তাকে কি চিনি আমি?
.চিনি! আবার চিনিও না। এতো বিশাল তিনি যে তাকে চেনা যায়না পুরোপুরি।ইটালীর বোলোনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লু্ইজার হাতে তাকে নিয়ে লেখা বই। জাপান থেকে এটি বের হয়েছে সে দেশের শিশুদের জন্য। ফ্রান্সের সিটি ইউনিভার্সিটি তার লেকচারের আয়োজন করেছিল।
মাত্র ২ মিনিটের মধ্যে শেষ হয়েছে এর অন-লাইন রেজিষ্ট্রেশন।
ভারতের টাটা গ্রুপের ২৪টি কোম্পানী শুরু করেছে ড. ইউনুস প্রবর্তিত সামাজিক ব্যবসা। টাটা-র সিও প্যারিসে এসেছেন মুম্বাই-এ সামাজিক ব্যবসার অনুষ্ঠানের সম্মতির জন্য।
আলবেনিয়ার এপোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চান ইউনুস সেন্টার খোলার অনুমতি। ৩০টি দেশের ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয় এই সেন্টার প্রতিষ্ঠিত করেছে তার চিন্তাচেতনা নিয়ে গবেষণার জন্য।
প্যারিসের মেয়র তাকে ঘটা করে সম্মানিত নাগরিকত্ব দিয়েছেন, দিয়েছেন ইউনুস সেন্টার খোলার জায়গা। অনুরোধ করেছেন ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্যারিসে সামাজিক ব্যবসা সম্মেলন করার জন্য।
এই অলিম্পিক আয়োজন হবে তার সামাজিক ব্যবসার থিমকে ধারন করে। এর লোগো হবে তার থ্রি জিরো থিওরি নিয়ে।
প্যারিসে সামাজিক ব্যবসা সম্মেলনে বসে এসব শুনি। তাকে নিয়ে সারা বিশ্বের মাতামাতি দেখি। আমার পোড়া দেশে তিনি প্রায় অবাঞ্ছিত।
তাকে অনুষ্ঠান করতে দেয়া হয় না দেশে। তার কথা শোনা বারণ, তার সঙ্গে মেলামেশা বারণ, তাকে নিয়ে সেভাবে লেখাও বারণ।
অপপ্রচার আর অপমানে বরং তাকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা চলছে দেশে।
দূরে বসে দেখি তাকে প্যারিসে। সারা বিশ্ব থেকে আসা মন্ত্রমুগ্ধ শ্রোতা। তার মাঝখানে মঞ্চ উজ্জ্বল করে আছেন তিনি।
আহা! এ আলো যদি একটুও ছুঁয়ে দেখতে পারতাম আমি, আমরা সবাই!
ড. আসিফ নজরুল: লেখক, কলামিস্ট; অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
asifnazrul@gmail.com
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন