পলাশ রহমান
ইতালির বাংলাদেশি কম্যুনিটিতে নাকি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে ইয়াবা। তরুণ যু্বকরা গড়পত্তায় ঝুকছে ইয়াবার প্রতি। মিয়ানমার, চায়না, ফিলিপাইন এবং বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা হয় এসব ইয়াবা। আমদানির সাথে জড়িত দুই চার জন মুখ চেনা বাংলাদেশি প্রবাসীর নামও শোনা যায় মাঝে মধ্যে। কিন্তু এতদিন বিশ্বাস করিনি। এখন করতে হচ্ছে-
গত ১৯ অক্টোবর ভেনিসের কারাবিনিয়েরি পুলিশ সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছে, ভেনিস এয়ারপোর্ট থেকে তারা ৫০ বছর বয়সের একজন প্রবাসী বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে, যার লাগেজে আড়াই হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া গিয়েছে। ভিতেরবোর (একটি শহর) রেসিডেন্সধারী ওই ব্যক্তি পেশায় একজন বাবুর্চি। এর আগে ভেনিসের উপশহর মারগেরায় একজন বাংলাদেশির বাসায় অভিজান চালিয়ে ৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
পুলিশের প্রাথমিক ভাষ্য মতে, এক দল প্রবাসী ইতালিতে ইয়াবা আমদানির সাথে জড়িয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আন্তর্জাতিক মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকতে পারে। তারা মাদক আমদানির সুবিধার জন্য বিভিন্ন সময়ে ইতালির বিভিন্ন এয়ারপোর্ট ব্যবহার করে।
ইতালিতে 'হিটলারের ড্রাগ' বা 'উন্মাদনার ওষুধ' বলে পরিচিত ইয়াবায় বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছে প্রবাসী তরুণ যুবকরা। তাদের অনেকেই প্রতিদিন দুই বেলা কাজ করে, বিরামহীন অনেক ঘন্টা কাজ করে। তারা পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নিয়ে বেশি ঘন্টা কাজ করার জন্য ইয়াবায় ঝুকছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
ইতালিতে যেসব তরুণ যুবকরা অনেক ঘন্টা কাজ করে, বিশেষ করে যারা ট্যুরিষ্ট এরিয়ায় কাজ করে তাদের অনেকেই কোকাইনে আসক্ত হয়ে পড়ার কথা শোনা গেলেও ইয়াবার কথা খুব বেশি শোনা যায় না। কিন্তু ইদানিং ইয়াবা আমদানি এবং সেবনের সাথে বার বার বাংলাদেশিদের নাম শোনা যাচ্ছে। এর আগে রাজধানী রোমসহ অন্যান্য শহরেও অভিন্ন অভিযোগে বাংলাদেশি কম্যুনিটির দিকে আঙ্গুল উঠতে দেখা গেছে। সুতরাং সাবধান হওয়া দরকার। বিশেষ করে অভিভাবকদের সতর্ক হওয়া দরকার। পুলিশের পক্ষ থেকে ইয়াবা চক্র দমনের জন্য বাংলাদেশি কম্যুনিটির সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। যথাসম্ভব সহযোগিতা করা দরকার।
ইতালী প্রবাসী সাংবাদিক পলাশ রহমানের ফেসবুক পোষ্ট
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন