ভেঙ্গে যাচ্ছে সামাজিক বন্ধন ।

লিখেছেন লিখেছেন জিসান এন হক ২৯ নভেম্বর, ২০১৭, ০২:৪৪:০৫ রাত



দেশে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পরেছে । সাজানো গোছানো সমাজ/সংসার ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। সন্তানদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছে। এর কারণে ভাঙছে পরিবার, সংঘটিত হচ্ছে একের পর এক নিষ্ঠুর হত্যাকান্ড। মানবীয় সমাজে এমন সব কাজ সংঘটিত হচ্ছে যা পশু সমাজেও ঘটে না।

মানুষ সমাজবদ্ধ জীব- সামাজিক প্রাণী। পশুরাও দলবদ্ধভাবে বসবাস করে তাদেরকে সামাজিক জীব বলা হয় না। মহাবিশ্বের অন্য কোথাও মানুষের মতো অন্য কোনো প্রাণী বাস করে কি না, তা আমাদের জ্ঞানের অগম্য। অসীম এ মহাবিশ্বের এক ক্ষুদ্র গ্রহে অসংখ্য সৃষ্টিরাজির মধ্যে একমাত্র মানুষই সামজিক প্রাণী। যাকে স্রষ্টা বুদ্ধি দিয়েছেন, জ্ঞান দিয়েছেন, দিয়েছেন বিবেকবোধ ও বিচার বিশ্লেষণের ক্ষমতা। জন্মগতভাবে মানুষ দুটি সত্ত্বার সমম্বয়ে গঠিত। একটি পাশবিক সত্ত্বা অপরটি মানবিক সত্ত্বা। পাশবিক সত্ত্বাকে নিয়ন্ত্রণ করে মানবীয় সত্ত্বার বিকাশ ঘটিয়ে মানুষ তার মানবীয় মূল্যবোধের পরিচয় দেবে এটাই মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য। মানুষের মানবীয় সত্ত্বার পাশাপাশি স্রষ্টা তাকে আরো কিছু গুণাবলী দিয়ে সৃষ্টি করেছেন তা হচ্ছে প্রেম, ভালোবাসা, মায়া, মমতা, মহব্বত, উদারতা, বদান্যতা, সন্তান বাৎসল্য, প্রেম-প্রীতি, ভক্তি- শ্রদ্ধা ইত্যাদি। পৃথিবীর আদি হতে আজ পর্যন্ত মানব বংশের গতিধারা রক্ষার জন্য অনন্য যে পদ্ধতি মানব সমাজে চালু আছে তা হচ্ছে পরিবার। পরিবার টিকে আছে, ভালোবাসা, প্রেম, মহব্বত, সন্তান বাৎসল্য এ সবের কারণেই। আমরা মানব ইতিহাসের এমন হাজারো বর্ণনা পাই যে, স্বামীর জন্য স্ত্রীর আত্মত্যাগ, সন্তানের জন্য নিজের জীবন বিপন্ন করা,সমাজের কিছু ব্যক্তি বর্গের ত্যাগ , সন্তান বাৎসল্যে নিজের আরাম-আয়েশ, সুখ-সুবিধা বিসর্জন দেয়ার ঘটনা।

আর এ সব কারণেই সমাজ পরিবার ও পারিবারিক জীবনের মাধ্যমে সমাজ সভ্যতা টিকে আছে। কিন্তু বহমান এ সময়ে এমন কিছু রক্ত হিম করা ঘটনা আমাদের বিবেকবোধ এবং চিন্তা শক্তিকে বিকল করে দেয় যা মানব সমাজে ঘটার কথা নয়। মানুষ যেনো পশু সমাজকেও হার মানিয়ে ফেলেছে, পাশবিকতা ও লাম্পট্যের এমন সব ঘটনা আমাদের সমাজে এখন অহরহ ঘটছে যা সত্যিই আমাদের বিবেক ও বুদ্ধিকে ভোতা করে দিচ্ছে। অবৈধ ধন-সম্পতির মোহ এবং তা টিকিয়ে রাখার জন্য প্রতিপক্ষকে ঘায়েল ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা, পিতা কর্তৃক নিজ মেয়ের জামাইকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা, আবার স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে হত্যা, স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে হত্যার মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে। আর এ সবের পেছনে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে কাজ সম্পাদন বা অবৈধ প্রেম ঘটিত কারণগুলোই মুখ্য ভূমিকা পালন করছে।

মুন্সিগঞ্জ জেলায় গত বছর একটি ঘটনা ঘটিত হয়(পেপার কাটিং দেয়া হলো)

কিন্ত তারা জামিনে থাকলেও ভুমি দখল,সমাজের ঐক্যবিনষ্ট ধমকি-হুমকির মত কাজ কবিরকে দিয়েই করাচ্ছে । আসল ব্যাপার হচ্ছে মানুষ যখন সমাজের একই পরিবেশে দীর্ঘদিন কাটিয়ে দেয় তখন সেই পরিবেশের সব কিছুই তার মানান সই হয়ে যায় ,তখন সেই সমাজের পরিবেশ যদি নোংরাও হয় তা তাদের কাছে আর নোংরা মনে হয় না স্বাভাবিক মনে হয় যদিও একদিন তার কাছে তা অন্যায় বলে মনেহতো, মেনে নিতে তার কষ্ট হতো,মাঝে মাঝে প্রতিবাদও করতো কিন্তু সময়ের ব্যবধানে একদিন আর সে অন্যায়কে অন্যায় বলে মনে করে না,এখন কিছু লোক অতিত ইতিহাস ভুলে গিয়ে তাদের সাথে মিশে গিয়ে একেবারে নিরব হয়ে প্রতিবাদ ভুলে, গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাষিয়ে অন্যায়ের সাথে মিশে একাকার হয়ে যায়।আজ আমরা সমাজের এই চিত্রই দেখতে পাচ্ছি ।তাই সময়ই বলে দিবে সেখানে ঐক্য,শান্তি ফিরিয়ে আনবে নাকি গত বছরের ন্যায় মারামারি খুন-খারাবি ঘটবে।

যুগে যুগে এই মানুষই অত্যাচারিত সমাজের পরিবর্তন করেছে,মানুষকে অত্যাচারির হাত থেকে বাঁচাতে বুকের রক্তঝড়িয়ে বিপ্লব করেছে অথবা তারা সংশোধিত হয়েছে, একটাই উদ্দেশ্য ছিল এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটা সুন্দর সুস্থ সমাজ রেখে যাওয়া।

বিষয়: বিবিধ

১০৫৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File