আসন্ন বিপদ বুঝতে পেরে অং সান সুচির নতুন সুর

লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০২:৪৯:১৫ দুপুর

অং সান সুচি বলেছেন মুসলমানরা কেন আরাকান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশ যাচ্ছে তা তিনি জানেন না? যেখানে দুনীয়ার সবাই জানে কেন তারা পালিয়ে বাংলাদেশ আসছে অথচ তিনি বলছেন তিনি তাদের পালানোর কারন জানেন না! তা তিনি খুঁজে বের করবেন! ভাল কথা আপনাদের লোকেরা যাদেরকে আগুনে পুড়িয়ে, পানিতে ডুবিয়ে মেরেছেন এবং গায়েব করে ফেলেছেন তাদেরকে আমরা কোথায় খুঁজে পাব তা আমাদের বলে দিন। যারা আপনাদের বর্বরচিত নির্যাতন সয্য করতে না পেরে বাংলাদেশে এসেছে তাদেরকে বাংলাদেশ সরকার গায়েব করে দেয়নি। আসুন বাংলাদেশে তাদের সাথে কথা বলুন তবে জানতে পারবেন কেন তার বাংলাদেশে এসেছে।

জানি আপনারা তা করবেন না। আপনি যদি ন্যায়ের পক্ষে থাকতেন তবে অবশ্যই আপনি, ১৯৮২ সনে তাদের থেকে যে নাগিরত্ব কেরে (Revoke) নিয়ে ছিলেন তা তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলতেন। আরাকানে যে মানবতা বিরোধী অপরাধ সংগঠিত হয়েছে তার তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটি গঠনের কথা বলতেন। শান্তির স্বার্থে অপরাধীদের বিচারের কাঠগোরায় দাঁড়া করানোর কথা বলতেন কিন্ত আপনি তা করেননি, বরং আসন্ন বিপদ বুঝতে পেরে চালবাজি করেছেন, অতীতেও আপনারা একই কাজ করেছেন।

আপনি বলেছেন শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা? কিন্ত সবগুল সমস্যাকে পাশ কাটীয়ে কিভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন? আসলে আপনারা আসন্ন বিপদ বুঝতে পেরে চালবাজি করছেন, বিপদ কেটে গেলে আবারও রোহিঙ্গা হত্যার উৎসবে মেতে উৎবেন।

বর্তমান অবস্থার পরিপেক্ষিতে রাখাইনে/আরাকান শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব কিন্ত তা আপনাদের দ্বারা নয় বরং জাতিসঙ্ঘের বা ইসলামী দেশগুলর হস্তক্ষেপের মাধ্যমে। অতীতের শিক্ষা আমাদের তাই বলে দিচ্ছে।

বিষয়: বিবিধ

৬২০ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

384024
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ দুপুর ০৩:০৫
হতভাগা লিখেছেন : নোবেল শান্তি পুরষ্কার যারা পায় তারা আসলেই কি শান্তি প্রতিষ্ঠায় কোন কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পেরেছেন না পারেন সেটা আমাদের দেখা হয়ে গেছে।

বরং দেখা যায় এরা বা এদের জন্য শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করা যায় না বা এরা শান্তি প্রক্রিয়ায় আদৈ আগ্রহী নয় ।

নোবেল শান্তি পুরুষ্কার বিতর্কিত একটি পুরষ্কার। ওবামাকে যখন নোবেলের জন্য মনোনীত করা হয় তখন তিনি তার প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় বসার ৩ সপ্তাহ পার করেছিলেন ! কি কারণে সেটা পেয়েছিলেন মনে হয় ওবামা নিজেও সেটা বুঝতে পারেন নাই।

লাইবেরিয়ার কোন এক মহিলা গাছ লাগানোর জন্য নোবেল শান্তি পদক পেয়েছিলেন!!

নোবেল পুরষ্কার যেহেতু পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ পুরুষ্কার গুলোর একটি সেহেতু এই পুরষ্কার প্রাপ্ত্যদের কাজও সেরকম হবে বলে দেখতে চায় বিশ্ববাসী।
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ বিকাল ০৪:৪১
316854
আনিসুর রহমান লিখেছেন : আমার ব্লগ বাড়ীতে আশা ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুনতে অবিশ্বাস মনে হলেও এটাই বাস্তব সত্য। কেউ কেউ চড়া সুদে ঋন দিয়ে, বন্দুকের গুলি খেয়ে, মাছ চাষ করে কিংবা গাছ লাগিয়েও তাদের এই বৈচিত্রপূর্ণ অবদানের জন্য শান্তিতে ‘নোবেল’ পাচ্ছে। দেখে শুনে মনে হচ্ছে নোবেল পাওয়ার পূর্ব শর্ত হল, ভাল অভিনয় জানার সাথে সাথে পিছনে থেকে যারা আপনাকে টেনে নামাতে চাচ্ছে তাদেরকে থামাতে পারার সমর্থ অর্জন করা। অন্যথায় ভাল অভিনয়ের জন্য ‘অস্কার’ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে।
আর এই জন্যই আপনার পেয়ারের হাসিনা বু এত চেষ্টা করার পরও ‘নোবেল’ পাচ্ছে না কারন বাংলাদেশের বাহিরে বসে তাকে টেনে নামানোর লোকের সংখ্যা নেহায়ৎ কম নয়।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সকাল ০৯:৫৭
316858
হতভাগা লিখেছেন : হাসুবু নোবেল পাবার জন্য একটা ক্যাটাগরীতে পিছিয়ে থাকবেন - সেটা হল উনি নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য চেচাচ্ছেন।
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সকাল ০৭:৩৬
316864
আনিসুর রহমান লিখেছেন : হোয়াইট হাউজেও মুসলমানদের জন্য ইফতারের আয়োজন করা হয়। তাই ধর্ম নিরপেক্ষ আপনার হাসিনা বুর জন্য এটা কোন বাধা হতে পারে না, তা ছাড়া এই বিষয়ে তার অতীতের আমলনামা নিরীক্ষা করলে তাতে সে ১০০ এ ১০০ পাবে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর(KEY FACTOR) হল তাকে টেনে নামানো ব্যাক্তিদেরকে থামানো বা ম্যানেজ করা। উদাহরণ হিসাবে বলা চলে পাকিস্থানের একজন অখ্যাত নাবালিকা বন্দুকের গুলী খাওয়ার পর, “ওরা আমার লেখা পড়ার অধীকার কাইড়া নিতে চায়।” শুধু মাত্র এই গান গেয়ে নোবেল পেয়ে ছিল কেননা নাবালিকা এবং একজন অখ্যাত ব্যাক্তি হওয়ায় তাকে টেনে নামানোর কথা কেউ চিন্তাই করেনি। কিন্ত আপনার হাসিনা বু যে পরিমাণে বিখ্যাত সে অনুপাতে তাকে নীচে টেনে নামানো ব্যাক্তির সংখ্যাও বেশী হওয়ার কথা।
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সকাল ১১:২৬
316865
হতভাগা লিখেছেন : ভারতেও মুসলমান একজনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বসানো । ওবামাকে বসানোর ফলে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে আরও ছড়িয়ে দেওয়া গেছে ।

যে সময়ে হোয়াইট হাউজে ইফতার চলছে হয়ত দেখবেন সে সময়ে মিত্র রাষ্ট্র ইসরায়েলকে আত্মরক্ষার জন্য বাহবা দিয়ে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুর মত হাসুবুও বাংলাদেশে বিরাট ক্যারিশমাটিক ফিগার । বাংলাদেশে উনার কোন প্রতিদ্বন্ধি নেই এবং থাকলেও উনার ইমেজের কাছে নস্যিমাত্র।
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ বিকাল ০৪:১৯
316866
আনিসুর রহমান লিখেছেন : বঙ্গবন্ধুর মত হাসুবুও বাংলাদেশে বিরাট ক্যারিশমাটিক ফিগার । বাংলাদেশে উনার কোন প্রতিদ্বন্ধি নেই এবং থাকলেও উনার ইমেজের কাছে নস্যিমাত্র।
এ সম্পর্কে আমি সাম্যক অবহিত। আমি এখানে কেন পুরস্কারটা ছিলিপ কেটে চলে যাচ্ছে আচলে বাঁধা যাচ্ছে না সে সম্পর্কে আমার মতামত ব্যাক্ত করেছি মাত্র। পুরস্কার পাউক বা না পাউক, মানবতার স্বপক্ষে আপনার বুর বর্তমান অবস্থান অব্যশই প্রসংশার দাবী রাখে। আমি বিশ্বাস করি ভাল কাজের ফলাফল কখনও ব্যার্থ হতে পারে না।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File