সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায় নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ খাড়া করেছেন, তার অনেকটাই অসার প্রমাণিত হয়েছে প্রথম আলোয় প্রকাশিত সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে। এই প্রতিবেদন থেকে আমরা জানতে পারি কেবল সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ নয়, অতীতে আরও পাঁচ প্রধান বিচারপতিসহ উচ্চ আদালতের অনেক বিচারপতি রাষ্ট্রপতির এ-সংক্রান্ত ক্ষমতা (নিম্ন আদালতের ১৫শ বিচারকের নিয়ন্ত্রণ, অপসারণ ইত্যাদি প্রশ্ন) বাতিল চেয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের রায় ও প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে আওয়ামী লীগের প্রধান অভিযোগ—এতে সামরিক শাসক প্রবর্তিত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বহাল রাখা, সংবিধানে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে খাটো করে দেখা হয়েছে। এই তিন অভিযোগের প্রথমটি রায় এবং পরের দুটি শুধুই পর্যবেক্ষণ, তবে এ জন্য প্রধান বিচারপতিকে দোষারোপ করার ভিত্তি নেই। এর কোনোটিই সত্য নয়।
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল জিয়াউর রহমান করলেও এর উৎস চতুর্থ সংশোধনী। চতুর্থ সংশোধনীতে উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ থেকে সরিয়েরাষ্ট্রপতির হাতে নিয়ে যাওয়া হয়। জিয়াউর রহমান সেটি নিজের হাতে না রেখে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে ন্যস্ত করেন। ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীতেও তা টিকিয়ে রাখা হয়। দ্বিতীয়ত, ১৫শ বিচারক নিয়ন্ত্রণে ১১৬ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতিকে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, মাসদার হোসেন মামলার রায় অনুযায়ী বিচার বিভাগ পৃথক করার পর সেটি আর কার্যকর থাকে না। মূল সংবিধানে অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়োগ ও বদলির কর্তৃত্ব সুপ্রিম কোর্টের হাতে প্রত্যর্পণের কথা থাকলেও সরকার সেখানে ফিরে যেতে চায় না। অথচ সেই সংবিধানের দোহাই দিয়ে তারা উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফেরত নেওয়ার আইন করেছে। অধস্তন আদালত পরিচালনার ক্ষেত্রে বাহাত্তরের সংবিধানে যে ক্রান্তিকালীন বিধানাবলি সংযোজন করা হয়েছিল, স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও তার অবসান হয়নি। স্বাধীনতার আগের আইন (যখন বিচার বিভাগ পৃথক ছিল না)দিয়েই অধস্তন আদালত পরিচালনার কথা ২০১১ সালে আওয়ামী লীগ নতুন করে পুনর্ব্যক্ত করেছে। অর্থাৎ এই ক্ষমতা তারা রাষ্ট্রপতির হাতেই রাখতে সংকল্পবদ্ধ। এমনকি একে তারা সংবিধানের মৌলিক কাঠামো হিসেবেও ঘোষণা করেছে।
আরও বিস্ময়কর হলো আওয়ামী লীগ জিয়া-এরশাদের সামরিক শাসনকে অবৈধ দাবি করলেও সেই শাসনের এমন কিছু ধারা
বহাল রেখেছে, যা বাহাত্তরের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আদি সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ধর্মের নামে কোনো দল বা সংগঠন করা যাবে না। জেনারেল জিয়া সেটি বাতিল করে দেন এবং অদ্যাবধি তাঁর ফরমানই সংবিধানে বহাল আছে। আওয়ামী লীগ ধর্মবাদী দল জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করলেও পঞ্চম সংশোধনীর সংশ্লিষ্ট ধারা এবং রাষ্ট্রধর্ম সম্পর্কে নীরব। এই স্ববিরোধিতা নিয়ে আর যা-ই হোক সেক্যুলার বা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কায়েম করা যায় না।
আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ভ—নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা, বিচার বিভাগ। কিন্তু ব্রিটিশ রাজনীতিক এডমন্ড বার্গের মতবাদ
মেনে নিলে উল্লেখিত তিনটি স্তম্ভের সঙ্গে স্বাধীন গণমাধ্যমকে যুক্ত করা যায়। গণমাধ্যম স্বাধীন হলে রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক নাও হতে পারে, কিন্তু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য স্বাধীন গণমাধ্যম অপরিহার্য। কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব মনে করে রাষ্ট্র মানেই সরকার বা নির্বাহী বিভাগ, তার হাতেই সব ক্ষমতা থাকবে, অন্যরা উপগ্রহ মাত্র। তাঁরা ভুলে যান যে রাষ্ট্র পরিচালনায় নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা ও বিচার বিভাগ একে অপরের পরিপূরক, কেউ কারও প্রতিপক্ষ নয়। এই তিন স্তম্ভের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে তার সমাধান পাওয়ার ব্যবস্থা সংবিধানেই আছে।
আমরা জাতি হিসেবে যে কতটা অদূরদর্শী ও অবিবেচক ষোড়শ সংশোধনী রায় নিয়ে অহেতুক বিতর্ক করে সেটাই প্রমাণ করেছি। রায়ে আদালত যদি কোনো ভুল করে থাকেন, আইনি পথেই তার প্রতিকার খোঁজা উচিত ছিল। কিন্তু রাজপথে-মঞ্চে বিচার বিভাগকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানো কিংবা প্রধান বিচারপতিকে গণ-আদালতে বিচার করার রণহুংকার দেওয়া কেবল সংবিধান লঙ্ঘন নয়, গণতান্ত্রিক শিষ্টাচারেরও পরিপন্থী। আদালতের রায় যেমন সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়, তেমনি সংসদে পাস করা কোনো আইনকেও শাশ্বত ভাবার কারণ নেই। জাতীয় সংসদের আইনই যদি চূড়ান্ত হতো তাহলে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের খুনিদের বিচার বন্ধে প্রণীত ইনডেমনিটি আইনটি কখনোই বাতিল করা যেত না।
দুর্ভাগ্যজনক যে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল-সংক্রান্ত রায় এখন আর আইনি বিতর্কের মধ্যে সীমিত নেই। এটি হয়ে পড়েছে মির্জা ফখরুলের ভাষায় ‘আগুন নিয়ে খেলা’ এবং ওবায়দুল কাদেরের ভাষায় ‘সাপ নিয়ে খেলা’। এই রায় নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের ক্ষুব্ধ ও বিএনপির নেতাদের আহ্লাদিত হওয়ার কারণ দেখি না। আদালত যদি রাজনীতিকদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে থাকেন, দলনির্বিশেষে করেছেন। রায়ে সব আমলের সমালোচনা করা হয়েছে। বিএনপি সরকার যে আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগকৃত হাইকোর্টের ১০ জন বিচারককে চাকরি থেকে বাদ দিয়েছিল, তাও কিন্তু করা হয়েছিল রাষ্ট্রপতির আদেশবলে। উচ্চ আদালত সেই আদেশকে বাতিল করেছেন বলেই তাঁরা পরবর্তীকালে চাকরি ফেরত পেয়েছিলেন। নিয়োগকর্তা রাষ্ট্রপতির আদেশের পবিত্রতা রক্ষা করলে তাঁরা চাকরি ফেরত পেতেন না। রাষ্ট্রপতির নাম ভাঙিয়ে এ ধরনের অনিয়ম-বিচ্যুতি কেবল বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগ আমলেও হয়েছে।
তিন সপ্তাহ ধরে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা যে ভাষায় প্রধান বিচারপতিকে গালমন্দ করেছেন, কোনো গণতান্ত্রিক দেশের রাজনীতিকেরা সেটি করতে পারেন না। রায়ের পর্যবেক্ষণ যতটা আমরা পড়েছি, জেনেছি তাতে তিনি বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটাক্ষ করে কিছু বলেছেন বলে মনে হয় না। বরং তিনি অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে বহুবার বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করেছেন, দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য তাঁর অসাধারণ অবদানকে স্বীকার করেছেন।
দ্বিতীয়ত, প্রধান বিচারপতি যে ‘আমিত্বের’ কথা বলেছেন, বা একক ব্যক্তি দ্বারা কোনো দেশ গঠিত হয় না বলে রায়ে যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন, সেটি কোনো ব্যক্তি বিশেষকে লক্ষ করে নয়; বরং আমাদের রাষ্ট্রীয়, রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক একনায়কত্ববাদের কথা বলেছেন।
সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে জাতীয় সংসদে আলোচনা হতে পারে, আইনি তর্কও চলতে পারে, কিন্তু কোনোভাবেই রায় নিয়ে রাজপথ প্রকম্পিত করা গণতান্ত্রিক রীতির পরিচয় নয়। আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে ষোড়শ সংশোধনীর রায় ছাপিয়ে প্রধান বিচারপতির দেশপ্রেম, ধর্মবিশ্বাস ইত্যাদি নিয়েও কটাক্ষ করা হয়েছে। এখানে দু-একটি উদাহরণ তুলে ধরছি: ২৭ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধান বিচারপতির বিচার জনতার আদালতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে জনতার আদালত তৈরি হচ্ছে।’ একই দিন বিএমএ আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আপনার বাংলাদেশের কিছুই পছন্দ হয় না। আপনি বাংলাদেশ ত্যাগ করলেই পারেন। আবোলতাবোল কথার কিন্তু একটা সীমা আছে।’ যুব মহিলা লীগের মানববন্ধনে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা পাকিস্তানপ্রেম দেখান। কারণ, তিনি পাকিস্তানের দালাল।’ তবে আদালত অবমাননার দায়ে দণ্ডিত দুই মন্ত্রী-খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক তর্জন-গর্জনে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগের সাংসদ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, একটি ইংরেজি পত্রিকার সম্পাদক রায় লিখে দিয়েছেন।
জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীদের কথা মেনে নিলে আওয়ামী লীগ সরকার একজন পাকিস্তানপন্থী লোককে ‘রাজনৈতিক বিবেচনায়’প্রধান বিচারপতি বানিয়েছে। তাও যোগ্যতা বিবেচনা করে নয়, সংখ্যালঘু হিসেবে অনুগ্রহ করে। তাঁদের জানা উচিত, বাংলাদেশের অনেক আগেই একজন হিন্দু পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন। কোনো পত্রিকার সম্পাদক রায় লিখে দিয়েছেন বা লেখা রায় পেনড্রাইভে তাঁর কাছে চলে আসার কথা বলা কেবল ব্যক্তি নয়, গোটা বিচারব্যবস্থার প্রতিই অশ্রদ্ধা প্রকাশ পায়। প্রধান বিচারপতিকে পাকিস্তানে পাঠানো কিংবা জনতার আদালতে বিচার করার হুমকি নিশ্চয়ই রাজনৈতিক সুরুচি বা শালীনতার পরিচয় নয়। যখন কোনো মন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় তাঁকে প্রধান বিচারপতি করা হয়েছে, তাঁর মাধ্যমে পদায়ন পাওয়া ব্যক্তিকেই খাটো করা হয় না, নিয়োগকর্তা মহামান্য রাষ্ট্রপতিকেও হেয় করা হয়। সে ক্ষেত্রে তো প্রধান বিচারপতি সংসদ ও নির্বাহী বিভাগ সম্পর্কে যে শঙ্কা ব্যক্ত করেছেন, সেটাই সত্য বলে প্রতীয়মান হয়।
তবে আদালতের রায় নিয়ে কেবল ক্ষমতাসীন দলটিই বাড়াবাড়ি করেনি, বিরোধী দল বিএনপিও শুরু থেকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করেছে। দেশের উত্তরাঞ্চল বন্যায় ভাসছে, সারা দেশে রাস্তাঘাট বেহাল, দুর্গত মানুষের আহাজারিতে বাতাস ভারী হচ্ছে—এসব
কিছুই বিএনপি নেতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করে না। তাঁরা রায় নিয়ে এমন ডঙ্কা বাজালেন যে মনে হচ্ছিল ক্ষমতার কাছাকাছি চলে এসেছেন। কিন্তু রায়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান প্রবর্তিত শাসনকে যে ব্যানানা রিপাবলিক এবং তাকে ‘নোংরা রাজনীতির নিয়ামক’বলে বিএনপির নৈতিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে, অথচ সে বিষয়ে তাঁরা একটি কথাওবলছেন না। সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের অপব্যবহার যে বিএনপি আমলেও বেশ ঘটেছে, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ ছাড়াই তিন জেলা জজকে আইন মন্ত্রণালয়ে প্রেষণে পাঠানো তার একটি উদাহরণ মাত্র।
যখনই দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসনের ঘাটতির কথা আসে, আওয়ামী লীগ নেতারা বুলন্দ আওয়াজ তোলেন, স্বাধীনতার পর বেশির ভাগ সময় তাঁদের ভাষায় স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দেশ শাসন করেছে বলেই এই দুর্গতি। তাহলে ৪৬ বছরের দায় কেন আওয়ামী লীগ নিজের কাঁধে নিল এবং বিচার বিভাগকে শত্রুর কাতারে দাঁড় করাল?
রায়ে ক্ষমতাসীনেরা যদি সত্যি সত্যি আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন, তঁাদের উচিত রিভিউর জন্য আবেদন করে প্রতিকার চাওয়া। আদালতকে রাজপথে নিয়ে আসা যেকোনোভাবেই কারও জন্য কল্যাণকর নয়, সে কথাটিই আরও পরিষ্কার করে বলেছেন
প্রখ্যাত সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। তিনি লিখেছেন, ‘এবারের বিতর্কে যদি বিচার বিভাগের ক্রেডিবিলিটি নষ্ট হয়, তাহলে নির্বাহী বিভাগের ক্রেডিবিলিটিও নষ্ট হবে, তাহলে নির্বাহী বিভাগের ক্রেডিবিলিটিও রক্ষা পাবে না। বিচার বিভাগের মর্যাদা যতটা ক্ষুণ্ন করা হয়েছে, তা উদ্ধারে বহু যুগ লাগবে। আওয়ামী লীগের যেসব মন্ত্রী ও নেতা লাগামহীন কথাবার্তা শুরু করেছেন, তাঁরা যেন সতর্ক হন। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে শূন্যাবস্থা সৃষ্টি করে তাঁরা যেন সেই শূন্যাবস্থা পূরণে একটি অপশক্তির পথ খুলে না দেন। (আগুন নিয়ে খেলা, যুগান্তর, ২৮ আগস্ট ২০১৭)।
বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে এই ‘আত্মঘাতী যুদ্ধ’ বন্ধ হোক।
সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
উৎসঃ প্রথমআলো
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন