|
এম সাখাওয়াত হোসেন
hhintlbd@yahoo.com |
|
সুড়ঙ্গের শেষ প্রান্তে আশার আলো
14 January 2017, Saturday
বিগত বছর বাংলাদেশের জন্য ঘটনাবহুল ছিল। বছরব্যাপী ঘটনা-দুর্ঘটনার মধ্যে ছিল কূটনৈতিকপাড়া এবং সবচেয়ে সুরক্ষিত এলাকার হাইপ্রোফাইল রেস্তোরাঁ ‘হলি আর্টিজান’-এ ভয়াবহ সন্ত্রাসী কর্মকা-। যার ফলে বিদেশিসহ প্রায় ২২ জন মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়, যা সারা জাতিকে হতভম্ব করে। এর পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় অনেক সন্ত্রাসীকে নির্মূল করা হলেও থেমে থাকেনি তাদের তৎপর হওয়ার প্রয়াস। হলি আর্টিজান বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ অসুবিধার মধ্যে ফেললেও তা প্রায় কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। হলি আর্টিজান কিছুটা হলেও দেশবাসী, বিশেষ করে রাজধানীবাসীর জীবনপ্রবাহে পরিবর্তন এনেছে। নিরাপত্তা নিয়ে মানুষ আরও সচেতন হয়েছে। তৎপর হয়েছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বিগত বছর বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন শান্তিপূর্ণ থাকলেও নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার অবনতির যে দৃশ্য যা দেখা গেছে, তা জনগণকে নির্বাচন নিয়ে হতাশ করেছে। তবে স্বল্পপরিসরে হলেও বছরের শেষ দিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দিয়েছে। একটি ভালো নির্বাচন, যা বাংলাদেশের মানুষ সরকার ও নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা সংস্থার কাছ থেকে আশা করে। সরকারের সদিচ্ছা সব দলের সহযোগিতায় বাংলাদেশে ভালো নির্বাচন হতে পারে, নারায়ণগঞ্জ ছিল স্বল্পপরিসরে তার একটি উদাহরণ। শুধু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে সরকার ও রাজনৈতিক দলের করণীয় তত্ত্বের উদাহরণ ছিল নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন, যেখানে দেশের দুই বৃহৎ দলই তাদের প্রার্থী নির্বাচনে বেশ সচেষ্ট হয়েছিল বলেই আমরা দুজন কিন ইমেজের মেয়রপ্রার্থী পেয়েছিলাম। ওই নির্বাচনে যে প্রার্থীর জয়ী হওয়ার ধারণা করা হয়েছিল তিনিই জিতেছেন, তবে তার প্রতিপক্ষও প্রায় ৯৬ হাজার মানুষের সমর্থন পেয়েছিলেন।
২
বিগত বছরের বিদায়লগ্নে নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার ওপর থেকে কালোমেঘের একচিলতে সরাতে পারলেও নির্বাচন কমিশনের বিগত কয়েক বছরে যে ক্ষতি হয়েছে সেখান থেকে বের হতে পারেনি। যার উদাহরণ একজন সংসদ সদস্যের প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে সিল মেরে জনগণ ও মিডিয়াকে প্রদর্শনী ছিল নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করার মতো। এ বিষয়ে দৃশ্যত নির্বাচন কমিশনের নির্বিকার থাকাটি ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাই প্রকাশ করে। এ ধরনের কর্মকা- কয়েক বছর প্রায় সব নির্বাচনেই প্রত্যক্ষ করা গেছে। এই অব্যবস্থাপনা আগামী নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।
নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনের সুখকর আমেজ বেশি দিন থাকেনি। এর কয়েক দিনের মধ্যে দেশে প্রথমবারের মতো পরোক্ষ ভোটে জেলা পরিষদের নির্বাচনে পুরনো চরিত্র ফিরে এসেছিল। নির্বাচনটিতেও অন্যান্য দলের অংশগ্রহণ না থাকার কারণে প্রায় একদলীয় নির্বাচন হওয়ায় এখানেও অর্ধেকের মতো জেলা পরিষদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষিত হয়েছে। এর মধ্যে ফেনী জেলা গণতান্ত্রিক বিশ্বে এক ধরনের রেকর্ড সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। তৃণমূল থেকে সংসদ পর্যন্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন। বিষয়টি নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার ওপর গবেষকদের গবেষণার বিষয় হতে পারে। এই নির্বাচনে যেভাবে প্রকাশ্যে টাকার ছড়াছড়ি হয়েছে, তাতে নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা সংস্থার কোনো উদ্বেগ দেখা না গেলেও সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদকের হতাশ হওয়ার দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেছে দেশবাসী। আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা এ ধরনের অব্যবস্থা থেকে কবে বের হবে তা বলা কঠিন।
৩
মহামান্য রাষ্ট্রপতির নতুন বছরের উদ্যোগ আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনকে বেশ চাঙ্গা করতে সক্ষম হয়েছে। জানুয়ারি ২০১৭-এর অর্ধেকের বেশি সময়জুড়ে রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ২৩ দল এবং আরও আট দলের সঙ্গে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন। সরকারি দলের অনেকাংশে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং রাষ্ট্রপতির আন্তরিকতার কারণে দেশবাসীর নজর এখন বঙ্গভবনের দিকে। তাছাড়া রাষ্ট্রপতি বিগত বছরের শেষ দিনে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অত্যাধুনিক ভবন উদ্বোধন করতে গিয়ে পক্ষান্তরে একটি কার্যকর নির্বাচন কমিশনের প্রয়োজনের কথা অনেকভাবেই বলেছেন।
এই ভবন উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনের ৪৫ বছরের অভাব মিটল। বাস্তবিক পক্ষে অবকাঠামোগতভাবে কমিশন পূর্ণাঙ্গ হলো। এই মূল ভবন শুধু দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যকেই ধারণ করেনি, অত্যাধুনিক নিরাপত্তাব্যবস্থা, বিশেষ করে ডেটা সংরক্ষণের জায়গাটিতে সুবিধা হয়েছে। এই ভবনের পেছনে বিগত হুদা কমিশনের একক অবদান রয়েছে, যার উল্লেখ হয়তো উদ্বোধনীতে করা হয়নি। তবে কমিশনের এ ভবনের জায়গাটি বরাদ্দ করা হয় ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তৎকালীন নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজ ভবনের জন্য। প্রায় সাড়ে তিন বিঘা জমি বরাদ্দ দিয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের একাগ্রতা উল্লেখ করার মতো। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার বরাদ্দ বহালই রাখেনি, বরং পরিকল্পনার পুরো অর্থও জোগান দিয়েছিল।
মূল ভবন আর ইটিআই (ঊঞও) ভবনের পরিকল্পনা এবং নকশা তৈরি করতে প্রায় প্রতি মাসে একাধিকবার কমিশনের সভা করতে হয়েছিল। প্রতিটি বিষয়ে একাধিকবার আলোচনা করতে হয়েছে। প্রায় এক বছর আলোচনার পর নকশার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। ইটিআইকে আবাসিক করা হয়েছে, যাতে প্রান্তিক থেকে আগত কর্মকর্তাদের থাকার সুবিধা হয়। সার্ভার ও কার্ড প্রিন্টিংয়ের ফোর ডিজাইন পরামর্শ দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষজ্ঞরা বিনা পারিশ্রমিকে করেছিলেন। যাই হোক, এই ভবনের পেছনে অনেক মানুষের অবদান রয়েছে। ছিল সরকারের সদিচ্ছার বহির্প্রকাশ।
বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন এখন নিজস্ব ভবনে এবং এই ভবন নিয়ে গর্ব করতেই পারে। এখানে সংযুক্ত হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি আর উচ্চমানের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকার কথা। তেমনটাই নকশায় যুক্ত করা হয়েছিল। যাহোক, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন ভবন উপমহাদেশের সবচেয়ে আধুনিক স্থাপত্যের নিদর্শন বলে আমার মনে হয়, যা প্রয়োজন হবে তা হবে রক্ষণাবেক্ষণ ও সঠিক ব্যবহার। ইলেকশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউটটি অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। আশা করব, এটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পরিণত হবে।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠান হিসেবে দীর্ঘ সময় পাড়ি দিয়ে নিজস্ব ঠিকানা পাওয়ায় এক প্রকার পরিপূর্ণতা লাভ করায় এর পেছনে যাদের অবদান রয়েছে, তাদের অবশ্যই স্মরণ করা উচিত। এভাবেই ইতিহাস রচিত হয়। যাদের কৃতিত্ব প্রাপ্য তাদের ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই দিলে ইতিহাস সমৃদ্ধ হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই উদ্যোগের পেছনে যারা ছিলেন তাদের সবাইকে স্মরণ করে নির্বাচন কমিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বহুদিনের চাওয়া পূরণ হওয়ায় অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই উপমহাদেশের সবচেয়ে নান্দনিক অবকাঠামো হওয়ার জন্য, উপজেলা, জেলা ও আঞ্চলিক ভবন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এবং জনগণ গর্ববোধ করতেই পারে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে দুটি ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য ধন্যবাদ স্মার্টকার্ড ও ভবন উদ্বোধনের জন্য। তবে ভালো হতো যদি ইভিএমের ধারাবাহিকতা বজায় থাকত, যা এখন বিদায় মুহূর্তে পুনরুজ্জীবিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের তিনটি স্বাধীন উপাদান অবশ্যই থাকতে হবে। এগুলো হলোÑ স্বাধীন অবকাঠামো, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সদস্যদের স্বাধীন চিন্তা ও কাজ করার ক্ষমতা। অবকাঠামোগত স্বাধীনতা শুধু ভৌত্ত কাঠামো নয়, আইনি কাঠামোয় স্বাধীন বা স্বায়ত্তশাসনের ব্যবস্থাটি থাকতে হবে। এই দুই স্বাধীনতা নির্বাচন কমিশনের রয়েছে। আমাদের অঞ্চলের কোনো নির্বাচন কমিশনের বিধি তৈরির ক্ষমতাও নেই, যেমনটা রয়েছে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের। তথাপি অনেক কমিশনই কার্যকর হতে পারেনি তার কারণ কমিশন সদস্য নিয়োগে অস্বচ্ছতা, বিশেষ করে দলীয় সরকারের পছন্দমতো নিয়োগের কারণে প্রথমবারের মতো বাছাই কমিটি দ্বারা নিয়োজিত হলেও বর্তমান কমিশন অনেক বিতর্কের মধ্যে পড়েছে। ২০১৪ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় ধস নেমেছে তার দায়িত্ব শুধু নির্বাচন কমিশনের নয়। এ ব্যর্থতার দায়িত্ব ভোটার হতে প্রতিটি রাজনৈতিক দল ও সরকারের, যা সরকারি দল তাদের বক্তব্যেই প্রকাশ করেছে।
আগামী নির্বাচন কমিশনের সামনে সবচেয়ে যে কয়টি চ্যালেঞ্জ আসবে এবং মোকাবিলা করতে হবে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার ওপর জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা। এই আস্থার অভাব নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনেও প্রতিফলিত হয়েছে। ২০১১ ও ২০১৬ সালের ওই সিটি করপোরেশনের ভোট প্রদানের হার বিশ্লেষণ করলেই প্রতীয়মান হয় যে, আগের নির্বাচনের চেয়ে এবার ৪ শতাংশ ভোটার কম হয়েছে। এর আর কোনো ব্যাখ্যা অন্তত তাত্ত্বিক ছকে পাওয়া যায় না। ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম হওয়াকে গবেষকরা নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার ওপর আস্থার অভাব বলে গবেষণাপত্রে বলেছেন।
দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের ওপর শরিকদের আস্থা ফিরিয়ে আনা; যাতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণ এবং অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতাকে পেছনে ফেলতে পারে। প্রকাশ্যে ভোট দেওয়া যেন রীতি হয়ে গেছে, কারণ অতীতে এর প্রতিকার হয়নি। এটি ব্যবস্থাপনার চরম দুর্বলতা, একে রোধ করতে হলে নির্বাচনী শরিকদের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। শরিকদের আস্থায় নিয়ে আনা এবং নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে অনিয়ম দূর করতে সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে।
অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ হবে অভ্যন্তরীণ নিয়মশৃঙ্খলা ও বিধিবিধানগুলোর হালনাগাদ করা। নিয়োগবিধিতে ইদানীং পরিবর্তন করে মাঠপর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তার প্রেষণে প্রেরণের যে বিধান করা হয়েছে, তা সর্বনিম্ন পর্যায়ে আমলাতান্ত্রিক প্রভাব সৃষ্টি করবে। এমনিতেই দেশের প্রশাসন বিভিন্ন দলের অনুরাগী হয়ে পড়েছে, বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের আনুগত্য লাভের জন্য দলীয় কর্মীর চেয়ে বেশি আনুগত্য প্রদর্শনের প্রতিযোগিতায় থাকেন বেশিরভাগ আমলারা। নির্বাচনকালীন নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণটাই সরকারি-আধা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ওপর নির্ভর করতে হয়। এই পরিবর্তন ট্রয়ের ঘোড়ার মতো হতে পারে।
এ ছাড়া আরও অনেক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে, যার জন্য প্রয়োজন হবে সৎসাহসী ব্যক্তিদের নিয়োগ। আমরা রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে এমন ব্যক্তিদের নিয়োগ আশা করি।
নির্বাচন কমিশন ভবন উদ্বোধনকালে রাষ্ট্রপতি আমাদের রাজনৈতিক ও নির্বাচনী সংস্কৃতির বেশ কিছু নেতিবাচক দিকের উল্লেখ করেছেন। তিনি যতার্থভাবে তোরণ ও পোস্টারের যে অপসংস্কৃতির কথা বলেছেন তা অত্যন্ত বাস্তবধর্মী কথা। পৃথিবীর আর কোনো দেশে নেতানেত্রীদের তুষ্ট করতে এ ধরনের কর্মকা- হয় কিনা আমার জানা নেই। পোস্টার, ব্যানার আর তোরণের যত্রতত্র ব্যবহারে অনেক সরকারি ভবনকেও দলীয় অফিসের সঙ্গে একাকার হতে দেখা যায়। যদিও ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও পোস্টার সাঁটানোর ওপরে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার আইন থাকা সত্ত্বেও তা প্রয়োগ হতে দেখা যায় না। মাঝে মধ্যে ব্যানার হোর্ডিংয়ের বিরুদ্ধে কিছু ব্যবস্থা নিতে দেখা গেলেও তা স্থায়িত্ব হয় না।
যাহোক, রাষ্ট্রপতির উদ্যোগ এবং ছোট-বড় সব দলের একাগ্র কামনার কারণে সরকারি দলের ইতিবাচক মনোভাব এবং অন্য বৃহৎ দলের রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করাÑ সবই আগামী দিনের শুভ সূচনার ইঙ্গিত বহন করে। কাজেই আমরা আশা করি, বিগত দিনের রাজনৈতিক ও নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার নেতিবাচক প্রভাব থেকে বের হয়ে আগামীতে ইতিবাচক দিকনির্দেশনা পাব।
য় এম সাখাওয়াত হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও কলাম লেখক
উৎসঃ আমাদের সময়
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন