বিচার বিভাগে চলছে দ্বৈত শাসনগত ১১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির ‘আদেশক্রমে’ আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে একটি পরিপত্র প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রস্তাবিত খসড়া (অধস্তন আদালতের বিচারকদের অপসারণ ও তাঁদের আচরণবিধি-সংক্রান্ত) বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা নেই মর্মে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সানুগ্রহ সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। এরপর আপিল বিভাগ বলেছিলেন, রাষ্ট্রপতিকে ভুল বোঝানো হয়েছে। আদালত ১৫ জানুয়ারির মধ্যে এই গেজেট প্রকাশের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। কিন্তু রোববার পর্যন্ত তা প্রতিপালন করা হয়নি বলেই জানা যায়। ইতিমধ্যে দেশের জ্যেষ্ঠ আইনবিদদের অনেকে বলেছেন, কোনো কারণে গেজেট না হলেও ক্ষতি নেই। কারণ সংবিধানে গেজেটকেই আইন তৈরির একমাত্র হাতিয়ার করা হয়নি। আদালত নিজেই তাঁর আদেশকে আইন করার এখতিয়ার রাখেন। সব থেকে বড় কথা হলো, বিষয়টি কোনো মামুলি প্রশাসনিক আদেশ নয়। এর সঙ্গে বিচারক ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রশ্ন ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
আমরা এই নিবন্ধে যুক্তি দিচ্ছি যে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রশ্ন জড়িত থাকার কারণে রাষ্ট্রপতি আর দশটা ক্ষেত্রে যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে তাঁর সব কর্তব্য (প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির নিয়োগ ছাড়া) সমাধা করেন, সেই নিয়ম এখানে প্রযোজ্য হবে না। তার মানে, রাষ্ট্রপতি যদি দেখেন যে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শের সঙ্গে সংবিধানের কোনো মৌলিক কাঠামোর দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে, তখন তিনি স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন।
রাষ্ট্রপতির ‘সিদ্ধান্ত’ আদালত সূত্রের আগে আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ পেয়েছে, যা সমীচীন ছিল না। তবে এখন আমরা গেজেট না পেলে এটা ধরে নেওয়াই যুক্তিসংগত মনে করব যে রাষ্ট্রপতি সুচিন্তিতভাবে মনে করেছেন যে গেজেট দিয়ে ওই বিধি আইনে কার্যকর করার দরকার নেই। কারণ আদালত তাঁর আদেশ সংশোধন করেই প্রস্তাবিত বিধি কার্যকর করতে পারেন।
ভারতে বিচার বিভাগ সরকারের সঙ্গে যুক্ত নেই। আমাদের মতো তাই তাদের দ্বৈত শাসন নেই। কিন্তু কয়েকটি বিধানে আমাদের বিচারকদের বদলি ও অপসারণ-সংক্রান্ত ১১৬ অনুচ্ছেদে যেভাবে কনসালটেশন বা পরামর্শের বিধান আছে, সেভাবে তাদেরও কয়েকটি বিধান আছে। তাই এক অর্থে তাদেরও কিছুটা দ্বৈত শাসন আছে। ভারতের ২১৭ অনুচ্ছেদটি অন্যতম উদাহরণ। এই বিধান কার্যত আমাদের ১১৬ অনুচ্ছেদের মতো একটি বিষয়। ভারতের ২১৭ (৩) অনুচ্ছেদের আওতায় হাইকোর্টের বিচারপতিদের বয়স নিয়ে কোনো তর্ক বাধলে তা নিষ্পত্তির ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির কাছে ন্যস্ত। তবে তিনি সেটা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করে সুরাহা করবেন। এমনকি এই অনুচ্ছেদ নির্দিষ্ট করে বলেছে, রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এ রকম কথা কিন্তু আমাদের ১১৬ অনুচ্ছেদে নেই।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জ্যোতি প্রকাশ মিত্রর জন্ম তারিখে ভুল ছিল। এ বিষয়ে তিনি রাষ্ট্রপতির একটি সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে রিট করেছিলেন। এর নিষ্পত্তি হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি ডিডি বসুর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে তিনি তাঁর অনুকূলে রায় পান। বিচারপতি বসু তাঁর রায়ে লিখেছিলেন, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে কথাটির উল্লেখ করে ৩১ অক্টোবর, ১৯৬৫ যে সিদ্ধান্ত রিট আবেদনকারীকে জানানো হয়েছিল, সেটা রাষ্ট্রপতির ‘সিদ্ধান্ত’ ছিল না; মন্ত্রিসভা বা প্রধানমন্ত্রীর ছিল। তার মানে, রাষ্ট্রপতির নেওয়া সিদ্ধান্তকে ‘রাবার স্ট্যাম্প’ সিদ্ধান্ত বলেই প্রতিভাত হয়। রায়ে বলা হয়েছিল, রাষ্ট্রপতি স্বাধীনভাবে রায় দিতে পেরেছেন, তা মনে করা যাবে না। আবেদনকারীকে রাষ্ট্রপতি ব্যক্তিগত শুনানির সুযোগও দেননি। এসব যুক্তি দেখিয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করেন। তখন রাষ্ট্র একটি সনদ চেয়েছিল যে এর সঙ্গে সাংবিধানিক প্রশ্ন জড়িত। সেই আপিলের কারণেই বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে আসে।
১৯৭১ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বয়স যাচাই–সংক্রান্ত তথ্যগুলোর বিষয়ে বিচারপতি মিত্রর বিপক্ষে রায় দেন। কিন্তু বিচার বিভাগের স্বাধীনতার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তে প্রধানমন্ত্রীর তর্কিত ভূমিকা অপসারণের পক্ষেই মত দেন। ওই রায়ে যেসব প্রশ্ন মীমাংসিত হয়, তা আমাদের মাসদার হোসেন মামলার সাম্প্রতিক আইনি প্রশ্নে প্রাসঙ্গিক মনে হয়। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের এ রায়ে খুবই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে বিচারিক ধরনের কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে রাষ্ট্রপতিকে ‘বেসিক রুলস অব ন্যাচারাল জাস্টিস’ অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। আমরা মনে করি, ১১ ডিসেম্বরের ওই পরিপত্র জারিতে তা বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট যা বলেছেন, আমরা তাঁর প্রতিধ্বনি করি: ‘যদি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমাদের দেশে শক্তিশালী করতে হয়, তাহলে প্রেসিডেন্ট তাঁর ক্ষমতার সামান্যতম অপব্যবহার করেছেন বা তেমন কোনো সন্দেহ প্রতীয়মান হতে পারে, তাহলে তেমন ঘটনা অবশ্যই এড়াতে হবে। অন্যথায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা সুপারিশ করছি যে এই পরামর্শ গ্রহণবিষয়ক অনুচ্ছেদের আওতায় কাউকে কোনো নোটিশ প্রদান করা বা অন্য কোনো কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে সাধারণভাবে রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের মাধ্যমে সব ধরনের যোগাযোগ সম্পন্ন হতে হবে।’ সে কারণে আশা করব এখন থেকে ১১৬ অনুচ্ছেদের অধীনে কোনো নথিপত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাতে আর না যায়, তার একটা বিহিত করা হবে। এই রায়ে আমাদের প্রয়াত প্রধান বিচারপতি কামাল উদ্দিন হোসেনের মতের প্রতিফলন পাওয়া যায়। তিনি আমাকে বলেছিলেন, সংবিধানে যেখানে নির্দিষ্টভাবে রাষ্ট্রপতির উল্লেখ আছে, সেখানে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে টানব না। আমরা নতুন রেওয়াজ গড়ব যে রাষ্ট্রপতি এসব ক্ষেত্রে তাঁর স্বীয় বিবেচনায় চলবেন। কোনো এক সুন্দর সকালে এমন অনুশীলন শুরু করে দিলেই হলো। তবে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট যখন এ বিষয়ে বলতে পেরেছেন, তখন আমরা পারব না কেন?
একাত্তরের ২১ জানুয়ারি দেওয়া ওই রায় থেকে আরও একটু বরাত দেব: ‘রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির পরামর্শের মধ্যে অন্য কারও মধ্যস্থতা বা “ইন্টারপজিশন অব অ্যানি আদার বডি অর অথরিটি” (প্যারাগ্রাফ ৩৫) থাকবে না। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রশ্ন আছে এমন বিষয়ে রাষ্ট্রপতি তাঁর মন্ত্রীদের পরামর্শে চলতে পারেন না।’ আমাদের দেশে কেউ কেউ মনে করেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে তা আদালত তদন্ত করতে পারেন না। এমন একটা কথা ভারতে যেমন, তেমনি আমাদের সংবিধানেও আছে, কিন্তু তা সঠিক নয়।
তাঁদের উদ্দেশে ওই রায় থেকেই বলি, ‘রাষ্ট্রপতির কোনো আদেশ যদি চূড়ান্তভাবে ঘোষণা দেওয়া হয়েও থাকে, তাহলে কোনো উপযুক্ত ক্ষেত্রে আদালতের এখতিয়ার রয়েছে তা বাতিল করে দেওয়ার। যদি এমনটা প্রতীয়মান হয় যে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত কোনো যৌথ বিবেচনাপ্রসূত (কোলেটারেল কনসিডারেশনস) কিংবা ‘রুলস অব ন্যাচারাল জাস্টিস’ অনুসরণ করা হয়নি কিংবা প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত নির্বাহী বিভাগের কোনো পরামর্শ বা নথিপত্রের দ্বারা প্রভাবিত করা হয়েছে কিংবা যদি দেখা যায় সিদ্ধান্তের সপক্ষে কোনো অ্যাভিডেন্স নেই, তাহলে তা বাতিলযোগ্য। আমাদের সন্দেহ অল্প যে এই পরীক্ষাটা এখানে হলে সরকার লজ্জিত হবে।
মাসদার হোসেন মামলায় প্রধান বিচারপতি মোস্তাফা কামাল লিখেছেন, ‘আমাদের মনে কোনো সন্দেহ নেই যে ১১৬ অনুচ্ছেদের আওতায় রাষ্ট্রপতির ÿক্ষমতা সম্পর্কে সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ যথার্থই নির্দিষ্ট করেন যে সংবিধানের ৪৮ (৩) ও ৫৫ (২)-এর আওতায় এই ক্ষমতার মালিক প্রধানমন্ত্রী কিংবা দেশের প্রধান রাজনৈতিক নির্বাহী। রাষ্ট্রপতি ব্যাপক ও বিবিধ ক্ষেত্রে অধস্তন আদালতের বিচারকদের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে পারেন। সুতরাং বাস্তবে এ ক্ষেত্রে প্রকৃত ক্ষমতা প্রয়োগকারী হলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু রাজনৈতিক ব্যক্তি, যাঁর কাছে প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা ন্যস্ত রয়েছে, তাই তাঁর এ রকম নিরঙ্কুশ ÿক্ষমতার ওপর একটা নিয়ন্ত্রণ দরকার।’
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সন্দিহান ছিলেন যে ভবিষ্যতে এটা না আবার একটা নড়বড়ে খুঁটিতে পরিণত হয়। সে জন্য ওই রায়ে ওই মন্তব্যের পরে বলা হয়, ‘তাই ড. কামাল হোসেন যথার্থই “সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ” কথাটিকে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো গণ্যে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার খুঁটি হিসেবে বর্ণনা করেন। এই খুঁটিকে বাঁশের খুঁটিতে পরিণত করা যায় না। তাই পরামর্শ কথাটায় কিছু দাঁত দিতে হবে। অন্যথায় যেমনটা সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ যথার্থই চিহ্নিত করেছেন যে ১১৬ ও ১১৬ ক অনুচ্ছেদ হরবোলা পাখিতে (মোকিং বার্ডস) পরিণত হবে। এখন প্রশ্ন হলো, সেই দাঁত কী? এটা কি কেবলই অর্থপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য পরামর্শ এবং আনুষঙ্গিক সব তথ্যের সম্পূর্ণ বহিঃপ্রকাশ? আর এসবই কি যথেষ্ট?’
এই প্রশ্নের উত্তর প্রয়াত বিচারপতি মোস্তাফা কামাল দিয়ে গেছেন। তিনি এরপর লিখেছেন, ‘এতে কোনো সন্দেহ নেই যে এসবই “পরামর্শ” প্রক্রিয়ার অপরিহার্য এবং প্রয়োজনীয় উপাদান। কিন্তু শেষ বিচারে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রাধান্য পেতে হবে, যা নির্বাহী বিভাগ অশ্রদ্ধা করবে না। কারণ এই হলো সেই সুপ্রিম কোর্ট, রাজনৈতিক নির্বাহী নয়, যাঁরা বিচারিক কর্মকর্তা ও বিচার বিভাগীয় বিষয়ে উত্তম বিচারক। জনাব আমীর-উল ইসলাম ১১৬ অনুচ্ছেদের অধীনে সুপ্রিম কোর্টের মতামতের প্রাধান্যকে জোরালোভাবে উপস্থাপন করেছেন এবং আমরা সম্পূর্ণরূপে তাঁর এ যুক্তি গ্রহণ করেছি। আমরা অভিমত দিচ্ছি যে ১১৬ অনুচ্ছেদের অধীনে যেকোনো বিষয়ে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের অভিমত নির্বাহী বিভাগের দেওয়া অভিমতের ওপর প্রাধান্য পাবে।’
এখানে আমরা স্মরণ করতে চাই যে ১৯৮১ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছিলেন, সংবিধানে যে ‘পরামর্শের’ কথা বলা আছে, তাতে নির্বাহী বিভাগের মতামতই প্রাধান্য পাবে। কারণ তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। কিন্তু ১৯৯৩ সালে এসেই ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট ওই রায় উল্টে দেন। এরপর ১৯৯৮ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের কাছে জানতে চাইলেন, আপনারা একবার বলছেন আপনাদের মত প্রাধান্য পাবে, একবার বলছেন সরকারের মত প্রাধান্য পাবে, তাহলে কোনটা চলবে? ভারতের সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্তভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে সুপ্রিম কোর্টের মত প্রাধান্য পাবে। আর সেটাই এখনো পর্যন্ত ভারতে বহাল রয়েছে। সংবিধানের ৯৯তম সংশোধনী, যা দিয়ে ভারতের পার্লামেন্ট বিচারক নিয়োগ কমিশন গঠন করেছিল, তা বাতিল করে দিয়েছে। ২০১৫ সালে দেওয়া সেই রায়েও ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের মতের প্রাধান্যের কথাই পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
মাসদার হোসেন মামলার রায় রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে না। তবে আগেও লিখেছি, ১১৬ অনুচ্ছেদ সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী। মাসদার হোসেনের অন্যতম রায়দানকারী বিচারপতি মাহমুদুল আমীন চৌধুরী আমাদের বলেছিলেন, একে বাতিল ঘোষণার পথ এখনো খোলা। মাসদার হোসেন বা অন্য কেউ দরখাস্ত করুন। ১ জানুয়ারি মাসদার হোসেন চট্টগ্রাম প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের বিচারক বা জেলা ও দায়রা জজ থেকে অবসরে এসেছেন। জানতে চাওয়া হলে তিনি রোববার আগ্রহ ব্যক্ত করেন এই বলে যে ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার স্বার্থে আমি সম্ভব সব পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত রয়েছি।’ আশা করব, শৃঙ্খলাবিধি অচিরেই দেশের প্রচলিত আইনে পরিণত হবে।
মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক৷
উৎসঃ প্র্রথমআলো
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন