ভুল কূটনীতির কারণে বাংলাদেশ এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়তে যাচ্ছে। সরকারের ভুল নীতির কারণে গোটা বিশ্বে বাংলাদেশ এখন একা। যদিও সরকার বলার চেষ্টা করছে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে গোটা বিশ্ব তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। অতএব তারা আর একা নেই। পৃথিবী আছে সাথে। কিন্তু না, বিষয়টি মোটেও সেরকম নয়। এমনকি রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সাথে যে দ্বিপক্ষীয় ‘আয়োজন’ করেছে, সে ব্যাপারে গোটা বিশ্ব বাংলাদেশের বিরোধিতা করছে। জাতিসঙ্ঘ থেকে শুরু করে বিশ্বের সব মানবাধিকার সংগঠন একযোগে বলছে, দ্বিপক্ষীয় আয়োজন সঠিক হয়নি। এতে তো কোনো সন্দেহ নেই যে, এই দ্বিপক্ষীয় ‘আয়োজন’ সম্পূর্ণরূপে মিয়ানমারের অনুকূলে। তারা আন্তরিকতার সাথে না চাইলে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে পাঠানো সম্ভব হবে না। সমস্যাটা দ্বিমুখী। একদিকে মিয়ানমার প্রত্যেকের নাগরিকত্বের প্রমাণ চাইছে, যা রোহিঙ্গাদের কাছে নেই। তা ছাড়া ১৯৮২ সাল থেকেই রোহিঙ্গা মুসলমানদের মিয়ানমার নাগরিকত্ব বাতিল করে দিয়েছে। সে হিসেবে যে রোহিঙ্গা মুসলমানের বয়স এখন ৩৫ সে রাষ্ট্রহীন ভাসমান মানুষ। তার কোনো দেশ নেই। মিয়ানমারের দৃষ্টিতে তার কোনো জাতি নেই। তার কেউ নেই, কিছু নেই। সে কিভাবে প্রমাণ করবে, সে মিয়ানমারের নাগরিক।
যাদের বয়স ৩৫-এরও ওপরে তাদের রোহিঙ্গা বলে স্বীকারই করছে না সু চি সরকার ও মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। ১৯৯১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ায় সু চি সরকারকে গোটা বিশ্বে যে সম্মাননা দেয়া হয়েছিল, তা একের পর এক প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। বিশ্ববাসীর চোখে কার্যত তিনি এখন এক রক্তপিপাসু পিশাচ মাত্র। বাংলাদেশের সাথে যে আয়োজন হয়েছে, তাতেও মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের রোহিঙ্গা বলতে দেয়নি মিয়ানমার সরকার। মেরুদণ্ডহীন বাংলাদেশ সরকার জো হুকুম বলে মিয়ানমারের সে নির্দেশ পালন করেছে। শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশকে আরো যে কত নিচে নামাবে সেটি এখনো স্পষ্ট নয়।
এবার ৮ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানকে যখন মিয়ানমার বাংলাদেশের ভেতরে ঠেলে দিয়েছে, তখন এরা অন্তত ১২ বার বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমার আমাদের যুদ্ধের উসকানি দিয়েছিল, কিন্তু আমরা সে উসকানিতে পা দিইনি। এতে সরকারকে শাবাস দেয়া উচিত না ধিক্কার জানানো উচিত, সে বিবেচনা জনগণের। কেউ আমাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে, আমরা যদি ‘দেখি শালা বাঙ্গাল কী করে’ বলে চুপ করে থাকি, তাতে আমাদের আত্মমর্যাদার প্রকাশ ঘটে না। মিয়ানমার যদি আমাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে থাকে, তবে আমাদের উচিত ছিল জঙ্গিবিমান দিয়ে মিয়ানমারের লঙ্ঘনকারী বিমানগুলো বাংলাদেশের ভেতরেই ভূপাতিত করা। তা না হলে আমরা বিমানবাহিনী রেখেছি কেন, আকাশসীমা রক্ষার জন্যই তো! এই ধৈর্য ধরায় আমরা লাভবান হইনি। যদি প্রতিরোধ করতাম, তাহলে নতুন করে আরো ৮ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের সুযোগ পেত না। মিয়ানমারের শক্তির উৎস চীন। চীন নাকি আমাদেরও ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাহলে আমরা চীনের সাথেই বা তেমন ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক কেন তৈরি করতে পারলাম না যে, তারা মিয়ানমারকে আকাশসীমা লঙ্ঘনে বাধা দেবে এবং রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠাবে না।
কিন্তু কেনো করবে চীন? বিশ্ব ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে চীন দক্ষিণ এশিয়ায় এখন কূটনীতির ক্ষেত্রে আগ্রাসী ভূমিকা পালন করছে। ভারতের সাথে চীনের শত্রুতা দীর্ঘদিনের। এই শত্রুতা নিয়ে ভারত চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধেও গিয়েছিল। ১৯৬২ সালে চীন-ভারত যুদ্ধে বেইজিং ভারতকে উপযুক্ত শিক্ষা দিয়ে দিয়েছে। এই শিক্ষার পর ধারণা করা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত চীনের বিরুদ্ধে কোনোরূপ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে না। এই যেমন নেপালের উত্তরাঞ্চলে চীন-ভারত-ভুটান সীমান্তের ডোকলাম মালভূমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছিল। ১৫-২০ দিন টানটান উত্তেজনা ছিল। ডোকলাম বিরোধপূর্ণ এলাকা। ভুটানও এর দাবিদার। কিন্তু দীর্ঘকাল ধরে ডোকলাম চীনের দখলেই রয়েছে। চীন সেখানে রাস্তা তৈরি করতে গেলে ভারত সৈন্য সমাবেশ করে বাধা সৃষ্টি করে। একসময় ভুটানের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব ভারতের ওপর ন্যস্ত ছিল। কিন্তু ২০০৭ সালের দিল্লি-থিম্পু চুক্তি অনুযায়ী এখন আর ভারতের সে অধিকার নেই। এখন ভুটানের সমস্যা ভুটানই দেখবে। ভুটান ভারতকে জানিয়ে দেয়, তাদের সীমান্ত সমস্যা তারাই সমাধান করবে। এখানে ভারতের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। ফলে ভারত ডোকলাম থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়। অপর দিকে চীন ভারতকে জানিয়ে দেয়, তারা যদি ভুটানের উত্তরাঞ্চলের ডোকলামে হস্তক্ষেপ করে তাহলে চীন অধিকৃত কাশ্মির স্বাধীন করে দেবে। ভারত রুখে দাঁড়ায়নি। ভুটান থেকে মানে মানে সরে পড়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাববলয় এখন সর্বত্র বিস্তৃত। নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার এমনকি বাংলাদেশও এই বৃত্তের বাইরে নয়। ভারতের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বকে পুঁজি করে ভারত ধরাকে সরাজ্ঞান করার যে চেষ্টা করেছিল সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেছে। বাংলাদেশে চীনের নিঃশর্ত বিনিয়োগ প্রস্তাব ৩৭০০ কোটি ডলারের। ভারত ১০০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি করেছিল। কিন্তু তাদের শর্তের বেড়াজাল এমনই কঠিন যে সে ঋণ নেয়া এবং তা দিয়ে কোনো কাজ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কেননা, ভারতের প্রতিটি ঋণচুক্তির শর্ত হলো, ভারতীয় ঋণে যেসব কাজ হবে তার সব ঠিকাদার হবে ভারতের। তার সব মালামাল আমদানি করতে হবে ভারত থেকে। তার জন্য কোনো আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করা যাবে না। এসব প্রকল্পে যা কিছু মালসামানা লাগবে, তা সরবরাহ করবে ভারত। আর তাতে ভারত যা দাম হাঁকবে বাংলাদেশকে সেটাই মেনে নিতে হবে। অর্থাৎ ২০ টাকার মাল যদি ভারত ২০০ টাকা দাবি করে বাংলাদেশকে তাই কবুল করতে হবে। এই নিয়ে শেখ হাসিনা সরকার ঢের বগল বাজিয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছ্ইু হয়নি। আসলে এও এক ধরনের দাসত্বচুক্তি।
ভারতের সাথে এ ধরনের দাসত্ব চুক্তিতে দক্ষিণ এশিয়ার আর কোনো রাষ্ট্র যুক্ত নেই। ভুটান বেরিয়ে গেছে। মালদ্বীপ বেরিয়ে গেছে। শ্রীলঙ্কা বেরিয়ে গেছে। ভারত মিয়ানমারের পা চাটছে। শুধু বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকার অভীপ্সায় ভারতের সাথে আঠার মতো আটকে আছে। অথচ চীনের ৩৭০০ কোটি টাকার ঋণও বাংলাদেশের দরকার। দুই নৌকায় পা। পা ফেঁড়ে না যায়! এটা তো খুব স্পষ্ট, চীন মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধন সমর্থন করেছে এবং বাংলাদেশ বেইজিং-এর চাপেই মিয়ানমারের সাথে একটি তথাকথিত চুক্তি সম্পাদন করেছে। এটি ভালো কি মন্দ, সে প্রশ্ন পরের। কিন্তু এটা চীনের কূটনীতি, ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড, বাস্তবায়নের জন্য চীনের মিয়ানমারকে খুব প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, চীনের বন্দরগুলোতে পৌঁছানোর জন্য ভারত মহাসাগরের নৌপথ নির্বিঘেœ ব্যবহার করতেও মিয়ানমারকে দরকার। এই পরিস্থিতিতে ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে ডেকে এনেছে মিত্র হিসেবে। বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক তেমন কোনো মাত্রায় নেই। শেখ হাসিনা ডোনাল ট্রাম্পের সাথে কথা বলতে চেষ্টা করেছিলেন। ‘হ্যালো’ ছাড়া কথা হয়নি। তিনি ট্রাম্প সম্পর্কে বেশ তাচ্ছিল্যের সাথে কথা বলেছেন; কিন্তু ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতির ওপর খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারছে না।
এই যে সম্প্রতি নেপালে স্থানীয় সরকার, জাতীয়, প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। তাতে এখানে চীনপন্থী কে পি শর্মা ওলির নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (ইউএমএল) ও পুষ্প কমল দাহাল প্রচণ্ডের মাওবাদী কেন্দ্রের যে ফলাফল তা খুব স্বাভাবিক। এর আগে নির্বাচনের প্রাক্কালে লিখেছিলাম, নেপালে ভারতপন্থী কংগ্রেসের ভরাডুবি আসন্ন। আসলে তাই হয়েছে। কে পি শর্মা ওলির সরকারের পতনের জন্য ভারত এমন কোনো ইতর কৌশল নেই, যা অবলম্বন করেনি। ওলির পতন হয়েছিল। আর আশ্চর্যের ঘটনা ছিল, চরম ভারতবিরোধী বলে পরিচিত প্রচণ্ড ওলির ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেপালি কংগ্রেসকে ক্ষমতায় বসতে সাহায্য করেছিল। এখন ওলি আর প্রচণ্ড তাদের কমিউনিস্ট পার্টি দুটোকে একীভূত করার চেষ্টা করছে। চীনের ইচ্ছায় শিগগিরই তা হয়েও যাবে। নেপালি কংগ্রেস জনগণের এতটাই ঘৃণার পাত্র হয়েছে যে তাদের পক্ষে উঠে দাঁড়াতে বহুদিন সময় লাগবে। এদিকে ওলি-প্রচণ্ড মিলে ঘোষণা করেছেন, তারা নেপালের দ্রুত উন্নয়নের জন্য চীনা মডেলে অর্থনীতিকে ঢেলে সাজাবেন। চীনও জানিয়ে দিয়েছে, তারা ট্রান্সহিমালিয়ান রেলওয়ে, জলবিদ্যুৎ প্রকল্প প্রভৃতি খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করবে।
শুধু নেপালই নয়, চীনের প্রভাব বিস্তৃত হয়েছে মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কায়। মালদ্বীপ তো ভারতকে খেলাই দেখিয়ে দিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় মালদ্বীপ সবচেয়ে ছোট রাষ্ট্র। চীনের সাথে বন্ধুত্ব করার জন্য মালদ্বীপ ২০১৭ সালের আগস্টে ভারতীয় রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মালেতে তিনটি চীনা রণতরীকে ভিড়তে দিয়েছিল। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং মালদ্বীপ সফর করে। সেখানে ব্যাপক চীনা বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে মালদ্বীপ চায়না মেরিটাইম বেল্ট ও সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির মধ্যে হালহুমালে বিমানবন্দর থেকে রাজধানী মালে পর্যন্ত দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দেয় চীন। কিন্তু এই সেতু নির্মাণের জন্য এর আগে ভারতীয় এক কোম্পানি মালদ্বীপের সাথে চুক্তি করেছিল। চীনের সাথে চুক্তি হওয়ার পর ওই কোম্পানি আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে ২৭ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করে। সে আইনি লড়াইয়ে মালদ্বীপ হেরে যায় এবং চীনের সহায়তায় দ্রুতই ওই ২৭ কোটি ডলার ভারতীয় কোম্পানিকে পরিশোধ করে। খেল খতম। পয়সা হজম।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত এই মুহূর্তে এই বিষয়ে সবচেয়ে উদ্বিগ্ন, মালদ্বীপের উত্তরাঞ্চল যেখান দিয়ে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত, সেটি চীনের হাতে চলে গেছে। এখন মালদ্বীপের পরিস্থিতি এই যে, তাদের দেশের ৭০ শতাংশ ঋণই এসেছে চীন থেকে, আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক থেকে নয়। এগুলো সহজ শর্তের ঋণ। মালদ্বীপ তার সুদও নিয়মিত পরিশোধ করে যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কার অবস্থাও একই। রাজা পাকশের সরকার যখন তামিল বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে নির্মূল অভিযান চালাচ্ছিলেন, তখন চীন তাদের নিঃশর্ত সমর্থন দিয়ে যাচ্ছিল। ভারত ছিল এর ঘোর বিরোধী। ভারত কয়েক যুগ ধরে তামিল বিদ্রোহীদের মদদ দিয়ে আসছিল। তামিল বিদ্রোহীরা ছিল শ্রীলঙ্কার জন্য একটি দুষ্ট ক্ষত।
ভারত এলটিটিই তৈরি করেছিল। তাদের অস্ত্র রসদ দিয়েছিল। শ্রীলঙ্কার তামিল এলাকাকে শ্রীলঙ্কা থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করেছিল। চীনের সহায়তায় রাজাপাকসে সে বিদ্রোহ নির্মূল করে দিয়েছে। ভারত থেকে শ্রীলঙ্কার দূরত্ব মাত্র ৩২ কিলোমিটার। আর মালদ্বীপের দূরত্ব ৭১৭ কিলোমিটার; কিন্তু চীন এসব রাষ্ট্রকে তার প্রভাববলয়ে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর মধ্যে সম্ভবত ব্যতিক্রম বাংলাদেশ। না ঘরকা, না ঘাটকা। ফলে এখন কঠিন কূটনৈতিক সমস্যায় পড়েছে শেখ হাসিনার সরকার। আর তাই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এখন সরকার কেবলই খাবি খাচ্ছে। ভারতের কোলে মাথা রেখে চীনের দিকে হাত বাড়ালে কোনো লাভ হবে বলে মনে হয় না।
লেখক : সাংবাদিক ও সাহিত্যিক
উৎসঃ নয়াদিগন্ত
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন