ব্যস্ততার কারণে গত ১৭ জানুয়ারি জিম্বাবুয়ে-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ ফলো করা হয়নি। সন্ধ্যায় হঠাৎ নিউজরুমে চিৎকার শুনে চমকে গেলাম। সাধারণত বাংলাদেশ জিতলে এমন সম্মিলিত উল্লাসধ্বনি শোনা যায়। সেদিন তো বাংলাদেশের খেলা ছিল না, তাহলে? ধাতস্ত হয়ে জানলাম, জিম্বাবুয়ে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে। অবাক হলাম, বাংলাদেশে কবে থেকে এত জিম্বাবুয়ের সাপোর্টার। আসলে জিম্বাবুয়ের জয় বা শ্রীলঙ্কার পরাজয়ে নয়, সবাই খুশি হাথুরুসিংহের পরাজয়ে। এই অস্বাভাবিক উল্লাস আমাকে একটু চমকে দিল। একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির পরাজয় চাওয়া কোনোভাবেই স্পোর্টিং স্পিরিট নয়। কিন্তু পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাথুরু বিদ্বেষ দেখে বুঝলাম, এই শ্রীলঙ্কান কোচ বাংলাদেশে নিজেকে গণশত্রু বানিয়ে ফেলেছেন। এখানে স্পোর্টিং স্পিরিটের কথা বলে লাভ নেই। একদিন পরই ছিল শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের খেলা। কিন্তু শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নয়, গণমাধ্যম দেখেও মনে হচ্ছিল খেলাটা বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা নয়, বাংলাদেশ বনাম হাথুরুসিংহে। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলন, প্রিভিউজুড়ে কেবল হাথুরু।
বাংলাদেশের টিমস ম্যানেজমেন্ট যতই বলুন, খেলাটা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে, হাথুরুর বিপক্ষে নয়; কে শোনে কার কথা। সবাই মেতে ছিলেন হাথুরুকে নিয়েই। রানের হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়ও আড়াল হয়ে যায় হাথুরুর দলের পরাজয়ে। মাঠে তো হাথুরু বিরূপ অভ্যর্থনা পেয়েছেনই, গণমাধ্যম আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমজুড়েও হাথুরুর দলের পরাজয়ের খবর। আমি নিজেও বিভিন্ন সময়ে হাথুরুর বিভিন্ন আচরণের সমালোচনা করেছি, কিন্তু হাথুরু কখন এভাবে বাংলাদেশের গণশত্রু হয়ে গেলেন, এটা বোধহয় তিনি নিজেও টের পাননি।
অথচ হাথুরুসিংহের হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের হিরো। ২০১৪ সালে হাথুরু দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের বদলে যাওয়া শুরু। তার অধীনে ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলে মাশরাফির দল। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে উঠেও সবাইকে চমকে দিয়েছিল বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষটা ব্যর্থতায় মুড়িয়ে দিলেও হাথুরুর সময়ে বাংলাদেশ ঘরের মাঠেও দারুণ সফল ছিল। হোম সিরিজে হারায় ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার মত শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে। টেস্টে জয় পায় ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
দেশের বাইরে টেস্ট জিতেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও। সত্যি বলতে, আগে বাংলাদেশ জেতা ম্যাচ হেরে যেতো। হাথুরু আসার পর থেকে বাংলাদেশ জেতা ম্যাচ তো জিতছিলই, জয় পাচ্ছিল প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচেও। আসলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের মানসিক অবস্থাটাই বদলে গিয়েছিল এই সময়ে। বাংলাদেশের ভয়ডরহীন ক্রিকেট চমকে দিয়েছিল গোটা বিশকেই। পেশাদার কোচ হাথুরুর সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব বাংলাদেশ দলে কঠোর শৃঙ্খলা আনা।
তারপরও হাথুরু কেন এমন গণশত্রু? কেন এত বিদ্বেষ? বাংলাদেশ কি তবে অকৃতজ্ঞ জাতি? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের খুব একটা দোষ দিতে পারছি না। হাথুরু সবসময় পেশাদারিত্বের কথা বলতেন, শৃঙ্খলার কথা বলতেন। কিন্তু তার যাওয়াটা হয়েছে চরম অপেশাদার। দক্ষিণ আফ্রিকার সফর থেকে ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেয়া কোনোভাবেই পেশাদারি আচরণ নয়। অথচ তার ২০১৯ সালের বিশ^কাপ পর্যন্ত থাকার কথা ছিল। এখ নপর্যন্ত তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে কোচ রিপোর্ট দেননি। শ্রীলঙ্কার কোচ হওয়ার ভালো অফার পেয়েছেন, এটাই তার যাওয়ার কারণ।
কিন্তু খুব কৌশলে তিনি সিনিয়র ক্রিকেটারদের ওপর দায় চাপিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে একটা গল্প মনে পড়ছে। এক লোক খুব খারাপ। সারাজীবন মানুষকে জালিয়েছে । মরার আগে সে গ্রামবাসীকে ডেকে বললো, সারাজীবন তো তোমাদের অনেক জালিয়েছি। আমি মরার পর আমার লাশটা তোমরা গ্রামের চৌরাস্তায় বাঁশে ঝুলিয়ে রেখো। সবাই ভাবলো, লোক যত খারাপই হোক, শেষ ইচ্ছা বলে কথা। মরার পর সবাই তার লাশ চৌরাস্তায় ঝুলিয়ে রাখলো। আর খবর পেয়ে পুলিশ এসে গ্রামের সবাইকে ধরে নিয়ে গেল। সেই লোক মরার পরও গ্রামের লোককে স্বস্তি দেয়নি। হাথুরু তেমনি। দায়িত্বে থাকতে বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে অনেক কাটাকুটি খেলেছেন। এমনকি যাওয়ার পরও সিনিয়র ক্রিকেটারদের জালাতে ছাড়েননি।
সাফল্যেও আবরণে বিভ্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ ত্রিকেট বোর্ড হাথুরুর কাছে আসলে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে লিজ দিয়ে দিয়েছিল। তিনিই ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বেসর্বা। তিনিই ছিলেন প্রধান কোচ, সুপার সিলেক্টর, সুপার অধিনায়ক সবকিছু। বাংলাদেশ ক্রিকেটে তার ইচ্ছাই ছিল শেষ কথা। নির্বাচকরা শুধু ঘোষণা করতেন, কিন্তু দলে কে থাকবেন, কে বাদ পড়বেন; তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা নিতেন হাথুরু। এমনকি অধিনায়ক টস জিতলে কী সিদ্ধান্ত নেবেন, তাও ঠিক করে দিতেন হাথুরু। কোচিঙের সীমা ছাড়িয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বেসর্বা হয়ে ওঠা এবং সে ক্ষমতার চূড়ান্ত স্বেচ্ছাচারি প্রয়োগ, অনুরাগ-বিরাগের তীব্র প্রকাশই তাকে হাথুরুকে গণশত্রুতে পরিণত করেছিল।
২/৩ বছর ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বদলে যাওয়ার কৃতিত্ব অবশ্যই হাথুরু পাবেন।
কিন্তু এর আরেকটা রহস্য আছে। অনেকদিন ধরেই খেলছেন মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ। এই পঞ্চপান্ডব এখন তাদের ফর্মের তুঙ্গে, ম্যাচিউরিটির চূড়ান্তে। আর অনেকদিন একসঙ্গে খেলছেন বলেই তাদের বোঝাপড়াটাও দারুণ। এই পাঁচজনের ব্যাটে বা বলেই তরতর করে এগিয়েছে বাংলাদেশের সাফল্যের তরি। বিভিন্ন সময়ে তাদের সহায়তা করেছেন রুবেল, তাসকিন, মুস্তাফিজ, সৌম্য, মিরাজরা। আর আমি এই সাফল্যেও কৃতিত্ব যতটা হাথুরুকে দেবো, তারচেয়ে বেশি দেবো মাশরাফির অনুপ্রেরণাদায়ী নেতৃত্বতে। ফুটবল যতটা কোচনির্ভর খেলা, ক্রিকেট ততটাই অধিনায়ককেন্দ্রিক।
হাথুরুর বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বেসর্বা হওয়ার পথে কাটা ছিলেন এই ৫ সিনিয়র ক্রিকেটার। তার স্বেচ্ছাচারিতার বিপক্ষে কথা বলতেন তারা। এমনকি বিসিবি সভাপতির কাছে সিনিয়র ক্রিকেটাররা তাদের অসন্তোষের কথা জানিয়েছেনও। হাথুরু নিষ্ঠুরভাবে এই ৫ জনকে নিয়ন্ত্রণ করে ড্রেসিংরুমকে আর্গুমেন্টমুক্ত করতে চেয়েছিল। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ। হাথুরুর এই অপকৌশল সফল হয়নি। আমার ধারণা সিনিয়রদের কারণে নয়, সিনিয়রদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েই পালিয়েছেন হাথুরু।
হাথুরুর প্রথম টার্গেট ছিলেন সাকিব। শৃঙ্খলা ও আচরণজনিত নানা সমস্যা আছে। কিন্তু এটা তো সত্যি সাকিবই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেটার। শুধু বাংলাদেশ নয়, সাকিব বিশে^র সেরা অলরাউন্ডার। হাথুরুর প্ররোচণায় এই সাকিবকেও নিষিদ্ধ করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। মাশরাফি শুধু বাংলাদেশের সেরা অধিনায়ক নন, বিশে^র যে কোনো দেশ মাশরাফির মত অধিনায়ককে পেলে লুফে নেবে। তিনি ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক তত্ত্ব দিয়ে হাথুরু তার কাছ থেকে কেড়ে নেন টি-২০এর অধিনায়কত্ব। সেটা যে নিছক অজুহাত, তা বোঝা যায়, টি-২০এর পর টেস্টের অধিনায়কত্বও দেয়া হয় সাকিবের ঘাড়ে।
মুশফিক হয়তো অধিনায়ক হিসেবে সেরা নন, কিন্তু উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে তার পারফরম্যান্স বিশ্বসেরা। হাথুরু মুশফিকের পেছনে লেগেছিলেন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায়। তাকে কিপিং করতে না দেয়া, ফিল্ডিং সাজানোর ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ, টসের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ, এমনকি অধিনায়ক নিজে কোথায় ব্যাট করবেন সে সিদ্ধান্তও নিতেন কোচ। এভাবে দিনের পর দিন একজনের মনোবল ভেঙ্গে দেয়ার পর থেকে তার কাছ থেকে কিছু আশা করাই ভুল। শ্রীলঙ্কা সফরের সময় মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে যা হয়েছে, তারপরও যে তিনি খেলার মত মানসিক শক্তি ধরে রাখতে পেরেছেন, এটাই প্রমাণ করে তিনি সেরাদের একজন। তামিম ইকবাল বাংলাদেশের সেরা পারফরমারদের একজন। তিনি টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক ছিলেন। হাথুরুর সিনিয়র হটাও ধারাবাহিকতায় কোনো কারণ ছাড়াই তামিমকে সরিয়ে দেয়া হয়।
হাথুরু খুব ভালো করে জানেন, ক্রিকেট যতটা না শারীরিক সামর্থ্যরে খেলা, তারচেয়ে অনেক বেশি মানসিক সক্ষমতার। তাই তিনি সুপরিকল্পিতভাবে সিনিয়র ক্রিকেটারদের মনোবল ভেঙ্গে দেয়ার কাজটি করেছেন। তবে পুরোপুরি সফল হতে পারেননি। হাথুরুর হাত ধরে আসা সাফল্য দেখে আমাদের অনেকে তার কাছে আরো
বেশি সমর্পণ করছিলেন নিজেদের। তারাও বুঝতে পারছিলেন, সাফল্যই ঢেকে রাখতে পারবে, সব অন্যায়।
হাথুরুর সবচেয়ে বড় অন্যায়টা হলো, তার অনুরাগ-বিরাগের নগ্ন প্রকাশ। তিনি যাকে অপছন্দ করতেন, তার ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিতে চাইতেন। তুষার ইমরান আর আবদুর রাজ্জাক ঘরোয়া ক্রিকেটে বছরের পর বছর পারফর্ম করেও হাথুরুর সুনজর পাননি। মুমিনুল দারুণ ব্যাটসম্যান। পরিসংখ্যানে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন ডন
ব্র্যাডম্যানকে। শুরুতে কৌশলে তাকে টেস্ট ব্যাটসম্যানেস তকমা লাগানো হয়।
এরপর তাকে বাদ দেয়া হয় টেস্ট থেকেও। মাশরাফির কাছ থেকে টি-২০এর অধিনায়কত্ব কেড়ে নেয়ার সময় বলা হয় তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়কত্ব তত্বের কথা। কিন্তু মুমিনলকে বাদ দেয়ার সময় বলা হয় ২০১৯ বিশ^কাপের পরিকল্পনায় যারা আছেন, তাদেরই বেশি করে খেলানো হবে। কী ডাবল স্ট্যান্ডার্ড! অপছন্দ করে যেমন তিনি ক্রিকেটারদের ক্ষতি করেছেন, তেমনি অতি ভালোবেসেও করেছেন।
সৌম্য সরকারে আমি দেখি বাংলাদেশের ব্যাটিং ভবিষ্যৎ। তারও খারাপ সময় আসতেই পারে। কিন্তু খারাপ ফর্মের সময়ও দিনের পর দিন খেলিয়ে তার খারাপ সময়টাকেই দীর্ঘায়িত করেছেন হাথুরু। তাই হাথুরু যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সৌম্য দলের বাইরে। এনামুল হক বিজয় আর নাসির হোসেনরা দলে ফিরে এখন জবাব দিচ্ছেন। শ্রীলঙ্কার দায়িত্ব নেয়ার পর হাথুরুর প্রথম এসাইনমেন্ট বাংলাদেশে। এখানে এসেই উল্টো ছবিটা দেখে ফেলেছেন তিনি। বোর্ডের কাছে চেয়েও অনুশীলনের বাড়তি সুবিধা পাননি। প্রথম ম্যাচেই তার দল হেরেছে জিম্বাবুয়ের কাছে। আর বাংলাদেশের সঙ্গে মুখোমুখিতে হেরেছে ১৬৩ রানে। যে সিনিয়রদের নিয়ে তার এত কুপরিকল্পনা, সেই সিনিয়ররাই তাকে ধ্বসিয়ে দিলেন। একটা জিনিস প্রমাণিত হলো আবারও, ক্রিকেট কোচনির্ভর খেলা নয়।
দল জিততে হলে খেলোয়াড়দের মাঠে পারফর্ম করতে হয়। তবে এটা ভাবার কোনো কারণ নেই, হাথুরুরর দল শ্রীলঙ্কা খালি হারবেই। সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনারা চলে যাওয়ার পর হঠাৎ শুন্যতায় শ্রীলঙ্কতা খাদে পড়ে গেছে। নিশ্চয়ই তারা ঘুরে দাড়াবে। আর হাথুরু একজন খুব ভালো পেশাদার কোচ। তিনি নিশ্চয়ই শ্রীলঙ্কাকে জয়ের ধারায় নিয়ে যাবেন। কিন্তু হাথুরু হাথুরু আসলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের গোড়া কেটে আগায় সাময়িক সাফল্যের পানি ঢালছিলেন। তাই যত ভালো কোচই হোন, তার বিদায়ে রাহুমুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। খেলার আগে-পওে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা বারবার বলছিলেন, হাথুরু তাদের প্রতিপক্ষ নয়। তারা খেলেছেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। কিন্তু তবুও ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে একটি সত্যি কথা মুখ ফসকে বলে ফেলেছেন পরপর দুৃই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান, ‘বলবো না যে আগে আমাদেও খেলার স্বাধীনতা ছিল না। তবে এখন আমরা স্বাধীনভাবেই খেলতে পারছি, সঙ্গে সিদ্ধান্তও নিতে পারছি। এতে দলের সবাই সবকিছুতে আরো সংযুক্ত থাকছে।’ অল্প কথায় সাকিব হাথুরুর থাকা না থাকার পার্থক্যটা বুঝিয়ে দিয়েছেন।
স্বাধীনভাবে খেলতে পারা, সিদ্ধান্ত নিতে পারা এবং সবকিছুতে সবার সংযুক্ত থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বোঝাই যাচ্ছে এতদিন এটা পারছিলেন না তারা। যত যাই হোক, হাথুরু এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের অতীত। তিনি এখন ধুকতে থাকা একটি দলের কোচমাত্র, মোটেই বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নন বা শত্রুও নন। তাই তাকে নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করা অর্থহীন। বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে, বাংলাদেশের সামর্থ্য।ে আমাদের সামনে নিশ্চয়ই আরো সাফল্য অপেক্ষা করছে।
প্রভাষ আমিন : সাংবাদিক, কলাম লেখক; বার্তা প্রধান : এটিএন নিউজ।
probhash2000@gmail.com
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন