|
ইকতেদার আহমেদ
|
|
বর্তমান ইসি কতটা দক্ষ ও আন্তরিক?
08 August 2017, Tuesday
বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনাররা সংবিধানের বিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত। ক্ষমতাসীন সরকারের প্রধান নির্বাহীর পরামর্শ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেয়া হলে দলীয় মতাদর্শী ও দলীয় সুবিধাভোগীদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে এ অভিযোগ থেকে উত্তরণের নিমিত্ত একাদশ নির্বাচন কমিশন গঠনকালে সার্চ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে, দেশবাসীকে এমন ধারণা দেয়া হয়। বর্তমান দ্বাদশ নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় আগেকার মতো সার্চ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কমিশন গঠিত হয়েছে এমন ধারণা দেয়ার প্রয়াস নেয়া হয়েছে। বাস্তবিক অর্থে একাদশ ও দ্বাদশ নির্বাচন কমিশন গঠনের সময় যে প্রক্রিয়া অনুসৃত হয়েছে তাকে কোনোভাবেই সৎ, দক্ষ, যোগ্য ও নিরপেক্ষ ব্যক্তি সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের সহায়ক মর্মে আখ্যা দেয়া যায় কিনা এ বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ।
১৯৭২’র সংবিধানে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান বিষয়ে যে বিধান ছিল তা হল- মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভেঙে যাওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে এবং মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ বিধানটি ত্রয়োদশ সংশোধনী প্রবর্তন-পূর্ববর্তী সময়ে কার্যকর থাকলেও উক্ত সময়ের মধ্যে যে ছয়টি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এর কোনোটিই মেয়াদ পূর্ণ করতে না পারার কারণে মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আবশ্যকতা দেখা দেয়নি।
ত্রয়োদশ সংশোধনী প্রবর্তন-পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান বিষয়ে যে বিধান প্রণয়ন করা হয় তা হল- মেয়াদ অবসানের কারণে অথবা মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ বিধানটি বহাল থাকাকালীন এর অধীন সপ্তম ও অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানকালীন এ বিধানটি কার্যকর থাকলেও সেটি অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে বিধানটি অনুসৃত হয়নি। আর তাই নবম সংসদ নির্বাচনটি সাংবিধানিকভাবে সিদ্ধ এমন দাবি যৌক্তিকভাবে নিষ্পন্ন হওয়া কখনও সম্ভব নয়।
উচ্চাদালত কর্তৃক সংবিধানের পঞ্চম, সপ্তম ও ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল-পরবর্তী পঞ্চদশ সংশোধনী প্রণয়নকালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে ১৯৭২-র সংবিধানে যে বিধান ছিল সেটি পুনর্বহাল করা হয়। নবম সংসদ মেয়াদ পূর্ণ করায় পুনর্বহালকৃত বিধানের অধীনে দশম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানকালীন সংসদ বহাল ছিল এবং সে নির্বাচনে নবম সংসদে নির্বাচিত যেসব সদস্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তারা সবাই সংসদ সদস্য পদে বহাল থাকাবস্থায়ই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হন। একজন সংসদ সদস্য পদে বহাল থাকাকালীন অবস্থায় নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হলে তা তার প্রতিদ্বন্দ্বী অপর প্রার্থীদের জন্য কতটুকু সমসুযোগ তৈরি করে, এ বিষয়টির সন্তোষজনক মীমাংসা হওয়া দরকার।
সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন, ভাতা ও সুযোগ-সুবিধাদি আহরণ করায় তাদের পদ প্রজাতন্ত্রের লাভজনক পদ। সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের লাভজনক পদে বহাল থাকাকালীন একজন ব্যক্তি সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য। এ অযোগ্যতাটিকে উপেক্ষাপূর্বক দশম সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্যরা পদে আসীন অবস্থায় নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হলেও সে সময়কার নির্বাচন কমিশন এটিকে আমলে নেয়নি। সে সময়কার নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান নির্বাচন কমিশন একই ধরনের সাজানো নাটকের প্রক্রিয়ায় নিয়োগপ্রাপ্ত বিধায় এ বিষয়ে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অবস্থান আগেকার নির্বাচন কমিশনের চেয়ে ভিন্নতর হবে তা তাদের আচরণ ও কার্যকলাপদৃষ্টে বিশ্বাস স্থাপনে সহায়ক নয়।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা হল- নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ ও ভোটার তালিকা প্রস্তুতকরণ পরবর্তী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান। উপরোক্ত কার্যাবলি ছাড়াও নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন-পূর্ববর্তী ভোট কেন্দ্র স্থাপন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। ভোটার তালিকা প্রস্তুতকরণ এবং এটির হালনাগাদ নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ চলমান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ১৮ বছর বয়সে উত্তীর্ণ যে কোনো তরুণ যেন বাধাহীনভাবে সহজে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে পারে এটি নিশ্চিতে নির্বাচন কমিশনকে সর্বক্ষণ সচেষ্ট থাকা প্রত্যাশিত হলেও সে মাত্রায় দেশের সাধারণ মানুষ নির্বাচন কমিশন থেকে এরূপ সহায়তা পাচ্ছে না।
সংবিধানের বর্তমান বিধান অনুযায়ী দশম সংসদ নির্বাচন ৫ জানুয়ারি, ২০১৪ অনুষ্ঠিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান সংসদ মেয়াদ পূর্ণ করলে একাদশ সংসদ নির্বাচন ৫ জানুয়ারি, ২০১৯-এর পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে। আর সংসদ মেয়াদ পূর্ণের আগে যে কোনো কারণে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিলে সে ক্ষেত্রে ভেঙে দেয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে। ক্ষমতাসীন সরকারের কার্যকলাপ দৃষ্টে প্রতীয়মান হয় বর্তমান সংসদ তার নির্ধারিত মেয়াদ ৫ বছর পূর্ণ করবে। সরকারের মনোভাব অনুধাবনপূর্বক নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একাদশ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ৭ দফা সংবলিত যে পথনকশা (রোডম্যাপ) ঘোষণা করা হয়েছে তা হল- ১. আইনি কাঠামো পর্যালোচনা ও সংস্কার; ২. নির্বাচনী প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবার পরামর্শ গ্রহণ; ৩. সংসদীয় এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ; ৪. নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সরবরাহ; ৫. বিধিবিধান অনুসরণপূর্বক ভোট কেন্দ্র স্থাপন; ৬. নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ও নিবন্ধিত দলের নিরীক্ষা এবং ৭. সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সবার সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণ।
আমাদের দেশে এর আগে অনুষ্ঠিত দশটি সংসদ নির্বাচনের মধ্যে ছয়টি ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে এবং চারটি ক্ষমতাসীনবহির্ভূত সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ দশটি নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনায় দেখা যায়, ক্ষমতাসীন সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত প্রতিটি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল বিজয়ী হয়েছে অপরদিকে ক্ষমতাসীনবহির্ভূত সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত প্রতিটি নির্বাচনে নির্বাচন-পূর্ববর্তী ক্ষমতায় আসীন দল পরাভূত হয়েছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনসহ এ যাবৎকাল পর্যন্ত গঠিত ১২টি নির্বাচন কমিশনের মধ্যে ক্ষমতাসীন সরকার কর্তৃক নয়টি এবং ক্ষমতাসীনবহির্ভূত সরকার কর্তৃক তিনটি নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। ক্ষমতাসীন সরকারের অধীন সাবেক সচিব আবু সাঈদের নেতৃত্বাধীন অষ্টম নির্বাচন কমিশন ব্যতীত অপর সব নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল বিজয় লাভ করেছিল। আবু সাঈদ নেতৃত্বাধীন অষ্টম নির্বাচন কমিশন বহাল থাকাকালীন অনুষ্ঠিত অষ্টম সংসদ নির্বাচনটি সাবেক প্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমানের নেতৃত্বাধীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতাসীন থাকাবস্থায় সম্পন্ন হয়। সুতরাং নির্বাচনী ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, ক্ষমতাসীন সরকারের অধীন গঠিত নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠানকালীন বহাল থাকাবস্থায় এর আগে কখনও নির্বাচনী ফলাফল ক্ষমতাসীন দলের বিপক্ষে যায়নি।
আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী মোতায়েন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেনাবাহিনী মোতায়েন যেন অর্থবহ হয় সে উদ্দেশ্যে এটিকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দু-তিন দিন আগে শুধু স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন কাম্য নয়। বাংলাদেশে ক্ষমতাসীনবহির্ভূত সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলো পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, নির্বাচনী এলাকাগুলোয় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার নিমিত্ত অন্তত নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষকাল আগে সেনাবাহিনী মোতায়েনপূর্বক অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং সন্ত্রাসী ও বহিরাগতদের আটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে বাহিনীটি ব্যাপক সফলতার প্রমাণ রাখতে সমর্থ হয়। সে সফলতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে নির্বাচনকালীন সরকারের ধরন যা-ই হোক না কেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের ন্যূনপক্ষে পক্ষকাল আগে সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রত্যাশিত। কিন্তু বর্তমান নির্বাচন কমিশন ঘোষিত পথনকশায় সে বিষয়ে কোনো আলোকপাত করা হয়নি।
পথনক্শা ঘোষণা-পরবর্তী দেখা যায়, নির্বাচন কমিশন সুশীল সমাজ নামধারী বিভিন্ন পেশার ৬০ জন ব্যক্তিকে তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানালে এর অর্ধেক সংখ্যক ব্যক্তি আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে মতবিনিময়ে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচন কমিশন কী পন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে সুশীল সমাজের ৬০ জন ব্যক্তিকে বাছাই করেছে এ বিষয়টি দেশবাসীর কাছে স্পষ্ট নয়। বাছাইকৃত ৬০ জনের মধ্যে যারা অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, তাদের অধিকাংশের চেয়ে নির্বাচনী আইন ও সংবিধান বিষয়ে অনেক অভিজ্ঞ এমন ব্যক্তি রয়েছেন, যাদের নির্বাচন কমিশন ও বিভিন্ন নির্বাচনী আইন বিষয়ে বহুল প্রচারিত জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত একাধিক নিবন্ধ পাঠ করে তাদের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট জ্ঞান বিষয়ে জানার অবকাশ ঘটেছে দেশবাসীর। নির্বাচনসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞসহ দেশবাসীর ধারণা নির্বাচন কমিশন ইচ্ছাকৃতভাবেই এমন অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবিষয়ক সংলাপের তালিকাবহির্ভূত রেখেছে। সুশীল সমাজের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত যারা নির্বাচন কমিশনের ডাকে সাড়া না দিয়ে সংলাপে অংশগ্রহণ করেননি, তারা যে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা বিষয়ে সন্ধিহান এ বিষয়টি ইতিমধ্যে তাদের অনেকে ব্যক্ত করেছেন।
নির্বাচন কমিশন কর্তৃক আয়োজিত সুশীল সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানটির সংবাদ সংগ্রহের নিমিত্ত প্রিন্ট ও ইলেকট্রুনিক গণমাধ্যমের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সংবাদকর্মী কমিশনে উপস্থিত ছিলেন; কিন্তু তাদের কাউকেই সংলাপ কক্ষে প্রবেশ করে সংলাপ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সংবাদকর্মীদের অবাধ সংবাদ সংগ্রহে বাধা স্বাধীন তথ্য প্রবাহের অন্তরায় এবং নির্বাচন কমিশনের মতো জনসম্পৃক্ত কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ ধরনের পদক্ষেপ অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত।
আশার কথা, সংলাপে অংশগ্রহণকারী দু-একজন ব্যতীত অপর সবাই নিবাচন অনুষ্ঠানের সময় সেনা মোতায়েন, ব্যালট পেপারের মধ্যে ‘না’ ভোটের বিধান অন্তর্ভুক্তকরণ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের নিমিত্ত প্রতিদ্বন্দ্বী দল ও প্রার্থীরা যেন নির্ভয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারেন এবং ভোটাররা কোনো ধরনের বাধাহীনভাবে ভোটদান করতে পারে, এ বিষয়গুলোর ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। এখন দেখার বিষয় নির্বাচন কমিশন সংলাপে অংশগ্রহণকারী সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে ব্যক্ত মতামত ও সুপারিশ বাস্তবায়নে কতটুকু আন্তরিক।
ইকতেদার আহমেদ : সাবেক জজ; সংবিধান, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক
উৎসঃ যুগান্তর
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন