ফিসাবিলিল্লাহ লিখেছেন : চোখে নিমিষেই অশ্রুর বান ডাকে এমন পোস্টগুলো পড়লে... মনে কখন সেই দিন, সেই ক্ষণ আসবে....:'(
০৩ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬
242006
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ, আপনার ভাল লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম Happy
298805
০২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৮:৩৮
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম.............. .........আপুজ্বি। হৃদয়কে নাড়িয়ে দিলো আপনার চমৎকার লিখাটি। জাজাকাল্লাহু খাইর।
মঙ্গলময় সর্বাবস্থায় আপনাকে ভালো ও সুস্থ রাখুন দোয়া রইলো।
০৩ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬
242007
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : সুন্দর দু'আর জন্য ধন্যবাদ আপা HappyGood Luck Good Luck
298813
০২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৮:৫৬
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপা চমৎকার লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। Thumbs Up Rose Rose Rose

মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করে নিন। আমীন Praying
০৩ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬
242008
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আমীন Praying Praying Praying
299398
০৬ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০১:০৬
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : ভাল লাগলো, দোয়া করি আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে পরিপূর্ণভাবে ইসলামকে বুঝার ও মেনে চলার তৌফিক দেন।
০৬ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৮:০৩
242378
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আমীন Praying Praying Praying
আমার ব্লগে পদার্পন করায় আপনাকে স্বাগতম HappyGood Luck
299650
০৭ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৯:৫৪
দ্য স্লেভ লিখেছেন : দারুনভাবে উপস্থাপন করেছেন।

হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্যে কর। (সুরা বাক্কারাঃ আয়াত ২৮৬)
০৭ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১১:২৭
242580
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : পড়ার জন্য ধন্যবাদ Happy Good Luck
১০
300182
১১ জানুয়ারি ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫০
তারিক রিদওয়ান লিখেছেন : মাশাল্লাহ Happy অসাধারণ!
প্রথম পড়ায় পুরোটা বুঝতে পারিনি, খুব গভীর এক লেখা। আরো কয়েকবার পড়ব, আর তখন আয়াতগুলোও বিস্তারিত পড়ব ইনশাল্লাহ Happy

আল্লাহ্‌ বিশ্বে এমন ভালো মানুষের সংখ্যা আরো বাড়িয়ে দিক, আমিন Smug
১২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১২:৫২
242957
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : রাসূল (সা) তো আর আসবেন না, তাঁর মত আর কারো পক্ষে হওয়া সম্ভবও না Crying Crying Crying
১২ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০৩:২৫
243011
তারিক রিদওয়ান লিখেছেন : :( সত্যিই... মানুষটার সাথে যদি অন্তত একবার দেখা করার সুযোগ পেতাম এই দুনিয়াতে! *sigh*
১১
300972
২০ জানুয়ারি ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৫
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : সুন্দর হয়েছে,অনেক ভাল লাগল, ধন্যবাদ
২১ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৮:৪৮
243521
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : এতদিন পর লেখাটা খুঁজেপেতে পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ Happy
১২
301214
২২ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৮:৪০
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আপনার লিখাগুলো আমার ভাল লাগে, তাই ফ্রি টাইমে আপনি সহ যাদের লিখা ভাল লাগে, সবগুলো পিছনের লিখা হলেও পড়ি

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File