পরিণতি - পর্ব ১, ২, ৩--

লিখেছেন লিখেছেন রেহনুমা বিনত আনিস ০৭ জানুয়ারি, ২০১৫, ১১:২৮:০৬ সকাল

শোভনের রিংটোন শুনে কান খাড়া হয়ে যায় শান্তার। মোবাইলের স্ক্রিনে শোভনের হাসিমাখা চেহারাটা দেখে মূহূর্তেই উবে যায় সমস্ত রাগ, অভিমান। মোবাইলটা ছোঁ মেরে তুলে নিয়ে একটু ঝাঁঝ আর অনেক ভালোবাসা মিশিয়ে বলে, ‘কি? তুমি না বলেছিলে আজ ফোন করতে পারবেনা? তোমার এমন কাজ, তেমন ব্যাস্ততা! কই? পারলে আমাকে ছাড়া থাকতে?’

ওপাশে কেবল নীরবতা।

বিরক্ত হয় শান্তা, ‘কি ব্যাপার শোভন? সারাদিন পরে একবার মাত্র ফোন করলে, তাও কোন কথা বলছনা। ব্যাপার কি?’

ওপাশে ফোঁপানোর শব্দ।

সচকিত হয়ে ওঠে শান্তা, ‘কে? কে ওখানে?’

জবাবে দ্বিধা আর অশ্রুমেশানো নারীকন্ঠের আওয়াজ ভেসে আসে, ‘আমি শোভনের স্ত্রী। আমার একটা ছোট্ট সন্তান আছে ...’

হঠাৎ হুটোপুটির শব্দ, ধুপধাপ আঘাতের আওয়াজ, আর্তনাদ ... ফোনের লাইনটা কেটে গেল।

মাথা ঝিম ঝিম করে ওঠে শান্তার। এইমাত্র কি ঘটে গেল সে কিছুই বুঝতে পারেনা। হৃৎপিন্ড এত দ্রতলয়ে স্পন্দিত হচ্ছে , মনে হচ্ছে যেন এখনই ফেটে যাবে। সে দ্রুত কল দেয় শোভনের নাম্বারে – একবার, দুইবার, তিনবার, চারবার, পাঁচবার ... কেউ ফোন ধরেনা। এবার ওর মনে পড়ে শোভন বলেছিলো ওর পরিবার খুব রক্ষণশীল। ওর মা যদি জানতে পারেন ছেলে প্রেম করছে তাহলে তুলকালাম কান্ড ঘটিয়ে ফেলবেন। তাই শোভনই সবসময় ওকে ফোন করে, এই প্রথম ওর শোভনের নাম্বারে ফোন করা। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত, রাত পেরিয়ে ভোর হয়ে যায়, কিন্তু সেই নারীকন্ঠের আওয়াজ ওকে তাড়া করে ফেরে, ‘আমি শোভনের স্ত্রী। আমার একটা ছোট্ট সন্তান আছে ...’। মেয়েটা কে? কেনই বা ওকে ফোন করল? কেন ওকে এসব বানোয়াট কথা বলল? শোভন ওকে ভালবাসে, সে ওকে বিয়ে করবে। কিন্তু শোভনের মোবাইল মেয়েটা পেলো কোথায়? অনেক প্রশ্নই মাথায় ঘুরপাক খায় ওর, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি ছাড়া, ‘মেয়েটি যদি সত্য বলে থাকে?’ যতবারই এই প্রশ্ন মনের ভেতর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায় ততবারই শান্তা শোভনের সাথে প্রথম পরিচয়ের স্মৃতি, ওর সাথে ঘুরতে গিয়ে আনন্দময় মূহূর্তগুলো, ওর কথার মায়াজালে আবিষ্ট হবার অনুভূতির কথা মনে করে সেটিকে মাটিচাপা দেয়।

ঘুম ভাঙ্গে শোভনের রিংটোনে। সাথে সাথে ঝাঁ করে গত সন্ধ্যার দুঃস্বপ্নময় স্মৃতি ভেসে ওঠে মনের পর্দায়। ফোন ধরব, ধরব না করেও না ধরে থাকতে পারেনা শান্তা। ‘হ্যালো’ বলতেই ওপাশ থেকে ভেসে আসে শোভনের চনমনে গলার আওয়াজ, ‘কি গো রাজকন্যা? ঘুম ভাঙ্গলো?’ মনের ভেতর মুখিয়ে থাকা একরাশ প্রশ্নের সাথে এই স্বতঃস্ফুর্ত কন্ঠের কোন সঙ্গতি খুঁজে পায়না শান্তা। শোভন আবার বলে, ‘ওঠ গো রাজকন্যা! দেখ তোমার দুয়ারে কে এসেছে!’ এক মূহূর্তের জন্য হকচকিয়ে গেলেও তড়াক করে বিছানা থেকে লাফিয়ে নেমে দরজার দিকে উর্ধ্বশ্বাসে দৌড় লাগায় সে। দরজার বাইরে শোভনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সব ভুলে চিৎকার করে ওঠে, ‘তুমি! এখানে?’

সাথে সাথে ওদের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে প্রতিবেশীদের কয়েক জোড়া চোখ। ঢাকায় পড়াশোনা কিংবা চাকরী করতে আসা অনেক মেয়ের মতই শান্তা একা থাকে। মা নেই। মায়ের মৃত্যুর পর বাবা ফিরে গিয়েছেন তাঁর প্রথমা স্ত্রীর সংসারে। কালক্রমে বাবা মেয়ের সম্পর্ক শিথিল হয়ে এসেছে, যদিও তিনি প্রতি মাসের শুরুতে মনে করে বিশ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। শান্তা নিজেই ভাল আয় করে, এই টাকা ওর প্রয়োজন নেই, সব ব্যাঙ্কেই জমছে। এর চেয়ে সে অনেক খুশি হত যদি বাবা মাসে একবার এসে ওকে দেখে যেতেন। সৎ মায়ের সাথে শান্তার সম্পর্ক ভালো না। সৎ ভাইবোনরা ওর অনেক বড়, সবাই নিজের নিজের ব্যাবসা বাণিজ্য সংসার নিয়ে ব্যাস্ত, কারো সময় নেই ওর খবর রাখার। প্রতিবেশীরা জানে এই ছেলেটি এই মেয়েটির একাকীত্বের সুযোগ নিচ্ছে। কিন্তু ঢাকার জীবন ব্যাস্ত জীবন। ওদের কারো সময় নেই শুভাকাঙ্খী হয়ে ওকে দু’টো উপদেশ দেয়ার। তবে ব্যাস্ততার মাঝেও এমন রসময় ঘটনা প্রত্যক্ষ করার জন্য অবশ্য কারো সময়ের অভাব হয়না।

শান্তা চায়না প্রতিবেশীদের রসাত্মক আলোচনার খোরাক হতে। এদের সবাইকে সে ঘৃণা করে। এরা অন্যের মন্দ নিয়ে আলোচনা করে আনন্দ পায়, কিন্তু অন্যের ভাল দেখলে এরা সহ্য করতে পারেনা। গ্রামের মেয়ে শহরে এসে যতই আধুনিকা হোক, ছোটবেলা থেকে নিজের মাঝে গড়ে ওঠা মূল্যবোধের শেকড়টাকে নিমেষে উপড়ে ফেলতে পারেনা সে। গ্রামের ফজিলত দাদী বলতেন, ছেলেরা মেয়েদের কাছে যা চায় তা বিয়ের আগে পেয়ে গেলে আর বিয়ে করতে চায়না, বিয়ে অনেক বড় দায়িত্ব, কে চায় সেধে এই দায়িত্ব কাঁধে নিতে? তাই সে শোভনকে নিয়ে পাবলিক প্লেসে বেড়াতে গেলেও কোনদিন ঘরে প্রবেশ করতে দেয়নি। কিন্তু প্রতিবেশীদের উৎসুক দৃষ্টি থেকে আত্মরক্ষার্থে সে শোভনকে ঘরে ঢুকতে বলে। অনেক প্রশ্ন ওর মনে। এই সম্পর্ক টিকতে হলে ওর প্রশ্নের জবাব চাই।

নাস্তার টেবিলে বসে শান্তা কোন ভনিতা না করে সরাসরি জিজ্ঞেস করে, ‘মেয়েটা কে?’

শোভন আকাশ থেকে পড়ে, ‘কোন মেয়েটা?’

গত সন্ধ্যার ঘটনা সবিস্তারে বর্ণনা করে শান্তা। সব শুনে শোভন খুব অবাক হয়, ‘তোমাকে তো বলেই ছিলাম গতকাল আমি খুব ব্যাস্ত থাকব। অফিসে এত কাজ ছিলো যে ফোন কোথায় ছিলো খবর ছিলোনা। সেই ফাঁকে হয়ত অফিসের কোন মেয়ের মাথায় দুষ্টবুদ্ধি চাপে। টেবিলের ওপর ফ্রি মোবাইল পেয়ে কল করে দেয়’।

‘সে আমার নাম্বার পেলো কোথায়?’

‘তুমি তো জানোই আমার মোবাইলে সবসময় লাস্ট কল তুমি। লাস্ট কল টিপে দিয়েছে আর কি!’

শান্তাকে চিন্তিত দেখে উচ্চস্বরে হাসতে শুরু করে শোভন, ‘কি নিয়ে এত ভাবছ বল তো! তুমি কি তাহলে আমাকে বিশ্বাস করনা?’

এবার শান্তা বিব্রত হয়ে পড়ে। নাহ, কে না কে ফোন করেছে সেটা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মন কষাকষি করার কোন অর্থ হয়না। তাছাড়া দু’জনেরই অফিসের সময় হয়ে এসেছে। শোভন বার বার তাড়া দিচ্ছে ওর অফিসে যেতে হবে। জরুরী কাজে নাইটকোচেই চলে আসতে হয়েছে ওকে। এত কষ্ট করার পর যদি কাজটা উদ্ধার না হয় তাহলে অফিসে কি বলবে? শান্তা দ্রুত প্লেটগুলো গুছিয়ে গিয়ে অফিসের জন্য রেডী হয়ে আসে। এবার শোভন বাথরুমে ঢোকে। ডাইনিং রুমে টেবিলের ওপর শোভনের মোবাইলটা পড়ে থাকতে দেখে নিজেকে সামলাতে পারেনা শান্তা। একবার বাথরুমের দরজার দিকে চকিতে নজর দিয়ে মোবাইলটা তুলে নেয়, কল হিস্ট্রি চেক করে। একটু আগে শান্তাকে করা কল ছাড়া পুরো কল হিস্ট্রি ফাঁকা। কি মনে করে কন্ট্যাক্ট লিস্টও চেক করে সে, নাহ, কোথাও ওর নাম বা নাম্বার নেই। দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে শান্তা। কাজ থেকে ফিরে শোভনের সাথে কথা বলতে হবে।

সন্ধ্যায় রেস্টুরেন্টে বসে শান্তাকে খাবার খুটতে দেখে শোভন খাওয়া থামিয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘কি ব্যাপার? খাচ্ছ না যে!’

শান্তা আবদারের সুরে বলে, ‘শোন, এভাবে লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করতে আমার আর ভাল লাগছেনা। আমি আমাদের প্রেমের স্বীকৃতি চাই। চল, আমরা বিয়ে করি। এবার তুমি বাড়ী ফিরে যাবার সময় আমি তোমার সাথে যাব’।

শোভন খেতে খেতে বলে, ‘পাগল হয়েছ? মা তোমাকে আর আমাকে দু’জনকেই কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেবেন’।

‘দেবেন না। আমি ওনার পা ধরে ওনার কাছে ওনার ছেলেকে ভিক্ষা চাইব। উনি রাজী না হয়ে পারবেনই না!’

হেসে ফেলে শোভন, ‘মাকে রাজী করতে তোমার যতদিন সময় লাগবে তত লম্বা ছুটি তোমাকে অফিস থেকে দেবেনা’।

‘দেবে, আমি অফিসে কথা বলে এসেছি’।

এবার শোভন খাওয়া বন্ধ করে ভ্রু কুঁচকে তাকায়, ‘তুমি তো দেখছি সিরিয়াস!’

শান্তা এবার উদগ্রীব হয়ে বলে, ‘তুমি কি ভেবেছ মিথামিথ্যি বলছি? দেখ শোভন, আমরা দু’বছর যাবত বিয়ে করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে আছি। আর কত অপেক্ষা করব বল? মাকে তো কোন না কোন একদিন কথাটা বলতেই হবে, তবে আজ কেন নয়?’

