বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নানাবিধ সমস্যায়, জর্জরিত অবস্থার মধ্যেই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রায় চার লাখ শরণার্থীর চাপে নতুন সংকট তৈরি হয়েছে। এ সংকট শুধু অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বিষয়েই পরিণত হয়নি, বরং বৈশ্বিক পরিমণ্ডলের বর্তমান বাস্তবিক পরিস্থিতিতে জাতীয় নিরাপত্তার ওপর নতুন ধরনের ঝুঁকি তৈরি করেছে। তৈরি করেছে বাংলাদেশের কূটনীতি এবং এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের সক্ষমতার। যদিও অনেক সীমাবদ্ধতা আর প্রাথমিক অব্যবস্থার মাঝেও বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া নতুন ও জটিল ধরনের সংকটকে এ পর্যন্ত সামাল দিয়েছে।
বর্তমানের পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিম রাখাইন প্রদেশে যেভাবে রোহিঙ্গা উৎখাত করা হচ্ছে, তা নতুন নয়। এর আগে ১৯৯১ সালেও এ ধরনের পরিস্থিতির কারণে প্রায় চার লাখ শরণার্থী এ দেশে আশ্রয় নিয়েছিল, যার সিংহভাগ এখনো কক্সবাজার জেলার টেকনাফ অঞ্চলের কুতুপালংয়ের রয়েছে। এবারের ভয়াবহতা ১৯৭৮, ১৯৯১ ছাড়িয়ে গেলেও হঠাৎ করেই হয়নি। রোহিঙ্গা নিধনের ছক ও পরিকল্পনা বহুদিন থেকে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এবারের এ সহিংসতার পেছনে আরসা (অজঝঅ) নামক সংগঠনের হঠাৎ আক্রমণকে ‘জঙ্গি’ হামলা বলে মিয়ানমার যতই যুক্তি দিক না কেন, এটা যে জাতিগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করার প্রয়াশ তা এখন বিশ্ববাসীর কাছে অজানা নয়। এসব ভাগ্যহত অসহায় মানুষ নিজেদের আবাস ভূমি থেকে যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে বিতাড়িত করা হয়েছে, তা আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে দারুণভাবে নাড়া দিয়েছে; যা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে।
বস্তুত প্রথম দিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনেকটা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকলেও পরবর্তীতে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তুরস্কের ফার্স্ট লেডির সফর এবং সর্বপরি প্রধানমন্ত্রীর সফরের পর থেকে বিশ্ব মিডিয়ায় এ বিষয়টি আরও আলোচিত হচ্ছে, যার কারণে নিরাপত্তা পরিষদে নিন্দা প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল শক্ত অবস্থান নিয়েছে। তবে এবারের এ মানবেতর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত সহানুভূতিশীল, ইতিবাচক ও মানবতার সপক্ষে দাঁড়ানোর কারণে দৃশ্যপট অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে এবারের হত্যাযজ্ঞকে ‘নরহত্যা’র পর্যায় এবং ‘এথনিক ক্লিন্সিং’য়ের পর্যায় আখ্যা দিয়ে বিশ্বের বহু দেশ ও মানবাধিকার সংগঠন, এমনকি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনও শক্ত ভাষায় ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
এবারের পরিস্থিতি নতুন নয়। ইতিপূর্বে ১৯৭৮ ও ১৯৯১ সালে একই ধরনের পরিস্থিতির শিকার হয়ে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরে স্থান নিয়েছিল। সব মিলিয়ে বাংলাদেশেই প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থী রয়েছে। তবে এবারের সংকট বাংলাদেশকে বড় ধরনের সংকটে ফেলেছে। সংকটটি কূটনৈতিক এবং বৃহদাকারের নিরাপত্তার ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। যদিও বিশ্বব্যাপী মিয়ানমার সরকারের এহেন মানবেতর কর্মকা-ের, যাকে এথনিক ক্লিন্সিং বললেও কম বলা হবে, এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করেছে, তার পরও মিয়ানমার সরকার একে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান বলে চালিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টায় রত। অবশ্য এমন কথা বাংলাদেশেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বক্তব্যে শোনা গেছে। এ ধরনের বক্তব্য যে মিয়ানমার সরকারের মানবেতর কর্মকা-কেই পরোক্ষভাবে সমর্থন দেওয়া হবে, সে বিষয়টি হয়তো তেমনভাবে চিন্তা করা হয়নি।
মিয়ানমার যে উত্তর রাখাইনসহ অন্যান্য অঞ্চল থেকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উচ্ছেদ করে বিতাড়িত করবে তা তাদের সামরিক সরকারের বড় ধরনের পরিকল্পনায় ছিল, সেটা মিয়ানমারের তৎকালীন সামরিক জান্তা সরকার এবং বর্তমানে নেপথ্যের সামরিক জান্তা রাখডাক করেনি। বরং এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে বহু ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজের দেশের ভিটেবাড়িতে থাকাই দুঃসহ। ২০১৪-১৫ এর জাতিগত দাঙ্গার পর রাখাইনের পাঁচ-সাত হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান পরিবারকে বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে এক ধরনের বন্দিশালায় রাখা হয়েছে। এসবই পরিকল্পনার ছকে বাঁধা, যার দৃশ্যমান আরম্ভ হয়েছিল ১৯৮২ সালে সামরিক জান্তা কর্তৃক নতুন নাগরিকত্ব আইনে রোহিঙ্গাদের না রাখা ও রোহিঙ্গাদের প্রায় ৭০ বছরের নাগরিকত্বের দাবি নাকচ এবং সংগ্রামকে নাকচ করা। এর ২০১২ সালে ব্যাপক পরিকল্পনা করা হয়, যার অনুমোদন দেন তৎকালীন সামরিক জান্তার রাষ্ট্রপতি থিন সেন এবং যার বাস্তবায়ন করছে বর্তমান সামরিক বাহিনীর সিনিয়র জেনারেল মিন অং হিলাইং (গরহ অঁহম ঐষধরহম)। চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর সামরিক বাহিনীপ্রধানের বক্তব্য থেকেই প্রতীয়মান। তিনি ঘোষণা দেন, অতীত সরকার পারে না এবারের সরকার বাঙালি প্রশ্নের সমাধান করবে। দুঃখজনক হলেও গণতন্ত্রের মানসকন্যা বলে কথিত অং সান সু চিও প্রায় একইভাবে রোহিঙ্গাদের বাঙালি বলে আখ্যায়িত করেছেন।
অং সান সু চি আরসার আক্রমণকে ‘জঙ্গি’ আখ্যায়িত করার প্রচেষ্টায় রত। অথচ তিনি ভালো করেই জানেন যে, শুধু রোহিঙ্গারাই নয়, মিয়ানমারে জাতিগত ইনসারজেন্সি মিয়ানমার বা তৎকালীন বার্মার স্বাধীনতার পর থেকে শুরু হয়েছিল, যা চরমে ওঠে ১৯৬২ সালের সামরিক জান্তার ক্ষমতা দখলের পর এবং বার্মা ইউনিয়ন বাতিল করার পর থেকেই। ওই সময় বার্মার সামরিক বাহিনীতে কারেন, চীন, কাচিনসহ অন্যরা সামরিক বাহিনী থেকে তাদের সদস্যদের প্রত্যাহার করার পর এসব জাতিগোষ্ঠী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বার্মায় জেনারেল অং সানের নেতৃত্বে জাপান বাহিনীর সহায়ক হিসেবে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। তাদের আশা ছিল যে, বার্মা ইউনিয়ন হলে এসব অঞ্চলে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হবে। তেমনটা না হওয়ায় ১৯৬২ সালে কারেন, কাচিনসহ অন্যরা মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে নিজ নিজ বাহিনী তৈরি করে। যার প্রভাব পড়ে রাখাইন রাজ্যে, বিশেষ করে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর। তবে রোহিঙ্গারা কাচিন, কারেন এবং অন্যদের মতো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি।
বর্তমানে কারেন বিদ্রোহী গোষ্ঠীসহ প্রায় ১৪টি ইনসারজেন্সি গ্রুপ সরকারের সঙ্গে যুদ্ধ চুক্তি করলেও কাচিন ইনডিপেনডেন্ট আর্মি ১৯৬১ থেকে ১৯৯৪ সালের পর একবার যুদ্ধ বিরতি করলেও ২০১১ থেকে এ পর্যন্ত আবার মিয়ানমার বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধরত। বর্তমানে আটটি ইনসারজেন্সি গ্রুপ, যার মধ্যে আরাকান লিবারেশন আর্মি (কাচিন স্টেট) যারা কাচিন, রাখাইন, সান এবং মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় ও আরাকান লিবারেশন আর্মি (কাইন স্টেট)-এ মিয়ানমার বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধরত। এরা স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের জন্য যুদ্ধ করছে। অন্যদিকে অতীতের এবং বর্তমানের আরসা শুধু তাদের নাগরিকত্বের দাবির জন্য মাঠে নেমেছে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
মিয়ানমারে এ ধরনের ইনসারজেন্সিকে সামরিক জান্তা জঙ্গি বলে আখ্যায়িত করেনি। যাহোক, এর মধ্যে ১৪টি ইনসারজেন্সি সংগঠন বর্তমানে যুদ্ধবিরতিতে রয়েছে এবং ২১ সংগঠন বিলুপ্তি ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে পূর্বতন রোহিঙ্গা ইনজারজেন্ট গ্রুপও রয়েছে।
যাহোক, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নির্মূল করার দায়-দায়িত্বে রয়েছেন সামরিক বাহিনী সর্বাধিনায়ক এবং তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের তিনজন জেনারেল। এই গুরুত্বপর্ণ তিন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ ও পরিচালনায় রয়েছেন সামরিক বাহিনীর প্রধান বা সর্বাধিনায়ক। এই তিন মন্ত্রণালয় হলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যার প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল কায়ান সু। এর বিরুদ্ধে কো নি নামক মিয়ানমারের রোহিঙ্গা-মূলের মুসলমান সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকারকর্মীর হত্যার নেপথ্যে থাকার জন্য সন্দেহ করা হচ্ছে। আরেক জেনারেল ‘ইয়ে অং’ রয়েছেন সীমান্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে। অন্যদিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল সেইন ওইন। এই চারজনই বর্তমানে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের রূপকার। সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মিন হিলাইংয়ের গত বছরে চাকরির মেয়াদ শেষ হলেও তাকে বেসামরিক ও সামরিক জান্তার তরফ থেকে তার চাকরি আরও পাঁচ বছর মানে ২০২০ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। অনেকেই মনে করেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে তার রাষ্ট্রপতি হওয়ার সম্ভাবনার রয়েছে। এই সামরিক গোষ্ঠীর পেছনে রয়েছে কট্টরপন্থি বৌদ্ধ ধর্মগুরু অসিন ওই রাথু, যাকে টাইম ম্যাগাজিন প্রচ্ছদে তার ছবির ওপর শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল ‘সন্ত্রাসের মুখ’ (ঋধপব ড়ভ ঞবৎৎড়ৎ)। এই বৌদ্ধ ধর্মগুরু নির্মম মুসলমান, বিশেষ করে রোহিঙ্গাবিরোধী এবং এদের নির্মূল করতে তার অনুসারীদের মাঠে নামিয়েছেন।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেক জটিল। কারণ সংবিধানের বলে শুধু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ই নয়, জাতীয় ও প্রাদেশিক সংসদে ২৫ শতাংশ সামরিক বাহিনীর চাকরিরত সদস্য। বর্তমানে অং সান সু চি সরকারের যে অংশের পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন, তাতে তথাকথিত অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার সার্বিক দায়িত্বে থাকা সর্বাধিনায়ক মিন হিলাইংয়ের ওপর কোনো কর্তৃত্ব বা প্রভাবই নেই। সু চি ‘পোস্টার লেডি’ মাত্র। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ৯৯ শতাংশ সদস্য বার্মার বা বরমন জাতিগোষ্ঠীর। কাজেই অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নৃশংস হওয়া তাদের প্রশিক্ষণেরই অংশ। বর্তমানে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়কের সাংবিধানিক দায়িত্ব হচ্ছে জাতীয় রাজনীতিতে তার বাহিনীর নেতৃত্ব প্রদান নিশ্চিত করা। কাজেই রোহিঙ্গা নিধন এবং গণহত্যার জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চার জেনারেল ও এক ধর্মগুরুই দায়ী থাকবেন। তবে সু চির দায়িত্ব এতে কমার নয়। মিয়ানমারে এ কতিপয় সামরিক ও বেসামরিক নেতারা যে ধরনের মানবতাবিরোধী কর্মকা- করছেন, তা একপর্যায়ে বলকান সংকটে সার্ব বাহিনীর ভূমিকাকেও ছাড়িয়ে গেছে। এসব মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য এদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ উত্থাপন করা যায় কিনা, তা সক্রিয়ভাবে চিন্তা করার যথেষ্ট উপাদান বাংলাদেশের হাতে রয়েছে। বিশেষ করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের হালের বিবৃতির পর।
এত কিছুর পরও ক্রমাগতভাবে রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যায়েও রোহিঙ্গাদের পরিত্যক্ত ভিটেবাড়ি এবং গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে ধূলিস্যাৎ করা হচ্ছে। এরই নেপথ্যে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ধারণা যে, এবারের শরণার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়াতে পারে। এর মানে এই যে, প্রায় ৬০ বছরের মিয়ানমার সামরিক জান্তার রাখাইন রাজ্য রোহিঙ্গাশূন্য করার পরিকল্পনা সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন হওয়ার পথে। কাজেই বাংলাদেশের জন্য সংকট যে স্বল্প সময়ের, তা মনে করার কোনো কারণ নেই।
এ দীর্ঘস্থায়ী সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের সামনে অনেক পথ খোলা নেই কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ছাড়া। এর সমাধান রয়েছে বিশ্ব বিবেকের কাছে। এর সমাধানের ফর্মুলা বিশ্ব সংস্থা এবং বৃহৎ শক্তিদের হাতে রয়েছে, যার নজির রয়েছে সুদানের কসোভো ও বসনিয়া হার্জেগোবিনা সংকটের সমাধানের উদাহরণের। আর এখানেই বাংলাদেশের তৎপরতার দারুণ প্রয়োজন রয়েছে।
এ সংকট সহজে সমাধান হওয়ার নয়। এর পেছনে শুধু ধর্মই কারণ নয়, অর্থনৈতিক কারণও বটে। কাজেই বাংলাদেশের সামনে রয়েছে কঠিন চ্যালেঞ্জ। এ কাজ শুধু সরকার বা প্রধানমন্ত্রীরই নয়, সারা জাতির এবং দলমত নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক দলের। এই জাতীয় সংকট মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের ডাকের পদক্ষেপ সরকারকেই নিতে হবে। আমরা যে সংকটে রয়েছি, তার আশু নিষ্পত্তি হবে এমনটা মনে হয় না। সে পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্যও আমাদের তৈরি থাকতে হবে।
এম সাখাওয়াত হোসেন: সাবেক নির্বাচন কমিশনার, কলাম লেখক ও পিএইচডি গবেষক
উৎসঃ আমাদের সময়
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন