শিশুদের জন্য সুস্থ পরিবেশ তৈরি করতে হবে

লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০২:৪৮:৫৮ দুপুর



সময়ের সাথে সাথে জীবনপথ বদলে যায়। বদলে যায় পরিচিত সমাজ সংস্কৃতি, আগমন হয় নতুন সমাজ ব্যবস্থার। পোশাক থেকে শুরু করে খাদ্যের মধ্যেও পরিবর্তন আসে।

সেই সূত্রমতে বদলে গেছে শিশুদের খেলনা সামগ্রী। বদলে গেছে মায়েদের শিশুকে নিয়ে চিন্তাধারা। সুই সুতো দিয়ে বানানো পুতুলের পরিবর্তে স্টার গেইম এসেছে। গুল্লাচুট কিংবা কানামাছি এখন আর নেই বাশের লাঠির স্ট্যাম্প আর নারকেল ডগার ব্যাট হারিয়ে গেছে। লাটিম ক্রয়ের দুই টাকার জন্য কান্নাকাটি এখন আর নেই। মায়ের মোবাইলে সন্তানের গেইম খেলা কোলে উঠার চেয়ে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনলাইন গেইমের মাধ্যমে বন্দুক চালানো শিখার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

নীল আকাশ এখন অনেক ফ্রি। এখন আকাশে কাগজের ঘুড়ি নাচানাচি করেনা। গ্রাম বাংলার বাড়ির উঠোন এখন শান্ত কারণ বাচ্চারা লাফায়না। বাড়ির মুরব্বীরা এখন আর চেঁচান না। শিশুদের দৌড়াদৌড়িতে ঝিঙে, বা শিমের ফুল কেউ আর নষ্ট করেনা।

পরিবর্তন হয়েছে সংস্কৃতির, পরিবর্তন হয়েছে খেলনা সামগ্রী। আগেকার সময় একটি বাচ্চার সকল খেলনা সামগ্রীর ক্রয়ের টাকা একত্রিত করলে বর্তমান সময়ের একটি বাচ্চার একটি খেলনা ক্রয়ের টাকার সমান হবেনা।

প্রযুক্তির হালে এমনটা হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু প্রযুক্তির অপব্যবহার এবং অতিরিক্ত প্রযুক্তি নির্ভর হতে গিয়ে অনেক ক্ষতি হচ্ছে। শিশু তার মায়ের কোল থেকে মায়ের হাতের মোবাইল বেশি পছন্দ করতে শিখছে। লাটিম চালানোর পরিবর্তে অনলাইন গেইমের মাধ্যমে বন্দুক চালানো শিখছে। একটির পরিবর্তে একাধিক বিদ্যুৎ চালিত পুতুল ক্রয়ের মাধ্যমে টাকা অপচয় করা হচ্ছে। অতিরিক্ত প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে শারীরিক ক্ষতি হচ্ছে। শিশুদের মেধা বিকাশে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

প্রযুক্তির সময়ে প্রযুক্তির ব্যবহার অস্বীকার করা অসম্ভব। প্রযুক্তি ছাড়া চলাফেরা অনেক ক্ষেত্রে অসম্ভব। তবে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করতে হবে। প্রযুক্তি এবং প্রকৃতির সমন্নয়ে একটি সুস্থ পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে শিশুদের জন্য। সে ক্ষেত্রে সকল পিতামাতা, সচেতন মহল এবং সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। আগামীর সুন্দর সমাজের জন্য শিশুদের সুস্থ পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ।

বিষয়: বিবিধ

১১৫৯ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

377989
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ০৩:২৬
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : জনগুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। প্রযুক্তির অপব্যবহার এড়িয়ে সঠিকমাত্রায় এটির ব্যবহার হলেই প্রযুক্তির সুফল আমরা ঘরে তুলতে পারবো। প্রযুক্তি যেন শিশুর স্বকীয়তা ও সৃষ্টিশীলতাকে নষ্ট করে না দেয় সে বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ১০:০১
313319
রাশেদ বিন জাফর লিখেছেন : আপনার সাথে সহমত ভাই.
377994
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:১৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চমৎকার পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ। প্রযুক্তিকে সব ভাবেই ব্যবহার করা যায়।
377999
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৩২
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ!‍ সুন্দর বিশ্লেষন। জাযাকুমুল্লাহ্
378001
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৪৮
তবুওআশাবা্দী লিখেছেন : "প্রযুক্তির সময়ে প্রযুক্তির ব্যবহার অস্বীকার করা অসম্ভব। প্রযুক্তি ছাড়া চলাফেরা অনেক ক্ষেত্রে অসম্ভব। তবে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করতে হবে। প্রযুক্তি এবং প্রকৃতির সমন্নয়ে একটি সুস্থ পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে শিশুদের জন্য"|দ্বিমতের কোনো সুযোগ নেই | ভালো লাগলো |অনেক ধন্যবাদ|
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ১০:০৩
313320
রাশেদ বিন জাফর লিখেছেন : আপনার সাথে সহমত ।
ধন্যবাদ
378027
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ১০:০৫
রাশেদ বিন জাফর লিখেছেন : প্রযক্তির অপকৌশল থেকে শিশুদেরকে সজাগ রাখতে হবে।
378044
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ০৩:৩৮
হতভাগা লিখেছেন : শিশুদের জন্য সুস্থ (প্রকৃতপক্ষে) পরিবেশ গড়ে তুলতে গেলে তাদের জন্য খেলার মাঠের ব্যবস্থা করতে হবে এবং ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব বাড়াতে হবে ।

কিন্তু এগুলো করতে গেলে ব্যবসা ও শিল্পায়নে মারাত্মক ধ্বস নামবে।
378050
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ বিকাল ০৫:২৭
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আমার এক আত্মীয়ের বাসায় দুই বাচ্চার জন্য যে পরিমাণ খেলনা, আর এসবের জন্য যে খরচ হয়েছে, তাতে আমার কয়েক বছর খুব সুন্দরভাবেই চলে যাবে!
378115
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ১২:৩৭
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ Happy
379044
২৫ অক্টোবর ২০১৬ দুপুর ০২:১১
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আগামি প্রজন্মটা মনে হয় পুরাই একটা অলস প্রজন্মে পরিণত হবে। অভিবাবকদের সচেতন হওয়া খুব দরকার
ধন্যবাদ আপনাকে

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File