শেখ মুজিবের ৭ মার্চের বক্তৃতার গুরুত্ব নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে এবং হচ্ছে। কিন্তু এটা হতে পারছে সে সময়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষিতকে বিবেচনায় না নিয়ে; কেবলই শেখ মুজিবের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে নির্ভর করে। কিন্তু রাজনৈতিক নেতারা যেমন তাদের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের জোরে রাজনৈতিক ইতিহাস সৃষ্টি করেন, তেমনি আবার বিশেষ রাজনৈতিক পটভূমিতেই হয়ে থাকে তাদের আবির্ভাব। সেই পটভূমিকে বাদ দিয়ে তাদের কৃতির বিচার করতে গেলে সৃষ্টি হতে চায় একদেশদর্শিতা। ২০১২ সালে প্রকাশ হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’। এটা পড়লে অনুধাবন করা যায়, শেখ মুজিব তার সময়ের মাধ্যমে কতটা প্রভাবিত হয়েছিলেন। আমার কাছে শেখ মুজিবের অসমাপ্ত জীবনকাহিনীকে মনে হয়েছে তার সময়ের রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। বইটি ভালোভাবে অনুশীলন করলে কেবল ব্যক্তি শেখ মুজিবের কথাই উপলব্ধি করা যায় না, প্রত্যক্ষ করা চলে তার সময়ের রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের চিত্র ও চরিত্র। বইটিতে সেই সাথে ফুটে উঠেছে রাজনৈতিক চিন্তাচেতনার মূল রূপরেখা।
৭ মার্চের বক্তৃতা যথেষ্ট গুরুত্ববহ হলেও যার কোনো পরিচয় বিধৃত নয়। এর ওপর পড়েছে সে সময়ের মার্কিন নীতির ও ছাত্ররাজনীতির বিশেষ প্রভাব। তিনি যা বলেছেন, তাতে সব পক্ষকেই ছিল একটা খুশি রাখার ভাব। এতে আছে রাজনীতির চেয়ে কূটনৈতিক দক্ষতার পরিচয়। সেটি ছিল ঠাণ্ডা লড়াইয়ের যুগ। শেখ মুজিব সে সময় ছিলেন মূলত মার্কিন প্রভাব বলয়ভুক্ত একজন নেতা। তাকে বিশেষভাবে বিবেচনা করতে হয়েছিল মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিকে। ৭ মার্চ খুব ভোরে পাকিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ফারল্যান্ড গিয়েছিলেন শেখ মুজিবের সাথে দীর্ঘ বৈঠক করতে তার (শেখ মুজিবের) ৩২ নম্বর ধানমণ্ডির ঢাকার বাড়িতে। এই আলোচনায় তিনি (ফারল্যাান্ড) বলেছিলেন, পূর্ববাংলায় যদি স্বঘোষিত স্বাধীনতা হয়, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাকে স্বীকৃতি দেবে না। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এই সঙ্কেত শেখ মুজিবকে খুবই সতর্ক করেছিল। তিনি তার ৭ মার্চের ভাষণে এক দিকে যেমন বলেন, এবারের সংগ্রাম হলো আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, তেমনি আবার সেই একই সাথে বলেছিলেন, সংগ্রাম হতে হবে অহিংস পদ্ধতিতে। সর্বোপরি তিন তার এই বক্তৃতায় বলেছিলেন, তিনি হলেন পাকিস্তানের মেজরিটি পার্টির নেতা। তিনি কখনোই দাবি করেননি, তিনি হলেন কেবল পূর্বপাকিস্তানের নেতা।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, জুলফিকার আলী ভুট্টো ১৯৭০ সালের নির্বাচনে পূর্বপাকিস্তান থেকে কোনো প্রার্থী দেননি। কিন্তু আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের পশ্চিম ভাগের প্রদেশ থেকে দিয়েছিল প্রার্থী। যদিও সেসব প্রার্থী নির্বাচনে সফল হতে পারেননি। কিন্তু ১৯৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল সাবেক সমগ্র পাকিস্তানের একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে। কেবলই পূর্বপাকিস্তানের একটি দল হিসেবে নয়। আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করতে চেয়েছিল; কিন্তু এখন বলা হচ্ছে ৭ মার্চ শেখ মুজিব তার বক্তৃতায় নাকি ঘোষণা করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের কথা। ১৯৭১ সালে তাজউদ্দীন আহমদ কলকাতায় গঠন করেছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার। এই সরকার ১৭ এপ্রিল ঘোষণা করেছিল স্বাধীনতা। তাই প্রশ্ন তোলা যায়, শেখ মুজিব যদি ৭ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করেই থাকেন, তবে আবার ১৭ এপ্রিল কেন নতুন করে স্বাধীনতা ঘোষণা করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল? এই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র রচিত এবং পঠিত হয়েছিল ইংরেজি ভাষায়। যাতে বিদেশী সাংবাদিকেরা সেটিকে সহজেই অনুধাবন করতে পারেন এবং সারা বিশ্বে সহজেই হতে পারে প্রচারিত। এতে বলা হয়েছিল, যেহেতু আগা মুহাম্মদ ইয়াহিয়া খান নির্বাচিত প্রতিনিধিদের একত্র হয়ে সংবিধান রচনা করতে দিচ্ছেন না, তাই বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা একত্র হয়ে সংবিধান রচনা করতে চাচ্ছেন এবং বাংলাদেশকে একটি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করছেন। রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য হবে তিনটি : একটি হলো Equality (মানবসমতা), Human Dignity (মানবমর্যাদা) এবং Social Justice (সামাজিক সুবিচার)। লক্ষ করার বিষয় এই, ঘোষণাপত্রে সমাজতন্ত্র (Socialism) এবং ধর্মনিরপেক্ষতা (secularism) সম্পর্কে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। যে দু’টি আদর্শকে পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ বিশেষভাবে গ্রহণ করতে চেয়েছে। ১৭ এপ্রিলের ঘোষণাকে মুজিবনগরের ঘোষণা বলেও উল্লেখ করা হয়। এর একটা বাংলা অনুবাদ করে ১৮ এপ্রিল প্রচার করা হয়েছিল কিছুটা বেসরকারিভাবে।
প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা শারমিন আহমদ ২০১৪ সালে ‘তাজউদ্দীন আহমদ : নেতা ও পিতা’ নামে একটি বই লিখেছেন। এতে তিনি বলেছেন, তার পিতা ঢাকায় শেখ মুজিবকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে অনুরোধ করেছিলেন। একটি ঘোষণাপত্র রচনা করে তিনি শেখ মুজিবকে স্বাক্ষর করতে বলেছিলেন। কিন্তু শেখ মুজিব তাতে স্বাক্ষর করেছিলেন না। বলেছিলেন, এটা দলিল হয়ে থাকবে। যার ওপর ভিত্তি করে পকিস্তানের সামরিক কর্তৃপক্ষ তাকে একজন রাষ্ট্রদ্রোহী ব্যক্তি হিসেবে বিচার করতে সক্ষম হবে। তিনি কোনো রকম দলিল লেখার পক্ষে নন। শেখ মুজিব তাজউদ্দীনকে আরো বলেন, তোমরা যা পার, তা করো। আমি দেশত্যাগ করে কোথাও যাবো না। তাজউদ্দীন কন্যার এই বক্তব্য যদি সত্য হয়, তবে কোনোভাবেই বলা চলে না যে, ৭ মার্চের বক্তৃতায় শেখ মুজিব চেয়েছিলেন পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে। ১৯৭১ সালে আওয়ামী লীগে শেখ মুজিবুর রহমানের পরেই ছিল তাজউদ্দীন আহমদের স্থান। কিন্তু এই দু’জনের মধ্যে রাজনৈতিক দৃষ্টিতে ছিল যথেষ্ট ফারাক। তাজউদ্দীন সম্পর্কে বাংলাদেশের খ্যাতনামা কমিউনিস্ট নেতা মোহাম্মদ তোয়াহা বলেছেন, তাজউদ্দীন ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির সাথে সংশ্লিষ্ট, যদিও তিনি বাহ্যত করতেন আওয়ামী লীগ। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সাথেই জড়িত ছিলেন এবং কমিউনিস্ট পার্টির সিদ্ধান্তে পরিচালিত হতেন। কমিউনিস্ট পার্টি তাকে ইচ্ছা করেই আওয়ামী লীগে প্রবিষ্ট রেখেছিল (দ্র. পৃষ্ঠা ১৪৪৪। মহান একুশে সুবর্ণজয়ন্তী গ্রন্থ। অ্যাডর্ন পাবলিকেশন, ঢাকা। ২০০৮)। আমরা অন্য সূত্র থেকে জানি, ১৯৬৫ সালে পূর্বপাকিস্তানে কমিউনিস্ট পার্টি দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এক ভাগকে বলা হতে থাকে মস্কোপন্থী আর অপর ভাগকে বলা হয় পিকিংপন্থী। তাজউদ্দীন যোগ দেন মস্কোপন্থীদের সাথে। অন্যদিকে তোয়াহা হন পিকিংপন্থী কমিউনিস্টদের নেতা। ১৯৭১-এ হয়েছিল ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়ন মৈত্রী চুক্তি। তাই তাজউদ্দীনের পক্ষে ভারতে গিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার গঠন করা সহজ হতে পেরেছিল। অবশ্য বাংলাদেশ সরকার গঠন হয়েছিল মৈত্রী চুক্তি হওয়ার কয়েক মাস আগে। কিন্তু এর আয়োজন চলেছিল বেশ কিছু আগে থেকেই। অন্য দিকে ১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল চীনের প্রধানমন্ত্রী চৌ-এন-লাই বলেন, বাইরের শত্রুর আক্রমণ থেকে পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার জন্য গণচীন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পূর্বপাকিস্তানে কমিউনিস্টরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। এক ভাগ সমর্থন করে ভারত-সোভিয়েত জোটকে, অন্য ভাগ সমর্থন জানায় ইয়াহিয়া খানকে। বজায় রাখতে চায় সাবেক পাকিস্তানের অখণ্ডতাকে। ১৯৭১-এর যুদ্ধ হয়ে উঠেছিল খুবই জটিল। ১৯৫৪ সালের ১৯ মে হয়েছিল পাক-মার্কিন সহযোগিতা চুক্তি। পেশোয়ারের কাছে পাকিস্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিল। এর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের ৪০ হাজার সৈন্যের ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নিয়েছিল। সেই থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছিল সাবেক পাকিস্তানের সামরিক মিত্র। ১৯৭১-এ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এসে দাঁড়িয়েছিল সাবেক পাকিস্তানের পক্ষে। ভারতকে সংযত করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন বঙ্গোপসাগরে পাঠিয়েছিলেন সপ্তম নৌবহর। আমরা আলোচনা করছিলাম, শেখ মুজিবের ৭ মার্চের বক্তৃতা নিয়ে। শেখ মুজিব জানতেন পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তির কথা। তিনি তাই ৭ মার্চ বক্তৃতা দিয়েছিলেন খুবই সতর্কভাবে। তিনি করতে চাননি মার্কিন উষ্মার উদ্রেক।
আমার কাছে শেখ মুজিবের ৭ মার্চের বক্তৃতার চেয়ে শেখ মুজিবের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ মনে হয়েছে একটি বহুগুণে গুরুত্বপূর্ণ রচনা। এতে ধরা পড়েছে শেখ মুজিবের রাজনৈতিক দর্শন। এখন আওয়ামী লীগের মধ্যে অনুপ্রবিষ্ট হয়ে থাকা বাম বুদ্ধিজীবীরা প্রমাণ করতে চাচ্ছেন যে, পাকিস্তান আন্দোলনটা ছিল একটি সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত। কিন্তু শেখ মুজিব তার জীবনীতে বলেছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা। তিনি তার আত্মজীবনীর এক জায়গায় বলেছেন, ‘তখন রাজনীতি শুরু করেছি ভীষণভাবে। সভা করি বক্তৃতা করি। খেলার দিকে আর নজর নাই। শুধু মুসলিম লীগ, আর ছাত্রলীগ পাকিস্তান আনতেই হবে, নতুবা মুসলমানদের বাঁচার উপায় নাই।’ আওয়ামী লীগের প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা বলছেন, শেখ মুজিব ছিলেন খাঁটি বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী। কিন্তু শেখ মুজিব তার জীবনীতে বলেছেন, ‘আমাদের বাঙালির মধ্যে দুইটা দিক আছে। একটা হলো, আমরা মুসলমান, আরেকটা হলো, আমরা বাঙালি।’ অর্থাৎ শেখ মুজিবের মধ্যে ছিল একটি মুসলিম স্বাতন্ত্র্যবোধ; যেমন ছিল বাঙালিত্ব। শেখ মুজিব কোনো বিচারেই ছিলেন না বাঙালি জাতির জনক। তার মধ্যে বিরাজমান ছিল মুসলিম বাংলার চেতনা। শেখ মুজিবের ওপর সুভাষচন্দ্র বসুর চিন্তাচেতনার প্রভাব পড়েছিল। তিনি তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ্ ফৌজ গঠন করে ভারতবর্ষের হিন্দু ও মুসলমান সৈন্যদের দলে নিয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছেন। মনে হতো, ইংরেজদের থেকে জাপানই বোধহয় আমাদের আপন। আবার ভাবতাম ইংরেজরা গিয়ে, জাপান আসলে স্বাধীনতা কোনো দিনই দেবে না। জাপানের চীন আক্রমণ আমাদের ব্যথাই দিয়েছিল। মাঝে মাঝে সিঙ্গাপুর থেকে সুভাষ বসুর বক্তৃতা শুনে চঞ্চল হয়ে উঠতাম। মনে হতো, সুভাষ বাবু একবার বাংলাদেশের আসতে পারলে ইংরেজকে তাড়ানো সহজ হবে। আবার মনে হতো, সুভাষ বাবু এলে তো পাকিস্তান হবে না। পাকিস্তান না হলে ১০ কোটি মুসলমানের (ভারতীয় মুসলমানের) কী হবে?
আমার মনে হতো, যে নেতা দেশ ত্যাগ করে দেশের স্বাধীনতার জন্য সর্বস্ব বিলিয়ে দিতে পারেন, তিনি কোনো দিন সাম্প্রদায়িক হতে পারেন না। মনে মনে তাই সুভাষ বসুকে শ্রদ্ধা করতাম।’ সেই সাথে তিনি আবার লিখেছেন, ‘অখণ্ড ভারতে যে মুসলমানদের অস্তিত্ব থাকবে না, এটা আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতাম।’ এই হলো শেখ মুজিবের রাজনৈতিক চিন্তাধারার একটি প্রকৃষ্ট রূপরেখা। আমার মনে হয় ৭ মার্চের বক্তৃতায় এর কিছুই ধরা পড়েনি। রাজনৈতিক দিক থেকে বক্তৃতাটি ছিল খুবই অকিঞ্চিৎকর। যদিও ইউনেস্কো থেকে লাভ ঘটল এর বিশেষ মর্যাদার। আর শেখ মুজিবের আত্মজীবনী বাংলাদেশেও হতে পারছে না সে রকম ব্যাপকভাবে আলোচিত। তবে ইউনেস্কোর আগের সেই মর্যাদা এখন আর নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট রিগানের সময় একবার বেরিয়ে যায় ইউনেস্কো থেকে। এ বছর আবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত অনুসারে আবার বেরিয়ে গেল ইউনেস্কো থেকে। ইউনেস্কোর অস্তিত্ব আর কত দিন টিকবে, তা অনুমান করা কষ্টকর হয়ে উঠেছে। ইউনেস্কোর লক্ষ্য এখন আর যেন হয়ে থাকছে না আগের মতো শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃৃতি চর্চা। তা পরিণত হতে চাচ্ছে বিশেষ ধরনের রাজনীতি চর্চার আখড়ায়।
লেখক : প্রবীণ শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট
উৎসঃ নয়াদিগন্ত
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন