ফরাসি ও জার্মান দূতাবাস এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) যৌথ উদ্যোগে ২০০৪ সালের ১০-১৩ অক্টোবর ঢাকার বিআইআইএসএসে একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর বিষয় ছিল Religious Militancy and Security in South Asia। অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ও ধর্মীয় জঙ্গিবাদ। এই সেমিনারের উদ্বোধন করেন তদানীন্তন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। তিনি গুরুত্বের সাথেই বলেন, ইসলাম আমাদের অন্য ধর্মের প্রতি সহিষ্ণুই হতে শিখিয়েছে। কোনো রকম অসহিষ্ণুতা শেখায়নি। বাংলাদেশের বহু শতাব্দীর সহিষ্ণুতার ঐতিহ্য রয়েছে। বাংলাদেশ ধর্মীয় দৃষ্টিতে বর্তমান সময়ের অন্যতম শান্তিপূর্ণ দেশ। তিনি আরো বলেন, কোনো জিনিস না থাকলেও তা বড় করে দেখানো হলে প্রোপাগান্ডার কারণে বড় হয়ে যায়।
উদ্বোধনের পর প্রথম দিনে দু’টি কার্য অধিবেশন ছিল। প্রথম অধিবেশনে দু’জনে দু’টি প্রবন্ধ পড়েন। প্রথম প্রবন্ধ পড়েন মালদ্বীপের তথ্য মন্ত্রণালয়ের ডাইরেক্টর জেনারেল ইব্রাহিম ওয়াহিদ এবং অন্যটি পড়েছিলেন সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি ঢাকার ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর এম শমসের আলী। এই সেশনের বিষয় ছিল Frame working Religious Militancy। ধর্মীয় উগ্রতা বলতে আমরা কী বুঝব? এই প্রসঙ্গে তারা যেভাবে সেমিনারে রিলিজিয়াস মিলিট্যান্সির সাবজেক্ট পেশ করা হয়েছে তা কতটা যুক্তিসঙ্গত হয়েছে, সে প্রশ্ন তোলেন। ড. শমসের আলী বলেন, ধর্ম বা ইসলাম মিলিট্যান্সির কারণ নয়। সব ধর্মই শান্তির কথা বলে। যারা অপব্যবহার করে তারাই শুধু দায়ী। এ জন্য ধর্মকে দায়ী করা ঠিক হবে না। তিনি মৌলবাদের যে ব্যবহার, তা বড় ধরনের অপব্যবহার বলে উল্লেখ করেন এবং এর নিন্দা করেন। এটা ব্যবহার করা সঙ্গত নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ অধিবেশনে আলোচনায় অংশ নিয়ে কয়েকটি বিষয়ের ওপর কথা বলেছি। আমি এই সেমিনারের যে ছয়টি কর্ম অধিবেশন হয়েছিল তার পাঁচটিতে অংশ নিয়েছিলাম। প্রথম কর্ম অধিবেশনে আলোচনায় আমি বলেছি, এই যে রিলিজিয়াস মিলিট্যান্সি বলা হচ্ছে, অন্যান্য মিলিট্যান্সি বা উগ্রতা থেকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে- এটা একটা পক্ষপাতিত্বের কারণে করা হলো। এটা একটা মতলব হাসিলের জন্য করা হচ্ছে। এর কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। কেন অন্য কোনো মিলিট্যান্সির স্টাডি না করে আমরা শুধু রিলিজিয়াস মিলিট্যান্সির স্টাডি করব? আমি আরো বলি, বিশ্বে মিলিট্যান্সি নামে যা হচ্ছে তার বেশির ভাগই রাজনৈতিক ধরনের। এগুলো ধর্মীয় বিষয় নয়। ফিলিস্তিনে যা কিছু হচ্ছে, তা মূলত রাজনৈতিক ধরনের। কাশ্মির, ইরাক, চেচনিয়ায় যা কিছু হচ্ছে তা মূলত রাজনৈতিক ধরনের, ধর্মীয় বলা ঠিক হবে না।
লক্ষ করেছি, মিলিট্যান্সি সম্পর্কে যেসব আলোচনা হয়েছে তাতে ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা বা করতে চেষ্টা করাই যেন অপরাধ। সেখানে আমি বলেছিলাম, ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম করা কোনো ভুল হতে পারে না, যদি তা গণতান্ত্রিকভাবেও সাংবিধানিকভাবে করা হয়, আইনসঙ্গতভাবে করা হয়। সেটা রাজনীতির অংশ হিসেবে হতে হবে। আরেকটি শর্ত হচ্ছে, অন্যান্য ধর্মের অধিকার যেন এতে নষ্ট না হয়। ইসলামি রাজনীতি করা কোনো অপরাধ হতে পারে না- এ কথাও সেখানে বলেছিলাম। আরো বলেছিলাম, ধর্মীয় উগ্রতা অনেক সময় রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও হতে পারে। যেমন ফ্রান্সে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে হিজাব নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। মুসলিম মেয়েরা সেখানে মাথা ঢেকে স্কুল-কলেজে বা সরকারি প্রতিষ্ঠানে যেতে পারবে না। এটা তো রাষ্ট্রের তরফ থেকে মিলিট্যান্সি।
আরেকটি প্রসঙ্গ উঠেছিল যে, ইসলাম একটি ইউটোপিয়া-আকাশকুসুম কল্পনার মতো, তা বাস্তবে সম্ভব নয়। আমি এর বিরোধিতা করে বলেছি, এটা সত্য নয়। ইসলাম খেলাফতে রাশেদিনের সময়, উমাইয়াদের সময়, আব্বাসীয়দের সময় কায়েম ছিল। সেগুলো ইসলামি রাষ্ট্রই ছিল। শুধু একটিই পার্থক্য যে, পরে রাজতন্ত্র এসে গিয়েছিল। এটুকু বাদ দিলে অন্য সব ঠিক ছিল।
বিষয়টি একটা উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, এটি একটি ঘরের মতো। এর যদি একটি জানালা বা একটি বেড়া ভেঙে যায় বা জীর্ণ হয়ে যায়, তা হলে কি আমরা বলব তা ঘর নয়? সুতরাং রাজতন্ত্র আসার কারণেই যে ইসলামি রাষ্ট্র ছিল না, তা বলা ঠিক নয়। ইসলামে পরবর্তী সময়ের যে রাজতন্ত্র, তা ছিল ভিন্ন রকমের। তাতে শরিয়াহই আইন হিসেবে গণ্য ছিল। কাজেই সাধারণ রাজতন্ত্রের সাথে এই রাজতন্ত্রের মিল খোঁজা ঠিক হবে না। সাধারণ রাজতন্ত্র নিজেই আইন। সেমিনারে পরদিন সকালের অধিবেশন ছিল Militant Religency and Interest of South Asia-এর ওপর। এ অধিবেশনের চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মোস্তফা কামাল। জার্মানির ওয়াসনার ও ইন্ডিয়ার শান্দ্রিশ্রী পণ্ডিত প্রবন্ধ পড়েন। এই অধিবেশনে মোস্তফা কামাল সাহেব খুব গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ধর্ম কোনো অশান্তির বিষয় নয়। পশ্চিমারাই সবখানে মিলিট্যান্সির সমস্যা সৃষ্টি করছে। তারা ফিলিস্তিনের সমস্যার সমাধান করেনি। তারা মিলিট্যান্সির জন্ম দিয়েছে; ইরাক ও আফগানিস্তানে আক্রমণ করেছে। তারা ফ্রান্সে হিজাব নিষিদ্ধ করেছে। এসব করে তারা মিলিট্যান্সির জন্ম দিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ওয়েস্টের মানবাধিকারের কথা বলাটা মানায় না।
তিন দিনব্যাপী এ সেমিনারের দুই দিনের বিষয়বস্তুর ওপর আলোচনা করেছি। শুধু একটি পেপার বাকি ছিল প্রফেসর ক্রিশ্চান ওয়াগনারের। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেছেন জাস্টিস মোস্তফা কামাল। পেপারটি ছিল ‘রিলিজিয়ান, স্টেট অ্যান্ড কনফ্লিক্ট ইন সাউথ এশিয়া’। প্রফেসর ওয়াগনার একজন সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট, জার্মান ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স, বার্লিন। তিনি তার পেপারে বলেছেন, সাউথ এশিয়ায় ধর্ম রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রেখেছে। নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান গঠনে ধর্ম ভূমিকা রেখেছে। একটি সোস্যাল ফোর্স হিসেবে এখানে ধর্ম অত্যন্ত শক্তিশালী; কিন্তু ধর্ম জাতিকে সবসময় ধরে রাখতে সমর্থ হয়নি। যেমন- পাকিস্তানের ক্ষেত্রে ইসলামি ভিত্তি থাকা সত্ত্বেও পরে ভাগ হয়ে যেতে হয়েছে।
এ পেপারের ওপর আমার বক্তব্যে বলেছি, ধর্ম আপাতদৃষ্টিতে যদিও দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে তাদেরকে এক রাখতে পারেনি; কিন্তু তা সত্ত্বেও সেখানে ধর্ম কোনোভাবে দায়ী ছিল না। এর জন্য রাজনীতি ও রাজনীতিবিদরাই দায়ী ছিলেন। আরেকটি কথা বলেছি, আন্তর্জাতিক নীতির ক্ষেত্রে ধর্ম ভূমিকা পালন করেনি, বলা এটা ঠিক নয়। কথা হলো, আন্তর্জাতিক নীতিতে ধর্ম প্রকাশ্যে ভূমিকা পালন করে না; কিন্তু আমরা যদি এর গভীরে যাই তাহলে দেখব, ধর্ম একটি ফ্যাক্টর হিসেবেই দেখা দেয়। এ প্রসঙ্গে আরো বললাম, ভারতে যে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ বৈরিতা কখনো কখনো প্রকাশ পায় তার পেছনে ধর্ম বা ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি নেই, এ কথা কী করে বলা যায়? এটা শুধু জাতীয় স্বার্থেই করে থাকে, তা আমরা কিভাবে বলতে পারি? ভারত যে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলছে, তার আশপাশের মুসলিম দেশ ও আরব বিশ্বকে এবং এসব দেশের জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে ইসরাইলের দিকে হাত বাড়িয়েছে, এর পেছনে কোনো ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি নেই বা গভীর একটি ধর্মীয় ক্রিয়া নেই, তা কী করে বলা যায়? তার রাজনৈতিক মিত্রতা ইসরাইল ও আমেরিকার সাথে গড়ে উঠছে; তা যে মুসলিম ব্লককে মোকাবেলা করার একটা কৌশল নয়, সে কথা আমরা কী করে বলতে পারি? কাজেই আন্তর্জাতিক লেভেলে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করা ঠিক হয়েছে বলে মনে হয় না।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল ভারতের আজগর আলী ইঞ্জিনিয়ারের ‘রিলিজিয়ন, ডেমোক্র্যাসি অ্যান্ড সেকুলারিজম’-এর ওপর আলোচনা। এখানে তিনি বলেন, ডেমোক্র্যাসি ভারতে ছিল না। এটা বিদেশ থেকে এসেছে। ডেমোক্র্যাসি আসার পর থেকেই বড় কোন্দল শুরু হয়েছে। অর্থাৎ এর আগে কোনো কোন্দল ছিল না। মোগল আমলে কোনো কোন্দল ছিল না। গণতন্ত্র আসার পর থেকেই কথা ওঠল, কে কতটা সিট পাবে। পার্লামেন্ট, মিউনিসিপ্যালিটিতে আসন নিয়ে সমস্যা দেখা দিলো এবং কোন্দল সৃষ্টি হলো। একপর্যায়ে হিন্দু-মুসলিম বিরোধের রূপ ধারণ করল। এসবের জন্য তিনি গণতন্ত্রকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অবশ্য তিনি বলেননি, গণতন্ত্র বাদ দিতে হবে যা তিনি চাচ্ছেন। তিনি সেকুলারিজম নিয়ে আলোচনা করে বলেছেন, বর্তমান ভারতের ভিত্তি সেকুলারিজম এবং তা ধর্মবিরোধী নয়।
আমি এ পেপারের ওপরও খুব সিরিয়াস আলোচনা করেছি। প্রশ্ন করলাম, আপনার আলোচনা থেকে সেকুলারিজমকে কী করে একটি ধর্মীয় রাষ্ট্রের তুলনায় সুপিরিয়র বলে গণ্য করা যায়? কেননা, আমরা আপনার আলোচনায় দেখি, মোগল আমলে (যে রাষ্ট্রের আইন ছিল শরিয়াহ) সেখানে তো কোনো দাঙ্গা হয়নি। ভারত ১৯৪৭-এ ভাগ হয়ে পরে ১৯৫২তে সেকুলার রাষ্ট্র হওয়ার পর থেকে অসংখ্য দাঙ্গা হয়েছে। প্রতি বছর শত শত ছোট বড় দাঙ্গা হয়েছে। আজকাল হয়তো তা কম। এই বিবেচনায় আমরা সেকুলার রাষ্ট্রকে কী করে উন্নত বলতে পারি? এ প্রসঙ্গে আমি উল্লেখ করলাম, প্রথম ও দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ যাদের মধ্যে হলো তারা তো ধর্মীয় রাষ্ট্র ছিল না। মূলত তারা সেকুলার রাষ্ট্রই ছিল।
এর ফলে ৮ থেকে ১০ কোটি লোক মারা গেল। এগুলো তো আমেরিকা, ব্রিটেন, রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালির মতো সেকুলার রাষ্ট্রই করল; তা হলে তারা কী করে সুপিরিয়র হয়? সে ক্ষেত্রে যদি ইসলামি রাষ্ট্র হয়, সেখানে সব মৌলিক অধিকার দেয়া হয়, অমুসলিম নাগরিকের সিভিল রাইট সাংবিধানিকভাবে দেয়া হয়, তাহলে তাতে কী অসুবিধা আছে?
আমি দ্বিতীয় আরেকটি কথা বললাম, পশ্চিমাদের বিবেচনায় যে সেকুলারিজম অর্থাৎ বস্তুবাদের মানে রাষ্ট্রের সাথে ধর্মের কোনো সম্পর্ক থাকবে না। ইসলামের বেশির ভাগ বড় স্কলারই বলেছেন, সেই অর্থে ইসলামে সেকুলারিজমের কোনো স্থান নেই। ওআইসি রেজুলেশনে একটি প্রস্তাব আছে যে, পাশ্চাত্য যে অর্থে সেকুলারিজম গ্রহণ করে, ইসলামে সে রকম সেকুলারিজম নেই। এ কথা আলাদা যে, কোনো কোনো রাষ্ট্রে সহিষ্ণুতাকেই সেকুলারিজম বলা হয়। এটা আসলে সেকুলারিজম শব্দের অযথা ব্যবহার। সে কথা আলাদা। এ ছাড়া মূল অর্থে সেকুলারিজমের সাথে ইসলামের কোনো সঙ্গতি নেই, এসব উল্লেখ করেছি।
যা হোক, এই সেমিনারে উপস্থিত থেকে অনেক জিনিস লক্ষ্য করি। সমগ্র সেমিনারের একটা বড় অংশের মত হচ্ছে, মিলিট্যান্সির পেছনে ধর্ম আছে, ধর্ম এবং রাজনীতিকে আলাদা করতে হবে। এ কথা বলা মানে, ইসলামের মূলে আঘাত করা। আল্লামা ইকবালের মতো ব্যক্তি, যিনি ইসলামের অনেক বড় দার্শনিক ছিলেন। তিনি বলেছেন, যখনই ধর্ম ও রাজনীতি আলাদা হবে, সেখানে থাকবে শুধু বর্বরতা। একটা জিনিস এখানে লক্ষ্য করলাম, এ ধরনের সেমিনার বিশ্বে অনেক জায়গায় অনেক হচ্ছে। ইসলামিস্টরা এগুলোকে কখনো ভালো করে মোকাবেলা করতে পারবেন না, যদি তারা অত্যন্ত যোগ্য না হন, তারা যদি পশ্চিমা রাজনীতি, দর্শন, অর্থনীতি সব কিছু গভীরভাবে না জানেন, সারা বিশ্বে এসব বিষয়ে কী লেখা হচ্ছে তার খোঁজ না রাখেন। আমরা যদি সামান্য পড়ি, তা হলে আমরা ভুল করব। কুরআনের মাহাত্ম্য এবং ইসলামের মাহাত্ম্যকে প্রচার ও প্রকাশ করার জন্য আমাদের গভীর পড়াশোনার প্রয়োজন। তবেই আমরা এগুলোর মোকাবেলা করতে পারব। এগুলো শুধু রাজনৈতিক স্লোগান দ্বারা প্রতিহত করা যাবে না। ইসলামিস্টদের এর গভীরে যেতে হবে।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত সচিব, বাংলাদেশ সরকার
উৎসঃ নয়াদিগন্ত
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন