তিন পুলিশ ও এক স্কুল শিক্ষিকার মা ভিখারিনী;সন্তানদের চাকরিচ্যুত করা হোক

লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১১:২২:১০ রাত

গতকাল জাতীয় পত্রিকা ইত্তেফাকের মাধ্যমে প্রথম দেখি নিউজটি। তারপর আজ অবধি বিভিন্ন পোর্টালে ও ফেসবুকে ভাইরাল হয় একই নিউজ। সকলের শিরোনামও প্রায় একই। আর তাহলো, তিন পুলিশ ও এক স্কুল শিক্ষিকার মা ভিক্ষুক। এরকম শিরোনাম দেখলে যে কেউ ভেতরে প্রবেশ করবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।সেই কৌতুহল থেকে আমিও ভেতরে ঢুকি এবং যা পাই তা, বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের মৃত আইয়ুব আলী সরদারের সত্তরোর্ধ স্ত্রী মনোয়ারা বেগম।তার ছয় সন্তানের তিনজন যথাক্রমে, বড় ছেলে ফারুক হোসেন পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই), মেজ ছেলে মো. জসিম উদ্দিন পুলিশ সদস্য ও ছোট ছেলে নেছার উদ্দিনও পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই)।অন্য দুই ছেলে শাহাবউদ্দিন ব্যবসা এবং গিয়াস উদ্দিন ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। মনোয়ারা বেগমের একমাত্র মেয়ে মরিয়ম সুলতানা একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।

এরকম একটি পরিবারের সত্তোর্ধ মা আজ ভিখারী, ভাবতেই বড় কষ্ট হয়।মনের মাঝে প্রশ্ন জাগে কেন এই মায়ের করুণ দশা? তার জন্য দায়ী কে? দায়ী কি ঐ মা ? যিনি তার সন্তানদের মানুষ করতে পারেন নি। দায়ী কি আমাদের সমাজ? দায়ী কি শিক্ষা ব্যবস্থা? রাষ্ট্রের কি কোনো দায় দায়ীত্ব নেই?

সত্যিকার অর্থে এই সব উপাদানই দায়ী।মা পারেন নি তার সন্তানদের মানুষ করতে। শিক্ষা ব্যবস্থায় নেই আল্লাহর প্রতি ভয়। সমাজ শেখায় নি প্রেম ভালবাসা। আর রাষ্ট্র জাগ্রত করতে পারে নি দায়িত্বানুভূতি।

তাই বলে এখন কি বসে থাকবো? এই মা কি ভিক্ষুকই থাকবেন? সব শেষে কি রাষ্ট্র কোনো পদক্ষেপ নিবে না? যে পুলিশ অফিসাররা একজন মা'র নিরাপত্তা দিতে পারে না,তারা কিভাবে দেশের জনগণের নিরাপত্তা দেবে? তাদের ত মন নেই,মানবতাবোধ নেই, অন্তরে ভালবাসার রেশমাত্র নেই।দায়িত্বানুভূতি নেই।যে স্কুল শিক্ষিকা তার মায়ের সেবা করা বা ভরণপোষণ করার শিক্ষা পায় না, সে আমাদের বাচ্চাদের কি শেখাবে? রাষ্ট্রের প্রদক্ষেপ কামনা করি। এই তিন পুলিশ অফিসারকে তাদের দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করা হোক এবং ঐ স্কুল শিক্ষিকাকে ও। পুলিশ অফিসারদের উপর জরিমানা করা হোক এবং জরিমানার টাকা দিয়ে ভিক্ষুক মায়ের পুনর্বাসন করা হোক। এমনকি ভবিষ্যতে প্রত্যেক সরকারী ও আধা সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিবারের খোঁজ খবর নেয়া হোক। যারা তাদের বাবা মায়ের সাথে ভালো আচরণ এবং ভরণপোষণ করবে না তাদের বেতন ভাতা থেকে কিছু টাকা কর্তন করে বাবা মা কে দেয়া হোক। সাধারণ মানুষের মধ্যে যারা বাবা মায়ের খোঁজ নেবেনা এবং ভরণপোষণ দেবেনা তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক আইন করা হোক।

বিষয়: বিবিধ

১০০০ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

384021
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সকাল ১১:০৯
হতভাগা লিখেছেন : আগের জমানায় পুত্র সন্তানের জন্ম দিতে পারলে মায়ের দাম বাড়তো সমাজ , শশুড় বাড়ি ও স্বামীর কাছে ।

এখন হয়েছে তার উল্টো । পুত্র সন্তান জন্ম দিলে ভয় হয় যে ছেলে বিয়ে করে বউ পাগলা হয়ে যাবে , ফলে বাবা মা ও ছোট ভাই বোনের প্রতি দ্বায়িত্ব পালন করবে না ।

বাস্তবে এটাই হয় । কারণ বিয়ের অব্যহতি পরই একটা মেয়ের টার্গেট থাকে কিভাবে তার স্বামীকে তার আপনজনদের কাছ থেকে আলাদা করে ফেলা যায় । কিভাবে স্বামীর সমস্ত ফোকাস তার ও তার বাড়ির লোকদের দিকে নিয়ে যাওয়া যায় ।

ঐ বৃদ্ধার দূর্ভাগ্য যে তার মেয়ে একজন । হয়ত সেই মেয়ের স্বামী অতটা বউ পাগলা নয় যে বউয়ের কথায় উঠ বস করে.


ঘর সংসারের খরচ মেটাতে ছেলেরা বাইরে থাকে । তাই বাড়ির ভেতরের জিনিস তারা বাড়ির মহিলাদের উপর ন্যস্ত করে নির্ভার হতে চায় । শরিয়তের বিধানও এরকমই।

যেহেতু বাড়ির ভেতরের রাজত্ব মহিলাদের তাই মা ও বউয়ের মধ্যে শুরু হয়ে যায় দখলের লড়াই । এতে মা পেরে উঠে যদি তার নিজের স্বামী থাকে ও সাথে টাকা থাকে , বাড়ি গাড়ি - এসব থাকে ।

এই পৃথিবব হচ্ছে শক্তের ভক্ত ও নরমের যম । আপনি নরম হলে আপনার কাউন্টার পার্ট আপনাকে চাপিয়ে খেলবে - এটাই খেলার নিয়ম।

একজন বউ তার স্বামীকে যা দিতে পারে একজন মা কি তার ছেলেকে তা দিতে পারে ? শুনতে খারাপ শুনালেও অবাক করার মত কিছু না । যতই ম্যাঁ ম্যাঁ ব্যাঁ ব্যাঁ করুক না কেন দিনের শেষে কিন্তু বউয়ের কাছেই যেতে হয় / বশ মানতে হয় ।

তাই সংসারের অশান্তি যাতে না বাড়ে সেজন্য বউকে প্রাধান্য দিয়ে বাবা মাকে স্যাক্রিফাইস দিতে হয় ।

দেখবেন যে ঐ তিন পুলিশ ছেলে তাদের শশুড় বাড়ির প্রতি বেশ কমিটেড । এমন নয় যে বিশাল বিশাল যৌতুক পেয়ে গোলাম হয়ে গেছে। তাদের বউয়েরাই তাদেরকে এরকম করিয়েছে সংসারে অশান্তি করবে না এর বিনিময়ে ।

হয়ত দেখবেন ঐ সব শশুর বাড়ির ছেলেরাও আবার একই সিলসিলার মধ্যে আছে তাদের ছেলের বউদের কারণে।


কোন ছেলেই তার বাবা মাকে ফেলতে পারে না স্বাভাবিক পরিস্তিতিতে । বউদের কারণে , সংসারে শান্টির জন্য ও বদনামের ভয়ে বাধ্য হয়।

ঘটনার সূত্রপাতের দিকে আমরা দৃষ্টি দিই না এবং দিলেও মহিলা বিষয়ক বলে ব্যাপারটাতে পক্ষপাতিত্ব করি বলে এধরনের ঘটনা কখনও কমে না ।

আজ ২ যুগ ধরে নারীরা বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায় । এতে কি মহিলাদের দূর্ভোগ কমেছে ?

আজ আপনি আপনার বোনের স্বামী ও শশুড়বাড়ির প্রতিসে যে চুকলি বাজি করছে এবং এতে আপনার মাও যে ইন্ধন জোগাছ্ছে সেটা বুঝেও ওভার লুক করছেন । একই ঘটনা তো আপনার স্ত্রী কর্তৃক আপনার সংসারে ঘটতে পারে।

এসব ঘটনা ঘটলে সব সময়ই কেষ্ট বেটা (পুরুষদেরকেই) দায়ী করা হয়। বাবা মা কিন্তু মেয়ের জন্য ছেলের চেয়ে বেশী খরচ করে।
384037
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ দুপুর ০২:৩৩
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : এরা মানুষ না, মানুষ নামক পশু, মহান আল্লাহ এদের হেদায়াত দান করুক।
384048
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সকাল ০৯:৩৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : পুলিশ কে মানুষ মনে করার কোন কারন নাই!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File