শোভন কি যেন ভাবে কিছুক্ষণ। তারপর বলে, ‘হুট করে তোমাকে নিয়ে গেলে অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়তে হবে। এবার আমি একা যাই। গিয়ে মাকে তোমার কথা বলব। আগামীবার আমি তোমাকে আমার সাথে নিয়ে যাব’।

আনন্দে ক্ষিদে পেয়ে যায় শান্তার। সে সাগ্রহে ঝাঁপিয়ে পড়ে খাবারের ওপর।

(চলবে ইনশা আল্লাহ)

পর্ব -২

click here

পর্ব-৩

click here

বিষয়: বিবিধ

৩২৩৭ বার পঠিত, ৩৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

299667
০৭ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ১২:২৯
নোমান২৯ লিখেছেন : রহস্য জমে উঠছে ।পরবর্তী পর্বেরWaiting Waiting
০৮ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৭:০১
242646
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : প্রথম উপস্থিতি ও মন্তব্যের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ Happy Good Luck Good Luck
299671
০৭ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০১:২১
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : দ--খ--ল !! সাথে অবরোধ ।
০৮ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৭:০২
242647
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : তো অবরোধের ব্যাস্ততায় কি পড়ার সুযোগ হোল, না শুধু দখলই করলেন? Tongue Tongue
299678
০৭ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০১:৫৩
পুস্পগন্ধা লিখেছেন :
পরবর্তি পর্ব কখন আসবে আপু? খুব কিউরিসিটি হচ্ছে.... Waiting
০৮ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৭:০২
242648
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আজই ইনশা আল্লাহ Happy
299703
০৭ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১০:১৭
তারাচাঁদ লিখেছেন : গ্রামের ফজিলত দাদী খুবই মুল্যবান কথা বলেছেন, যে জিনিসটি প্রাপ্য বিয়ের পরে, ছেলেরা যদি সে জিনিসটিই বিয়ের আগে পেয়ে যায়, তাহলে সে নারীকে ছেলেরা কোন মুল্যায়ন করে না ।
ওমর তিলমি-সানি'র লেখা "শহীদে মেহরাব ওমর ইবনুল খাত্তাব" বইয়ে পড়েছি, এক যুবক এবং যুবতী জেনার দায়ে অভিযুক্ত হয় । হযরত ওমর উভয়কে শরীয়ত নির্ধারিত শাস্তি দেন । তারপর তিনি বারবার ছেলেটিকে বলেন মেয়েটিকে বিয়ে করতে । ছেলেটি সেই মেয়েকে বিয়ে করতে রাজী হয়নি, যদিও তারা উভয়ে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছিল ।
ইদানিং আমরা হ্যাপি-রুবেলের ঘটনা পত্র-পত্রিকায় দেখেছি । হাজার বছর ধরে লাখোবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে ।
জ্ঞান আর অভিজ্ঞতা তো আর ব্লুটুথ দিয়ে অন্যকে ট্রান্সমিট করা যায় না !
০৮ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৪:০৪
242639
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম! অনেক দিন পর আপনাকে দেখলাম! আশাকরি ভালো আছেন!Good Luck
০৮ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৭:০৪
242649
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : জ্ঞান আর অভিজ্ঞতা তো আর ব্লুটুথ দিয়ে অন্যকে ট্রান্সমিট করা যায় না! - এটাই দুঃখ। নইলে এত লক্ষ বছরে আশা করা যায় মানুষ কিছু শিখত। তবে আবার অনেকে শিখতে চায়ও না :Thinking :Thinking
সাথে থাকবেন আশা করি Happy
299716
০৭ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১০:৪৩
০৮ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৭:০৫
242650
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : গল্প কি পিজ্জার মত খাবার জিনিস? Surprised Surprised Rolling on the Floor Rolling on the Floor
299728
০৭ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১১:৫১
প্রগতিশীল লিখেছেন : এত্ত সুন্দর একটা ভাল মেয়ে...এই মেয়েরা এমনই আপু...অসাধারণ চরিত্র হবে লিখতে থাকুন। অনেক ধন্যবাদ
০৮ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৭:০৬
242651
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : এত্ত সুন্দর একটা ভাল মেয়ে... Surprised Surprised
পড়তে থাকুন ... :Thinking
299743
০৮ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৪:০০
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম ! সত্যি ভয় লাগছে পরের পর্বে কি হবে ভেবে! Broken Heart

মেয়েরা আধুনিকতার নামে জাহিলি জীবনেই ফিরে যাচ্ছে, বিনিময়ে ধোকা, লান্ছনা আর কঠিন গুনাহের সন্মুখীন হচ্ছে! সমাজে দুষনের হাওয়া বইছে আপু! এই দুষন সুস্হদের ও রোগাক্রান্ত করে ফেলছে Worried

জাযাকিল্লাহু খাইর! Rose Good Luck Love Struck
০৮ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৭:০৯
242652
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু আপু Love Struck Love Struck Love Struck
দূষনের হাওয়া বন্ধ করার লক্ষ্যেই দূষনের পরিণতি নিয়ে লেখার সিদ্ধান্ত নিলাম। নইলে এই ধরনের লেখা আমার জন্য অত্যন্ত কঠিন Whew! Whew! Whew!
তবু যদি কেউ লেখাটা পড়ে খানিকটা চিন্তা করে, তাহলেই লেখার কষ্ট সার্থক হবে Praying Praying Praying
299871
০৯ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০১:২৪
ধ্রুব নীল লিখেছেন : রহস্য টাইপ মনে হচ্ছে। শোভন ছলনা করছে নাকি ভালবাসায় সৎ আছে, সেইটা জানার জন্য অপেক্ষায় রইলাম। সালাম জানবেন আপা।
০৯ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৯:৪৭
242756
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু Happy
সাথে থাকুন ... Happy
299928
০৯ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০১:২৩
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বাবা কেমন মানুষ? এভাবে অবিবাহিত একটা মেয়েকে একা একা শহরে ফেলে রেখেছে!!? এই মেয়ে যদি আরও খারাপ কোন কাজ করে তবে তার জন্য প্রথমেই দায়ী হবে বাবা। মা মারা গেছে, বাবা শুধুমাত্র টাকা দেয়ার মাধ্যমেই তার দায়িত্ব শেষ করছেন?

চমৎকার গল্প শুরু করেছেন, আপা। Thumbs Up Rose Rose Rose
১০ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০২:১৩
242811
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : দুঃখজনক সত্য হোল, এমন চরিত্রের বাবা আমাদের সমাজে অহরহই পাওয়া যায় আপা। সেজন্যই মেয়েগুলোকে পথ দেখানোর কেউ থাকেনা Broken Heart
১০
299929
০৯ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০১:৩৬
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : পরের পর্বে যাচ্ছি...
১০ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০২:১৩
242812
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ধন্যবাদ Happy
১১
299977
১০ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০২:০১
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : ভাল লাগলো, চলতে থাকুক
১০ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০২:১৪
242813
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ Good Luck
১২
300057
১০ জানুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:২৭
সালমা লিখেছেন : পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়.......খুব ভালো লাগলো,আপনাকে ধন্যবাদ
১১ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৩:০৪
242881
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আর একটিমাত্র পর্ব বাকী আছে আপা। আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে খুব ভাল লাগছে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ Happy Good Luck
১৩
300174
১১ জানুয়ারি ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩৫
প্রবাসী আশরাফ লিখেছেন : শুরুটাই রহস্যম ভাল লাগা কাজ করছে...দেখি পরবর্তী পর্বে কি লেখা হয়েছে...
১২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১২:৫৩
242958
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : Happy
১৪
300212
১১ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১১:০১
আবু জান্নাত লিখেছেন : তারপর......... কি হলো !.... দ্বিতীয় পর্বে যেতেই হবে। যাচ্ছি........
১২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১২:৫৩
242959
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : Happy
১৫
300239
১২ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৫:৫০
শেখের পোলা লিখেছেন : অস্থিরতা নিয়ে পড়লে আপনার লেখার মর্ম উপলব্ধি হবে না, তাই সব কটি পরে সময়মত পড়ব, ইশাআলালাহ৷ দুঃখিত৷
১২ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৮:৫১
242986
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : দুঃখিত! কেন? Surprised Surprised Surprised
যখন সময় পান তখন পড়বেন ইনশা আল্লাহ, না পড়তে পারলেও কোন লস নেই Happy পৃথিবীতে আরো অনেক অনেক ভাল ভাল লেখা আছে যেগুলো পড়া আরো অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ Happy
আপনার উৎসাহব্যাঞ্জক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ HappyGood Luck Good Luck
১৬
300349
১৩ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১২:৫২
জুমানা লিখেছেন : ভালো লাগলো Rose Rose Rose
১৮ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০১:৪৯
243233
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ আপু HappyGood Luck
১৭
300604
১৮ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১২:৪৯
রফিক ফয়েজী লিখেছেন : সুন্দর হয়েছে।আগামী পর্বের প্রত্যাশায়।
১৮ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০১:৪৯
243234
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : ধন্যবাদ Happy সব পর্ব দেয়া শেষ Happy
১৮
308044
০৯ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০৩:৫১
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : সব বিষয়ে এত দক্ষতা.....।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File