শতাব্দীর পর শতাব্দী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ পশ্চিমি সাম্রাজ্যবাদী ও উপনিবেশবাদীদের পদানত ছিল। দীর্ঘ সংগ্রাম করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বহু জাতি স্বাধীনতা অর্জন করে। জাতীয়তাবাদী নেতাদের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতিরাষ্ট্র। অধিকাংশ জাতিরাষ্ট্রের নেতাদের অঙ্গীকার ছিল শোষণযুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি প্রবর্তন। সে জন্য অন্যতম পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়নের সমর্থন তাঁরা পেয়েছেন। নতুন স্বাধীন দেশগুলোতে আরেক পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র তার প্রভাব বিস্তার করতে বল প্রয়োগ করে জাতীয়তাবাদীদের পতন ঘটায়। ফলে পঞ্চাশ, ষাট ও সত্তরের দশকে বহু দেশে ঘটে রক্তাক্ত সামরিক অভ্যুত্থান। কোথাও রক্তপাতহীন অভ্যুত্থান।
বঙ্গবন্ধু একাধিকবার জনসভায় বলেছেন, ‘আমার অবস্থা যদি আলেন্দের মতোও হয়...’। ওই বক্তব্যের অর্থ ছিল এই: চিলির নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সালভাদর আলেন্দে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর ষড়যন্ত্রে এক সামরিক অভ্যুত্থানে ১৯৭৩-এর সেপ্টেম্বরে নিহত হন। ১৯৭০-এর নির্বাচনে জয়লাভ করে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তাঁর সোশ্যালিস্ট পার্টি ভারী শিল্প রাষ্ট্রায়ত্ত করে এবং যৌথ উৎপাদনব্যবস্থা প্রবর্তন করে। তাঁর বামপন্থী আর্থসামাজিক কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের গাত্রদাহের কারণ ঘটায়। যুক্তরাষ্ট্র চিলিতে আলেন্দের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গোষ্ঠীকে মদদ দিয়ে শক্তিশালী করে। বিরোধী রাজনীতিবিদ, বিচার বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা, আইন পরিষদের বিরোধীদলীয় সদস্য, সাংবাদিক নেতা প্রভৃতি শ্রেণি-পেশার মানুষ আলেন্দের বিরুদ্ধে চলে যান। বিশেষ করে সেনাবাহিনীকে তাঁর বিরুদ্ধে কাজে লাগায়। জেনারেল অগাস্তো পিনোশের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী এক রাতে প্রেসিডেন্টের লা মনেদা প্রাসাদে আক্রমণ চালিয়ে আলেন্দেকে হত্যা করে। গণতান্ত্রিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে সামরিক শাসন প্রবর্তন করা হয়।
যে বৈদেশিক শক্তি আলেন্দেকে হত্যা করেছিল তাঁর প্রগতিশীল রাজনীতির জন্য, সেই শক্তিকেই বঙ্গবন্ধু সন্দেহ করছিলেন তাঁরও ক্ষতি করতে পারে। অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তাঁর সেই সন্দেহ অমূলক ছিল না। আলেন্দে ছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়নের মিত্র। সমাজতন্ত্রপন্থী ও পশ্চিমি আগ্রাসী পুঁজিবাদের বিরোধী। সোভিয়েত রাশিয়া বঙ্গবন্ধুরও ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল। তিনিও ভারী শিল্পকারখানা রাষ্ট্রায়ত্ত করেছিলেন। দুই পরাশক্তিবিশিষ্ট বিশ্বে সোভিয়েত রাশিয়াকেই তিনি মনে করতেন তাঁর ‘এক নম্বর বন্ধু’। মনে আছে, তিনি যখন ১৯৭৩-এর জানুয়ারিতে কবি হাসান হাফিজুর রহমানকে দৈনিক বাংলার সম্পাদকের পদ থেকে কোনো দূতাবাসে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তখন তিনি তাঁকে বলেন, ‘তোমাকে আমি আমার এক নম্বর বন্ধুর কাছে পাঠাচ্ছি। আরামে থাকবা।’ গণভবনে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি যখন এই কথা বলেন, তখন সেখানে ফয়েজ আহমদ, নির্মল সেন প্রমুখের সঙ্গে আমিও ছিলাম। নির্মল সেন বললেন, ‘তা দিল্লিতে গেলে মন্দ হয় না, কবি লেখালেখি করতে পারবে।’ বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘ওকে পাঠাচ্ছি মস্কো।’ বঙ্গবন্ধু হয়তো আশঙ্কা করেছিলেন সোভিয়েত রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে তাঁকে চরম মূল্য দিতে হতে পারে, সেই শক্তির হাতে যারা সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির বিরুদ্ধে বা নয়া সাম্রাজ্যবাদী। কিন্তু তিনি স্বপ্নেও ভাবেননি যে তাঁকে তাঁর দেশের কেউ হত্যা করতে পারে। সে সন্দেহ থাকলে নিজের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা জোরদার করতেন। সেনাবাহিনীতেও ওপরের পদগুলোতে নিয়োগ দিতেন একান্ত বিশ্বাসভাজনদের, নিমকহারাম ও কাপুরুষদের নয়।
জাতি হিসেবে আমরা আত্মপ্রতারণায় অভ্যস্ত। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ক্ষেত্রে; রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আরও বেশি। অতীত গোপন করলে অথবা ভুলে যাওয়ার ভান করলে ভবিষ্যৎ ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। ১৫ আগস্টের ট্র্যাজেডির অপার শোক এই পৃথিবীতে শুধু দুটি মানুষকেই আজীবন বহন করতে হবে, অন্য কাউকে নয়। তাঁরা হলেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। কোনো ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ বা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক নিজের বড় ছবি ও বঙ্গবন্ধুর ছোট ছবি দিয়ে ডিজিটাল ব্যানার টাঙিয়ে ও পোস্টার করে বলছেন তিনি ‘শোকাহত’। চাঁদা তুলে ব্যানার করায়ও দোষ নেই। তিনি শোকাহত তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু এসবে বঙ্গবন্ধুর আত্মা কষ্ট পায়, তাতেও কোনো সন্দেহ নেই।
সেনাবাহিনীর কিছু লোক ১৫ আগস্টের নারকীয়তা ঘটায়। সে সম্পর্কে তখনকার প্রধান সেনাপতি কয়েক বছর যাবৎ যা বলছেন, তা এবারও বলেছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে, ‘আমি ছাড়া সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন সবাই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে জানতেন। কিন্তু কেউ আমাকে সে বিষয়ে কিছু জানাননি।’ (ভোরের কাগজ, ১২ আগস্ট)। একজন উত্তম বীরের মতোই কথা। তিনি আরও বলেছেন, ডালিম তাঁকে রেডিও স্টেশনে নিয়ে যেতে ক্যান্টনমেন্টে তাঁর রুমে যান এবং বলেন, ‘আমি আপনাকে রেডিও স্টেশনে নিয়ে যেতে এসেছি। প্রেসিডেন্ট আপনাকে নিয়ে যেতে বলেছেন। বললাম, প্রেসিডেন্ট? আমি তো শুনেছি বঙ্গবন্ধু আর বেঁচে নেই, তাহলে তিনি আমাকে কীভাবে ডেকে পাঠান? ডালিম তখন বলে, নাউ খন্দকার মোশতাক ইজ দ্য প্রেসিডেন্ট। আমি বলি, খন্দকার মোশতাক মে বি ইয়োর প্রেসিডেন্ট, বাট হি ইজ নট মাইন। হতে পারে না।’
একজন জুনিয়র অফিসারের সঙ্গে সাহসী সেনাপতির কথা হচ্ছে, যখন বঙ্গবন্ধুর মরদেহ তাঁর বাসভবনে। সেনাপতির নিশ্চয়ই কিছু করার ছিল, কিন্তু তিনি কিছুই করেননি। শুধু তা-ই নয়, ডালিমদের প্রেসিডেন্ট যখন সেনাপতিকে রাষ্ট্রদূতের মোহনীয় চাকরি দিলেন, তখন তিনি বলতে পারতেন ইংরেজিতে, ‘ইউ আর নট মাই প্রেসিডেন্ট, আই উইল নট অ্যাকসেপ্ট ইয়োর অফার। আপনি ডালিমদের প্রেসিডেন্ট, আমি আপনার দেওয়া চাকরি করব না।’ তিনি শুধু মোশতাকের নন, জিয়ার ও এরশাদের রাষ্ট্রদূতের আরামের চাকরি করেন ১৫টি বছর। তারপর হন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। বাঙালি জাতির দুর্ভাগ্য, অপরাধীকে সে মর্যাদা দেয়। পদ দেয়, সম্মান দেয়।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড কোনো সাধারণ ফৌজদারি অপরাধ নয়। ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বরের পর জাতীয় জীবনে ওই হত্যাকাণ্ড ছিল সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ঘটনা। ফৌজদারি অপরাধের বিচার ও নিষ্পত্তি হয় আদালতে। রাজনৈতিক ঘটনা আদালতের পক্ষে নিষ্পত্তির জিনিস নয়। তা বিচার-বিশ্লেষণ করার দায়িত্ব রাজনৈতিক নেতৃত্বের। বঙ্গবন্ধু হত্যার ফৌজদারি অপরাধের বিচার হয়েছে আদালতে। ঘাতকেরা সাজা পেয়েছে দণ্ডবিধি অনুযায়ী। তাঁকে হত্যার ভেতর দিয়ে তাঁর রাজনীতিকেও হত্যা করা হয়। কোনো একজন জাতীয় নেতাকে শারীরিকভাবে হত্যা করা এবং তাঁর রাজনীতিকেও হত্যা করা কোনো দেশে সংঘটিত সর্বোচ্চ রাজনৈতিক অপরাধ।
বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে অথবা ওই হত্যাকাণ্ডের সময় যারা তাঁর বাসভবনে উপস্থিত ছিল, তারা কেউই তাঁর ব্যক্তিগত শত্রু ছিল না। অনেকে তাঁকে কাছে থেকে দেখেওনি কখনো। তাদের কাউকে তিনি কোনো দিন একটি ধমক পর্যন্ত দেননি। তারা কারও না কারও ভৃত্য হিসেবে এই বীভৎস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তাদের পেছনে যারা ছিল, যারা তাদের বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে পাঠিয়েছিল, তাদের অপরাধ অতি গুরুতর। তাদের সূক্ষ্ম পরিকল্পনা ছাড়া ঘাতকদের সাধ্য ছিল না ৩২ নম্বরের ত্রিসীমানায় আসে। সেই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা লোকদের মুখোশ উন্মোচনের কাজটি জাতি করতে ব্যর্থ হয়েছে। সে জন্য বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারকাজ আজও অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে।
বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বহু হয়েছে। আমেরিকার কয়েকজন প্রেসিডেন্ট আততায়ীর হাতে নিহত হয়েছেন। শুধু প্রেসিডেন্ট কেনেডি নন, তাঁর ভাই সিনেটর কেনেডিও নিহত হয়েছেন। ভারতের শীর্ষ নেতা মহাত্মা গান্ধী নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান নিহত হয়েছেন। ভারতের দুজন প্রধানমন্ত্রী নিহত হয়েছেন। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট বন্দরনায়েকে নিহত হয়েছেন। সেসবই রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।
রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হলেও অন্যান্য জাতীয়তাবাদী নেতার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পার্থক্য প্রচুর। সেসব ক্ষেত্রে তাঁদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং কোনো আন্তর্জাতিক চক্র শুধু নেতাকেই তাদের নিশানা করেছে। সেখানে নেতৃত্বকে সরিয়ে দেওয়াই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ক্ষেত্রে তা নয়। শুধু জাতির নেতৃত্ব থেকে তাঁকে সরানো নয়, তাঁর ওপর ছিল চক্রান্তকারীদের ব্যক্তিগত আক্রোশ ও তীব্র প্রতিহিংসা। সে জন্য তাঁকে সপরিবারে এবং নিকটতম আত্মীয়স্বজনসহ পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কী কারণে তাঁর পত্নী, তাঁর প্রিয়তম তিন পুত্র, নববিবাহিত তাঁর দুই পুত্রবধূ, যাঁদের একজন ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা, তাঁর রাজনীতিবিদ ভাগনে, অরাজনৈতিক সহোদর, তাঁর রাজনীতিবিদ ভগ্নিপতি প্রমুখ একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের শিকার হবেন? সেটা কোন মাত্রার জিঘাংসা?
রাষ্ট্রের শাসনকাজ পরিচালনা করতে গিয়ে সিদ্ধান্তে ভুল করেননি, এমন শাসক পৃথিবীর পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাসে একজনও পাওয়া যাবে না। রক্তাক্ত সংগ্রামের ভেতর দিয়ে অর্জিত স্বাধীন দেশের প্রথম সরকার হিসেবে ভুলভ্রান্তি তাঁর সরকারও করেছে।কিন্তু সব ভুলের দায় কি শুধু তাঁর ওপরই বর্তায়? তাঁর সহকর্মীরা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেননি অথবা ভুল করেছেন। সেসবের দায় গিয়ে পড়েছে তাঁর ওপর, যাঁরা ভুল করেছেন, তাঁরা থেকে গেছেন আড়ালে, নিরাপদে। দলীয় নেতা-কর্মীদের গণবিরোধী কাজে তিনি নিজেও একপর্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলেন। বিরোধী দল ছিল অতি বৈরীভাবাপন্ন। সশস্ত্র সংগঠন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এম মনসুর আলীর বাসভবন আক্রমণের পর তিনি বাকশাল গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।
বঙ্গবন্ধুর ঘাতকেরা এই বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, সংসদ নির্বাচনে শুধু অংশই নেননি, তাঁদের বিজয়ী করে আনা হয়েছে। কেউ বলেননি আত্মস্বীকৃত খুনির সঙ্গে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না। সব দোষ মোশতাক আর জিয়ার ঘাড়ে চাপিয়ে সবাই রেহাই পাবেন না। তখন বাকশাল ছাড়া সব দল নিষিদ্ধ ছিল। তাদের কোনো অফিস ও তৎপরতা ছিল না। মোশতাকের অসাংবিধানিক প্রশাসনকে সেদিন বৈধতা দিয়েছিল জাতীয় সংসদ, অর্থাৎ সংসদ সদস্যরা। কারণ, তাঁরা কেউ পদত্যাগ করেননি, সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, সব সচিবসহ শীর্ষ আমলা, সাংবাদিক নেতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রনেতা, অর্থনীতিবিদ, বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোর কূটনীতিবিদ, ব্যবসায়ী চেম্বারের নেতা—সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। কেউ টুঁ শব্দটি করেননি। এত বড় একটি অন্যায় ও অপরাধ সংঘটিত হতে দেখে চুপ থাকাও সম্মতির নামান্তর।
কোনো দেশের স্বাধীনতাসংগ্রাম ১০-১২ জন নেতার নেতৃত্বে হয় না। বহু নেতা থাকলে সংগ্রাম সফল হয় না। নেতাদের মতপার্থক্যে শত্রুর হাত শক্তিশালী হয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তিনি বিশ্বসম্প্রদায় থেকে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি আদায় করেছেন। জাতি তাঁর কাছে অপরিশোধ্য ঋণের দায়ে আবদ্ধ। তাঁর মৃত্যুর পর ৪২ বছর পার হয়েছে। এখন আর আত্মপ্রতারণা নয়, আত্মজিজ্ঞাসার সময়। অধিকাংশ জাতীয়তাবাদী নেতার নিয়তিই করুণ, কিন্তু ইতিহাসে তাঁদের স্থান অতি উঁচুতে।
সৈয়দ আবুল মকসুদ: লেখক ও গবেষক।
উৎসঃ প্রথমআলো
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন