এপ্রিল ১১, ২০১৭ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাবের গবেষণা উইং চলমান জঙ্গি কর্মকাণ্ড দমনের অন্যতম প্রক্রিয়া কাউন্টার ন্যারেটিভ বা পাল্টা ভাষ্য তৈরির উদ্যোগ হিসেবে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছে। বইটির নাম কতিপয় বিষয়ে জঙ্গিবাদীদের অপব্যাখ্যা এবং পবিত্র কুরআনের সংশ্লিষ্ট আয়াত ও হাদীসের সঠিক ব্যাখ্যা। বইটির পরিচিতি বিবরণে যা মনে হয়েছে তা হলো, ধৃত সন্ত্রাসীদের উদ্বুদ্ধকরণের জন্য কোরআনের যেসব আয়াতের অপব্যাখ্যা ব্যবহার করা হয়, সেগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ে এবং সঠিক ব্যাখ্যা মানতে পারে। টার্গেট গ্রুপ ওই সব তরুণ, যারা ধর্মের অপব্যাখ্যায় বিভ্রান্ত হয়ে এসব কর্মকাণ্ডে যোগ দেয়। আর এ প্রয়াসে ইসলামি বিশেষজ্ঞ এবং যাঁরা এ চর্চায় শীর্ষস্থানে রয়েছেন, তাঁদের সহযোগিতা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই প্রচারণামূলক পুস্তক। এ বিষয়ে র্যাব কর্তৃপক্ষ, বিশেষ করে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেল যে কাজটি করে, এ ধরনের পাল্টা ভাষ্যের প্রয়োজনীয়তার কথা আমরা বহু জায়গায় বহুভাবে বলেছি।
এটা প্রথম পদক্ষেপ হলেও যথেষ্ট নয়। এ ধরনের পাল্টা ভাষ্য বা কাউন্টার ন্যারেটিভ তৈরি করতে হবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনগুলো থেকেও। তবে এসব পাল্টা ভাষ্য তৈরিতে বেশ সাবধানতা ও চিন্তাভাবনার প্রয়োজন রয়েছে। অনেক সময় তা হিতে বিপরীতও হতে পারে। পাল্টা ভাষ্য তৈরি করতে ও প্রচার করতে হবে এমনভাবে, যাতে সমাজের আস্থাভাজন মানুষ এ প্রয়াসে যুক্ত হয়। সরকারি সংস্থার পাশাপাশি এ ধরনের আস্থাভাজন মানুষকেও যুক্ত করলে এ প্রয়াস অধিক কার্যকর হবে। এসব পাল্টা ভাষ্য গণমাধ্যমের মাধ্যমে জনসমক্ষে তুলে ধরতে হবে। দেশের বিবদমান রাজনীতির সম্পৃক্ততা এতে পরিহার করতে হবে।
৭০ পৃষ্ঠার বইটিতে কোরআন-হাদিসের আয়াতের সন্ত্রাসীদের কর্তৃক অপব্যাখ্যার পাশাপাশি এর সুচিন্তিত এবং বিশদ সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে বলে উদ্ধৃত হয়েছে। তবে ভাষাটি আরও সহজ হলে ভালো হতো। বইটির শেষের দিকে আইএস এবং অন্যান্য গোষ্ঠী কর্তৃক কালো পতাকার ব্যাখ্যায় হজরত আবু হুরায়রার যে হাদিস থেকে উদ্ধৃত করা হয়ে থাকে, তার বিপরীতে অন্যান্য ইসলামিক মনীষীদের ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে। তবে এই পতাকা ব্যবহারের সঙ্গে আরও কিছু আনুষঙ্গিক বিষয় এবং এর প্রেক্ষাপট যেভাবে বর্তমানে ইরাক-সিরিয়াসহ অন্যান্যভাবে ব্যাখ্যা দিয়ে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ব্যবহার করে থাকে, তার কোনো পাল্টা ভাষ্য নেই। যেমন এ পতাকার ভেতরের গোল সাদা অংশকে ব্যাখ্যা করা হয় হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যবহৃত সিল হিসেবে। প্রচার করা হয়, এই পতাকাই ইসলামের নবীর পতাকা। আইএস পবিত্র কোরআন–হাদিসের যেভাবে অপব্যাখ্যা করে, পতাকার বিষয়েও তাদের ব্যাখ্যা একই রকম। কোরআন-হাদিসের অপব্যাখ্যা ছাড়াও বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, বিশেষ করে আইএস মনস্তাত্ত্বিক হাতিয়ার হিসেবে অন্যান্য ঐতিহাসিক তথ্যও ব্যবহার করার বিষয়টিও হয়তো পরবর্তী পাল্টা ভাষ্যে যোগ হতে পারে।
যা-ই হোক, ওই অনুষ্ঠানে পুলিশপ্রধান হালের কয়েকটি সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের যে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেছেন, সেসব বিষয় বহু আগে অনেক আলোচনায় এলেও কর্তৃপক্ষ তেমন গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করেনি। আমাদের সাধারণদের ধারণা ছিল যে হালের জঙ্গিরা তাদের পূর্বসূরিদের মতো মাদ্রাসার ছাত্র বা মাদ্রাসা থেকে দীক্ষিত হয়েছেন। বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসা নিয়ে অনেকেই সরলীকরণ করেছেন এবং এখনো করেন। এ কথা ঠিক যে আশির দশকে আফগান যুদ্ধোত্তর জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রায় ৯০ ভাগই এ ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। কারণ, ওই যুদ্ধে মুজাহিদ বলে খ্যাত যোদ্ধাদের তেমন প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রয়োজন ছিল না। ওই যুদ্ধে জিহাদি মনোভাবে যোদ্ধা তৈরি এবং সরবরাহের জন্য মাদ্রাসাপড়ুয়াদের তৈরি করা হয়েছিল এবং ওই সময়ে এই উপমহাদেশে বিদেশি অনুদানে হাজার হাজার মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তখনকার যেকোনো সংগঠনের ইতিবৃত্ত গবেষণা করলেই এ সত্য পাওয়া যায়। মুফতি হান্নান এবং হুজি-বি প্রথম প্রজন্মের জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত। এখনকার বৈশ্বিক সংগঠনগুলোর সদস্যের ৯০ শতাংশ আধুনিক প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিত তরুণ। এ কথা পুলিশপ্রধানের উক্তি থেকেই প্রতীয়মান। তিনি তাঁর হাতে থাকা তথ্যের ভিত্তিতে বলেছেন, বর্তমান সন্ত্রাসীদের মাত্র ৩০ শতাংশ, বিশেষ করে আমাদের দেশে, মাদ্রাসার সঙ্গে সংযুক্ত থাকলেও ৭০ শতাংশ আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা আমরা আমাদের আলোচনায় অনেক সময় সরলীকরণ করে থাকি। অনেকে মাদ্রাসাকে জঙ্গিদের কারখানা মনে করেন—এমনটা সম্পূর্ণ সত্য নয়।
এই অনুষ্ঠানে পুলিশপ্রধান একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের অবতারণা করেছেন। তিনি বলেছেন, শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্বারা এ ধরনের বৈশ্বিক ও সামাজিক বিষয় সমাধা করা সম্ভব নয়; প্রয়োজন এদের ফিরিয়ে আনা এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ নয়। বিষয়টি বহুবার বহু সেমিনার ও লেখালেখিতে নানাজনের মন্তব্যে উঠে এসেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে সন্ত্রাসী নিধন হলেও শক্তি দ্বারা সম্পূর্ণভাবে প্রতিহত করা সম্ভব নয়। শক্তি প্রয়োগে যে জায়গা তৈরি হয়, তাকে ব্যবহার করে এসব তরুণকে ফিরিয়ে আনা এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ এখনো তেমন দৃশ্যমান নয়। বাংলাদেশে সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান অথবা ইয়েমেনের মতো পরিস্থিতি বিরাজ করছে না, কাজেই আমাদের দেশের তরুণ জঙ্গিরা ওই ধরনের সুযোগ নেওয়ার অবস্থায় নেই। এখানে বৈশ্বিক যোগাযোগ অবশ্যই রয়েছে, যার অগ্রভাগে রয়েছে আইএসের দর্শন। হলি আর্টিজান, হালের সীতাকুণ্ড, সিলেট ও মৌলভীবাজারের ঘটনাগুলোর উদাহরণ যথেষ্ট। আমাদের দেশে আইএসের শারীরিক উপস্থিতি অথবা ঘাঁটি নেই এবং থাকার মতো পরিবেশ নেই, তবে দর্শনে যে দীক্ষিত হয়েছে এবং হচ্ছে, এমনকি স্থানীয়রা যে সদস্য হচ্ছে, তা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ওই অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য আইএসের উপস্থিতি নেই বলেছেন, তবে মতাদর্শের কথা ঊহ্য রেখেছিলেন।
বর্তমান বিশ্বে প্রধান সন্ত্রাসী বলতে আমরা আইএসকেই বুঝি। যদিও মধ্যপ্রাচ্যে আইএসের পাশাপাশি আল-কায়েদাও বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। সিরিয়ায় আল-কায়েদাসমর্থিত আসাদবিরোধী গোষ্ঠী বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে। আল-কায়েদার সূতিকাগৃহ উপমহাদেশে কৌশলগত কারণে তৎপরতা কম থাকলেও তারা শক্ত অবস্থানে রয়েছে। আল-কায়েদা থেকে সৃষ্ট আইএস এখন বিশ্বব্যাপী ত্রাসের নাম। সিরিয়া ও ইরাকে কথিত ইসলামিক স্টেট কিছু জায়গা হারালেও শক্তির প্রদর্শন কমেনি। আইএস যোদ্ধারা প্রায় পাঁচ মাস যুদ্ধ করে টিকে রয়েছে ইরাকের মসুলে। সিরিয়ার কয়েকটি অঞ্চল হাতছাড়া হলেও ‘রাকা’তে তাদের অবস্থান সুদৃঢ়। এসবের মধ্যেও বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানা যায় যে বিভিন্ন দেশ থেকে তরুণদের যোগদান অব্যাহত রয়েছে। আইএসের প্রভাব যে কমেনি, তার প্রমাণ সুইডেনে সাম্প্রতিক ট্রাক হামলা। এখন লোন ‘উলফ’ বা একক হামলাকারীর তৎপরতা ক্রমেই বাড়ছে। বাড়ছে আত্মঘাতী হামলাও। শুধু আত্মঘাতী বোমা হামলাই নয়, অন্যান্য অপ্রচলিত অস্ত্রের ব্যবহারের একধরনের আত্মঘাতী হামলা দৃশ্যমান।
আইএসসহ অন্যান্য সংগঠন এবং ‘জিহাদ’ তত্ত্ব নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রচুর গবেষণা হয়েছে ও হচ্ছে। প্রচুর বইও প্রকাশিত হয়েছে। তবে বেশির ভাগই পশ্চিমা লেখকদের লেখা। এ ধরনের কয়েকটি বই থেকে এবং অন্যান্য লেখা থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার যে আইএস শুধু পবিত্র কোরআনের আয়াতের অপব্যাখ্যা দিয়েই নয়, হাদিসের অনেক ব্যাখ্যা বাইবেল ও কোরআনের কিছু কিছু অংশের বিপরীত ব্যাখ্যার ব্যবহার এবং দুই কিতাবের উদ্ধৃতি ও ইসলামের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার দর্শনকে ব্যবহার করছে। লক্ষণীয় বিষয় হলো, হাদিস ও বাইবেলের ব্যাখ্যায় শেষ বিচারের আগে যে যুদ্ধ হওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী যার যার ধর্মীয় আবরণে করা হয়েছে, তা আইএস দখলকৃত ভূমির আশপাশেই। আইএসের অন্যতম দর্শন হলো কালো পতাকা, ইমাম মেহদি এবং শেষ বিচারের দিনের আগে ‘দাবিক’ অথবা ‘আমাক’ যুদ্ধপ্রান্তে ‘রোম’-এর শক্তিকে পরাস্ত করে ইসলামের গৌরব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। ‘রোম’ বলতে খ্রিষ্টান শক্তিকে বোঝায়, যে কারণে আইএস তাদের এই যুদ্ধকে ‘শেষ ক্রুসেড’ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে। ব্যবহার করছে ‘খেরোসান’, ‘কালো পতাকা’ আর ‘দাবিক বা আমাক’ তত্ত্ব। অপর দিকে তাদের মতে (আইএস), ‘রোম’-এর শক্তি ‘আর্মাগেডনের’ তত্ত্বে আইএস তথা মুসলিম বিশ্বের অব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে ইসলামকে প্রতিহত করার জন্য ক্রুসেডরা সর্বশক্তি নিয়োগ করছে। আইএসের মতে, ‘বাগদাদির’ পতন হলেও এ যুদ্ধ থেমে থাকার নয়, যত দিন পর্যন্ত ‘কোরায়েশ’ থেকে নবীর ১২ জন উত্তরসূরির আগমন শেষ না হবে। ‘বাগদাদি’ নিজেকে তাঁদের একজন মনে করেন এবং তার পরে আর তিনজনের আগমন হবে এবং শেষ হবে ইমাম মেহদির আগমনের মধ্য দিয়ে।
অপর দিকে বাইবেলের আর্মাগেডনের স্থানও এই একই জায়গায় বলেও উল্লেখ রয়েছে যে যুদ্ধ শেষ হবে হজরত ঈসা বা ক্রাইস্টের পুনরুত্থানের মাধ্যমে। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম গবেষক উইলিয়াম ম্যাকক্যান্ট মনে করেন, আইএসের এ দর্শন এবং বিপরীতে বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীর ব্যাখ্যা আইএসকে মনস্তাত্ত্বিক বিষয়ে যথেষ্ট শক্তিশালী করে তুলেছে। ‘দাবিক’ শহরটি ২০১৬ সালে আইএসের হাতছাড়া হলেও তা এখন রয়েছে তুরস্ক–সমর্থিত ফ্রি সিরিয়ান আর্মির হাতে, যারা আল-কায়েদাসমর্থিত আসাদবিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত।
আমাদের দেশের হালের জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে এ দর্শনের যে প্রভাব রয়েছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই, যা আলোচিত অনুষ্ঠানের একাধিক বক্তার মন্তব্যে উঠে এসেছে। বিষয়টি যে শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নয়, তা স্পষ্ট করেছেন র্যাবের মহাপরিচালক। আমাদের দেশের সমস্যার প্রেক্ষাপটে যা-ই থাকুক না কেন, বৈশ্বিক প্রভাব যে রয়েছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই এবং এমনটা এই অনুষ্ঠানের কোনো বক্তাই প্রকারান্তরে অস্বীকার করেননি।
‘র্যাব’ একটি পাল্টা ভাষ্য বা ‘কাউন্টার ন্যারেটিভ’-এর যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাকে সাধুবাদ জানাতেই হয়। তবে কাজটি তাদের নয়; এর দায়িত্ব সরকার, সামাজিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর, বিশেষ করে এ প্রক্রিয়ায় ইসলামিক ইতিহাসবিদদের সম্পৃক্ততা কাম্য। এসব বিষয় নিয়ে আমাদের দেশে তেমন গবেষণা হচ্ছে বলে মনে হয় না, তেমনি রয়েছে প্রকাশনার অভাব। এ অভাব পূরণের ব্যবস্থা হাতে নেওয়া একান্ত প্রয়োজন। এ ধরনের দার্শনিক তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে সংগঠিত সন্ত্রাস সহজে নিবৃত্ত করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন বিষয়টিকে অনুধাবন করে সমষ্টিগত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ। পরিশেষে র্যাবের মহাপরিচালকের সুরে সুর মিলিয়ে বলতে হয়, এ সমস্যা শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নয়, সমগ্র সমাজ ও জাতির। সমাধানও খুঁজতে হবে সম্মিলিতভাবে।
এম সাখাওয়াত হোসেন: সাবেক নির্বাচন কমিশনার, কলাম লেখক ও পিএইচডি গবেষক।
উৎসঃ প্রথমআলো
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন