২০১৭ সাল বিদায় নিয়েছে প্রায় সপ্তাহ দুই আগেই। দেশে এখন কনকনে শীত। উত্তরবঙ্গের শীত বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণকালের বললে হয়তো বেশি বলা হবে না। এত শীতের মধ্যেও বিভিন্ন আড্ডায়-চায়ের দোকানে, হাটে-মাঠে-ঘাটে অন্যতম আলোচনা কেমন যাবে ২০১৮ সাল। ভবিতব্য কেউই হয়তো জানেন না, তবে ২০১৭ সাল জাতীয় জীবনে আশু এবং সুদূরপ্রসারী অনেক চ্যালেঞ্জ রেখে গেছে। এগুলোর কয়েকটি ধারাবাহিক হলেও নতুন আঙ্গিক যোগ হয়েছে। এর মধ্য সবচেয়ে জটিল হচ্ছে রোহিঙ্গা সমস্যা, যা শুধু বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটেই নয়, আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটেও বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
২০১৭ সাল শেষ হতে হতে বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের জন্য ধারাবাহিকভাবে যে চ্যালেঞ্জগুলো রেখে গেছে, সেগুলোয় দৃষ্টি না রাখলে এবং নিরসনের পথ বের না করলে আরও বড় ধরনের চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে। বেশ কিছু বছর থেকে যে বিষয়টি সচেতন নাগরিকদের শঙ্কিত করছে, সেগুলো সুদূরপ্রসারী প্রভাব নিয়ে চিন্তিত না হয়ে উপায় নেই। লক্ষণীয় হলো, এসব চ্যালেঞ্জ সমষ্টিগতভাবে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, ভেতর ও বাইরে থেকে জাতীয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের ওপর আক্রমণ রচিত হয়েছে। আক্রমণ হচ্ছে আগামীর নাগরিক, যাদের কাঁধে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব বর্তাবে সেসব যুবক ও কিশোরদের ওপর। তরুণ থেকে অন্যান্য নাগরিককে আক্রমণ করার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে মাদকের ব্যবহারের সম্প্রসারণ এবং শিক্ষাব্যবস্থায় আক্রমণ। অর্থনীতির কোমরে আঘাত। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে শুরু করে বেসরকারি ব্যাংক লুট। হাজার হাজার কোটি টাকার লোপাট। উপরের এই কয়েক ক্ষেত্র ছাড়াও আক্রমণের অন্যতম লক্ষ্যবস্তু হয়েছে সাংস্কৃতিক অঙ্গন। বাঙালি সংস্কৃতি প্রায় ধ্বংসের পথে অবাধ আকাশ সংস্কৃতির কারণে। এর ছাপ ক্রমেই দীর্ঘায়িত হচ্ছে আমাদের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অঙ্গনে। চতুর্থ লক্ষ্যবস্তু, যা মাত্র কয়েক বছরে আতঙ্কিত হওয়ার মতো বৃদ্ধি পাচ্ছে, যে লক্ষ্যবস্তু আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষাঙ্গন।
২০১৮ সাল শুরু থেকেই চারদিকে হৈহৈরব আগামী নির্বাচন নিয়ে। আমি নিজেই প্রায় প্রতিদিন এ বিষয় নিয়েই ব্যস্ত থাকছি। মনে হয়, দেশে নির্বাচন ছাড়া ২০১৮ সালে আমাদের সামনে আর কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। মনে হয়, নির্বাচন হলেই আমাদের জাতীয় জীবনের চলমান এবং আসন্ন সংকটের সমাধান হয়ে যাবে। আর নির্বাচন মানেই আমরা উদার গণতান্ত্রিক দেশের তকমা পেয়ে যাব। আমাদের দেশে শুধু নির্বাচন নিয়ে যেভাবে সবাই মেতে থাকেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিরল, এমনকি আমাদের পাশের দেশগুলোতেও নির্বাচন নিয়ে এমন হৈহুল্লোড় দেখা যায় না।
২০১৮ সাল কেমন যাবে এ নিয়ে জ্যোতিষী থেকে শুরু করে প্রায় অনেক বিজ্ঞ ব্যক্তি প্রচুর লেখালেখি, টকশো ও গোলটেবিল বৈঠকে রয়েছেন। সবার একই বিষয়, আগামী নির্বাচন। অবশ্যই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতীয় জীবনে হয়তো দারুণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। নির্বাচন দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য না হলে বাংলাদেশের জন্য যে মঙ্গল বয়ে আনবে না, তাতে সিংহভাগ মানুষ মোটেও সন্দেহ পোষণ করেন না। তবে যে বিষয়গুলো উল্লেখ করলাম, সেগুলো যে ভবিষ্যতে জাতীর মেরুদ- ভাঙবে, তাতে কোনোই সন্দেহ নেই।
আমার মনে হচ্ছে যে, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় যে ধস নেমেছে এবং এভাবে চলতে থাকলে কয়েক প্রজন্ম এর এমন শিকার হতে হবে যে, সেখান থেকে বের হওয়া দুরূহ হবে। আমাদের জীবনের কোনো সময়েই এমন ব্যাপক প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার বিষয় কল্পনাতেই আসেনি। এখন প্রথম শ্রেণির প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো ঘটনা ঘটছে। এক অবিশ্বাস্য বিষয়। এর আগে হাজারখানেক স্কুলের পরীক্ষা মাত্র একদিন আগে বাতিল করা হয়েছে বলে তথ্য প্রকাশ। প্রশ্নপত্র ছিল দ্বিতীয় শ্রেণির। অবিশ্বাস্য বিষয়। ওই দিনই বিবিসিতে সাক্ষাৎকারে একজন বাবা দুঃখ করে বলেছিলেন যে, পরীক্ষা না হওয়ার সংবাদে তার দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়–য়া শিশু কাঁদতে কাঁদতে বাবাকে প্রশ্ন করেছিল, কী কারণে পরীক্ষা বন্ধ হয়েছে? ভদ্রলোক দুঃখ করে মন্তব্য করলেন যে, তিনি কীভাবে তার এই কোমলমতি শিশুসন্তানকে বোঝাবেন যে, তার ক্লাসের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। বাকি উচ্চশিক্ষার জায়গার প্রশ্নপত্রের ফাঁসের কথা তো বলাই বাহুল্য। ইদানীং একটি ব্যাংকের প্রশিক্ষণ সমাপ্তির পর পরীক্ষা বাতিল করেছিল, কারণ প্রশ্নপত্র ফাঁস। এ বিষয়ে লিখতে গেলে মহাকাব্য হতে পারে।
শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে বিষদ সারগর্ভ আলোচনা করার মতো জ্ঞান আমার নেই, কিন্তু সচেতন ও সিনিয়র নাগরিক হওয়ায় আমি অতীতের সঙ্গে তুলনা করে হতাশ। এ প্রসঙ্গে কিছুদিন আগে কোনো এক সংবাদপত্রে সজ্জন বলে বিবেচিত শিক্ষামন্ত্রী বলেছেনÑ ১৯৬১ সালেও প্রশ্নপত্র ফাঁস হতো, এ ধরনের কিছু কথা। তিনি ১৯৬১ সালকে কেন বেছে নিলেন জানি না। তবে তার মতো একজন ব্যক্তি, যিনি একসময় বাম রাজনীতির আদর্শে রাজনীতি করতেন তার মুখ থেকে এমন কথা শুনব বলে আশা করিনি। এর আগে তিনি ঘুষ খাওয়া নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে ঘুষখোর ব্যক্তিরাও চমৎকৃত হয়েছেন। অবশ্য মন্ত্রী মহোদয় এক কথায় স্বীকার করেছেন যে, ঘুষ এখন আমাদের সামাজিক জীবনে এক ব্যাধির মতো বাসা বেঁধেছে। এর আগে আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলেছিলেন যে, ঘুষ নয়, স্পিড মানি। অবশ্যই স্পিড মানি।
ঘুষবাণিজ্য কম করতে সরকার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন অভূতপূর্বভাবে বাড়িয়েও কিছুই করতে পেরেছে বলে মনে হয় না। যারা এ পথের পথিক নন, সেসব সহায় কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্যও যুদ্ধ নামে এক ধরনের বিপদ। নিয়মনীতি ও আইনানুগভাবে কাজ করতেও পদে পদে বাধা। বিনা স্পিড মানিতে কোনো সরকারি কাজ হয়Ñ এ কথা এখন কেউ বিশ্বাসও করতে চান না। অতীতে ঘুষ শুধু সরকারি পর্যায়েই ছিল, এখন তার বিস্তৃতি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও বেড়েছে। স্কুল-কলেজে ভর্তি টাকা ছাড়া হয় না, যার নাম ডোনেশন।
বলছিলাম শিক্ষাব্যবস্থার কথা। ঢাকা শহরেই প্রায় একশর কাছাকাছি এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে। জানি না এই আয়তনের বিশ্বের আর কোনো শহরে এত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে কিনা? এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগের মান নিয়ে কথা না বলাই ভালো। এমনকি উচ্চশিক্ষাতেও চৌর্যকৃত্য। পিএইডি গবেষণাও চৌর্যবৃত্তির আবর্তে।
শিক্ষাব্যবস্থার এহেন অবস্থার সঙ্গে তরুণ সমাজকে আক্রমণের মোক্ষম অনেক হাতিয়ার মাদক এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। যদিও তেমন গবেষণালব্ধ পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না। তবে বিভিন্ন তথ্যে প্রকাশ যে, প্রায় এক কোটি মানুষ ভয়ঙ্করভাবে বিভিন্ন ধরনের মাদকের শিকার, যার মধ্যে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ তরুণ; ইয়াবা, গাঁজা এবং অন্যান্য মাদকের ছোবলে ধ্বংসের পথে অনেক তরুণের জীবন। ইয়াবা এখন হাটে-মাঠে-ঘাটে উন্মুক্তভাবে পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার এর উৎপত্তি। মিয়ানমার বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎতম মাদক উৎপাদনকারী দেশ। প্রায় ৫ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার এ ব্যবসায়ে উপার্জন। ওই দেশের সামরিক বাহিনীর সদস্য থেকে বড় বড় ইনসারজেন্ট গ্রুপের প্রধান অর্থ উপার্জনের উপাদান মাদক। ক্রমেই বাংলাদেশেও প্রভাবশালী ব্যক্তি থেকে কিছু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যও এই লাভজনক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে বলে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশ। তথ্যে ফুটে উঠছে রক্ষক ভক্ষক হওয়ার চিত্র।
আমাদের দেশের মাদকের এমন প্রভাব মনে করিয়ে দেয় ঊনবিংশ শতাব্দীর চীনের কথা। ওই সময়ে মাদকের আসক্তিতে চীনের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ একেবারে অকর্মন্য হয়ে পড়েছিল। এ আসক্তি ছড়িয়েছিল ওই সময়ে ভারতের ব্রিটিশ রাজ। অফিস-বাণিজ্যের মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি পূরণকল্পে অনুমতি দিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার। দুটি বাণিজ্যযুদ্ধও হয়েছিল রাজকীয় চীনা বাহিনীর সঙ্গে। সামরিক ইতিহাসে এই দুই যুদ্ধ চিহ্নিত রয়েছে প্রথম অপিয়াম যুদ্ধ (১৮৩৯-১৮৪২) এবং দ্বিতীয় অপিয়াম যুদ্ধ (১৮৫৬-১৮৬০)। ওই যুদ্ধগুলোর কারণে ওই সময়ের জিং রাজতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়েছিল। হাতছাড়া হয়েছিল হংকংসহ বেশ কয়েকটি বন্দর। মাদকের ওপর ১৭২৯ সালের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল।
এরই প্রেক্ষাপটে চীন হয়ে উঠেছিল দখলদারদের রণক্ষেত্র। বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত চীনা সমাজ মাদকের নেশায় বুঁদ হয়েছিল। এ অবস্থার ভয়াবহ ও সামাজিক অবক্ষয়ের চিত্র পাওয়া যায় নোবেল বিজয়ী পাল এস বাক (চবধৎষ ং. ইঁপশ)-এর কালজয়ী উপন্যাস ‘গুড আর্থ’ নামক রচনায়। অনুরোধ করব, যেসব সুহৃদ পাঠক এমন একটি সাহিত্যকর্ম পড়েননি, তাদের বলব এ উপন্যাসটি পড়তে। আমাদের দেশে মাদকের কারণে স্নেহময়ী কন্যা পিতা-মাতাকে হত্যা পর্যন্ত করতে কুণ্ঠাবোধ করেনি। ঠিক যেন পার্ল এস. বাকের ওয়াংলাঙ্গ পরিবারের চিত্র। তবে ওয়াংলাঙ্গ পুত্রদের হাতে নিহত হননি, সর্বস্ব খুয়েছিলেন বৃদ্ধ বয়সে। সেখানেও ছিল অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের কাহিনি।
জাতীয় জীবনের বাকি দুই আক্রমণের ক্ষেত্র নিয়ে হয়তো অন্য সময়ে বিশদ আলোচনা করার ইচ্ছা রাখি। তবে এসবই একই সূত্রে গাঁথা। মনে হয় সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার ছকে আমাদের সমাজ এবং জাতীর ভবিষ্যৎ অন্ধকার গহ্বরের দিকে তিলে তিলে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০১৮ সালকে প্রায় সবাই নির্বাচনের বছর হিসেবেই আলোচনায় রাখতে চাইবেন, কিন্তু ২০১৮ সাল জাতীয় জীবনে যে এ ধরনের দুর্যোগ বাড়বে না তার নিশ্চয়তা কোথায়। আমরা এ আক্রমণ কীভাবে মোকাবিলা করব, তা গুরুত্বের সঙ্গে ভেবে দেখা অতীব জরুরি। যেমন জরুরি অর্থবহ নির্বাচন।
বাঙালি সংস্কৃতি যেভাবে বদলে যাচ্ছে, তার উদাহরণ পেতে বেশি গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে হয় না। আমাদের দেশের মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্তদের সন্তানদের বিবাহ উৎসবগুলোর দিকে নজর দিলেই পরিষ্কার চোখে দেখা যায় পরিবর্তন। কনের গায়ে এখন লাল বা অন্য রঙের বেনারসি দেখা যায় না, দেখা যায় বিজাতীয় পোশাক। একই ভাবে বরের পরিধেয়তেও আসছে পরিবর্তন। সানাইয়ের পরিবর্তে একেবারে পাঞ্জাবি ভাষার চটুল গান। বড় বড় শহরের হোডিংয়ের মডেল এবং বিভিন্ন পণ্যের প্রচারণায় যে ধরনের সাজপোশাক দেখা যায়, সেখানে বাঙালিয়ানার ছিটেফোঁটা নেই। ঢাকাই চলচ্চিত্রের পোস্টারের কথা বলতে নিজেকেই কুণ্ঠিত হতে হয়। টিভির নাটকের ভাষায় কোথাও প্রমিত বাংলার রেশও পাওয়া যায় না। এটা যে আমাদের জাতীর স্বকীয়তা হাজার বছরের সংস্কৃতির কত বড় ক্ষতি হচ্ছে তার উদাহরণ যে আমাদের সামনেই রচিত হচ্ছে, তাতে কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়।
যাই হোক, এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কীভাবে করা যায় তা নিয়েও খুব একটা আলোচনা হয় বলে মনে হয় না। ২০১৮ সালে চ্যালেঞ্জ তালিকা আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে। আগস্টের মধ্যেই ভারতের আসাম রাজ্যে হয়তো অনেক বাংলা ভাষাভাষী মুসলিম জনগোষ্ঠী নাগরিকত্বের তত্ত্বে বাইরে চলে যাবে। ইতোমধ্যেই অনেকটা মিয়ানমারের মতো, এদের বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে আখ্যায়িত হচ্ছে। হয়তো আমাদের উত্তরাঞ্চলে রোহিঙ্গা সংকটের মতো আরেকটি নতুন সংকটের সূচনা হতে পারে বা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এসব কারণেই ২০১৮ সাল হয়ে উঠতে পারে জাতীয় জীবনের এক কঠিন বছর। অবশ্যই দেশের গণতন্ত্রের এবং এসব সংকট মোকাবিলার জন্য একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রয়োজন অপরিসীম, কারণ জনসমর্থিত সরকার না হলে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কঠিন হবে, অন্যথায় রাজনৈতিক সংকট আরও জটিল করবে জাতীয় জীবন।
য় এম সাখাওয়াত হোসেন : সাবেক নির্বাচন কমিশনার, কলাম লেখক ও পিএইচডি গবেষক
উৎসঃ আমাদের সময়
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন