|
এবনে গোলাম সামাদ
test@gmail.com |
|
আমাদের জাতিসত্তা গঠনে রবীন্দ্রনাথ
05 May 2018, Saturday
রবীন্দ্রনাথের পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর করেছিলেন আদি ব্রাহ্ম সমাজ। আদি ব্রাহ্ম সমাজ হয়ে উঠেছিল খুবই হিন্দু পুনরুজ্জীবনবাদী (Hindu Revivalist)। ব্রহ্ম সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রাজা রামমোহন রায়। তিনি ছিলেন নিরাকার একেশ্বরবাদী। কিন্তু আদি ব্রাহ্ম সমাজকে ঠিক আর তা বলা যায় না। কেননা, আদি ব্রাহ্ম সমাজ হয়ে উঠেছিল কঙ্কিমচন্দ্রের হিন্দুত্ববাদী প্রভাবে প্রভাবিত। বঙ্কিমচন্দ্রের ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাস প্রকাশ হয় ১৮৮২ সালে। এতে আছে বন্দেমাতরম গানটি। এতে দেশকে বর্ণনা করা হয়েছে কেবল মাতারূপে নয়, তাকে তুলনা করা হয়েছে মা দুর্গার সাথে।
গানটি হলো মোট ছাব্বিশ লাইনের। এর মধ্যে বিশ লাইন হলো সংস্কৃত ভাষায়। আর ছয় লাইন হলো বাংলাতে। যেসব বই এ দেশে হিন্দু-মুসলমান বিরোধকে প্রবল করেছে, তার মধ্যে বঙ্কিমচন্দ্রের ‘আনন্দমঠ’ হয়ে আছে বিশেষ খ্যাত। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আলোচনায় বঙ্কিমচন্দ্রের কথা আসছে, কেননা বঙ্কিমচন্দ্রের বন্দেমাতরম গানের সুর বঙ্কিমচন্দ্র দিয়ে যাননি। এর প্রথম স্তবকের সুর দেন রবীন্দ্রনাথ। আর এই গানের প্রচলন করেন রবীন্দ্রনাথ। গানটি প্রথম গীত হয় রীন্দ্রনাথের দেয়া সুরে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে।
এ থেকে বোঝা যায় রবীন্দ্রনাথের দেশমাতৃকার ধারণা। এর সঙ্গে আমাদের বাংলাদেশের মানুষের দেশপ্রেমের কোনো সঙ্গতি থাকা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কিন্তু তবুও মহলবিশেষের পক্ষ থেকে এখন সরবে প্রচার করা হচ্ছে, রবীন্দ্রনাথ আমাদের জাতিসত্তার ভিত্তি।
ভারতের জাতীয় সঙ্গীত একটি নয়, দু’টি। একটি হলো বঙ্কিমচন্দ্র রচিত এবং রবীন্দ্রনাথ সুরারোপিত ‘বন্দেমাতরম’। আরেকটি হলো রবীন্দ্রনাথ রচিত ‘ভারতবিধাতা’। গানটির প্রথম স্তবক ভারতের অন্যতম জাতীয় সঙ্গীতরূপে গীত হয়ে থাকে হিন্দি অনুবাদে। কেবল পশ্চিমবঙ্গে (বর্তমান বঙ্গে) গীত হয় বাংলা ভাষায়। ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে ‘বন্দেমাতরম’ ও ‘ভারতবিধাতা’ গান দু’টিকে ১৯৫০ সালে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করা হয়; ভারতের সংবিধান রচনার জন্য গঠিত পরিষদে।
প্রশ্ন উঠেছিল ‘ভারতবিধাতা’ নিয়ে। ভারতবিধাতা বলতে রবীন্দ্রনাথ ঠিক কাকে বুঝিয়েছেন। একটি গণতান্ত্রিক দেশে জনগণ সার্বভৌম। জনগণের ইচ্ছায় গণতান্ত্রিক দেশ পরিচালিত হয়; কোনো বিশেষ ভাগ্যবিধাতা দিয়ে নয়। এ ছাড়া জনরব ছিল, রবীন্দ্রনাথ ১৯১১ সালে গানটি রচনা করেছিলেন বিলাতের রাজা পঞ্চম জর্জকে স্তুতি করে। ১৯১১ সালে পঞ্চম জর্জ দিল্লিতে এসে করেছিলেন দরবার। আর এ দরবারে তিনি দিয়েছিলেন বঙ্গভঙ্গ রদ করে বিশেষ ঘোষণা। যেটা ছিল রবীন্দ্রনাথের আন্তরিক কাম্য।
লর্ড কার্জন ১৯০৫ সালে তখনকার বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিকে ভাগ করেন। তিনি পূর্ববঙ্গ ও আসামকে একত্র করে গড়েন পূর্ববঙ্গ ও আসাম নামে একটি নতুন প্রদেশ। যার প্রাদেশিক রাজধানী করা হয় ঢাকা। কার্জনের এই নতুন প্রদেশে বাংলাভাষী মুসলমান হন সংখ্যাগুরু। এতে বাংলাভাষী হিন্দু হন ক্ষুব্ধ। তারা এ ধরনের বিভাগকে মেনে নিতে পারেন না। শুরু করেন এর বিরুদ্ধে বিশেষ আন্দোলন। রবীন্দ্রনাথ এই আন্দোলনকে জোরদার করার জন্য রচনা করেন ‘আমার সোনার বাংলা গানটি’।
গানটি লেখা হয়েছিল বঙ্গভঙ্গ রদ করার জন্য। কিন্তু এখন তা গ্রহণ করা হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে। ঐতিহাসিকভাবেই যেটা হওয়া উচিত নয়। কেননা, একদিন যা ছিল পূর্ব পাকিস্তান আজ তা হয়েছে বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশের মানুষ চাচ্ছেন পৃথক হয়েই থাকতে। অন্য কোনো রাষ্ট্রের সাথে এক হয়ে যেতে নয়।
যারা বলছেন, আমাদের জাতিসত্তা গঠনে রবীন্দ্রনাথ পালন করেছেন বিশেষ ভূমিকা, জানি না তারা চাচ্ছেন কি না বাংলাদেশকে আর কোনো রাষ্ট্রের সাথে যুক্ত করার জন্য। ভারতীয় সংবিধানের ৩৬৭ নম্বর ধারার ৩ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘ভারত ব্যতীত যেকোনো রাষ্ট্রই বিদেশী রাষ্ট্র, তবে ভারতের রাষ্ট্রপতি কোনো রাষ্ট্রকে বিদেশী রাষ্ট্র নয় বলে ঘোষণা করতে পারে।’ ভারতের সংবিধানের এই ধারার বাস্তব অর্থ কী, সেটা আমি ব্যাখ্যা করতে পারি না। তবে মনে হয় এর সহজ ব্যাখ্যা হলো, ভারত কোনো দেশকে জয় করে তাকে ভারতের অংশ বলে ঘোষণা করতে পারে।
রবীন্দ্রনাথের সোনার বাংলা গানটিকে আওয়ামী মহলের অনেকেই চেয়েছিলেন না বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করতে। অনেকে চেয়েছিলেন দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা, গানটিকে জাতীয় সঙ্গীত করতে। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের সোনার বাংলা গানটিকে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত করার জন্য চাপ এসেছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর পক্ষ থেকে। প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার তাই গানটিকে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত করার জন্য গ্রহণ করে। ইন্দিরা গান্ধী ছিলেন রবীন্দ্রনাথের বিশেষ ভক্ত। তিনি ১৯৩৪ সালে ছিলেন শান্তিনিকেতনের ছাত্রী। এ সময় তার নাম ছিল ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী। কিন্তু তিনি কেবল রবীন্দ্রভক্ত ছিলেন বলেই যে গানটিকে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত করার পক্ষে ছিলেন, তা বলা যায় না। হয়তো বা তার মনে একটি অন্য রকম বাসনাও ছিল।
আমরা ভারতীয় সংবিধানের যে ধারার কথা কিছু আগে উল্লেখ করেছি, যা হতে পারত তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
গানের ভুবনে কাজী নজরুল ইসলামকে রবীন্দ্রনাথের তুলনায় খাটো করে দেখা যায় বলে মনে হয় না। আবদুল আহাদ ছিলেন একজন রবীন্দ্রসঙ্গীত বিশেষজ্ঞ। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘প্রাঙ্গণে মোর শিরিষ শাখায়’ গানটির সুর দেন। রবীন্দ্রনাথ তার দেয়া সুরটিকে গ্রহণ করেন। আবদুল আহাদের হিসাব অনুসারে রবীন্দ্রনাথের সমগ্র সঙ্গীত সৃষ্টির সময়কাল হলো ৬১ বছর। এই ৬১ বছর সময়ে রবীন্দ্রনাথের রচিত গানের সংখ্যা হলো প্রায় আড়াই হাজার। পক্ষান্তরে নজরুলের সঙ্গীত রচনার জীবন হলো মোটে বিশ বছর। এই বিশ বছরে নজরুলের রচিত গানের সংখ্যা হলো প্রায় তিন হাজার (গীত-লহরি : ইস্ট পাকিস্তান স্কুল টেক্সট বুক বোর্ড ঢাকা, অক্টোবর ১৯৭১)। নজরুল যে ধরনের উদ্দীপনামূলক গান লিখেছেন ও সুর দিয়েছেন, রবীন্দ্রসঙ্গীতে তার পরিচয় পাওয়া যায় না।
শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তাজউদ্দীন আহমদের গভীর মতভেদ সৃষ্টি হতে পেরেছিল অনেক কিছু নিয়েই। তার মধ্যে অন্যতম হলেন রবীন্দ্রনাথ। শেখ মুজিবুর ক্ষমতায় এসে রবীন্দ্রনাথকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা না করে, করেন কাজী নজরুল ইসলামকে। তিনি বাংলাদেশের রণসঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করেন নজরুলের গানকে। নজরুল ছিলেন একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক কবি। তিনি ব্রিটিশবিরোধী কবিতা লেখার জন্য ১৯২৩ সালে এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করেন। তার আগে আরেকজন মুসলমান কবি ও সাহিত্যিক ইসমাইল হোসেন সিরাজীও ব্রিটিশবিরোধী কবিতা লেখার জন্য সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। তার কবিতার বইয়ের নাম হলো ‘অনল প্রবাহ’।
নজরুল বলেছেন, তিনি তার সাতিহ্য সাধনার প্রেরণা পেয়েছিলেন ইসমাইল হোসেন সিরাজীর কাছ থেকে। বাংলাভাষী মুসলমানের আছে একটা পৃথক সাতিহ্য সাধনার ইতিহাস। যেটাকে ভুলে গেলে বাংলাভাষী মুসলমানের সংস্কৃতিকে উপলব্ধি করা যায় না। উপলব্ধি করা যায় না তার জাতিসত্তাকে। বাংলাদেশের মুসলমান একটি ধর্ম সম্প্রদায় নয়। সে-ই এই জাতির মেরুদণ্ড। এ জাতির জাতিসত্তাকে বুঝতে হলে তাই জানতে হয়, তার জাতিসত্তা গড়ে ওঠার ইতিহাসকে। রবীন্দ্রনাথকে দিয়ে যার ব্যাখ্যা করা চলতে পারে না। কিন্তু সে চেষ্টা এখন চলেছে পুরাদমে। আমরা রবীন্দ্রনাথকে খাটো করার জন্য এ কথা বলছি না। বলছি প্রকৃত ইতিহাসকে তুলে ধরার লক্ষ্যে।
১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথকে সাহিত্যে নোবেল প্রাইজ দেয়া হয়। রবীন্দ্রনাথকে সাহিত্যে নোবেল প্রাইজ দেয়া হয় তার ‘গীতাঞ্জলি’র ইংরেজি অনুবাদের জন্য। যার ইংরেজি নাম হলো, Song Offerings। তার ইংরেজি অনুবাদকে বিশেষভাবে সম্পাদনা ও পরিমার্জনা করেছিলেন উইলিয়াম বাটলার ইয়েটস। অনেকে বলেন, রবীন্দ্রনাথের কবিতা নোবেল প্রাইজ পাবার যোগ্যতা অর্জন করে ইয়েটসের পরিমার্জনার কারণে। তা না হলে তিনি নাকি নোবেল প্রাইজ পেতে পারতেন না। ইয়েট্স নিজে নোবেল প্রাইজ পান ১৯২৩ সালে। ইয়েট্স গীতাঞ্জলির যে অনুবাদ পরিমার্জনা করেছিলেন, তাতে কেবল রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি বইয়েরই যে কবিতা ছিল, তা নয়।
আরো কয়েকটি বইয়েরও কিছু কবিতা ছিল। অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথের বাংলা গীতাঞ্জলি আর ইংরেজি গীতাঞ্জলি ঠিক এক কাব্যগ্রন্থ নয়। রবীন্দ্রনাথের ইংরেজি গীতাঞ্জলি ফরাসি অনুবাদ করেন অঁন্দ্রে জিদ । তিনি ফরাসিতে বইটির না দেন L’ Offrande Lyrique। তিনি এই অনুবাদের ভূমিকায় লেখেন যে, ইংরেজি থেকে ফরাসিতে অনুবাদ করতে গিয়ে তিনি এক বিশেষ ধরনের জটিলতার মধ্যে পড়েছিলেন। কেননা, কবি অনেক ক্ষেত্রে এমনভাবে ভগবানের প্রতি তার প্রেম নিবেদন করেছেন যে, তাকে মনে হয় কোনো নারী। যেটা ফরাসি ভাষায় মানাতে চায় না।
জিদ ছিলেন একজন খুব বড় মাপের লেখক। জিদকে তার ফরাসি উপন্যাসের জন্য ১৯৪৭ সালে নোবেল প্রাইজ দেয়া হয়। রবীন্দ্রনাথ ইউরোপে খ্যাত হতে পারে ইংরেজি ও ফরাসি অনুবাদের জন্য, ঠিক বাংলা সাহিত্যের জন্য নয়। ভারত রবীন্দ্রনাথের গানকে ভারতের অন্যতম জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করেছে তার বহির্বিশ্বে খ্যাতির কারণে। গানটিকে যে ভারতবাসীর খুব পছন্দ, এমন নয়। ১৯৬২ সালে একজন ফরাসি অধ্যাপক আমাকে বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথকে আমরা খুব বড় কবি বলে মনে করি কেন, তা তিনি বোঝেন না। কেননা, রবীন্দ্র-দর্শন হল স্রষ্টার কাছ থেকে শক্তি প্রার্থনা করা। মানুষকে যা জীবন সংগ্রামে উদ্দীপ্ত করে না। করে তোলে না আত্মশক্তিতে আস্থাবান। রবীন্দ্র-সাহিত্য এখন আর ইউরোপের মনে দু-দু’টি বিশ্বযুদ্ধের পর সেভাবে সাড়া জাগায় না। কিন্তু আমাদের দেশে রবীন্দ্রনাথকে এখনো বলা হয় বিশ্বকবি।
চিঠির উত্তর
জনৈক মো: আবদুল বারী তালুকদার, অ্যাডভোকেট ঝালকাঠি থেকে নয়া দিগন্তে চিঠি লিখে (২৪ এপ্রিল ২০১৮) জানতে চেয়েছেন যে, উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করবার কথা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কোথায় কখন বলেছিলেন তা কোনো বইতে আছে কি? তার জিজ্ঞাসার উত্তরে বলতে হবে, আছে। বইটির নাম ‘বাংলাদেশের তারিখ’। লেখক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। এই বইয়ের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশ হয় ২০০৮ সালে। এই বইয়ের ২৬ পৃষ্ঠায় সোহরাওয়ার্দীর উক্তিটি পাওয়া যাবে। বইটির প্রকাশক হলো মওলা ব্রাদার্স, ঢাকা। আমি নিজেও ঘটনাটির কথা জানি। কারণ, আমি এ সময় ছিলাম ছাত্র। ভাষা আন্দোলন ঘটেছিল আমার দৃষ্টির সম্মুখে। আর আমি পত্রপত্রিকা পড়তাম যথেষ্ট। তাই এ ব্যাপারে আমিও একজন সাক্ষী। আমাকেও তিনি বিশ্বাস করতে পারেন। ব্রিটিশ শাসনের শেষ পর্বে বাংলা প্রদেশের মুসলিম লীগের নেতা ছিলেন দু’জন। একজন হলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আরেকজন হলেন খাজা নাজিমুদ্দীন। এদের কারো মাতৃভাষাই বাংলা ছিল না। এরা দু’জনেই ছিলেন উর্দুভাষী পরিবারের সন্তান। এরা উভয়ই ছিলেন উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করবার পক্ষে। এতে বিস্মিত হবার কিছু নেই। ঢাকার নবাব পরিবারেও চলত উর্দুভাষা। উর্দু বাংলাদেশের অনেক মুসলমান অভিজাত পরিবারের ভাষা হিসেবে প্রচলিত ছিল।
লেখক : প্রবীণ শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট
উৎসঃ নয়াদিগন্ত
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন