|
মাসুম খলিলী
mrkmmb@gmail.com |
|
মালয়েশিয়ার নির্বাচন জয়ী নবোতিপর মাহাথিরের চ্যালেঞ্জ
11 May 2018, Friday
অসম্ভব এক চ্যালেঞ্জ জয় করে মালয়েশিয়ার ৭ম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছেন ডা. মাহাথির মোহাম্মদ। তার নেতৃত্বাধীন জোট পাকাতান হারাপান ১২৩টি আসনে জয় লাভ করেছেন। এর মধ্যে মিত্রদল ওয়ারিসান ছাড়াও দুইজন রয়েছেন স্বতন্ত্র সদস্য, যারা পাকাতানের সমর্থনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। মালয়েশিয়ার ৬১ বছরের ইতিহাসে মাহাথিরই প্রথম ব্যক্তি যিনি বারিসান সরকারের ৬ দশকের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অবসান ঘটালেন। অথচ ২২ বছর ধরে তিনিই এই বারিসান সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
এবারের নির্বাচনের আগেই মালয়েশিয়ায় এক ধরনের গণ সুনামির আভাস পাওয়া যাচ্ছিল যেটি বারিসান ন্যাশনালের ভোটের ভিত্তিমূলকে তছনছ করে দেয়। মাহাথির প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেবার পর উপ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ পাবেন পাকাতান হারাপান জোটের বৃহত্তর শরীক দল পিকেআর প্রধান ডা. ওয়ান আজিজাহ ওয়ান ইসমাইল। কারারুদ্ধ আনোয়ার জেল থেকে বেরিয়ে রাজার নিয়মানুগ ক্ষমা মঞ্জুরের পর সিনেটর অথবা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তখন ৯০ এর দশকের মতো মাহাথির-আনোয়ার জুটি মালয়েশিয়া আবার শাসন করবে। অনধিক দুই বছরের মধ্যে মাহাথির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন আনোয়ার ইব্রাহিমের কাছে। নির্বাচনের আগে এই ব্যাপারে সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন মাহাথির উত্তরাধিকার নির্বাচনে তার ভুলের কথা স্বীকার করে আনোয়ারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে সেই ভুলের সংশোধন করার কথা বলেন।
একটি অনুন্নত বহুজাতির দেশের দায়িত্ব নিয়ে ২২ বছরের শাসনকালে মালয়েশিয়াকে উন্নয়নের এক ঐতিহাসিক ট্র্যাকে রেখে যান মাহাথির মোহাম্মদ। তার শাসনামল বিতর্কের উর্ধে ছিল এমনটি নয়। তবে তিনি যে আধুুনিক মালয়েশিয়ার প্রধান স্থপতি এ বিষয়ে দ্বিমত করে না কেউই। যে পরিস্থিতিতে তিনি আবার দায়িত্ব নিচ্ছেন তখন তার রেখে যাওয়া মালয়েশিয়ায় অনেক কিছু পাল্টে গেছে। মাহাথির নিজে আগামী জুলাই মাসে ৯৩ বছর বয়স পূর্ণ করবেন। এই বয়সে তিনি যেভাবে ১১ দিনের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে নেতৃত্ব দিয়ে মালয় সুনামিতে প্রধান ভূমিকা রেখেছেন তা এক কথায় নজিরবিহীন।
নির্বাচনের তাৎপর্যপূর্ণ দিক
এবারের মালয়েশিয়ার নির্বাচনে বেশ কিছু তাৎপর্যপূর্ণ দিক রয়েছে। গত বারের মতো এবারো উচ্চহারের ভোট কাস্ট হয়েছে দেশটিতে। নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে এই হার ৭৬ শতাংশ বলে উল্লেখ করলেও এখন চূড়ান্ত হিসাবে তা দাঁড়িয়েছে ৮২.৩২ শতাংশে। সপ্তাহের কর্মদিবসে ভোট হবার কারণে প্রদত্ত ভোটের হার নিয়ে সংশয় ছিল। ভোটের দিনে শেষ দিকে মাহাথিরসহ পাকাতানের সব নেতা বাকি ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসার জন্য আহ্বান জানান। এই আহ্বানের ফলে আগের বারের চেয়ে ২ শতাংশ কম ভোট কাস্ট হলেও তা ৮০ শতাংশের উপরে গেছে। এতে নির্বাচনের ফলাফল পাকাতানের পক্ষে গেছে।
বিরোধি জোট থেকে ইসলামী দল পাস চলে যাবার পর জোটের শরীক দলগুলোর বিগত সংসদে এমপির সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৭ আর তাদের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩৭.২১ শতাংশ। এবারের নির্বাচনে তাদের ভোট ১২.৪৪ শতাংশ বেড়ে ৪৯.৪৪ শতাংশে উন্নীত হয়, আর আসন বেড়েছে ৫৫টি। বিগত নির্বাচনের বারিসান ন্যাশনালের ভোট হার ছিল ৪৭.৩৮ শতাংশ আর আসন সংখ্যা ছিল ১৩৩। এবার তাদের ভোট ১০.৯৬ শতাংশ কমে হয়েছে ৩৬.৪২ শতাংশ আর আসন কমেছে ৫৪টি। পাস গত বার বিরোধি জোটে থাকাকালে ২১টি আসন এবং ১৪.৭৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এবার এককভাবে নির্বাচন করে ১৮টি আসন এবং ১৩.৬৭ শতাংশ ভোট লাভ করে।
এই সমীকরণে পাকাতান হাারাপান জোটের যত ভোট বেড়েছে তার প্রায় সম পরিমাণ ভোট কমেছে বারিসান ন্যাশনালের। পাসের ভোট গত বারের তুলনায় ১.১১ শতাংশ কমলেও স্বতন্ত্র নির্বাচন করার কারণে এখন যে ভোট এবং আসন পেয়েছে সেটি তাদের প্রকৃত শক্তি মনে করা যেতে পারে। আর পাস এবার মালয় জোন কেলান্তান, তেরাঙ্গানু, কেদাহ ও পাহাঙে তার শক্তিমত্তার পরিচয় দিতে পেরেছে।
সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠির মধ্যে এবারো চীনাদের ৮৫ শতাংশের বেশি পাকাতান হারাপানকে সমর্থন করেছে। অন্য দিকে ভারতীয় বংশোদ্ভুতদের ভোট পাকাতান এবং বারিসানের মধ্যে ভাগ হয়ে গেছে।
আগের বারের পাকাতান রাকায়েত জোট আর এবারের পাকাতান হারাপান জোটের মধ্যে একটি মৌলিক পার্থক্য হলো চীন ও ভারতীয় জাতিগোষ্ঠির সমর্থন অনেকটা একইভাবে পাকাতানের প্রতি রয়ে গেছে। কিন্তু পাকাতানের প্রতি আগের মালয় ভোটের পাসের অংশটি আলাদা হয়ে গেছে। সেই ভোট অবশ্য বারিসানের সাথে যুক্ত হয়নি। অথচ মাহাথির-মহিউদ্দিন নতুন যে দল পিপিবিএম করেছেন তাতে যুক্ত হয়েছে বারিসানের সমর্থক মালয়রা। অর্থাৎ বারিসানের ছোটে যাওয়া ভোট পাকাতানের সাথে যুক্ত হয়েছে কিন্তু পাকাতানের যে ভোট চলে গেছে সেটি বারিসােেনর সাথে যোগ হয়নি। এই হিসাব নিকাশে বারিসানের ১১ শতাংশ ভোট কমার কারণে ৫৯ শতাংশ আসন কমে গেছে। আর পাকাতানের ভোট সাড়ে ১২ শতাংশ বাড়ার ফলে আসন বেড়েছে ৫৫ শতাংশ।
অন্য দিকে বারিসানের মালয় সমর্থনে ধস নামার কারণে কেলান্তানকে ধরে রাখার পাশাপাশি তেরাঙ্গানুতে সরকার গঠন করতে পেরেছে পাস। সেখানে বারিসান বিরোধি ভোট পেয়েছে মূলত পাস, পাকাতান নয়। বাংলাদেশসহ বৃটিশ পদ্ধতির ভোট ব্যবস্থা যে সব দেশে রয়েছে সে সব দেশের ভোটের এই প্রবণতা একইভাবে কাজ করে।
বারিসানের সামনে চ্যালেঞ্জ
মালয়েশিয়ায় শুরু থেকে যে গণতান্ত্রিক মডেলটি অনুসরণ করা হয়েছে সেটি ছিল এক ধরনের নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র। সেখানে জনগণের মতামত প্রদানকে সরাসরি জাল জালিয়াতি করে প্রভাবিত না করা হলেও সরকারের যে ক্ষমতা রয়েছে সেটিকে প্রাতিষ্ঠানিক কারসাজিতে ব্যবহার করা হয়। মাহাথিরের আগের সরকারের সময় এটি করা হয়েছে। কিন্তু নাজিব রাজ্জাক এটি ব্যবহার করেছেন মাত্রা ছাড়ানোভাবে। এখন ক্ষমতার বাইরে চলে আসার পর দেখা যাবে নাজিব ক্ষমতাকে বিরোধিদের বিরুদ্ধে যেভাবে ব্যবহার করেছেন সেটি তার বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে। ইতিমধ্যে মাহাথিরের সরকার ওয়ান এমডিবির হাতিয়ে নেয়া টাকা উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করার কথা জানিয়েছেন। নাজিবের বাসায় পুলিশের অভিযানে অবিশ্বাস্য রকম বিপুল অর্থকড়ি এবং অলঙ্কার উদ্ধারের ভিড়িও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে।
এক সময় নাজিব রাজ্জাক বিরোধি পক্ষের এমপিদের ভাগিয়ে নেবার মাধ্যমে রাজ্য সরকারের পতন ঘটানোর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এখন বারিসানের ৬ জন এমপি বিরোধি পক্ষে যোগদানের কারণে সাবাহতে বারিসানের নবগঠিত সরকারের পতন ঘটতে চলেছে। কেদাহ এবং পেরাকে পাসের সাথে মিলে বারিসান সরকার গঠনের যে স্বপ্ন দেখছিল সেটিও ব্যর্থ হতে পারে। সবচেয়ে বড় বিপত্তি হিসাবে দেখা দিয়েছে বারিসানের বিপর্যয়ের পর আমনুকে রক্ষার জন্য দলের ভেতর থেকে সংস্কারের দাবি। এ দাবি করেছেন আমনুর যুব শাখার প্রধান ও সাবেক মন্ত্রী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ বাদাবির জামাতা খায়রি জামালুদ্দিন। যুব আমনুর বেশ ক’জন নেতা এবারের নির্বাচনে বিপর্যয়ের জন্য নাজিব রাজ্জাককে দায়ি করে শীর্ষ নেতাদের পদত্যাগ দাবি করেছেন।
এর মধ্যে আমনুর দলগত বৈধতার আইনী জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। আমনুর ভেটার্ন ও সাবেক মন্ত্রী আমিন রইস, দায়েম জইনুদ্দিন ও রাফিদা আজিজ এসব প্রশ্ন উত্তাপন করেছেন। এখন মাহাথিরের দলের যেভাবে রেজিষ্ট্রেশন বাতিল হয়েছে সেইভাবে আমনুর কিছু হয় কিনা সে আশঙ্কা অনেকের রয়েছে।
নাজিব রাজ্জাককে একদিকে ক্ষমতার মাত্রা ছাড়ানো অপব্যবহারের কারণে দুর্নীতির অনেক মামলার মোকাবেলা করতে হবে, অন্য দিকে সুবিধবাদী নেতা এমপিরা আমনু ছেড়ে সরকারের দিকে ঝুঁকে পড়বে। সংস্কার আনার মাধ্যমে দলটিকে পূনর্গঠন করা গেলে আবার হয়তো এক সময় এটি ঘুরে দাঁড়াতে পারে। তবে এখনো পর্যন্ত তেমন ক্যারিশমেটিক কোন নেতা সামনে আমনুর সামনের কাতারে দেখা যাচ্ছে না। সম্ভাব্য অনেকগুলো দুর্নীতি আর হত্যা মামলা মাথায় নিয়ে এ কাজ নাজিবের পক্ষে করা এক প্রকাশ অসম্ভব বিষয়। বাকি জীবন তার কারাগারে কাটাতে হয় কিনা সেটিই একটি বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া শেষ মুহূর্তে ক্ষমতা না ছেড়ে সরকার গঠনের যে চেষ্টা নাজিব করেছেন তা মাহাথিরের বড় রকমের ক্ষোভের কারণ হয়েছে। যার ফলে নাজিবের উপর কোন ধরনের প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ না নেবার ঘোষণা দেয়া হলেও এখন সে রকমটি হবে বলে মনে হচ্ছে না। নাজিব শেষ মুহূর্তেও চেষ্টা করেছেন তার জোটের ৭৯ আসনের সাথে পাসের ১৮ আর নিজস্ব রকেট মার্কা নিয়ে পূর্ব মালয়েশিয়ায় যে সব এমপি ডিএপি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন তাদের সাথে ওয়ারিসানকে রেখে সরকার গঠন করা যায় কিনা। সেটি অবশ্য কোনভাবেই সফল হবার মতো বিষয় ছিল না। বরং তার শেষ মুহূর্তের এই দল ভাঙার চেষ্টা এখন বারিসানের এমপিদের পক্ষ ত্যাগের উসকানি হিসাবে কাজ করছে।
পাকাতান সরকারের চ্যালেঞ্জ
পাকাতান হারাপান সবে মাত্র সরকার গঠনের কাজ শুরু করেছে। এখানে চারটি দলের সমন্বয় ঘটেছে। এ জোটে আনোয়ারের পিকেআর এবং ডিএপি মিলে ৫০ এর কাছাকাছি চীনা ও ভারতীয় বংশোদ্ভুত এমপি রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে বারিসান সরকারের চেয়ে পাকাতান সরকারের নীতি নির্ধারণে সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠির প্রভাব বেশি থাকবে। এমনিতে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের বেশির ভাগের উপর রয়েছে চীনাদের বিশেষ নিয়ন্ত্রণ। এক সময় এর বিরুদ্ধে মাহাথির ভূমিপূত্র সুরক্ষা কর্মসুচি দিয়ে মালয়দের এক ধরনের ক্ষমতায়ন করেছিলেন। এই সুরক্ষার ব্যাপারে চীনারা সরব হতে পারে। কিন্তু মালয় স্বার্থকে নিশ্চিত করতে হবে মাহাথিরকে।
পাকাতানেরে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ। পাকাতানের পক্ষে ব্যাপকভাবে ভোট দানের পেছনে একটি প্রধান ইস্যু ছিল জিএসটি প্রত্যাহার করা। নাজিব মূল্য সংযোজন করের মতো ৬ শতাংশ জিএসটি চালু করে দেশের সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রার ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু সেই তুলনায় নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে উপার্জন বাড়ানোর কোন ব্যবস্থা নিতে পারেননি । এর ফলে ৪০ শতাংশ শিক্ষিত মালয়েশিয়ান এখন কর্মহীন। এই অবস্থায় জিএসটি বাতিল এবং অনেক রাস্তার টোল তুলে দেবার প্রতিশ্রতি পালন করতে গেলে অর্থনীতির উপর অনেক বড় চাপ পড়বে। কিন্তু সেটি করতে হবে এবং রাষ্ট্রের জন্য বিকল্প আয়ের ব্যবস্থাও নতুন সরকারকে করতে হবে।
বলার অপেক্ষা রাখে না যে বিরোধি জোটের ক্ষমতায় আসার পর দেশি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। মাহাথির আনোয়ার জুটির অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার রয়েছে অনেক বড় মাপের ক্ষমতা। এই চ্যালেঞ্জ তারা মোকাবেলা করতে পারবে বলে মনে হয়।
এর পাশাপাশি জোটের মধ্যকার দলের মতপার্থক্য একপাশে রেখে জোটবদ্ধভাবে সরকারকে সামনে নিয়ে যাবার চ্যালেঞ্জও রয়ে গেছে। মাহাথির দুই বছর ক্ষমতায় থাকার কথা । এ সময়ে তিনি যে ভিষণ নিয়ে এক সময় দেশ চালিয়েছেন সেই ট্র্যাকে ফেরানোর জন্য কাজ করতে পারবেন। এর পর বাকি কাজ এগিয়ে নিতে পারবেন আনোয়ার-মহিউদ্দিন জুটি।
পাসের সামনে চ্যালেঞ্জ
মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে পাসের যে শক্ত অবস্থান রয়েছে সেটির প্রমাণ এবার দলটি রাখতে পেরেছে। দলটির অনেক নেতা আমানাহর সাথে চলে গেছেন। তাদেরকে নিয়ে এসে পাসকে আবার ঐক্যবদ্ধ করতে চান অনেকে। দলের প্রধান আবদুল হাদি আওয়াং নেতৃত্বে থাকা অবস্থায় সেটি বাস্তবে রূপ নাও নিতে পারে। বরং হাদি আওয়াং বারিসান বা আমনুর সাথে কাজ করার ব্যাপারে বেশি স্বস্তি অনুভব করতে পারেন।
মালয়েশিয়ার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর রয়েছে পাসের বিশেষ প্রভাব। দলটি আমনুর সাথে নিজের ভাগ্য না জড়িয়ে স্বতন্ত্র হিসাবে নতুন সরকারের সময় কাজ করলে দলটি নিজস্ব শক্তিতে একসময় সামনে চলে আসতে সক্ষম হবে। দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে সরকার পরিচালনা পাসের অভিজ্ঞতা অর্জনে বড় একটি সুযোগ এনে দিতে পারে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন