কখনো-সখনো অতিবর্ষণে হাওর-বাঁওড় তলিয়ে অসংখ্য জীবনহানি ঘটে, তেমনি প্রতিনিয়ত পাহাড়ধসে মানুষ মারা যায়। কিন্তু এসবের প্রতিকারে সরকারের কোনো দৃষ্টি নেই। মনে হয় কারো কোনো কাজ নেই। ধীরে ধীরে কেমন যেন সব কাজ গিয়ে পড়ছে প্রধানমন্ত্রীর কাঁধে। দায়িত্বে কোনো ভাগ-বণ্টন নেই, কারো কোনো জবাবদিহিতা নেই। এই সেদিন অতিবর্ষণে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলাতেই প্রাণহানি ঘটেছে। দেশের গৌরব চট্টগ্রামও বাদ নেই। উদ্ধার করতে গিয়ে আমাদের গর্বিত সন্তান সেনাবাহিনীর ছয়-ছয়টি তাজা প্রাণ অকালে ঝরে গেছে। শিশু, বৃদ্ধ, নর-নারী মরেছে শতাধিক। এই মৃত্যুর মিছিল কেন? এর কি কোনো প্রতিকার নেই? যদি প্রতিকার না থাকত, অসম্ভব কিছু হতো বলার ছিল না। জীবন তো খুব ছোট্ট নয়। ’৭১-এ পা দিয়েছি। দুনিয়ার অনেক কিছু না দেখলেও আশপাশে তো কিছু দেখেছি। পাকিস্তানে কত পাহাড়-পর্বত দেখলাম, নির্বাসনে থাকতে কত ইল্লি-দিল্লি করেছি, মেঘালয়ে বছরের পর বছর ছয়-সাত হাজার ফুট উঁচু পাহাড়ের ওপর রাত-দিন চলাফেরা করেছি। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং সাত হাজার ফুট উপরে, রাজস্থানের পুষ্কর ব্রহ্মা মন্দিরের পাহাড়-পর্বত তার থেকেও উঁচু। কিন্তু কোথাও এমন পাহাড়ধসে যখন-তখন লোক মরতে দেখিনি। মানুষ আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় আশরাফুল মাখলুকাত। আমার দেশে সেই মানুষ কি বেশি হয়েছে, মূল্যহীন হয়ে গেছে যে তাদের এভাবে যত্রতত্র অঘোরে প্রাণ হারাতে হবে? কোনো উত্তর খুঁজে পাই না। তাই বড় বেশি অস্বস্তিতে আছি। আনন্দের সময় যেমন তরতরিয়ে কেটে যায়, দুঃখের সময়, দুশ্চিন্তার সময় কেন যেন বোঝা হয়ে চেপে থাকে, সরতে চায় না।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের জন্মের সময় থেকেই লিখি। অনেকে জানে মঙ্গলবারে আমার লেখা থাকে। কিন্তু আমাদের সময়েও যে এক শনিবার বাদ দিয়ে আরেক শনিবারে প্রায় ছয়-সাত মাস নিয়মিত লিখি তা অনেকেই জানে না। তার পরও এত মানুষ জানে, এটা আমার কল্পনায় ছিল না। ৩ জুন শনিবার ‘আমাদের সময়ের শ্রেষ্ঠ সফলতা গফরগাঁওয়ের এমপি এমএ হাশেমকে অন্ধকার থেকে আলোয় আনা, বাজেটের কারণে ছাপেনি, পরদিন রোববার ছেপেছে। কত মানুষ ফোন করেছে, চিঠি দিয়েছে। এখন কেউ তেমন কলম ধরে না। কতখানি স্পর্শ করলে লেখা না পেয়ে কেউ ফোন করতে পারে অথবা দু-কলম লিখতে পারে, এটা এক অভাবনীয় আনন্দের ব্যাপার। অনেক দিন থেকে দেখছি, যারা লেখাটা সম্পাদনা করেন তারা চমৎকার। তাদের সম্পাদনায় আমি অভিভূত, খুবই খুশি। কিন্তু তার পরও যদি বাজেটের কারণে লেখাটি শনিবারের স্থলে রোববার ছাপা হবে লেখা হলে পাঠকদের বিভ্রান্ত ও পেরেশান হতে হতো না। প্রবীণ নেতা এমএ হাশেম এবং প্রখ্যাত গণসংগীতশিল্পী, স্বাধীন বাংলা বেতারের উজ্জ্বল নক্ষত্র আবদুল জব্বারের বিষয় ছিল সেখানে। লেখাটা নাকি অনেকের ভালো লেগেছে। পাঠকের ভালো লাগার জন্যই লেখা। যখন কোনো লেখা একজন পাঠকেরও ভালো লাগে, তখনই লেখকের স্বার্থকতা। জীবনে কত কষ্ট করেছি, কত বঞ্চনা সয়েছি, কত অপমান-অবহেলা পেয়েছিÑ সাধ্য নেই লিখে ফুটিয়ে তুলি। কিন্তু তার পরও কখনো কখনো মনে হয়, গত কয়েক বছর শুধু লেখার জন্য সাধারণ মানুষ যে ভালোবাসা, যেভাবে মনে করে, দেখলেই জড়িয়ে ধরে, রাস্তাঘাটে ছুটে এসে বুক মেলায়। মাঝে মাঝে সত্যিই মনে হয় অত কষ্ট করে আয়ুব-মোনায়েমবিরোধী আন্দোলন করেছি, পুলিশের নির্যাতন সহ্য করেছি, জেল-জুলুম সয়েছি, যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় সবাই পালিয়ে গেলে দিশাহারা গভীর অন্ধকারে শুধু আল্লাহকে হাজের-নাজের জেনে, বঙ্গবন্ধুর আহ্বান হৃদয়ে লালন করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছি দয়াময় প্রভুই আমাদের সফলতা দিয়েছেন। সেই তখনই বুঝেছি আমিতে কোনো শক্তি নেই, কোনো মাহাত্ম্য নেই, নেই কোনো গৌরব। আমরায় দুনিয়ার যতসব শক্তি, সফলতা, আমিতে নয়। যারা আমি আমি করে তারা অসহায়, তারা দাম্ভিক। আমরায় বিলীনের যে মাহাত্ম্য, আমিতে নির্ভর ব্যক্তিত্বে সে গৌরবের লেশমাত্র নেই। তাই এসব কেউ শিখিয়ে দেওয়ার আগেই আমার প্রভু আমায় আমি থেকে আমরায় পৌঁছে দিয়েছেন। কবে যে হৃদয়ে ধারণ করেছিÑ ‘সবে মিলে করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ’, সেই সবার মাঝে বিলীন আমি আমরা হয়ে এতটা পথ এসেছি। কখনো কাউকে ফেলনা ভাবিনি। যখন ছাত্র ছিলাম, আশপাশে যারা ছিল, মাইক মারত, পোস্টার লাগাত তাদের কাউকে ছোট নয়, বড় ভেবেছি। যখন যুদ্ধে ঝাঁপিয়েছিলাম, পরের ছেলে সামনে পাঠিয়ে গুলির ভয়ে পেছনে থাকিনি। আগে আগে থাকার চেষ্টা করেছি। দৌড়ে দু-চারবার পেছনে পড়িনি তা নয়। কিন্তু সে পিছিয়ে পড়া হতো এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা বা প্রস্তুতি।
স্বাধীনতার পর কত হাজারো বন্ধু, হাজারো কর্মী কাজ করেছে, সঙ্গে থেকেছে কাউকে ছোট বা ফালতু মনে হয়নি। মরা শামুকেও পা কাটে সেই ধ্যানজ্ঞান মাথায় নিয়ে সবাইকে অমূল্য ভেবেছি এবং তারা অমূল্য বলেই ধরা দিয়েছে। দু-চারজন বিশ্বাসঘাতকতা যে করেনি তা নয়। কিন্তু কোঁচের ছুরি কেউ কোঁচ কাটেনি, বুকে খঞ্জর চালায়নি। বিশ্বাসঘাতকতা যারা করেছে, তারা বিশ্বাসযোগ্য দূরে গিয়েই করেছে। বুকের ওপর দাপাদাপি করে কেউ শ্বাস বন্ধ করার চেষ্টা করেনি। কারণ তারা জানে বা জানত আমি কারো অমঙ্গল চাইনি। আমার কাছে কারো জীবন হুমকিতে ছিল না। আমি আমার আপনজনকেও অন্যায়ের শাস্তি দিতে ভ্রুক্ষেপ করিনি, পরম শত্রুকে অমর্যাদা করিনি, এখনো করি না। আল্লাহর দয়া থেকে যেন বঞ্চিত না হই সেই ভয়ে সব সময় কম্পিত থাকি। আমি সমাজের নিয়ন্ত্রণ চাই, পরাধীনতা চাই না। খুনির বিচার চাই, কিন্তু খুনিকে খুন করতে চাই না। চোর যাতে চুরি করতে না পারে সে পদ্ধতি চাই, কিন্তু চোরকে মানবিক-শারীরিক অত্যাচার করতে চাই না। কাউকে শারীরিক পীড়ন বা জুলুম আল্লাহর ওপর আঘাতের শামিল। আল্লাহর গড়া দেহে আঘাত করা, কাউকে শারীরিক কষ্ট দেওয়া তিনি পছন্দ করেন না। জীবের প্রতি, সৃষ্টির প্রতি দয়ামায়ার চেয়ে কোনো শ্রেষ্ঠ ইবাদত নেই। তাই যখন যা দেখি, যা শুনি রঙচঙ না মেখে সাদামাটা তুলে ধরার চেষ্টা করি।
একজন মুসলমানের জন্য মাহে রমজান আল্লাহর কত বড় নিয়ামত, আমরা অনেকেই তা জানি না। ধর্মপ্রাণ মুসলমানের জন্য একটা রমজান সারা জীবনের সাধনার ফল। দেখতে দেখতে এবারের রমজান চলে যাচ্ছে। আগামী রমজান আমরা ক’জন পাব কেউ জানি না। গত পর্বে রমজান নিয়ে কিছুই লেখা হয়নি। পরের পর্ব ঈদের পর। তাই শুরুতেই পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদ মোবারক জানাই। ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধে রমজান এসেছিল অক্টোবর-নভেম্বরে। ২০ নভেম্বর ছিল পবিত্র ঈদ। জ্ঞান হওয়ার পর ’৭১-এর পবিত্র ঈদের নামাজ পড়া হয়নি। সে ছিল এক অভিনব ঘটনা। আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম ১৬ অথবা ১৭ নভেম্বর ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কের যতগুলো সম্ভব সেতু ধ্বংস করে হানাদারদের স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল বন্ধ করে দেব। কিন্তু ১৭ নভেম্বর দুপুরে আকাশবাণী ও রাতে স্বাধীন বাংলা বেতার প্রচার করেÑ কাদেরিয়া বাহিনী ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের অসংখ্য সেতু ধ্বংস করে পাকিস্তান হানাদারদের চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। কে কীভাবে খবর দিয়েছিল বলতে পারব না। প্রচারে প্রসার সেটা ঠিক, কিন্তু সেই উড়োখবরে আমাদের আসল কাজ যে মাঠে মারা যাওয়ার উপক্রম। আমরা থমকে গিয়েছিলাম। এখন উপায়! অনেক ভেবেচিন্তে সেতু অভিযান পিছিয়ে দিয়েছিলাম পবিত্র ঈদের দিন ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। গভীর রাতে ভাতকুড়া সেতু ধ্বংস করে সকালে যখন মটরা আসি, তখন ঈদের জামাতের জন্য মসজিদে লোকজন একত্র হচ্ছিল। কিন্তু মটরা সেতু দেখে ফিরে এসে দেখি জামাতিরা সব মসজিদ ছেড়ে চলে গেছে। প্রচ- আঘাত পেয়েছিলাম ঈদের নামাজ ছুটে গেল বলে। একটা ছোট্ট আমগাছে ঠেস দিয়ে বসেছিলাম। আমি যতই ভর দিচ্ছিলাম চারাগাছটি হেলে পড়ছিল। হঠাৎ সংবিৎ ফিরে পাই। চারাগাছটি আমার ভর সইতে পারছে না। হঠাৎই মনে হয়েছিল এমনি করেই তো সবলের চাপ দুর্বলরা সইতে পারে না। হেলতে হেলতে একসময় ধ্বংস হয়ে যায়। গা-ঝাড়া দিয়ে উঠে ছুটেছিলাম মটরা সেতু দখলে। ৩০-৪০ জন দুর্ধর্ষ মুক্তিযোদ্ধার খুব একটা সময় লাগেনি। সেতু দখল করে ঐতিহাসিক করটিয়ার দিকে উল্কার মতো ছুটেছিলাম। করটিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসহ সব এলাকা আমাদের দখলে এসে গিয়েছিল খুবই অল্প সময়ে। বন্দি করেছিলাম করটিয়ার জমিদার রাজাকার শিরোমণি খসরু খান ও সেলিম খান পন্নীকে। কোমরে দড়ি বেঁধে তাদের বিচারের জন্য কেদারপুরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাই যখনই রমজান আসে, তখনই আমার হৃদয়ের অনেকটা জায়গাজুড়ে মুক্তিযুদ্ধ আসে। আগে মা-বাবা, ভাইবোন নিয়ে ছিল আমার বিশাল পরিবার। এখন মা-বাবা নেই, ভাইবোনরা যার যার মতো থাকে। তবু বাড়ি খালি নেই। অনেকে জড়াজড়ি করে এখনো আছি। মোটামুটি আগের মতোই সব একই রকম আছে। ছেলে দীপ বাসায় আছে কী নেই, বোঝা যায় না। কিন্তু ছোট্ট মেয়ে আল্লাহর দান কুশিমণি একাই একশ। ১১ বছর বয়স, বাড়ির সব কর্তৃত্ব তার। আমরা সবাই এখন তার আশ্রয়ে থাকি। কদিন পরীক্ষা ছিল তাই সাহ্রিতে ওঠেনি। পরীক্ষা শেষে এখন দেখছি সাহ্রি পর্যন্ত ঘুমায় না। সে এক আজব ঘটনা! তাই রমজান আমাদের জন্য সত্যিই শান্তি-স্বস্তি-মুক্তি আর আনন্দের।
এবার রমজানের পহেলা জুমায় বড় আশা, বড় আকাক্সক্ষা নিয়ে কলেজগেটের মসজিদে গিয়েছিলাম। স্বাধীনতার পর থেকে ঢাকায় থাকলে কলেজগেট মসজিদেই জুমার নামাজ আদায় করি। মসজিদের ইমাম মুক্তিযুদ্ধের আগ থেকে কলেজগেট জামে মসজিদে থাকতেন। এখান থেকেই লেখাপড়া করেছেন। বেশ জানাশোনা মানুষ। তাকে পছন্দও করি। কখনো-সখনো চমৎকার খুতবা দেন। জ্ঞানগরিমা, লেখাপড়া মনে হয় ভালোই আছে। তাই একটু বেশি আশা নিয়ে এবার রমজানের প্রথম জুমায় গিয়েছিলাম। এসি লাগানো মসজিদের ভেতরে খুব একটা যাই না। বারান্দাতেই নামাজ পড়ি। মরার পর কবরে এসি পাব কোথায়? তাই নামাজে ঠা-া খাওয়ার চিন্তা নিয়ে মসজিদে যাই না। মসজিদে যাই আল্লাহর নৈকট্য পাওয়ার আশায়। যতটা সম্ভব চেষ্টা করি আল্লাহর দয়া ও করুণা পেতে। অন্য কিছু প্রত্যাশা করি না। কিন্তু এবারের রমজানের প্রথম জুমায় মারাত্মক আঘাত পেয়েছি। মনটা ভেঙে খান খান হয়ে গেছে। অনেক দূরে বারান্দায় ছিলাম বলে প্রতিবাদ করিনি বা করতে পারিনি। রমজানের প্রথম জুমায় মুসল্লি ছিলেন ধারণাতীত। ইমাম সাহেব চমৎকার খুতবা দিচ্ছিলেন। একসময় হঠাৎই ভেসে এলো অন্য গলা। ভাবলাম, মাহে রমজানের প্রথম জুমায় নিশ্চয় কোনো বড়সড় আলেম এসেছেন। কিন্তু কয়েক মিনিট তার কোনো কথা বুঝতে পারিনি। হঠাৎ জঙ্গি জঙ্গি মিরপুর মোহাম্মদপুর শুনে বুঝলাম এ তো আল্লাহ-রাসুলের খুতবা নয়, এ তো দারোগা-পুলিশের খুতবা। সারা দেহ মন জ্বলে উঠেছিল। রোজার প্রথম জুমার নামাজটাই নষ্ট হয়ে গেল। দারোগা-পুলিশ মসজিদে তাও আবার মাহে রমজানের প্রথম জুমায়। রমজানে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় সব জুমার নির্ধারিত খুতবা রয়েছে। সেখানে পুলিশ তাদের কিছু বলার থাকলে ভালো করে অজু-গোসল করে ধোপ-দুরস্ত হয়ে অন্য কোনো সময় বলতেন। কিন্তু মাহে রমজানের প্রথম জুমায় বলতে যাবেন কেন? রমজানের জুমা কত বড় বরকতময় তা কি তারা জানে না। মন বলছিল বুরবকটাকে তখনই বের করে দিই। কিন্তু পারিনি। এটা সরকারি সিদ্ধান্তে হয়েছে, না কর্মকর্তাদের করিতকর্মের ফল জানি না।
মসজিদে খুতবা দেবে নিষ্কলুষ মানুষ। তার কাজই আল্লাহ-রাসুল এবং ধর্ম নিয়ে মশগুল থাকা। তার ইমানি দায়িত্ব ফেলে বৈষয়িক চিন্তা ভালো নয়। হ্যাঁ, এটা খুবই সত্য ধর্মভীরু লাখ লাখ-কোটি কোটি মানুষকে বাদ দিয়ে দেশ, সমাজ নয়। তাদের সরকারের গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আমি শুধু সমাজপতি ও সরকারের কান পেতে সে কান্না শোনার আহ্বান জানাচ্ছি। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এটুকু যদি করতে না পারি, তাহলে বেঁচে থেকে লাভ কী? কোনো মুক্তিযোদ্ধা একদিনের নয়, যেদিন সে মুক্তিযুদ্ধে শরিক হয় সেদিন থেকে আজীবন মুক্তিযোদ্ধা। কখনো অস্ত্র হাতে রণাঙ্গনে, কখনো সমাজের অন্ধকারে আলো জ্বালাতে। তাকে সারা জীবন নিরন্তর যুদ্ধ করে যেতে হয়। তাই করে চলেছি।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম : রাজনীতিক ও কলাম লেখক
উৎসঃ আমাদের সময়
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন