@@@--এবং পাপিষ্ঠদের ব্যাপারে আমাকে কোন কথা বলবেন না, অবশ্যই তারা ডুবে মরবে৷@@@

লিখেছেন লিখেছেন শেখের পোলা ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৮:৪৪:২৮ সকাল

(উ্দু বয়ানুল কোরআনের ধারাবাহিক বাংলা অনুবাদ)

নূহ আঃ এর দীর্ঘ দিনের অক্লান্ত প্রচেষ্টার সমাপ্তি আর অবাধ্য কওমের আজাবের সংবাদ নিয়েই আসছে এ রুকুটি;-

৩৬/وَأُوحِيَ إِلَى نُوحٍ أَنَّهُ لَن يُؤْمِنَ مِن قَوْمِكَ إِلاَّ مَن قَدْ آمَنَ فَلاَ تَبْتَئِسْ بِمَا كَانُواْ يَفْعَلُونَ

অর্থ;-আর নূহ এর প্রতি ওহী প্রেরণ করা হল যে, যারা ইতি মধ্যেই ইমান এনেছে তাদের ছাড়া আপনার জাতির আর কেউ ইমান আনবেনা, অতএব তাদের কার্যকলাপে বিমর্ষ হবেন না৷

৩৭/وَاصْنَعِ الْفُلْكَ بِأَعْيُنِنَا وَوَحْيِنَا وَلاَ تُخَاطِبْنِي فِي الَّذِينَ ظَلَمُواْ إِنَّهُم مُّغْرَقُونَ

অর্থ;-আর আপনি আমার সামনে আমারই নির্দেশ মোতাবেক একটি নৌকা তৈরী করুন৷ এবং পাপিষ্ঠদের ব্যাপারে আমাকে কোন কথা বলবেন না, অবশ্যই তারা ডুবে মরবে৷

# চুড়ান্ত ফায়সালা হয়ে গেছে৷ এখন আর ইমান আনার সুযোগ নেই৷ তাই এই শেষ মুহূর্তে কারও জন্য আর কোন সুপারিশ করা যাবেনা৷ আর আল্লাহর নির্দেশ মত তারই সামনে, অর্থাৎ যেন আল্লাহ স্বয়ং দেখিয়ে দেবেন কেমন করে, কি ধরণের, কত বড় নৌকা বানাতে হবে৷ যদিও সবটাই ওহীর মাধ্যমে হবে৷ আল্লাহ এমন আদেশ দিলেন নূহ আঃ কে৷

৩৮/وَيَصْنَعُ الْفُلْكَ وَكُلَّمَا مَرَّ عَلَيْهِ مَلأٌ مِّن قَوْمِهِ سَخِرُواْ مِنْهُ قَالَ إِن تَسْخَرُواْ مِنَّا فَإِنَّا نَسْخَرُ مِنكُمْ كَمَا تَسْخَرُونَ

অর্থ;-তিনি নৌকা নির্মান করতে লাগলেন আর যখনই তাঁর কওমের সর্দারগন তার পাশ দিয়ে যেত তখনই তাঁকে বিদ্রুপ করত৷ তিনি বললেন, তোমরা যদি আমাদের উপহাস কর, তবে আমরাও ঠিক তদ্রুপ উপহাস তোমাদের করব৷

# সেখানে আশে পাশে কোন জলাশয় ছিলনা, তাই নৌকা বানানোকে তারা যতায়াতের পথে উপহাস করতে লাগল৷ নূহ আঃ তাদের বললেন, এখন তোমরা আমাদের উপহাস করছ মনে রেখ ঠিক এমন উপহাস আমরাও সময়হলে তোমাদের করে এর জবাব দেব৷

৩৯/فَسَوْفَ تَعْلَمُونَ مَن يَأْتِيهِ عَذَابٌ يُخْزِيهِ وَيَحِلُّ عَلَيْهِ عَذَابٌ مُّقِيمٌ

অর্থ;-আর শিঘ্রই তোমরা জানতে পারবে লাঞ্ছনা দায়ক আজাব কার উপর আসবে, আর তা কার উপর স্থায়ী আজাবে পরিনত হবে৷

৪০/حَتَّى إِذَا جَاء أَمْرُنَا وَفَارَ التَّنُّورُ قُلْنَا احْمِلْ فِيهَا مِن كُلٍّ زَوْجَيْنِ اثْنَيْنِ وَأَهْلَكَ إِلاَّ مَن سَبَقَ عَلَيْهِ الْقَوْلُ وَمَنْ آمَنَ وَمَا آمَنَ مَعَهُ إِلاَّ قَلِيلٌ

অর্থ;-অবশেষে যখন আমার আদেশ এসে পড়ল এবং উনান উথলে উঠল, তখন আমি বললাম, যার সম্পর্কে পূর্বেই সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে তাকে ছাড়া প্রত্যেক প্রকারের একটি করে নর ও মাদী এবং আপনার পরিজনকে উঠিয়ে নাও৷ আর যারা ইমান এনেছে তাদের কেও৷ খুব অল্প সংখ্যকই ইমান এনেছিল৷

# ভূ বিশেষজ্ঞদের মতে ঐ এলাকায় মহা প্লাবনের চিহ্ন আজও বর্তমান৷ভূমীর উচ্চতা সমুদ্রসমতল হতে নিম্নে ছিল এবং কোন কারণে কোন সুড়ঙ্গ হয়ে তা কোন চুলা পর্যন্ত চলে এসেছিল৷ এবং সেখান দিয়েই প্লাবনের সূত্রপাত হয়৷ যেমন, করাচী শহর সমুদ্র উপকূল ভাগ উঁচু হলেও অনেক এলাকা রয়েছে যা সমুদ্র সমতলের নীচে৷ সুড়ঙ্গ হলে প্লাবন হতে পারে৷ তা যিনি যাই বলুক, আল্লাহ এভাবেই সেই মহা প্লাবন আরম্ভ করেন৷ তার আগে সমসাময়ীক ভূমীতে বিচরণ কারী পশুদের নর ও মাদী জোড়ায় এক এক জোড়া, নূহ আঃ এর পরিজন ও যে অল্প সংখ্যক লোক ইমান এনেছিল তাদের নৌকায় উঠিয়ে নিতে বলেন৷ কিন্তু যাদের ব্যাপারে নিষেধ আগেই করা হয়েছিল তাদের উঠাতে নিষেধ করেন৷ তার মধ্য ছিল নূহ আঃ এর এক স্ত্রী ও তার গর্ভজাত, নুহ আঃ এর চতুর্থ পুত্র ইয়াম৷৷ কাফেরদের দলভুক্তই ছিল৷

৪১/وَقَالَ ارْكَبُواْ فِيهَا بِسْمِ اللّهِ مَجْرَاهَا وَمُرْسَاهَا إِنَّ رَبِّي لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ

অর্থ;-তিনি বললেন, তোমরা এতে আরোহন কর৷ আল্লাহর নামেই এর গতিও স্থিতি৷ নিশ্চয় আমার রব পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু৷

# আল্লাহর নাম নিয়েই সকলে আল্লাহর নির্দেশ মত নৌকায় উঠলেন৷ নৌকা ছিল গন্তব্য হীন৷ কেমন করে চলবে আর কোথায় গিয়ে থামবে তা কারও জানা ছিলনা৷ আল্লাহই এর গতি আর স্থিতি দেবেন৷

৪২/وَهِيَ تَجْرِي بِهِمْ فِي مَوْجٍ كَالْجِبَالِ وَنَادَى نُوحٌ ابْنَهُ وَكَانَ فِي مَعْزِلٍ يَا بُنَيَّ ارْكَب مَّعَنَا وَلاَ تَكُن مَّعَ الْكَافِرِينَ

অর্থ;-আর তা তাদের বয়ে নিয়ে পাহাড় সমান তরঙ্গের মাঝে চলল৷ আর নূহ(আঃ) তার পুত্রকে ডেকে বললেন যে পৃথক স্থানে ছিল, হে আমার পুত্র্র,আমাদের সাথে আরোহন কর এবং কাফেরদের সাথে থেকোনা৷

# মানুষের নিয়ন্ত্রন নয়, আল্লাহর নিয়ন্ত্রনে নৌকা খানি উঁচু উঁচু ঢেউয়ের মাঝে ভাসতে লাগল৷ নূ আঃ দেখদেন দূরে তাঁর পুত্র হাবু ডুবু খাচ্ছে, তিনি তাকে কাফেরদের সঙ্গ ত্যাগ করে ইমান এনে নৌকায় আসতে বললেন৷

৪৩/قَالَ سَآوِي إِلَى جَبَلٍ يَعْصِمُنِي مِنَ الْمَاء قَالَ لاَ عَاصِمَ الْيَوْمَ مِنْ أَمْرِ اللّهِ إِلاَّ مَن رَّحِمَ وَحَالَ بَيْنَهُمَا الْمَوْجُ فَكَانَ مِنَ الْمُغْرَقِينَ

অর্থ;-সে বলল, আমি অচিরেই কোন পাহাড়ে আশ্রয় নেব, যা আমাকে রক্ষা করবে প্লাবন থেকে৷ নূহ বললেন, আজ আল্লাহর হুকুম থেকে কেউই রক্ষাকারী নেই, এক মাত্র সে ছাড়া যাকে তিনি দয়া করবেন৷ তার পর তাদের মাঝে তরঙ্গ আড়াল হয়ে গেল এবং সে নিমজ্জিত হল৷

# পুত্র নবী পিতার কথা না শুনে অহংকার বশে, পাহাড় তাকে রক্ষা করবে বলে বসল৷ কিন্তু এমন সময় ঢেউ এসে তাদের আলাদা করে দিল, আর সে ডুবে গেল৷

৪৪/وَقِيلَ يَا أَرْضُ ابْلَعِي مَاءكِ وَيَا سَمَاء أَقْلِعِي وَغِيضَ الْمَاء وَقُضِيَ الأَمْرُ وَاسْتَوَتْ عَلَى الْجُودِيِّ وَقِيلَ بُعْداً لِّلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ

অর্থ;-তার পর বলা হল, হে পৃথিবী, তোমার পানি চুঁষে নাও, হে আকাশ, ক্ষ্যান্ত হও৷ এর পর পানি হ্রাস করা হল৷ এবং কাজের সমাপ্তি ঘটল৷ আর নৌকাটি জুদী পাহাড়ের উপর স্থির হল৷ আর ঘোষনা হল, ধ্বংস হোক জালীম সম্প্রদায়৷

# নৌকাটি যখন পাহাড়ের উপর স্থিতি হল, বোঝা যায় যে পানি পাহাড়কেও ডুবিয়ে ছিয়ে ছিল৷ ভূপৃষ্ঠ হতে উদগীরণ হওয়া পানির সাথে যুক্ত হয় আকাশের বর্ষণ৷ যখন কাফেরর বংশ ধ্বংস হয়ে গেল তখনই প্লাবনের সমাপ্তি হল৷ আল্লাহ পৃথিবীর পানিকে পৃথিবীতে ফেরত যেতে বললেন আর আকাশের বর্ষণ ও থামিয়ে দিলেন৷ তুর্কী ও রাশিয়ার সীমান্তে দূর্গম পাহাড়ী এলাকায় কোন এক পাহাড়ের উপর, কোন এক পাইলট নৌকা সদৃশ কিছু দেখেছেন বলে জানা যায়৷ ভবিষ্যতের জন্যই হয়ত আল্লাহ এটি পাহাড়ের উপর সংরক্ষন করেছেন৷

অল্প কিছু ইমানদার ও নূহ আঃ এর তিন পুত্র ছাড়া আর কেউ অবশিষ্ট থাকল না৷ নূহ আঃ এর পুত্র হাম, শাম ও ইয়াফিসের বংশ ধরদের দ্বারাই ক্রমে পৃথিবী জনপূর্ণ হয়৷ শাম এর বংশ ধররাই ভবিষ্যতে আদ সামুদ প্রভৃতি সম্পদায় রূপে প্রকাশ পায়৷

৪৫/وَنَادَى نُوحٌ رَّبَّهُ فَقَالَ رَبِّ إِنَّ ابُنِي مِنْ أَهْلِي وَإِنَّ وَعْدَكَ الْحَقُّ وَأَنتَ أَحْكَمُ الْحَاكِمِينَ

অর্থ;-আর নূহ তার রবকে ডেকে বললেন, হে আমার রব, নিশ্চয় আমার পুত্র আমার পরিবার পরিজনের অন্তর্ভুক্ত এবং আপনার ওয়াদা সত্য, অতঃপর আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক৷

# আল্লাহ নূহ আঃ কে বলেছিলেন, পরিবার পরিজনকে নৌকায় নিতে, কিন্তু চোখের সামনে তাঁর পুত্র ডুবে মরল, তিনি নিতে পারেন নি, তাই আল্লাহর কাছে এ আক্ষেপ৷

৪৬/قَالَ يَا نُوحُ إِنَّهُ لَيْسَ مِنْ أَهْلِكَ إِنَّهُ عَمَلٌ غَيْرُ صَالِحٍ فَلاَ تَسْأَلْنِ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ إِنِّي أَعِظُكَ أَن تَكُونَ مِنَ الْجَاهِلِينَ

অর্থ;-আল্লাহ বললেন, হে নূহ, নিশ্চয়ই সে আপনার পরিবার ভুক্ত নয়৷ অবশ্যই সে অসৎ কর্ম পরায়ণ৷ অতএব যে সন্মন্ধে আপনার জ্ঞান নেই এমন বিষয়ে আমার কাছে আবেদন করবেন না৷ আমি আপনাকে উপদেশ দিচ্ছি যে, আপনি যেন অজ্ঞদের শামিল না হয়ে পড়েন৷

# আল্লাহ এ আয়াতে একটা ব্যাপার পরিষ্কার করলেন যে, বে ইমান পুত্র হলেও পরিত্যাজ্য৷ আর যে বিষয়ের জ্ঞান নেই তা নিয়ে কথা নাবলতে নুহ আঃ কে উপদেশ দিলেন আর সুরা আনআম এ হজরত মোহাম্মদ সঃ কে ঠিক এমন ভাবেই বলা হয়েছিল, ‘আপনি অজ্ঞদের দলভুক্ত হবেন না’৷ এখানে নূহ আঃ কেও বলা হল৷

৪৭/قَالَ رَبِّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَسْأَلَكَ مَا لَيْسَ لِي بِهِ عِلْمٌ وَإِلاَّ تَغْفِرْ لِي وَتَرْحَمْنِي أَكُن مِّنَ الْخَاسِرِينَ

অর্থ;-নূহ বললেন, হে আমার পালন কর্তা, আমার যা জানা নেই এমন কোন আবেদন করা হতে আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি৷ আপনি যদি আমাকে ক্ষমা না করেন, তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্থদের দল ভুক্ত হয়ে পড়ব৷



৪৮/قِيلَ يَا نُوحُ اهْبِطْ بِسَلاَمٍ مِّنَّا وَبَركَاتٍ عَلَيْكَ وَعَلَى أُمَمٍ مِّمَّن مَّعَكَ وَأُمَمٌ سَنُمَتِّعُهُمْ ثُمَّ يَمَسُّهُم مِّنَّا عَذَابٌ أَلِيمٌ

অর্থ;-বলা হল, হে নূহ, অবতরণ করুন, আমার পক্ষ থেকে শান্তি ও কল্যান নিয়ে, আপনার প্রতি ও যারা আপনার সাথে আছে তাদের সম্প্রদায়ের প্রতি৷ আর অন্যান্ন সম্প্রদায়কে আমি কিছুকাল জীবন উপভোগ করতে দেব, অবশেষে তাদের উপর আমার তরফ থেকে যন্ত্রনা দায়ক আজাব আপতিত হবে৷

# নূহ আঃ এর জন্য কল্যান, তাঁর সাথে যারা আছেন, পরিবারের বা অন্যান্ন, তাদের মধ্যে যাদের ধারা ইমানদার হয়েই থাকবে তাদের প্রতিও কল্যান থাকবে আর যারা পুনরায় বিপথে যাবে তাদের সাময়ীক শান্তী, কল্যান থাকলেও তাদের আজাবের ভবিষ্যত বাণীও ঘোষণা হল৷

যা পরবর্তীতে, আদ সামুদ, প্রভৃতি সম্প্রদায় ভোগ করেছে৷

৪৯/تِلْكَ مِنْ أَنبَاء الْغَيْبِ نُوحِيهَا إِلَيْكَ مَا كُنتَ تَعْلَمُهَا أَنتَ وَلاَ قَوْمُكَ مِن قَبْلِ هَـذَا فَاصْبِرْ إِنَّ الْعَاقِبَةَ لِلْمُتَّقِين

অর্থ;-এ সব গায়েবের খবর, যা আমি আপনাকে ওহীর মাধ্যমে অবহীত করি৷ এ সব ইতিপূর্বে না আপনি জানতেন না আপনার কওমের লোকেরা জানত৷ অতএব ধৈর্য ধারণ করুন৷ নিশ্চয় শুভ পরিনাম মুত্তাকীদের জন্যই৷

# যারা বলত, কোরআন মোহাম্মদ সঃ নিজেই রচনা করে আল্লাহর নামে চালাচ্ছে, তাদের জবাব হিসেবে বলা হয়েছে৷ এই যে খবর গুলো যা আপনিও জানতেননা বা মুশরীকরাও জানত না, আমি ওহীর মাধ্যমে জানাই তাই আপনি জানেন৷ আগের রুকুর শেষ আয়াতটিতেও ঠিক এমন কথা বলা হয়েছে৷

বিষয়: বিবিধ

১৫১৬ বার পঠিত, ৩১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

339340
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৯:২২
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : অর্ধেক পড়লাম বাকি অর্ধেক একটু পরে পড়বো ইনশাআল্লাহ।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০০
280783
শেখের পোলা লিখেছেন : আলহামদু লিল্লাহ৷ তাই হোক৷ধন্যবাদ৷
339342
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৯:২৫
নাবিক লিখেছেন : পোস্টটির জন্য শুকরিয়া, সাথে শানে নুযূল যোগ করলে বোধয় পোস্টটি আরও সুন্দর হতো।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০১
280784
শেখের পোলা লিখেছেন : এটি অনুবাদ৷ তাই যা আছে তাই দিয়ছি৷ স্যরি৷ পড়া ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ৷
339347
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৯:৫২
শরফুদ্দিন আহমদ লিংকন লিখেছেন : এখানে আমার একটু প্রশ্ন আছে, ভাইয়া।
নূহ (আঃ) এর সময়কার প্লাবন কি পুরো পৃথিবী জুড়ে হয়েছিলো?? ঘটনায় আমার কাছে তা-ই মনে হয়। কিন্তু আমরা জানি নূহ (আঃ) পুরো পৃথিবীর নবী হয়ে আসেন নি। উনি একটি নির্দিষ্ট কওমের/এলাকার নবী। বিষয়টা একটু ক্লিয়ার করবেন, প্লিজ।
আর- বলা হল, হে নূহ, অবতরণ করুন, আমার পক্ষ থেকে শান্তি ও কল্যান নিয়ে, আপনার প্রতি ও যারা আপনার সাথে আছে তাদের সম্প্রদায়ের প্রতি৷ আর অন্যান্ন সম্প্রদায়কে আমি কিছুকাল জীবন উপভোগ করতে দেব, অবশেষে তাদের উপর আমার তরফ থেকে যন্ত্রনা দায়ক আজাব আপতিত হবে৷
এর ব্যাখ্যায় আপনি লিখেছেন-
নূহ আঃ এর জন্য কল্যান, তাঁর সাথে যারা আছেন, পরিবারের বা অন্যান্ন, তাদের মধ্যে যাদের ধারা ইমানদার হয়েই থাকবে তাদের প্রতিও কল্যান থাকবে আর যারা পুনরায় বিপথে যাবে তাদের সাময়ীক শান্তী, কল্যান থাকলেও তাদের আজাবের ভবিষ্যত বাণীও ঘোষণা হল৷
যা পরবর্তীতে, আদ সামুদ, প্রভৃতি সম্প্রদায় ভোগ করেছে৷
আপনার এ কথাটিকে আমার কাছে মনে হলো উপরোক্ত আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক। কারন- উপরোক্ত আয়াতে টোটাল মানুষজনকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একভাগের প্রতি বলা হয়েছে- হে নূহ, অবতরণ করুন, আমার পক্ষ থেকে শান্তি ও কল্যান নিয়ে, আপনার প্রতি ও যারা আপনার সাথে আছে তাদের সম্প্রদায়ের প্রতি৷
আর অন্যভাগের প্রতি বলা হয়েছে- আর অন্যান্ন সম্প্রদায়কে আমি কিছুকাল জীবন উপভোগ করতে দেব, অবশেষে তাদের উপর আমার তরফ থেকে যন্ত্রনা দায়ক আজাব আপতিত হবে৷

কিন্তু আপনার ব্যাখ্যায় আপনি দ্বিতীয় ভাগকে প্রথম ভাগের উপভাগ বলে বুঝাতে চেয়েছেন।– বিষয়টি একটু ক্লিয়ার করবেন, প্লিজ।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৭
280786
শেখের পোলা লিখেছেন : পৃথিবীর তৎকালে জনসংখ্যা যা ছিল তা ওখানেই ছিল।পরে ওনার তিন ছেলে হাম শাম ইয়াফিসের বংশধরেরা ক্রমশঃ বেড়েই আজকের জনসংখ্যা হয়েছে৷ আমার ধারণা শুধু ওখানেই নয়, অনেক খানি এরিয়া নিয়েই হয়েছিল৷ কারণ ঐ প্লাবনে আদম আঃ এর বানানো কাবা ঘর ভেঙ্গে যায়। সেই বনেদের উপরই হজরত ইব্রাহীম আঃ পুনঃ নির্মান করেন৷ ধন্যবাদ৷
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০১:০৮
280860
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনার সদয় অবগতির জন্য জানানো প্রয়োজন যা ভুলে গিয়েছিলাম তা হল এটি আমার করা অনুবাদ মাত্র৷ আমি তাফসীরকার নই, তাই আমার কোন মতামত এতে প্রবেশ নিষেধ৷ দুঃখীত ভাই৷
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:২২
282804
শরফুদ্দিন আহমদ লিংকন লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাই।
০৪ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:০১
285637
দ্য স্লেভ লিখেছেন : প্রশ্নটির সেরা উত্তর হল-আল্লাহই ভালো জানেন। আমরা আসলেই জানিনা বা ইতহাস নেই যে সারা পৃথিবীতে প্লাবন হয়েছিলো কিনা। তবে আমার ধারনা নূহ(আঃ)এর এলাকা এবং আরও বেশ কিছু এলাকা নিয়ে প্লাবন হয়েছিলো। আর যেহেতু পাহাড় ডুবে গিয়েছিলো,নৌকা পাহাড়ের মত উচু স্খানে উঠেছিলো বলে কুরআনের বর্ণনা,তাই বলা যায় এটি বিশাল প্লাবন ছিলে,ফলে অনেক এলাকা ডোবার কথা। আল্লাহই ভালো জানেন। গুরুত্বপূর্ণ হল আল্লাহর আদেশ না মানার কারনে কি ঘটেছিলো সেটা
339370
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৫৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : নুহ আঃ নবী হয়েও তার নাফরমান সন্তানকে রক্ষা করেননি বা করতে পারেননি। কিভাবে আমরা আশা করি যে পির-মুর্শিদ বেহেস্ত নিয়ে যাবেন।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৯
280787
শেখের পোলা লিখেছেন : আশা করাটাই শির্ক৷ এটা নিছক ধান্দা৷ ধন্যবাদ৷
০৪ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:০৩
285638
দ্য স্লেভ লিখেছেন : শব্দটায় একটু ভুল আছে,,,,উনারা বেহেস্তে নিয়ে যাবেনা,,, ভেস্তে নিয়ে যাবে...এটাই তাদের ক্ষমতা....(অবশ্য ওইসব প্রখ্যাত আলেমদের ব্যাপারে মিথ্যাচার করা হয়)
339400
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:২৫
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া। জাযাকাল্লাহ খাইর
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১০
280788
শেখের পোলা লিখেছেন : অআলায়কুমুস সালাম৷ আপনাকে অনেক ধন্যবাদ৷
339462
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৫
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ, লিখাটা সম্পূর্ণ পড়ার তওফিক হলো!
জাজাকাল্লাহ।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০১:০৮
280862
শেখের পোলা লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু খাইরান।
339470
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:১৬
আফরা লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খাইরান চাচাজান । খুব সুন্দর হয়েছে খুব ভাল লাগল অনেক কিছু জানলাম ।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০১:১০
280863
শেখের পোলা লিখেছেন : এটা গত সপ্তায় পোষ্স্ট করেছিলাম তা গায়েব হয়ে গেছে। তাই আবার দিলাম৷৷ শুভেচ্ছা নিও৷
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:২৩
280942
আফরা লিখেছেন : ভাল করেছেন চাচাজান আমি মিস করিছিলাম ।অনেক ধন্যবাদ চাচাজান ।
339555
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৩৭
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খায়েরান।

কিছুদিন আগে তো রংধনু নিয়ে খুব আলোচনা হল।

সামুদ জাতি সম্পর্কে কিছু লেখবেন কুরআন হাদিসের আলোকে?
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪১
280920
শেখের পোলা লিখেছেন : ইনশাআল্লাহ। আপনাকে ধন্যবাদ।
339648
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৫:০১
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : পোস্টখানা প্রিয়তে রাখলাম,কাজে লাগবে।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৮:২১
281013
শেখের পোলা লিখেছেন : ই মেইল নং দিলে পুরো কোরআনের অনুবাদটাই দিতে পারি৷ তিন খণ্ডে আছে। তাহলে প্রীয়তে রাখার প্রয়োজন হবে না। ধন্যবাদ।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:০৮
281026
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন :
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:২২
281121
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

আল্লাহতায়ালার নিয়ামতের লোভ তীব্রই থাকুক



জাযাকাল্লাহ
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০২:৩০
281155
শেখের পোলা লিখেছেন : সাইফ সাহেব,ইমেইলটা একটু কঠিন হল। চেষ্টা করব ইনশা আল্লাহ৷ ভাল থাকুন৷
১০
340171
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৪৭
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। কথা দিয়েছিলাম একটু সময় পেলেই আমন্ত্রণে ব্লগে এসে হাজির হয়ে যাব। কথা রেখেছি। খুব সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখেছেন। বয়সের সাথে সম্ভবত মানুষের চিন্তা ভাবনার গোছানো ভাবটাও চলে আসে। জাঝাক আল্লাহ। আচ্ছা পানাকে একটা প্রশ্ন করি? আপনাকে কি বলে ডাকব?
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৮:০৩
281655
শেখের পোলা লিখেছেন : সংসারে কারও আব্বা,কারও শ্বশুর, কারও চাচা, কারও মামা, কারও দাদা, কারও নানা আবার কারও বা ভাই। বয়স বর্তমানে তিনকুড়ি পাঁচ৷ আপনার যা ভাল লাগে বলতে পারেন৷ ধন্যবাদ৷
১১
344320
০৪ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:০৪
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান। সুন্দর লাগল
০৪ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:৩২
285719
শেখের পোলা লিখেছেন : : 'অনেক দিনের পরে যেন বৃষ্টি এল'
ধন্যবাদ৷
১২
344410
০৪ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:৩২
শেখের পোলা লিখেছেন : 'অনেক দিনের পরে যেন বৃষ্টি এল'
ধন্যবাদ৷

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File