অপরিপক্ক হেফাজত,অতি আত্মবিশ্বাসী জামাত,অঘটনঘটন পটিয়সী বি এন পি

লিখেছেন লিখেছেন আধারের পথ ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১০:২১:১০ রাত

বাংলাদেশে জামায়াত ইসলামী ও কওমী ইসলামের মধ্যে দূরত্ব স্পষ্ট ।তবে মজার বিষয় হচ্ছে কওমীরা গণতন্তের চেয়ে জিহাদকে বেশী প্রাধান্য দেয়।ফলে তারা অন্য দেশের মুসলমান এর পতি একটু বেশী আবেগপ্রবন এবং তা ইসলাম মতে সঠিক।কিন্তু যখন নিজ দেশের ডান ঘরনার মুসলিমদের বিষয় আসে তখন তারা একটু দেরী করে ।এর অবশ্যই কারণও আছে ।কওমীদের সনদ না দেওয়া ,শাপলা চত্বরে কওমীদের সাথে যে হায়ানাদের নির্যাতন সেখানে ডান ঘরনার পার্টির মাঠে না যাওয়া,এক সময় কওমী –জামায়াত ঐক্য প্রচেষ্টা ভেস্তে যাওয়া,কওমীদের প্রশাসন থেকে শুরু করে সব স্তরে বঞ্চিত করা,ধর্মীয় বিষয় সহ আরও অনেক ।

যদি জামাত –কওমীর ঐক্যতা না হওয়ার কথা বলি তবে এক্ষেএে দুই পার্টির দায় থাকলেও ধর্মীয় মাদার সংঘটন হিসেবে জামাত এর দায় বেশী।ক্ষমতা সংঘটনকে চকোস করে তোলে কিন্তু জামাত কতটা পারল।আর তিতুমীর ফরাজীর কওমীরা তো অনেক আগেই তাদের চকোসতা হারিয়ে ফেলেছে।তাদের তুলে আনলে হয়ত জামাতের আজকের দিন ওন্যরকম হত।

মনে রাখতে হবে মুসলিমরা কখনো বামদের খুশি করতে পারবে না । ভারতের পররাষ্ট্রমন্তী সালমান খুরশিদ যখন বলেন, ভারতের অবস্হান বুঝলে যুক্তরাষ্ট্রেরই লাভ হবে।এর অনেক তাৎপর্যের মধ্যে একটি হল তারা নিজেদের প্রভাব ধরে রাখার জন্য নিজেদের মধ্যে ডায়ালগের মাধ্যমে তা কমিয়ে ফেলেন।অর্থাৎ রুটিতে তারা ভাগ পেলে সমস্যা কি …রুটিতো তাদের নয় যা পায় তাই লাভ।।যদি একটু ছাড় দিতেও হয় ।মনে রাখতে হবে দেশে ধর্মনিরপেক্ষ সরকার ক্ষমতায় ।তাদের কাছে মুসলিমদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় ইমপরটেন্ট নয়।বরং ইসলামের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের শএু্তা চতুরমুখী।তাই এদের প্রতিরোধে আমাদেরও চতুরমুখী আক্রমণ করতে হবে ।

কিন্তু সময় এর দাবী এসব থেকে বের হয়ে ডান ঘরনার লোকদের মধ্যে বৄহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা। এর জন্য সমঝোতার জায়গা টা কোথায় ।হেফাজত জামাত,বি এন পি যদি একে অপরকে নিজেদের আদর্শে নিতে চায় তা বিফল হবে।সফলতার জায়গা হল নিজেদের যে কমন গ্রাউন্ডগুলো আছে তার ভিত্তিতে ঐক্য গডে তোলা তাও চতুরমুখীভাবে । ।এ ক্ষেএে যারা কাজ করেছেন তাদের মধ্যে - সাহসী ডান ঘরনার বুদ্বিজীবী মাহমুদুর রহমান এর চেষ্টা এক্ষেএে সবচেয়ে যুক্তিক ও সফল মনে হয়।তিনি যেভাবে কওমীদের সাথে ঐক্য প্রচেষ্টায় কাজ করলেন তা বাস্তবসম্মত।কুফ্ফাররা তা বুঝতে পেরেছে ।তাই তাদের ইশারায় মাহমুদুর রহমানকে নিস্কিয় করা হয়েছে।ইশারা সীমান্তের ঐ পার থেকে করা হয়।এ দেশের ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের নিকট এত বুদ্বি নেই।নতজানু হতে হতে তারা বুদ্বিহীন ও।

হেফাজতের আড়ালে হারিয়ে যাওয়া কওমীরা আবার সেই বাশেরকেল্লা নির্মাণ করতে প্রস্তত । মে মাসের পর অনেক দিন তো হল এখনো তারা সিদ্বান্থীন। বিএন পি জামাত হেফাজত একনো এক প্লাট ফর্মে নেই ।অথচ বামরা তাদের দূ্রত্ব ভুলে এক প্লাটফর্মে ।হেফাজত রাজনীতিতে আসবে কিনা সেটি নিয়ে ভাবার অবকাস আছে।নাকি তারা ইখওয়ানের মত অথবা তুরকির গুলেন মুভমেন্ট এর মত ভিতরে কাজ করবে তা চিন্তার বিষয়।অবশ্য মুসলিম বিশ্বে দ্বিতীয়টির সাফল্য বেশী।তাই বলি আর সময় নষ্ট নয় ।এক যুগে বাস্তব সম্মত প্রতিরোধ গডে তুলতে হবে।

ইসলাম তার আপন মহিমায় আবার জ্ব্লে উঠবে এটি সর্বসক্তিমান আমাদের ওয়াদা দিয়েছেন।যদি এই ওয়াদা আমাদের সময় পূরণ হয় তবে তা কতয় না সুন্দর হবে।এজন্য বর্তমান মুসলিম স্কলাররা সুন্নি মুসলিমদের ঐক্যের উপর গুরত্ব দিচ্ছেন।৯০ এ শুধুমাএ মুসলিমরা আলজেরিয়ায় ক্ষমতা পায় নি জিহাদিদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে ব্যর্থ হওয়ার ফলে...।তাই বলি সময় থাকতে ঐক্যতা গড়ে তোলা প্রয়োজন......।

বিষয়: Contest_mother

৩২৩৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

372107
১৬ জুন ২০১৬ রাত ০৩:৫৮
কুয়েত থেকে লিখেছেন : তিতুমীর ফরাজীর কওমীরা তো অনেক আগেই তাদের চকোসতা হারিয়ে ফেলেছে।তাদের তুলে আনলে হয়ত জামাতের আজকের দিন ওন্যরকম হত। ভালো লাগলো অনেক অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File