|
এম সাখাওয়াত হোসেন
hhintlbd@yahoo.com |
|
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এবং সীমা পুনর্নির্ধারণ প্রসঙ্গে
10 June 2017, Saturday
আগামী ১১তম নির্বাচন বর্তমান কেএম নুরুল হুদা কমিশনের তত্ত্বাবধানেই অনুষ্ঠিত হবে। এর আগের নির্বাচন কমিশনের বহু কর্মকা-ের কারণে জনমনে নির্বাচন নিয়ে খুব একটা সুখকর মনোভাব রয়েছে বলে মনে হয় না। যে কথা খোদ বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটকে বলেছেন যে, তারা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি এবং ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারির মতো নির্বাচন চায় না। এটা অত্যন্ত আশাপ্রদ উক্তি, তাতে সন্দেহ নেই। তবে ওই ধরনের নির্বাচন যেন তাদের করতে না হয় তার জন্য তাদের এখন থেকে জনগণকে আস্থায় আনা যায়, এমন কর্মকা- করতে হবে। তারই কিছুটা প্রতিফলন দেখেছি একটা খসড়া রোডম্যাপ বা কর্মপরিকল্পনা ঘোষণায়। শামসুল হুদা কমিশন যে ধরনের রোডম্যাপ জনগণের সামনে তুলে ধরেছিলেন, সে সংস্কৃতির পুনরাবৃত্তি করল বর্তমান কমিশন। তবে এই কর্মপরিকল্পনায় অনেক বিষয় বাদ পড়েছে, যা হয়তো বিস্তারিতভাবে আরও পরে প্রকাশিত হতে পারে।
এই রোডম্যাপ পর্যবেক্ষণের সব বিষয় হয়তো আলোচনা সম্ভব হবে না, তবে দু-একটি জরুরি বিষয় অবশ্যই তুলে ধরতে চাই। নির্বাচন কমিশন আইনের প্রয়োজনীয় সংস্কার নিয়ে প্রথমে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে বলে কর্মপরিকল্পনায় উল্লেখিত হয়েছে। আমার মতে, নির্দিষ্ট বিষয় নির্ণয় করে প্রথমে নাগরিক সমাজ ও মিডিয়ার সঙ্গে আলোচনা করলে একটি সম্যক ধারণা পাওয়া যাবে কত জায়গায় বা কী ধরনের এবং কী কারণে আইনের সংস্কার প্রয়োজন। এর পর রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করলে আলোচনা ফলপ্রসূ হবে। কারণ রাজনৈতিক দলবিশেষ সংসদে যেসব দল রয়েছে, তাদের মাধ্যমেই পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও বিয়োজন করতে হবে। কাজেই সর্বান্তে আলোচনা ফলপ্রসূ হবে বলে আমার বিশ্বাস।
রোডম্যাপ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখেই তৈরি করা হয়েছে বা হচ্ছে। কিন্তু আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই চারটি সিটি করপোরেশনÑ রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেটের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে তার উল্লেখ নেই নির্বাচন কমিশন ঘোষিত রূপরেখায়। এ চারটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ দুটি কারণেÑ ১. দলীয় প্রতীকে নির্বাচন; ২. ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই এই সম্ভাব্য সর্বদলীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ চারটি সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়ররা বিরোধী বিএনপি দলের, যাদের মধ্যে প্রায় সবাই জেলে আনাগোনা করছেন। উল্লিখিত বিশেষ দুটি কারণে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আইন ও বিধিমালায় পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে এই স্থানীয় নির্বাচনগুলো শুধু নিবন্ধিত দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সার্বিকভাবে অন্যান্য অনিবন্ধিত দলের জন্যও উন্মুক্ত রাখা উচিত বলে মনে করি। অন্যথায় নতুন দলগুলোর বিকাশ সহজেই হওয়ার নয়। বিকশিত না হলে কার্যকরী দলের সংখ্যা যেমন বাড়বে না, তেমনি লেজুড়বৃত্তিরও ইতি হবে না। তা ছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোও যখন দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সে কারণেই নির্বাচনী আইনেও বেশ পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। প্রয়োজন রয়েছে ইউনিয়ন পর্যায় থেকে সিটি করপোরেশন পর্যন্ত নতুনভাবে আচরণবিধি তৈরি করার।
যাহোক, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত কর্মপরিকল্পনায় মোটাদাগে যে সাতটি বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে তার বিষদ বিবরণ ও সময়সীমা ধার্য করা নেই। তবে সাতটি বিষয়ের মধ্যে দুটি ছাড়া সব বিষয় নির্বাচন কমিশনের একক দায়িত্বের মধ্য বর্তায়। রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং অন্যদের আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গা সাধারণত আইনগুলোর সংস্কার ও নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার আরও উৎকর্ষ সাধনের মধ্যেই সাধারণত সীমিত রাখা ভালো। ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণ আইন মোতাবেক চলমান প্রক্রিয়া। ২০১৭ ও ২০১৮ সালের সময়সীমার মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদের প্রয়োজন। গতবারের হালনাগাদকৃত ভোটার তালিকা নিয়ে বেশ বিতর্ক হয়েছিল, বিশেষ করে নারী ভোটারের সংখ্যা কম হওয়ার কারণ ব্যাখ্যায়িত না হওয়ার জন্যই এই বিতর্ক উঠেছিল; যা হয়তো আজও সুরাহা করা হয়নি। প্রতিবার ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার পর শুদ্ধতার জরিপ করানো উচিত। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো নিরপেক্ষ ও দক্ষ সংগঠন দ্বারা ভোটার তালিকার জরিপ করানো হয়েছিল। এমনকি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণাকল্পে এ ধরনের জরিপ করে বিশুদ্ধতা নিরূপণ করেছিল। এ প্রক্রিয়া জনগণের আস্থার বৃদ্ধি হয়। এ ধরনের কর্মপরিকল্পনায় উদ্ধৃত প্রাক-নির্বাচনকর্মের মধ্যে জটিল কাজটি হলো সংসদীয় আসনের সীমানার পুনর্বিন্যাসকরণ। এ কাজটি নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্বের অন্যতম। এ কাজটি এতই জটিল এবং রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর যে, নির্বাচন কমিশন তার অবস্থানে দৃঢ় না থাকলে সঠিকভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না। কারণ সংসদীয় আসনের সীমানা স্থায়ী প্রার্থীরা, বিশেষ করে সরকারি দলের প্রার্থীরা যেভাবে তৈরি করেন তা তছনছ হতে দিতে চান না। অতীতে যোগসাজশের মাধ্যমে অনেক সংসদীয় আসনের সীমানা নিজের সুবিধামতো পরিবর্তন করার অভিযোগও উঠেছিল। অভিযোগ রয়েছে, ৩০০ আসনের মধ্যে প্রায় ১৬ কোটি মানুষের সমান বণ্টন যেমন সম্ভব নয়, তবে অন্তত জেলার ভেতরের আসনগুলোয় সমতা আনারও প্রয়োজন রয়েছে। কোনো প্রার্থী, এমনকি দলও তাদের সুবিধামতো তৈরি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস অথবা সুবিধাজনক অবস্থায় থাকার কারণে নানা ধরনের বাধা-বিপত্তির সৃষ্টিও করে থাকে। এ ধরনের বিরোধিতা নির্বাচন কমিশনের কাজে আরও জটিলতার সৃষ্টি করে। এসব জটিলতার কারণে এবং নির্বাচন কমিশনের কর্তৃত্বকে আইনের মাধ্যমে নিশ্চয়তা ও বৈধতা দেওয়ার কথা সংবিধানের ১২৫(এ)তে স্পষ্ট করা হয়েছে। সংবিধানের উল্লেখিত ধারায় স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, সীমানা পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গৃহীত কোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হবে না।
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড গঠনের অন্যতম উপাত্ত। কারণ অন্তত একই অঞ্চলের আসনের মধ্যে ভোটার সংখ্যার বড় ধরনের তারতম্য প্রার্থীদের জন্য বৈষম্যমূলক হয়। সে কারণেই যতদূর সম্ভব একই অঞ্চলের আসনগুলোর মধ্যে ন্যূনতম সমতা আনা প্রয়োজন। এ কাজটি করার জন্য যে আইনটি বিদ্যমান তার আওতায় সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। দ্য ডিলিমিটেশন অব কনস্টিটুয়েন্সি অর্ডিন্যান্স, ১৯৭৬-এর ধারা ৮-এর উপধারা (এ)তে বলা হয়েছে যে, প্রত্যেক আদমশুমারির পর পরবর্তী সংসদ নির্বাচনের জন্য সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। উল্লেখ্য, এ প্রক্রিয়ায় চলমান সংসদের আসনগুলোর বিন্যাসে কোনো প্রভাব পড়বে না। একই ধারার (বি)তে উল্লেখিত যে আদমশুমারি ছাড়াও প্রত্যেক নির্বাচনের আগে সীমানা পুনর্নির্ধারণ অবশ্যই করতে হবে, অন্যথায় না করার কারণ লিপিবদ্ধ রাখতে হবে। কাজেই এ কাজটি করার নির্বাচন কমিশনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সীমানা পুনর্নির্ধারণের পরিসংখ্যান পর্যবেক্ষণ থেকে প্রতীয়মান হবে যে, ১৯৮৪ সালের পর প্রায় ২৪ বছর পর ২০০৮ সালে পুনর্নির্ধারণ করতে গিয়ে প্রায় ১৩৩টি আসনে ব্যাপক রদবদল করতে হয়েছিল, যার কারণে বেশ কয়েকটি জেলায় আসন সংখ্যা কমে বড় শহরগুলোয় আসন সংখ্যা বেড়েছিল। এর কারণ ১৭ বছরের গ্যাপ এবং ওই সময়ের মধ্যে দুটি আদমশুমারি হলেও রাজনৈতিক কারণে তৎকালীন ইসিগুলো এ কাজটি হাতে নেয়নি। যার ফলে ঢাকা জেলায় একটি আসনে দুই লাখের নিচে এবং শহরের একটি আসনে ১১ লাখ ভোটার ছিল। এ জেলার মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন শহর হওয়ায় এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারণে আসন সংখ্যা প্রায় দেড় গুণ বাড়াতে হয়েছিল। শুধু ঢাকা শহরেই আটটি আসন থেকে বেড়ে ১৫ আসন হয়েছিল, যার কারণ ছিল জনসংখ্যার ওপর ভিত্তি করে আসন পুনর্বিন্যাসের বাধ্যবাধকতার।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে ক্রমেই জনসংখ্যা বাড়ছে এবং ভবিষ্যতে বাড়বে। অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশনের ফলে প্রান্তিক অঞ্চলে জনসংখ্যা যেমন কমছে, তেমনি এ দুই শহরে জনসংখ্যা বাড়ছে প্রতিবছর; যা প্রতিফলিত হচ্ছে আদমশুমারিতে। ২০০৮ সালে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে গিয়ে শামসুল হুদা কমিশনের সামনে ঢাকা মেট্রোপলিটান শহর নিয়েই বড় সমস্যা হয়েছিল। ভবিষ্যতেও এমনটিই হবে, কারণ আদমশুমারির দিন যে যেখানে থাকেন তাকে সেখানের জনসংখ্যার মধ্যে গণনা করা হয়।
যাহোক, ২০০৮ সালে ঢাকা বিভাগ তথা ঢাকা শহরের জনসংখ্যা অনুপাতে আসন বাড়াতে গিয়ে প্রান্তিক অঞ্চলের আসন কমাতে হয়েছে, যা কাম্য ছিল না। কিন্তু উপায়ও ছিল না।
ঢাকা শহরকে প্রতিনিধিত্ব দিতে গিয়ে বেশ কয়েকটি জেলায় প্রতিনিধিত্ব হারাতে হয়েছে। জনসংখ্যার যে ফর্মুলা করা হয়েছিল তাতে মেহেরপুরে একটি আসন থাকার কথা ছিল। তথাপি ২০০৮ সালের নীতির আওতায় জেলার জন্য ন্যূনতম দুটি আসনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় মেহেরপুরে দুটি আসন রাখা হয়েছিল।
আগেই বলেছি সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি করার অন্যতম উপায়। কাজেই এ কাজটি সংবিধান ও আইনের আওতায় করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যে জটিলতার বিষয় ওপরে আলোচনা করেছি, বিশেষ করে ঢাকা শহরের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা আর আনুপাতিক হারের আসন বণ্টনের যে জটিলতা নিরসনে শামসুল হুদা কমিশন ২০১১ সালে বিভিন্ন আইনের কিছু পরিবর্তনের এবং পরিবর্ধনের যে সুপারিশ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে প্রস্তুত করেছিল তার মধ্যে নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০০১-এর একটি খসড়া এবং বিধিমালা-২০১১ খসড়া তৈরি হয়েছিল। ওই খসড়া বিধিমালার ধারা ৩(গ)তে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে আলাদা ইউনিট হিসেবে গণ্য করে ১০টি স্থায়ী আসন বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। উপধারা ৩(ক)তে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি ও ঢাকার ১০টি মোট ১৩টি আসন বাদ দিয়ে ২৮৭ আসনের মধ্যে পুনর্বিন্যাসের সুপারিশ করা হয়েছিল। ওই সব সুপারিশগুলো প্রায় পাঁচ বছরের ওপরে হিমাগারে রয়েছে। অথচ এই সুপারিশমালা তৈরি করা হয়েছিল নিবন্ধিত দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে। ওই কমিশনের সময় ছিল না বলে বাস্তবায়ন করার পদক্ষেপ নেয়া যায়নি। তবে পরবর্তী কমিশন এবং অংশগ্রহণকারী শরিকদের জন্য ২০১১ সালে সংলাপের প্রতিবেদনে মুদ্রিত রয়েছে। ইচ্ছা করলেই নির্বাচন কমিশন ওই সব সুপারিশ বিবেচনায় আনতে পারে। এতে একটি ধারাবাহিকতার সংস্কৃতি তৈরি হবে।
আমি আমার এ ক্ষুদ্র লেখাটিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ের ওপর সংক্ষিপ্ত আলোচনায় যে বিষয়টি এনেছি, সেটি শুধু নির্বাচনে সমতলভূমি বা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের জন্যই জরুরি নয়। আমাদের রাজনীতিতে প্যাট্রন-কায়েন্টের (দাতা-গ্রহীতা) সংস্কৃতি থেকে বের হওয়ার ক্ষুদ্র প্রয়াস বলে মনে করি। সে কারণেই বাস্তবতার নিরিখে এ আইনটি আশুসংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। এ আইনের পরিবর্তন না করে সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ হাতে নিলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের সূচনাতেই হোঁচট খেতে হতে পারে।
যাহোক, যেসব পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনায় রয়েছে সেগুলো যাতে সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় হয় এবং জনগণকে বিশ্বাসে নিয়ে করা হয় তাহলে নিশ্চয় নির্বাচন কমিশনের ওপর হারানো বিশ্বস্ততার পরিবর্তন হতে পারে। মনে রাখতে হবে, নির্বাচন কমিশন একটি টিম এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধিনায়কমাত্র। কাজেই নির্বাচন কমিশনে যে কোনো ব্যর্থতা শুধু প্রধানের ওপরেই বর্তায় না, সম্পূর্ণভাবে কমিশনের ওপরই বর্তাবে।
আশা করব যে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের যে ধরনের আশার বাণী শোনাচ্ছেন, তা তার টিম ভবিষ্যতে করে দেখাবে। নির্বাচন কমিশনের সফলতা কামনা করছি।
এম সাখাওয়াত হোসেন : সাবেক নির্বাচন কমিশনার, কলাম লেখক ও পিএইচডি গবেষক
উৎসঃ আমাদের সময়
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন