সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে গণতন্ত্র অনেক পুরনো ও আদর্শ হিসেবে মানব সভ্যতার মতোই প্রাচীন। অনেক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর মতে, আদিম সমাজে বিদ্যমান ছিল এক ধরনের সমতাভিত্তিক বা সমবণ্টনকেন্দ্রিক ব্যবস্থা। বিদ্যমান ছিল গ্রুপ বা গোত্রের সাথে এক ধরনের একাত্মতা আর ছিল সাম্য-সহমর্মিতা-সমবেদনাকেন্দ্রিক সাম্য। রবার্ট ডালের (Robert Dahl 1989) কথায়, আদিমকাল থেকেই শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে সমাজের মানুষ ভেবেছেন। তাদের রয়েছে- ‘রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সমমর্যাদাসম্পন্ন অবস্থান, সামগ্রিকভাবে তারা সার্বভৌম ও তাদের রয়েছে নিজেদের শাসন করার উপযোগী সক্ষমতার সম্পদ এবং প্রতিষ্ঠান।’ সমাজ বৃহৎ থেকে বৃহত্তর হলে এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা জটিল হয়ে উঠলে শাসনব্যবস্থার স্তর এবং পর্যায় সৃষ্টি হতে থাকে এবং এর ফলে কিছু দক্ষ ব্যক্তির প্রভাব স্বীকৃত হয় বটে, কিন্তু সাধারণ মানুষের চাহিদা কোনোক্রমে উপেক্ষিত হয়নি। সবাই মিলে শাসন এবং নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা পালন করেছেন। এভাবে শাসনব্যবস্থা হিসেবে গণতন্ত্রের উত্থান ঘটে খ্রিষ্টের জন্মের ৫০০ বছর আগে। তখন গ্রিসের নগররাষ্ট্রগুলোতে একটু একটু করে এ ব্যবস্থা স্থিতিশীল হয়। গ্রিস থেকে রোমে এর বিস্তৃতি ঘটে।
তখনকার গ্রিসে গণতান্ত্রিক শাসন অবশ্য ছিল ভিন্ন প্রকৃতির। যারা নাগরিকরূপে চিহ্নিত ছিলেন তারাই প্রত্যক্ষভাবে শাসনকাজ পরিচালনা করতেন। সাধারণ মানুষ এবং শাসনকারীদের মধ্যে কোনো মধ্যবর্তী স্তর ছিল না। তাই সেই ব্যবস্থাকে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র বলা হতো। এ ছাড়া সেই গণতন্ত্রে ক্রীতদাস ও নারীদের অংশ নেয়ার কোনো সুযোগও ছিল না। এ জন্য সেই ব্যবস্থাকে অপূর্ণ গণতন্ত্র বলা যায়, রোমানদের হাতে গণতন্ত্র হয়ে ওঠে প্রজাতন্ত্র। সেই ব্যবস্থায় কোনো রাজা বা সম্রাট ছিলেন না। ছিলেন শুধু জননেতা। রোমান গণতন্ত্রের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ছিল নাগরিক অধিকার সংরক্ষণের সর্বোচ্চ রক্ষাকবচ। তারা বিশ্বাস করতেন, প্রকৃতিগতভাবে কিছু অধিকার নিয়ে মানুষ জন্মগ্রহণ করেন। প্রাকৃতিক আইনে তার স্বীকৃতি রয়েছে। সুতরাং শাসনব্যবস্থা যিনিই পরিচালনা করেন নাগরিকদের অধিকার খর্ব করার কোনো ক্ষমতা তার নেই।
গ্রিসের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে পদদলিত এবং সব নগররাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ করে বিশ্বজয়ের অভিযান শুরু করেছিলেন একজন খ্যাতনামা গ্রিক দিগি¦জয়ী এবং তিনি হলেন আলেকজান্ডার। শুধু গ্রিস কেন, উত্তর আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়া ও মধ্য এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করে তিনি উত্তর-পশ্চিম ভারত পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলেন। অন্য দিকে রোমান ব্যবস্থা পর্যুদস্ত হয় হুন, শক ইত্যাদি ‘বর্বর’ জাতির বিজয় অভিযানে। রোম দখল করে তাদের সংস্কৃতি চর্চা ও গণতন্ত্র দেখে তাদের কোনো কোনো নেতা অট্টহাসি হেসে বলেছিলেন, ‘এখন আর এসব আবর্জনার কোনো প্রয়োজন নেই।’ কুঠারাঘাতে রোমের বহু নাট্যশালা তারা মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছিলেন। এভাবে গ্রিক ও রোমানদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রায় নিঃশেষ হয়ে আসে। কিন্তু সাধারণ মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা, বিশেষ করে স্বশাসনের প্রতি মানুষের যে সহজাত দুর্বলতা তা-তো চিরঞ্জীব। তার তো মৃত্যু নেই।
হঠাৎ তখনকার সভ্য দুনিয়া অবলোকন করলেন, উত্তর মরু-অঞ্চলের খেজুরবীথির পাশে এক গ্রামীণ পরিবেশে ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে ইয়াসরেব লোকালয় মদিনা নাম ধারণ করে নতুনভাবে, একেবারে নতুন আঙ্গীকে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগঠন করে ফেলেছে। তাও এই এলাকার বসবাসকারী বিভিন্ন ধর্মের, বিভিন্ন গোত্রের ও সম্প্রদায়ের জনসমষ্টির রাষ্ট্র গঠনের এক চুক্তির মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, তারা একটি সুলিখিত সংবিধান রচনাও করেছেন। এ সংবিধান ‘মদিনা সনদ’ নামে খ্যাত। নেতৃত্বে ছিলেন মক্কায় জন্মগ্রহণকারী ইসলামের রাসূল হজরত মুহাম্মদ সা:। বিশ্বের সর্বত্র তখন রাজরাজড়ার শাসন। সম্রাট ও ধর্মযাজক পোপের আধিপত্য। বিশ্বময় সাহারা মরুভূমির মধ্যে মদিনা রাষ্ট্র যেন ছোট্ট এক মরূদ্যান। এ রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ছিল শাসনকারীদের ন্যায়ানুগ কর্মকাণ্ড, তাদের স্বচ্ছ নীতিমালা এবং জনগণের কাছে জবাবদিহিতা। চুক্তির মাধ্যমে সৃষ্ট মদিনা রাষ্ট্রের সনদ হয়ে ওঠে বিশ্বে সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান। সাম্য, শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্ব হয় এর স্লোগান।
শাসনব্যবস্থার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি-অগ্রগতি সম্পর্কিত সাহিত্যে মুসলিম চিন্তাবিদদের অবদানের তেমন কোনো বিবরণ নেই। সব সময় বলা হয়েছে, গণতন্ত্র একান্তভাবে পাশ্চাত্যের এবং পাশ্চাত্যের বিভিন্ন গবেষক-সমালোচকদের সুচিন্তিত অভিমত ও বিশ্লেষণের ফলেই গণতন্ত্র সমৃদ্ধ হয়েছে। এ বিবরণ সঠিক নয়, নয় পরিপূর্ণ। ২০০০ সালে প্রকাশিত The Global Advance of Democracy গ্রন্থে আদেল সাফটি (Adel Safty) সত্যই বলেছেন, ‘আলোকিত যুগের ইউরোপীয় চিন্তাবিদেরা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার উৎস যে মূল্যবোধ তা বিশ্লেষণে সর্বপ্রথমে লেখনী ধারণ করেনি। তাদের বহু আগেই এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন মুসলিম দার্শনিকেরা। প্রকৃত প্রস্তাবে জন লক (Johan Locke) এবং রুশোর (Rousseau) বহু আগে আল-ফারাবি (Al-Farabi) গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার ভিত্তিরূপে স্বাধীনতা, সাম্য ও জনগণের সম্মতি সম্পর্কে মনোজ্ঞ আলোচনা করেছেন।
এটি অবশ্য সত্য, তখনকার শাসনব্যবস্থাগুলোর প্রকৃতি ছিল ভিন্ন এবং আধুনিককালের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার থেকে তা ছিল হাজার যোজন দূরের। ওই সব শাসনব্যবস্থা বিভিন্নভাবে ছিল সীমিত, অপরিণত, অনেকটা প্রাথমিক পর্যায়ের। গ্রিক ও রোমান সাম্রাজ্যের পতনের ফলে সারা বিশ্বে সৃষ্টি হয় সামন্তবাদী এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগের। গণতন্ত্রের চেতনা দলিত-মথিত করে সামন্ত প্রভুরা খণ্ড-ছিন্ন জনপদে প্রতিষ্ঠা করে তাদের ব্যক্তিগত আধিপত্য এবং সেই আধিপত্যের নিগড়ে আষ্টেপৃষ্ঠে বন্দী হয় গণতান্ত্রিক চেতনা। ইউরোপব্যাপী এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। রাজনৈতিক ইতিহাসে এ সময়কাল মধ্যযুগ বলে পরিচিত। এক দিকে ধর্মীয় উন্মাদনা, অন্য দিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে সামন্তপ্রভু ও আরো পরে রাজন্যবর্গের সাথে পোপদের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা, দ্বন্দ্ব ও দীর্ঘকালীন পরিসরে রাজতন্ত্রের প্রচণ্ড দাপট এবং তাদের পারস্পরিক সঙ্ঘাতের ফলে গণতন্ত্রের ধারণা সমাজজীবন থেকে হয় নির্বাসিত। এ অবস্থা অব্যাহত থাকে দীর্ঘ দিন।
দীর্ঘ দিনের অগণতান্ত্রিকতার ঘন অন্ধকার থেকে অবশেষে আধুনিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কাঠামো এবং কার্যক্রম সুস্পষ্ট হতে থাকে আঠারো শতকের ইউরোপ এবং উত্তর-আমেরিকায় সঙ্ঘটিত কিছু গণভিত্তিক আন্দোলন ও বিপ্লবের মাধ্যমে। ব্রিটেনের কমন্স সভা, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে স্থানীয় পরিষদগুলো ক্রমেক্রমে প্রাণ পেতে শুরু করে। ১৬৮৮ সালে গৌরবময় বিপ্লব, ১৭৭৬ সালে আমেরিকার স্বাধীনতাযুদ্ধ, ১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লব এমনি সব ঐতিহাসিক মাইলফলক। এসব বৈপ্লবিক ঘটনার মধ্য দিয়ে ইউরোপে সাম্য, স্বাধীনতা, জনপদের অবিচ্ছেদ্য অধিকার এবং জনসমষ্টির সম্মতিভিত্তিক সরকারের ধারণা প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শুধু তাই নয়, উল্লিখিত গণআন্দোলন এবং বিপ্লবের আগে সাধারণ মানুষের আত্মশক্তি ও আত্মবিশ্বাস সূচনাকারী বিশ্বজয়ী মানসিকতার যথার্থ স্ফুরণ ঘটে ইউরোপব্যাপী বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা ও যুক্তিবাদী মুক্তমনের সৃষ্টিকারী এক আন্দোলনের ফলে, যা ইতিহাসে চিহ্নিত হয়েছে রেনেসাঁরূপে। এর দুর্দম তরঙ্গ সারা ইউরোপকে আন্দোলিত করতে থাকে কয়েক শতাব্দী ধরে এবং গভীরভাবে প্রভাবিত করে ইউরোপের শিল্পকলা-সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে। মানবতার বিজয় ছিল এর প্রধান স্লোগান। প্রত্যেকের মনে আত্মবিশ্বাসের সূত্রকে সুদৃঢ় করা ছিল এর লক্ষ্য। সীমাহীন সম্ভাবনার অধিকারী যে মানুষ তার স্বীকৃতি ছিল এর মৌল সুর। পাশ্চাত্যে মানুষ আবেগের পরিবর্তে যুক্তির প্রাধান্য স্বীকার করেন। ব্যক্তি-আধিপত্যের পরিবর্তে আইনের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী হয়ে ওঠেন। আইনে যে তাদেরই স্বার্থ প্রতিফলিত হতে হবে তা শাসকদের মানতে বাধ্য করেন। তাদের প্রতিনিধিত্ব ছাড়া শাসক যে তাদের ওপর কোনো করআরোপ করতে পারবেন না তা শাসককে মানতে বাধ্য করেন। সর্বোপরি, তাদের সম্মতিভিত্তিতে যে সরকার গঠিত হবে এবং তাদের সম্মতি সাপেক্ষে সরকার অব্যাহত থাকবে তা সরকারকে স্বীকার করতে বাধ্য করেন।
এভাবে পাশ্চাত্যে গণতন্ত্রের শিকড় জনসমাজের গভীরে প্রবেশ করতে শুরু করে। কিন্তু এই প্রক্রিয়া কার্যকর করতে লেগেছিল কয়েক শ’ বছর। দীর্ঘ দিন ধরে এ প্রক্রিয়ার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সমাজকে নতুনভাবে সুসজ্জিত করে। এ প্রক্রিয়ার অনুধাবনে একটি দৃষ্টান্তই যথেষ্ট। ১৮৯৩ সালে সর্বপ্রথম নারীদের ভোটাধিকার দেয়া হয় নিউজিল্যান্ডে। অস্ট্রেলিয়ায় তা স্বীকার করা হয় ১৯০২ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের ১৯২০ সালে ও ব্রিটেনে ১৯২৮ সালে। যে ফ্রান্সে শাসনব্যবস্থাকে ওলটপালট করে বিপ্লবের জন্ম হয়েছে ১৭৮৯ সালে, সেই ফ্রান্স ও বেলজিয়ামে নারীরা ভোটাধিকার লাভ করে ১৯৪৭ সালে। ইউরোপের সবচেয়ে স্থিতিশীল, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনেক উন্নত এবং সৃজনশীলতার অগ্রগামী রাষ্ট্র সুইজারল্যান্ডে নারীদের ভোটাধিকার দেয়া হয় ১৯৭১ সালে অর্থাৎ বাংলাদেশের স্বাধীনতার বছরে। এ দিক থেকে বলা যায়, রাজনৈতিক আদর্শ হিসেবে গণতন্ত্র প্রাচীনতম বটে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কিন্তু সাম্প্রতিক কালের, এক অর্থে বিশ শতকের।
ইতিহাসে সর্বপ্রথম এই সময়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সংখ্যা সর্বাধিক। ২০০১-০২ সালে সম্পাদিত ফ্রিডম হাউজের (Freedom House) সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বিশ্বের সব জনগোষ্ঠীর ৬৫ শতাংশ এখন বাস করছেন গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার অধীনে। পাশ্চাত্য এবং মুসলিম বিশ্ব, বিশেষ করে আরব বিশ্বের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো পাশ্চাত্য রেনেসাঁ ও রিফরমেশন আন্দোলনের ফলে যেভাবে এনলাইটেনমেন্ট যুগে বা আলোকিত যুগে না ফেলে এবং বিভিন্ন বিপ্লবের পরে যেভাবে গণঅধিকার সম্পর্কে সচকিত হয়ে ওঠে, মুসলিম বিশ্বে তার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া তেমন প্রভাবশালী হয়ে ওঠেনি। মধ্যযুগ অতিক্রম করে পাশ্চাত্য আধুনিকতার সরোবরে যেভাবে অবগাহনের সুযোগ লাভ করে, মুসলিম বিশ্বে তেমন সুযোগ আসেনি। এ ছাড়া উনিশ শতকের শিল্পবিপ্লব যেভাবে ইউরোপে নতুন সমাজের পত্তন করে আরব বিশ্বে তাও ছিল অনুপস্থিত। শিল্পবিপ্লবের ফলে ইউরোপের বিভিন্ন স্থানে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে।
পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য বাণিজ্যের বহুমুখী নেটওয়ার্ক তৈরি হয় দেশে ও বিদেশে। বিজ্ঞানের চর্চা শুরু হয় নতুনভাবে। সব নবপ্রযুক্তি আবিষ্কারের ফলে সমাজে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা ঘটে। শ্রমিক শ্রেণী প্রভাবশালী হয়ে ওঠে। জন্মলাভ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণী। শিল্পপতি, বড় ব্যবসায়ী ও উৎপাদকদের কাছে মাথানত করতে বাধ্য হয় আরব বিশ্বে এ ধরনের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। এসব দেশের সামন্তপ্রভুরা বংশানুক্রমিক উত্তরাধিকারীদের আধিপত্যের মাধ্যমে অশিক্ষিত ও অসচেতন জনসমষ্টির ওপর প্রভুত্ব বজায় রাখে। এ ধারণা এখনো বিদ্যমান হয়েছে অনেকাংশে। মোট কথা, বহু চড়াই-উৎরাই অতিক্রম করে পাশ্চাত্য সামন্তবাদী রাজতন্ত্রকে দলিত-মথিত করে গণতন্ত্রের মহাসড়কে পা ফেলেছে। কিন্তু মুসলিম বিশ্ব গণতন্ত্রের আলোকোজ্জ্বল পৃথিবী থেকে মাত্র তিন দশকের মাথায় অগণতান্ত্রিকতার, রাজতন্ত্রের অন্ধকার গুহায় প্রবেশ করে। সেই গুহা থেকে আজো তাদের গণতান্ত্রিক আলোর রাজ্যে উত্তরণ ঘটেনি।হ
লেখক : রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সাবেক ভিসি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
উৎসঃ নয়াদিগন্ত
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন