বেশ কয়েক বছর আগের কথা। ‘নয়া দিগন্ত’ অফিসে একটি গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠানে এসেছিলেন মরহুম আনিসুল হক; সম্ভবত গার্মেন্ট শিল্পসংক্রান্ত বিষয়ে। আনিসুল হক বিজিএমইএ’র সভাপতি ছিলেন। তিনি যে প্যানেলের প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছিলেন, তা পরোক্ষভাবে বিএনপি সমর্থিত হিসেবে পরিচিত হতো। তিনি নয়া দিগন্ত অফিসে এসেছিলেন যেদিন সেদিন তার সঙ্গী ছিলেন একজন গার্মেন্ট শিল্পমালিক, যিনি বিএনপির একনিষ্ঠ সমর্থক এবং তার ঘনিষ্ঠজন। আনিসুল হক এফবিসিসিআইকেও নেতৃত্ব দিয়েছেন। সে নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলটি আওয়ামী লীগ সমর্থিত হিসেবে পরিচিত ছিল। সেই আনিসুল হক শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের জোরালো সমর্থন নিয়ে ঢাকা উত্তরের মেয়র নির্বাচিত হলেন ২০১৫ সালে। কিছু দিন পর তাকে মহানগরী আওয়ামী লীগ কমিটির একজন সম্মানিত সদস্যও করা হলো।
এ দেশের রাজনীতির বিচিত্র গতি এবং বিশেষ করে বর্তমান আমলে যে বাংলাদেশ ‘সব সম্ভবের দেশ’, তার প্রমাণ এটা। আনিসুল হকের কৃতিত্ব হলো, তিনি হয়তো পরিস্থিতির কারণে একটি বিশেষ দলের ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন, তবে সব সময়ই তার লক্ষ্য ছিল জনসেবা, বিশেষ করে রাজধানীবাসীর কল্যাণ। তিনি দলবাজ হননি, বরং ‘স্বপ্নবাজ’ পরিচিতি অর্জন করেছেন। বেঁচে থাকলে এবং রাজনীতিতে আরো সম্পৃক্ত হলে নিজেকে রাজনৈতিক সঙ্কীর্ণতার ক্রমবর্ধমান গ্রাস থেকে কতটা বাঁচাতে পারতেন, সেটা ভিন্ন বিষয়।
আনিসুল হক কর্ণধার হয়েছিলেন সুপরিচিত মোহাম্মদী গ্রুপের। আশির দশকে, এমনকি নব্বইয়ের দশকেরও বেশির ভাগ সময় এর পরিচয় ছিল- ‘নোয়াখালীর হাজী সিরাজুদ্দৌলার কোম্পানি।’ ঢাকা নগরীর মোহাম্মদপুর এলাকায় ১৯৮৭-৮৮ সালের প্রলয়ঙ্করী বন্যার পর বাঁধ দিয়ে বিস্তীর্ণ ভূভাগে নগরায়ন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রথম দিকেই গড়ে ওঠে ‘মোহাম্মদী হাউজিং’। শিয়া মসজিদ থেকে পশ্চিমমুখী প্রধান সড়কের উত্তরে তাদের হাউজিং ‘সোসাইটি’। তার দক্ষিণে হাউজিং ‘লিমিটেড’। অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তির আবাস, এই রিয়েল এস্টেটের উদ্যোক্তা সেই হাজী সিরাজ। তার নেতৃত্বাধীন মোহাম্মদী গ্রুপ পরে রিয়েল এস্টেটের চেয়ে গার্মেন্ট শিল্পের দিকে বেশি জোর দিয়েছে। সিরাজুদ্দৌলা বার্ধক্য ও ধর্মকর্মের কারণে ক্রমেই নিজেকে গুটিয়ে নেন। আগে থেকেই প্রতিষ্ঠানটিতে সম্পৃক্ত আনিসুল হক হলেন মোহাম্মদী গ্রুপের আরো সফল কর্ণধার। তখনো তার বয়স খুব বেশি হয়নি। তার পরিচালনায় মোহাম্মদী গ্রুপ তৈরী পোশাক শিল্পে দেশের একটি সেরা প্রতিষ্ঠানে উন্নীত হয়ে বেশ সুনাম অর্জন করেছে। বৃহত্তর নোয়াখালীর অনেকে হাজী সিরাজুদ্দৌলাকে চিনতেন ইসলামি কর্মকাণ্ডে উৎসাহী একজন শিল্পপতি হিসেবে। অপর দিকে আনিসুল হক ছিলেন শিল্প সংস্কৃতি ও মিডিয়ার প্রোগ্রামে উৎসাহী। হাজী সিরাজ ছিলেন মিশনারি টাইপের মানুষ। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের হাইলেভেল লোকজনের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল। আনিসুল হক আশির দশকের প্রথম দিকে চট্টগ্রামের দেশ গার্মেন্টস থেকে মোহাম্মদী গ্রুপে যোগ দেন। এর কিছু দিন আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফেনীর বাসায় এসে শুনলাম, কুয়েতের ধর্মমন্ত্রী ঐতিহাসিক মিজান ময়দানে বক্তব্য রাখবেন। ফেনীর এই বিরাট ইসলামি মাহফিলে তার সঙ্গী হিসেবে মরহুম সিরাজুদ্দৌলাকে দেখেছিলাম। ব্যবসা-বাণিজ্যের লোক হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই তিনি বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকতে পারেননি। তবে তার ধর্মপরায়ণতা প্রসঙ্গে সমালোচকেরাও বলতেন, ‘সিরাজুদ্দৌলা মসজিদে মসজিদে রাত কাটান।’ প্রথমে তার নামে পরিচিত মোহাম্মদী গ্রুপ পরে আনিসুল হকের পরিচালনায় ভিন্নমাত্রিক খ্যাতি লাভ করেছে। অনেকের কৌতূহল ছিল উভয়ের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে। কেউ বলতেন, আনিস তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। কেউ বলতেন, দু’জন একই অঞ্চলের মানুষ হওয়ায় ঘনিষ্ঠতা হয়েছে। যা-ই হোক, আনিসুল হক এবং পরে তার স্ত্রী রুবানা হকের সুযোগ্য দক্ষ পরিচালনা মোহাম্মদী গ্রুপের সাফল্য ও সুনাম অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।
আনিসুল হক শিল্পপতি, সংগঠক, সমাজব্রতী, টিভি উপস্থাপক ও অনুষ্ঠান নির্মাতা, সংস্কৃতিসেবী, সুবক্তা, জনপ্রিতিনিধি প্রভৃতি মিলে একাই ছিলেন বহুকিছু। তিনি ব্যবসায়ী হলেও ছিলেন আর ১০ জন ব্যবসায়ী বা শিল্পমালিক থেকে আলাদা। মেয়র হলেও তিনি ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্যে ভাস্বর হয়ে উঠছিলেন। হয়তো তার স্বকীয়তা ও স্বাতন্ত্র্যের প্রতীক নিজের নামের বানানটিও। তিনি সবার মতো Anisul Haq না লিখে নিজ নামের বানান করতেন Annisul Haq। কেন এটা করতেন, জানি না। তবে প্রসঙ্গক্রমে বলতে হয়, বলিউডের চিত্রনায়ক ইরফান খানের কথা। ইরফান সম্প্রতি ঢাকার ছবিতেও অভিনয় করে গেছেন। তিনি নামের বানান লিখে থাকেন, Irrfan- অর্থাৎ ইংরেজি ‘আর’ বর্ণটি একবারের বদলে দুবার ব্যবহার করেন। এতে নাকি তার ফাঁড়া কাটবে এবং দুর্ভাগ্য এড়ানো যাবে। তবে মরহুম মেয়র আনিসুল হক এজাতীয় কোনো কিছুতে বিশ্বাস পোষণ করতেন বলে জানা যায় না।
আনিসুল হক দীর্ঘ দিন দূরদেশে চিকিৎসাধীন ছিলেন; চার মাস ছিলেন হাসপাতালে শয্যাশায়ী। এরপর মারা গেছেন দুই সপ্তাহ আগে। তিনি এখনো জাতীয়পর্যায়ে আলোচনা ও লেখালেখির বিষয় হয়ে আছেন। এর কারণ তার বহুমুখী প্রতিভা ও যোগ্যতা, অবদান ও বৈশিষ্ট্য। আনিসুল হকের মারাত্মক অসুস্থতা এবং বিদেশে চিকিৎসার খবর প্রকাশিত হলে প্রথমে সবাই আশা করেছিলেন, যখন লন্ডনের উন্নতমানের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, নিশ্চয়ই দু-এক মাসের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে শঙ্কা বাড়তে থাকে; সহসা সুস্থ হওয়ার প্রত্যাশা কমে আসে। কিছু দিন পর তার ব্যাপারে গুরুতর দুঃসংবাদ প্রকাশ পেল সামাজিকমাধ্যমে। পরেও এটা ঘটেছে দফায় দফায়। এমনকি, একপর্যায়ে আনিসের মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে অনেককে মর্মাহত করা হয়েছে। তবে তার পরিবার ও অফিসের পক্ষ থেকে একাধিকবার এর প্রতিবাদ জানিয়ে কখনো বলা হয়েছে, তার অবস্থার অবনতি হয়নি; কখনো জানানো হলো, তিনি ডাক্তারদের পর্যবেক্ষণে আছেন। আবার কখনো বা তার অবস্থার ‘কিছু উন্নতি’র আভাস দেয়ায় অসংখ্য শুভাকাক্সক্ষীর মাঝে কিঞ্চিৎ স্বস্তি ফিরে এসেছিল। সচেতন নাগরিকেরা ঠিকই অনুধাবন করেছিলেন, বিশেষ মহল প্রধানত রাজনৈতিক স্বার্থে আনিসুল হকের অসুস্থতা সম্পর্কে অতিরঞ্জিত খবর প্রচার করছে। তারা যে ক্ষমতাসীন মহলের আশপাশের লোক এবং বিরোধী দলের কেউ নয়- এটাও ধারণা করা যাচ্ছিল। নভেম্বর মাসে সত্যিই আনিসুল হকের অবস্থার অবনতি ঘটে। সে খবর পেয়ে কেউ কেউ সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা থেকে বললেন- ‘না, আসলে এটা মহলবিশেষের প্রচারণা।’ আনিসের ভক্ত-অনুরক্তরা শেষাবধি আশায় ছিলেন, হয়তো বেশ কয়েক মাস লাগবে; তবে তিনি সুস্থ হয়েই ফিরবেন ইনশাআল্লাহ। অবশ্য আনিসুল হক কোনো দিন সুস্থ হলেও যে মেয়রের গুরুদায়িত্ব পালন করা তার জন্য কঠিন হবে, সে আশঙ্কাও ছিল। এসব বিবেচনায় নিশ্চয়ই ক্ষমতাসীন মহলের উঁচুপর্যায়ে পরবর্তী মেয়র নির্বাচনে জয়ী হওয়ার মতো প্রার্থীর ব্যাপারে আগাম চিন্তাভাবনার প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছিল।
যা হোক, অনেক ক্ষেত্রে মানুষ ভাবে এক, আল্লাহ করেন আরেক। কেবল তিনিই জানেন কিসে আমাদের মঙ্গল এবং ভবিষ্যতে কী ঘটবে। মানুষ জ্ঞান-বিজ্ঞান, আবিষ্কার-উদ্ভাবনার ক্ষেত্রে ‘আকাশছোঁয়া’ উৎকর্ষ অর্জন করলেও কোনো দিন জানতে পারবে না, এক মুহূর্ত পরে কী ঘটতে যাচ্ছে। তা জানেন শুধু মহান স্রষ্টাই, যিনি সব ক্ষমতা ও জ্ঞানের অধিকারী। তিনিই মানবজাতিসহ বিশ্বজগতের একক সৃষ্টিকর্তা, সংরক্ষক, প্রতিপালক। তার হাতেই জগতের চরম পরিণতি এবং মানবজাতির সমূহ কর্মের চূড়ান্ত বিচার। তার ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণের বিকল্প নেই। তাই সব মৃত্যুকে মেনে নিতে হয়। আনিসুল হকের মৃত্যু যতই মর্মবেদনার হোক, এটাই এখন মর্মান্তিক বাস্তবতা এবং অনস্বীকার্য সত্য। সবার জন্ম-মৃত্যুই পূর্বনির্ধারিত। আনিসুল হককে আর ফিরিয়ে আনা যাবে না। এখন সবার দায়িত্ব, তার জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষণীয় ও অনুসরণযোগ্য বিষয়গুলো তুলে ধরা ও প্রেরণা পাওয়া। বিশেষ করে ‘নগরপিতা’ হিসেবে তার যে আরব্ধ কাজ, তার যে স্বপ্ন ছিল, তা পূরণ করতে হবে। এ দায়িত্ব সরকার ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সবার।
আনিসুল হক স্বল্প সময়েই রাজধানীর চেহারা সাধ্যমতো বদলে ফেলেছিলেন। অবশ্য সময়ের অভাবে, কায়েমি স্বার্থবাদীদের চক্রান্তে এবং বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার দরুন জনসেবার অনেক আকাক্সক্ষাই তার অপূর্ণ থেকে গেছে। টিভিতে সবাই দেখেছেন বিশেষ করে তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড উচ্ছেদ এবং ফুটপাথ মুক্ত করার জন্য তার ঝুঁকিপূর্ণ সংগ্রাম। যারা এসব দখলবাজির অপনায়ক, এরা কারা? ক্ষমতার কাছের লোক। নিদেনপক্ষে সে পরিচয় দিয়েই ওরা অন্যায় আধিপত্য বজায় রাখে। পত্রিকার খবর, আনিসুল হকের দীর্ঘ অনুপস্থিতির সুযোগে আবার বেআইনি দাপট দেখিয়ে জবরদখলের তাণ্ডব শুরু হয়েছে। আনিসের সাফল্যকে ম্লান করে দিচ্ছে একটি মহল, যারা বিশেষ মদদপ্রাপ্ত। এই আমলে সরকারবিরোধী রাজনীতির লোকজন নিশ্চয়ই এসব করার সাহস ও সুযোগ পাবে না।
২০১৫ সালের মেয়র নির্বাচনে আনিসুল হক যদিও আওয়ামী লীগের আশীর্বাদে মেয়র হন, তিনি আসলে এই মহলের লোক হিসেবে পরিচিত ছিলেন না। কিন্তু ক্ষমতাসীন দল নিজেদের রাজনীতির স্বার্থে, সুকৌশলে তাকে মেয়র প্রার্থী করতে সক্ষম হয়েছিল। তিনি বেঁচে থাকলে কে কাকে কতটা ব্যবহার করা সম্ভব হতো, সেটা ভিন্নকথা। তবে মনে করা যায়, আনিসুল হক ভেবেছিলেন মহানগরীর লাখ লাখ মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ পেতে হলে একটা বড় শক্তির সমর্থন দরকার। আর এ যুগে সরকারের সাথে সদ্ভাব ছাড়া নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরও দায়িত্ব পালন এবং স্বপ্ন বাস্তবায়ন প্রায় অসম্ভব।
আনিসুল হক মেয়র নির্বাচনের আগে প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন। নানা গুণের অধিকারী, হাস্যোজ্জ্বল, প্রতিভাদীপ্ত, উদ্যমী ও চৌকস মানুষটি সব মহলে ছিলেন জনপ্রিয়। তার মতো এত কম বয়সে এত কর্মময় জীবন, অবদান, পরিচিতি কম লোকেরই থাকে। বড় দলগুলো আনিসুল হকের উজ্জ্বল ইমেজকে কাজে লাগাতে চাওয়াই স্বাভাবিক। এ দিক দিয়ে ক্ষমতাসীনেরা সফল হলেন ঢাকার মেয়র নির্বাচন উপলক্ষে। তবে এই নির্বাচনে সরকারি দলের লোকজন কয়েক জায়গায় সন্ত্রাস-সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছিল। ফলে জাল ভোট, কেন্দ্র দখল, ভোটারদের বাধা দেয়ার মতো অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটে। ক্ষমতার দাপটে এসব তাণ্ডব চলে এবং অসহায় বিরোধী দলের সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল দুপুরের আগেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিতে বাধ্য হন। সুষ্ঠু নির্বাচনে কে জিততেন, সেটা বড় কথা নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো, সেদিন আনিসুল হককে অনন্যোপায় হয়ে তার সমর্থক কিছু লোকের অন্যায় তৎপরতার পক্ষে সাফাই দিতে হয়েছিল। যে মানুষটি সবার কাছে ‘ভালো লোক’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন, তার গায়ে এভাবেই দুষ্টু রাজনীতি কাদা মেখে দিতে প্রয়াস পেয়েছে শুরুতেই।
তিনি কিন্তু এর পরও নানা প্রতিকূলতার মাঝেও সাহসের সাথে মাঠে নেমেছিলেন নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণে। তখন কারা বাধা দিয়েছে এবং এর আগে নির্বাচনের দিন কারা অত্যুৎসাহে বুমেরাংতুল্য ভূমিকা রেখেছে তা নগরবাসীর অজানা নয়।
পাদটীকা : আনিসুল হকের শূন্যপদে মেয়র নির্বাচনের তোড়জোড় চলছে। ক্ষমতাসীন মহলেই এ জন্য উৎসাহ ও দৌড়ঝাঁপ বেশি। আনিসের স্ত্রী ও পুত্রের সম্ভাব্য প্রার্থিতার কথা শোনা গেলেও তারা এতে উৎসাহী নন বলে জানা যায়।
এবার আনিসুল হকের মৃত্যুর পর টিভিতে একটা ছবিতে দেখা গেল, তিনি উৎসাহের সাথে ঘুড়ি ওড়াচ্ছেন, নাটাই তার হাতে। হয়তো ঘুড়িটা তার স্বপ্নের প্রতীক হয়ে আকাশে উড়ছিল। এখন বিশেষ করে তার দলের মেয়র প্রার্থী নির্ধারণের ‘নাটাই’ যাদের হাতে, সেই নেতানেত্রীরা কি এমন প্রার্থী মনোনীত করবেন যিনি সুষ্ঠু নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আনিসের স্বপ্ন পূরণে ব্রতী হবেন?
উৎসঃ নয়াদিগন্ত
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন