মইন-ফখরুদ্দীনের এক-এগারো সরকার পরিচালনার সাথে জড়িত দুই নেপথ্য নায়ক এসেছিলেন আমাদের সম্পাদকীয় দফতরে। তখন তাদের মগজে ‘মাইনাস টু’ ফর্মুলা কিলবিল করছিল। এই তত্ত্বের সারকথা ছিল দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে জোরপূর্বক হটিয়ে দিতে হবে। কারণ যত ‘নষ্টের মূল’ দুই নেত্রী। তাদের কারণে জাতি ‘বিভক্ত’। তারা অসহিষ্ণু রাজনীতির ‘দূত’। ‘‘উত্তরাধিকার’-ভিত্তিক রাজনীতির ‘মন্দ’ নজির।” জাতীয় দৈনিক হিসেবে জনমত গঠনে আমাদের ভূমিকার প্রশংসা করে দুই নেপথ্য নায়ক আমাদের সমর্থন চাইলেন। বললাম, আপনাদের ‘এই মিশন’ অর্থাৎ মাইনাস টু ফর্মুলা বাংলাদেশের জনগণ গ্রহণ করবে না। বিনয়ের সাথে ব্যাখ্যা করে বললাম, রাজনীতিতে মাইনাস-প্লাস করার এখতিয়ার জনগণের। জনগণ কাউকে প্রত্যাখ্যান করলে কোনো শক্তি দিয়ে সেটা ঠেকানো যায় না। জনগণ চাইলে তার পথ আগলে দাঁড়ানো যায় না। যেমন- আইয়ুব, ইয়াহিয়া, এরশাদকে জনগণ যখন চায়নি, জনমতের তোড়ে তাৎক্ষণিক মাইনাস হয়ে গেছেন। আপনারা বিষয়টি ভবিষ্যৎ রাজনীতি ও জনগণের ওপর ছেড়ে দিলেই ভালো করবেন। দু’জনের একজন টেবিলে থাপ্পড় দিয়ে বললেন- ‘দেখে নেবেন’। স্বাভাবিক থাকলাম; তবে জোর গলায় বললাম- সাদা কাগজে লিখে নিন, দুই নেত্রীর যেকোনো একজনের সাথে বোঝাপড়া না করে আপনারা বিদায় হওয়ার পথও খুঁজে পাবেন বলে মনে হয় না; মাইনাস-প্লাস পরের কথা। বিদ্রুপের হাসি দিয়ে বললেন, অপেক্ষা করুন, রাজনীতির চেহারা পাল্টে যাবে। তখন তারা সাবেক ছাত্রনেতা ফেরদৌস আহমদ কোরেশীকে নয়া রাজনৈতিক মেরুকরণে সমর্থন জোগাচ্ছিলেন। কারো পৃষ্ঠপোষকতা ছিল কি না জানি না, সে সময় নোবেলজয়ী গ্রামীণ ব্যাংক খ্যাত ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসও রাজনীতির মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য তিনি রাজনীতি না করার ঘোষণা দিয়ে দ্রুত অবস্থান পাল্টে ফেলেন।
সম্ভবত রাজনীতিবিদদের ‘খামোশ’ করিয়ে দিয়ে নেপথ্য নায়কেরা ভেবেছিলেন, নয়া মেরুকরণ অবশ্যম্ভাবী। এসব বিষয়-আশয় নিয়ে পরের সপ্তায় কলাম লিখলাম ‘ভাড়া করা লোক দিয়ে ভাঁড়ামি হয়, রাজনীতি হয় না’। তারপরই চায়ের দাওয়াত পেলাম। বাসায় কিছুই জানালাম না, অফিসকে জানিয়ে ‘প্রেস’ স্টিকার লাগানো গাড়ি নিয়ে চায়ের দাওয়াতে রওনা হয়ে গেটে বাধা পেলাম। বললাম, ফিরে যাবো না গাড়ি নিয়ে চায়ের দাওয়াতে যাবো, কষ্ট করে দাওয়াতদাতাদের কাছ থেকে জেনে জানান। পাঁচ মিনিট পর গেট থেকে লোক এলো, জানাল- ‘প্রেস’ স্টিকার লাগানো গাড়ি নিয়ে যাওয়ার নিয়ম নেই, তারপরও আপনাকে যাওয়ার পাস দিতে বলেছেন; যান। যথারীতি চা এলো। অন্য প্রসঙ্গ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হলো, শেষে জানালেন জাতীয় নেতাদের নিয়ে বিতর্ক-কুতর্ক বন্ধ করতে চাই, পরামর্শ দিন। বলেছিলাম, এটা ভালো চিন্তা, তবে রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া ইতিহাসই শুধু পারে এই চিন্তার বাস্তবায়ন করতে। আপনাদের কর্মপরিকল্পনার অগ্রাধিকার তালিকায় এটা রাখা জরুরি বিষয় না হওয়াই উত্তম। বললাম, আগামী কলামে এই নিয়ে লিখব। লিখেওছিলাম। তাতে মন্তব্য করেছিলাম, নওয়াব সলিমুল্লাহ থেকে শেরেবাংলা, ভাসানী থেকে বঙ্গবন্ধু, ওসমানী থেকে জিয়া- ইতিহাসে যার যা অবস্থান তা নির্ণীত হয়ে আছে। কারো তা থেকে একচুল নড়ানোর সাধ্য নেই। কাউকে বড় করার জন্য অন্যকে অসম্মান বা ছোট করা সমীচীন নয়। ইতিহাস যার অবস্থান যা তা পাইয়ে দেয়। সরকারে বসে সব ওলট-পালট করে দেয়া যায়; ওসব টেকে না।
প্রসঙ্গটা আজ তুললাম কোনো কারণ ছাড়া নয়।
খালেদা জিয়া বিলাত সফরে গেছেন। অর্থাৎ লন্ডনে গেছেন। আগে নেয়া চিকিৎসার ফলোআপ করাবেন। সন্তান-সন্ততিদের নিয়ে ক’টা দিন একান্তে কাটিয়ে স্বজনদের কাছ থেকে দূরে থাকার নিঃসঙ্গতা কাটাতে চেষ্টা করবেন। পূর্বাপর দলীয় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকবেন। কারণ লন্ডন বাংলাদেশের রাজনীতির ‘উর্বর ক্ষেত্র’। সব প্রবাসী কোনো-না-কোনোভাবে মেরুবদ্ধ। খালেদা জিয়ার কর্মী-সুহৃদ-শুভকাক্সক্ষীর সংখ্যা অসংখ্য। লন্ডনের রাজনীতিতেও তিনি পরিচিত মুখ। তা ছাড়া দলের সেকেন্ড ম্যান, তারই সন্তান তারেক রহমানের সাথে দল নিয়ে, দলের ভবিষ্যৎ কর্মকৌশল ও নীতি নিয়ে মতবিনিময় করবেন। বিএনপির বিদেশনীতি নিয়ে সুযোগ পেলেই সক্রিয় হবেন। বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে যাওয়া ক’জন সিনিয়র ও প্রভাবক নেতা তখন লন্ডন থাকবেন, নিশ্চয়ই তারাও বিভিন্নভাবে সম্পৃক্ত হবেন। সামনে জাতীয় নির্বাচন, বিএনপির পলিসি নিশ্চয়ই আলোচনায় আসবে। হয়তো দল পুনর্গঠনের বিষয়টিও বাদ যাবে না। সামনে থাকবে সিটি নির্বাচন। জাতীয় ও মেয়র নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী কারা হতে পারেন- তারও হোমওয়ার্ক থাকা স্বাভাবিক। তা ছাড়া লন্ডন এখন পর্যন্ত ইউরোপের স্নায়ুকেন্দ্র। বেগম জিয়ার লন্ডন উপস্থিতি ইউরোপকেন্দ্রিক দলীয় ও বিদেশী বন্ধুদের অবশ্যই নাড়া দেবে। একজন নেত্রীর বিদেশ সফরে এটা রুটিনওয়ার্ক। শেখ হাসিনা আমেরিকা গেলেও এমনটি হয়। অথচ জাতীয় দৈনিকসহ রাজনৈতিক মহলে এই সফর নিয়ে অনেক বেশি চিত্তচাঞ্চল্য ও ঔৎসুক্য লক্ষ করা যাচ্ছে। এটা প্রমাণ করে, খালেদা জিয়া এখনো জাতীয় রাজনীতির অন্যতম নিয়ামক শক্তি এবং শতভাগ গুরুত্বপূর্ণ বা প্রাসঙ্গিক। তার প্রয়োজন একরত্তিও কমেনি। বরং জোট সরকারের বাগাড়ম্বর এবং ‘গণতন্ত্র কম, উন্নয়ন বেশি’ তত্ত্বে¡র বিরুদ্ধে জনগণ আবার বেগম জিয়াকেই সবার সামনে রাখার অবস্থানে পৌঁছে গেছে। এ খবর সরকার রাখে না, সরকারি দল বোঝে না, মহাজোট উপলব্ধি করে না- এটা কেউ মনে করেন না। এখন পর্যন্ত দেখা গেছে, বিএনপি কিংবা খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ব্যর্থতার মুখে শেখ হাসিনাও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠেন। ভবিষ্যৎ কিভাবে নির্ণীত হবে, সেটা ভবিষ্যৎই বলে দেবে।
ব্যতিক্রম ছাড়া, ক্ষমতার রাজনীতির মগডালে বসে নিচের জনগণকে সব সময় মানুষ মনে হয় না; মনে হয় পোকামাকড় কিংবা গিনিপিগ। আর চার পাশে থাকে মোসাহেব, চাটার দল, সুবিধাভোগীরা, দলবাজ মানুষজন। প্রটোকলের কুণ্ডলী ভেঙে কোনো ক্ষমতাসীনই জনগণের কাছে পৌঁছতে পারেন না। তারা যে গোয়েন্দা তথ্য পান, তা সুখপ্রদ কিছু না। রাজনীতিবিদেরা এ সত্যটি বোঝেন। কোন তথ্যটি দিলে ক্ষমতাবান খুশি হবেন, প্রীত হবেন, সেটাই গোয়েন্দারা দেন। দুই নেত্রীকেই অনেকবার বলতে শুনেছি, প্রটোকলের কথা বলে জনগণ থেকে আমাদের বিচ্ছিন্ন করবেন না। সর্বশেষ গত শনিবারও প্রধানমন্ত্রী বাক্যটির পুনরাবৃত্তি করেছেন। বাস্তবতা একেবারেই আলাদা। কারণ বারকয়েক লিখেছি, ক্ষমতার দাপট, অর্থবিত্তের গরম এবং গর্ভবতী মায়ের স্ফীত শরীর লুকানো যায় না। ক্ষমতা মানুষকে বেপরোয়া করে দেয়; পরিণতি ভুলিয়ে দেয়। সব ক্ষমতার শেষ আছে, এসব নিয়ে তখন ভাবার ফুসরতই মেলে না। এর সাথে আগ্রাসী উচ্চাকাক্সক্ষা যোগ হলে প্রতিপক্ষকে মানুষই মনে হয় না।
যতবারই প্রয়োজন হয়েছে, দল ও মত ভাবনার ঊর্র্ধ্বে থেকে দুই নেত্রীর পক্ষে শক্ত ও যৌক্তিক অবস্থান নিয়েছি। আবার ক্ষমতাচর্চায় বাড়াবাড়ির সমালোচনায় কোনো কার্পণ্য করিনি। কিন্তু কখনো পরিমিতিবোধ হারিয়েছি বলে মনে হয় না এবং পরামর্শ দিয়েছি। জানা কথা, সমাজ ও রাষ্ট্রের অসহিষ্ণু ক্ষমতাবানেরা জনগণকে ভীতির মধ্যে ফেলে দেন। জনগণকে ভীতির রাজ্যে বা পরিবেশে রাখার মধ্যে তারা একধরনের সুখ খোঁজেন। ক্ষমতা শর্তহীন আনুগত্য কামনা করে, কিন্তু গণতন্ত্রে আনুগত্য শর্তহীন নয়। ভীতির রাজ্যে বসবাস করে সত্যের সাথে সহাবস্থান অনেক কঠিন। তা ছাড়া দলবাজদের ভিড়ে আমাদের পেশাদারিত্ব সব সময় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যায়। তা ছাড়া, প্রতিবাদী কিংবা ভিন্ন মতের মানুষের পরিণতি কী হয়, তা তো কারো অজানা নয়। গুম-অপহরণ থেকে অপমান- সবই কপালে জোটে। ‘এক এগারো’ সরকার রাজনীতিবিদদের ওপর প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল। যা ইচ্ছে তা-ই করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। বর্তমান সরকার সেটা ভিন্ন মতের মানুষের ওপর চালিয়ে দিতে সচেষ্ট।
এই লেখা খালেদা জিয়ার লন্ডন সফর নিয়ে হলে ভালো হতো। কমপক্ষে ১০টি জাতীয় দৈনিক পড়ে মনে হয়েছেÑ তার লন্ডন সফর অনেক বেশি এবং বাড়তি ঔৎসুক্যের জন্ম দিয়েছে। যারা নির্মোহভাবে সংবাদ পরিবেশন করেছেন, তারা মন্তব্য করে নিজেদের পেশাদারিত্বকে খাটো করে দেননি। কিন্তু কয়েকটি দৈনিকের প্রতিবেদনে এমন উপস্থাপনা চোখে পড়ে, যাতে মনে হতে পারে, ক্ষমতার রাজনীতির স্বার্থে একটা সন্ধি করার জন্য তিনি ‘লন্ডন মিশনে’ গেছেন এবং সরকারকে বিব্রত করতেই তিনি সচেষ্ট থাকবেন। এই খেয়ালিপনা থেকে একসময় হয়তো ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ বেরোবে যা জাতীয় রাজনীতির জন্য সব সময় ক্ষতিকর। হ্যাঁ, এটা ঠিক, তারেক জিয়া বিএনপির রাজনীতির অনিবার্য বাস্তবতা। কারো পছন্দ হোক বা না হোক, তারেক রহমান দলটির সেকেন্ড ইন কমান্ড। তার প্রয়োজন দলের কাছে সীমাহীন। আগামী দিনের জাতীয় ও দলীয় রাজনীতির রূপরেখা ঠিক করা এবং দলীয় অবস্থানকে ঋজু করার জন্য তারেক অবশ্যই ক্যাটালিস্ট হয়ে উঠেছেন। যেমনটি জয়কে শেখ হাসিনা উপদেষ্টা বানিয়ে জনগণের কাছে নন্দিতভাবে উপস্থাপন করছেন। এই সফর তাই মা-ছেলের বোঝাপড়ার বিষয় নয়, দল ও জাতীয় রাজনীতির জন্য এক নতুন বার্তা বহন করে। ক্ষমতাসীনেরা এটাকে ভীতির চোখে না প্রীতির চোখে দেখবেন, সেটা তাদের বিষয়। তবে তাদের বুঝতে হবে- বিকল্প শক্তির ভর ও ভারকেন্দ্রকে অবজ্ঞা করার বসন্তকাল পার হয়ে গেছে। কিন্তু রাজনীতিতে বোঝাপড়া ও সমঝোতার সময় কখনো ফুরায় না। অবশ্য সময়ের এক ফোঁড় যা পারে, অসময়ের হাজার ফোঁড়ও তা পারে না। বরং ভাগ্য বিপর্যয়কে অনিবার্য করে। সেই সাথে খেসারতের পাল্লাটা অসম্ভব ভারী করে তোলে।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন তাদের হানিমুনপর্ব অতিক্রমের আগেই দলীয় চরিত্রের অভিযোগ মাথায় নিলো। তারা এমন এক রোডম্যাপ ঘোষণা করল- যার প্রতিটি বাক্যে অনভিজ্ঞতার ছাপ স্পষ্ট। তার ওপর, সরকারের প্রতি আনুগত্যের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শনের দৃষ্টিকটু প্রতিযোগিতা কারো দৃষ্টি এড়ায়নি। দিকদর্শনহীন রোডম্যাপ কোনো বিরোধী দলকেই আশ্বস্ত করেনি। উল্টো ক্ষমতাসীন দলকে জেতানোর একটা প্রচ্ছন্ন আভাস মেলে; একই সাথে, বিরোধী দল বিগড়ে গিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর মতো এক ধরনের ‘কাতুকুতু’ও দেয়া হয়েছে।
তার পরও বিএনপি নির্বাচন এড়াবে বলে মনে করার কোনো কারণ দেখি না। কোনো রাজনৈতিক যুক্তিও খুঁজে পাই না। বরং সরকারি দল যেকোনো অজুহাতে নির্বাচন এড়াতে পারে। এই মূল্যায়ন অর্থহীন নয়। কারণ বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে- এটা দলটির মেজাজের সাথে মানায় না। তার চেয়ে বড় কথা, অসহিষ্ণু রাজনীতিতে নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গের নজির অসংখ্য। বি চৌধুরী, আ স ম রব, খালেকুজ্জামান, মাহমুদুর রহমান মান্নাদের নড়াচড়া সরকারকে কোনো সুখের বার্তা দেয় না। রাজনীতির তৃতীয় শক্তি বাস্তবে বিরোধী জোটকে পরোক্ষ সহায়তা দিতে পারে, সরকারি দলকে নয়। তা ছাড়া বিএনপির ‘সহায়ক সরকার’ ধারণা রাজনীতির মাঠে এলে একদফার মেরুকরণে সরকারকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে না- সেটা আগাম ভাবা সম্ভব নয়। তবে বাংলাদেশের রাজনীতির সাধারণ প্রবণতা হচ্ছে, ক্ষমতাসীনেরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অবস্থান পাল্টানোর চেয়ে শক্তিধরদের ওপর ভরসা করেই শেষ রক্ষা করতে চায়। কিন্তু সব সময় তা হয়ে ওঠে না। আ স ম রবের চা-চক্রে কোনো চক্রান্ত তো হয়নি! পুলিশ বাধা দিলো কেন? জবাব একটাই, রাজনীতির এই তৃতীয় শক্তির উত্থান- অনুগত বিরোধী দলের মতো হবে না। তাই তাদের তৎপরতার বেশির ভাগ সুফল উঠবে বাস্তবে বিরোধী দলের ঘরে। অতএব, ঠেকাতে তো হবেই।
উৎসঃ নয়াদিগন্ত
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন