গোলাম মাওলা রনি
আগামী সংসদ নির্বাচন যে কতটা জটিল, কঠিন এবং শ্বাসরুদ্ধকর ক্লাইমেক্সের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে তা বর্তমানকালের কিছু হালহকিকত, বাতাসে ভেসে বেড়ানো গুজব এবং রাজনীতিবিদদের হম্বিতম্বি, চালচলন ও ইশারা-ইঙ্গিত দেখলেই অনুমান করা সম্ভব। বিএনপি নেত্রীর কারাদণ্ড, তারেক রহমানের পাসপোর্ট বিতর্ক এবং আওয়ামী লীগের একদল নেতার ভারত গমনের রসায়ন পর্যালোচনা করলে এ কথা স্পষ্টভাবে বলা যায় যে, একাদশ সংসদ নির্বাচন কোনোভাবেই দশম সংসদ নির্বাচনের মতো হবে না। প্রতিটি সংসদ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে ক্ষমতাসীন সরকারের ভাষা ধীরে ধীরে মোলায়েম হতে হতে একসময় শান্ত-শীতল ও সুমধুর রূপ লাভ করে। অন্য দিকে, নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধী দলের ভাষা চাঙ্গা হতে হতে একসময় এমন অবস্থায় পৌঁছে, যা দেখে মনে হয় যে, তারাই হয়তো আগামী দিনের সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। রাজনীতির চিরচেনা এই ঐতিহ্য হাল-আমলে বাংলাদেশে উল্টো হয়ে গেছে।
আমাদের দেশের বর্তমান সরকারের কথাবার্তা শুনলে স্পষ্ট মনে হয় যে, তারা ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার ম্যান্ডেট ইতোমধ্যে পেয়ে গেছেন। অন্য দিকে, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই দেশের বিরোধী দলগুলোর কণ্ঠস্বর, অঙ্গভঙ্গি ও আচার-আচরণ জ্যামেতিক হারে বিনয়, ভদ্রতা, শিষ্টাচার এবং আনুগত্য যোগ হচ্ছে। মনে হচ্ছে সরকারের হুকুম পালনের জন্য তারা দেহ-মন ও মানসিকতাকে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত করে ফেলেছেন। তারা অধিক মাত্রায় নিয়তির বিশ্বাসী এবং স্বপ্নবিলাসী হয়ে এমন সব কথাবার্তা বলছেন, যার সাথে তৃতীয় বিশ্বের রাজনীতির কোনো বাস্তব মিল নেই। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে সুনসান নীরবতা চলছে, তা এ দেশতো বটেই বিশ্বের অন্য কোথায় কোনোকালে ছিল কি না, তা আমার জানা নেই। রাজনীতির এই হালহকিকতের মধ্যে ক্ষমতাবানদের গায়েপড়ে বিরোধী দলকে উত্তেজিত করার প্রবল চেষ্টা এবং বিরোধী দলগুলোর সঙ্ঘাত এড়ানোর প্রাণান্ত চেষ্টার মধ্যে কেউ কেউ কৌতূক অনুভব করলেও আমি কিন্তু অশনিসঙ্কেত দেখতে পাই।
সম্প্রতি তারেক রহমানের পাসপোর্ট নিয়ে সৃষ্ট বিতর্ক, লন্ডনের মাটিতে একজন কট্টরপন্থী সরকার সমর্থক পত্রিকা সম্পাদক, জনৈকা টেলিভিশন সাংবাদিক এবং একজন প্রতিমন্ত্রীর নাজেহাল হওয়ার ঘটনা বাংলাদেশের পত্রপত্রিকায় শিরোনাম হয়েছে। এসব ঘটনায় দেশের মাটিতে সরকার সমর্থক লোকজন নানা হম্বিতম্বি ও প্রচার প্রপাগান্ডা চালালেও বিদেশের মাটিতে আমাদের সামগ্রিক ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করেছে। বিগত ১/১১’র সময় কী কারণে এবং কোন পরিস্থিতিতে তারেক রহমান দেশ ত্যাগ করেছিলেন তা কমবেশি, সবাই জানেন। ইংল্যান্ডে তারেক রহমানের রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ এবং বিগত দিন থেকে আজ অবধি তার দেশে ফেরা কেনো এবং কী কারণে দিনকে দিন দুরূহ হয়ে পড়েছে তা-ও কমবেশি সবাই জানেন। এ অবস্থায় সরকার তাকে উদ্দেশ করে যতই আক্রমণাত্মক ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে ততই তাদের দুর্বলতা প্রকাশ পাবে।
সরকার নিজেদের অজান্তে আজ এমন একটি অবস্থানে চলে এসেছে, যেখান থেকে ফেরা বলতে গেলে অসম্ভব। সারা বাংলাদেশের পথেপ্রান্তরে এখন শুধু আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগ। গাছের পাতা, নদী, ঢেউ, আকাশ-বাতাস, পাখ-পাখালী সব কিছুই যেন সরকারের গুণকীর্তনে পরস্পরের সাথে প্রতিযোগিতায় নেমে গলা ফাটিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব ও প্রাধান্য প্রমাণের প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, সরকারের এহেন নতুন শুভার্থীদের নিয়ে খোদ আওয়ামী লীগেই একধরনের অশ্বস্তি ও বিরক্তি লক্ষ করা যাচ্ছে। নব্য আওয়ামী লীগারদের অতি বাড়াবাড়ির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পুরনো আওয়ামী লীগাররা। দলের তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত সর্বত্র নব্য আওয়ামী লীগার যারা ইতোমধ্যে কাউয়া, হাইব্রিড, ফার্মের মুরগি ইত্যাদি বিশেষণে ভূষিত হয়েছেন তাদের অত্যাচারে দলের দীর্ঘ দিনের পরীক্ষিত এবং ত্যাগী নেতারা রীতিমতো অত্যাচারিত, বঞ্চিত ও লাঞ্ছিত হতে হতে রাজনীতির প্রতি উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। দলের হাইকমান্ড বিষয়টি আন্দাজ করে নিজেদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে প্রচলিত রাজনৈতিক দ্বন্দে রূপান্তর করে সরকারি দল বনাম জামায়াত-বিএনপি বিরোধকে চাঙ্গা করতে চাচ্ছেন। কিন্তু প্রতিপক্ষের নির্লিপ্ততা কিংবা অতি ভদ্রতার কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠছে না।
দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জটিল সমীকরণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক রাজনীতিতেও বাংলাদেশের জন্য বিশেষ করে সরকারের জন্য নতুন রসায়নের জন্ম দিয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যা, চীনের সাথে নিত্যনতুন বাণিজ্যিক ও সামরিক চুক্তি, রাশিয়ার সাথে বন্ধুত্ব, ভারতের সাথে কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে শীতল সম্পর্কের পাশাপাশি সৌদি সামরিক জোটে যোগদান এবং সৌদি সরকারের সাথে উষ্ণ সম্পর্কের কারণে আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে যে জটিল এবং ভারসাম্যহীন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যার রেশ আগামী সংসদ নির্বাচনে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাতাসে এ কথা ভেসে বেড়াচ্ছে যে, চীনের সাথে বাংলাদেশের দহরম-মহরম সম্পর্ক ভারত বরদাশত করতে পারছে না, ভারতীয় পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন এবং সম্পাদকীয়তে সেই দেশের সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা অহরহ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে উঁচুপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতাদের সাথে বৈঠকের জন্য দিল্লি সফর করেছে, যা দেশের সাম্প্রতিক রাজনীতির ময়দানে নানা রকম গুঞ্জন সৃষ্টি করেছে।
দিল্লি থেকে ফিরে ওবায়দুল কাদের সংবাদকর্মীদের কাছে তার দিল্লি সফর সম্পর্কে যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তা যথেষ্ট কৌতূহলোদ্দীপক এবং কৌতুকময়ও বটে। তিনি বলেছেন, ভারত তাদের আশ্বস্ত করেছে, তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলাবে না, যেমনটি তারা অতীতে গলায়নি। বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে চাইবে সেভাবেই আগামীর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কাদেরের বক্তব্যটি আমরা ত্রিমাত্রিক উপায়ে বিশ্লেষণ করতে পারি। প্রথমত, আওয়ামী লীগের কি কোনো সন্দেহ ছিল যে ভারত আগামী সংসদ নির্বাচনে নাক গলাবে এবং তাদের বিরুদ্ধপক্ষের তাঁবেদারি করে ছলে-বলে-কৌশলে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করবে এবং নিজেদের পছন্দমতো দল ও গোষ্ঠীকে ক্ষমতায় বসাবে! ভারত সরকারকে নিরপেক্ষ করার জন্যই কি আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে সদলবলে একই পোশাক পরে দিল্লি সফর করতে হয়েছে!
জনাব কাদেরের বক্তব্যের দ্বিতীয় বিশ্লেষণটিও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ভারত নাকি বলেছে, তারা অতীতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায়নি। এ ক্ষেত্রে ভারত যদি সত্য কথা বলে থাকে তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ভারতের বন্ধুত্ব ও সাহায্য সহযোগিতার ব্যাপারে যে আত্মবিশ্বাস প্রদর্শন করে তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ভয় দেখায় তা অসার এবং মিথ্যা বলে প্রমাণ হবে। ভারতের নাম ভাঙ্গিয়ে অতীতে যেসব কর্ম হয়েছে সেগুলোর দায়ও আওয়ামী লীগকে নিতে হবে। ভারতের কথা যদি সত্য হয়, তবে তাদের বাংলার আপামর মানুষের কাছে একটি বিশেষ দলের তাঁবেদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ও দশমুখে প্রচার প্রগাগান্ডা করে তাদের ভাবমর্যাদা নষ্ট করার জন্য তারা হয়তো সংক্ষুব্ধ ছিল। ভারতের এই সংক্ষুব্ধতা নিরসনের জন্য আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব সদলবলে সফল করেছে কি না এমন প্রশ্ন কোনো সাংবাদিক এখন পর্যন্ত করেনি।
আলোচনার এই পর্যায়ে আমরা ভারতের উল্লিখিত বক্ত্যব্যের নেতিবাচক দিকটি নিয়েও আলোচনা করব। ধরুন- ভারত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলানোর ব্যাপারে যা বলেছে, তা সর্বৈর মিথ্যা অথবা কূটনীতির ছলচাতুরির কৌশলী উত্তরমাত্র। অথবা ভারত যা বলেছে সেই কথাগুলো কাদেরের ভাষায় হুবহু ফুটে ওঠেনি। এ ক্ষেত্রে বিষয়টির সমীকরণ কেমন হতে পারে। ধরুন, অতীতে ভারত বাংলাদেশের ব্যাপারে নাক গলিয়েছে এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তার চাক্ষুষ সাক্ষী। এ অবস্থায় দিল্লি সফররত আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলকে যদি ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতারা হঠাৎ করে চোখ উল্টিয়ে বলে থাকেন যে, আমরা যেমন অতীতে নাক গলাইনি তদ্রুপ আগামীতেও নাক গলাব না। আপনারা দিল্লি এসেছেন চিন্তার কোনো কারণ নেই- শহরে ঘোরাফেরা করুন, দিল্লির মজাদার লাড্ডু খান, শহরের দর্শনীয় স্থাপনাগুলো দেখুন, সদ্য মুক্তি পাওয়া ব্লক বাস্টার সিনেমাগুলো উপভোগ করার জন্য সিনেপ্লেক্সে যান এবং এগুলোর ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে সফরের গুরুত্ব দেশবাসীর কাছে তুলে ধরুন। ভারত সরকারের কর্তাব্যক্তিরা যদি নাক না গলানোর ব্যাপারে উল্লিখিত ইঙ্গিত দিয়ে থাকেন তবে কী পরিণতি হতে পারে তা বোঝার জন্য খুব বেশি পাণ্ডিত্যের দরকার নেই।
এবার ভারতের বক্তব্যের তৃতীয় বিশ্লেষণটি নিয়ে কিছু বলি। ভারত বলেছে, বাংলাদেশের জনগণ যেভাবে চাইবে সেভাবেই আগামী নির্বাচন হবে। ভারতের এই বক্তব্যটি বেশ অস্পষ্ট এবং ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ ভারত বলেনি যে, বাংলাদেশের কোন শ্রেণীর জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী নির্বাচন হবে এবং তারা কোন শ্রেণীটির ইচ্ছার সাথে একাত্মতা পোষণ করবে। বাংলাদেশের সব মানুষই জানেন, দেশের জনগণ আজ দুই শ্রেণীতে বিভক্ত। এক শ্রেণীর জনগণকে বলা হয় ক্ষমতাসীন জনগণ। অন্যরা হলেন ক্ষমতাবঞ্চিত জনগণ। ক্ষমতাসীনেরা যেভাবে আগামীর নির্বাচন অনুষ্ঠিত করাতে চাচ্ছেন সে প্রক্রিয়ায় যদি ভারতের একাত্মতা থাকে তবে খবর আছে। অন্য দিকে ক্ষমতাবঞ্চিত জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের ব্যাপারে যদি ভারত সমর্থন জোগায় সে ক্ষেত্রেও খবর আছে। কাজেই দিল্লি সফর শেষে ওবায়দুল কাদের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে ভারতের মনোভাব সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা একদিকে যেমন অস্পষ্ট তেমনি অন্য দিকে জটিল-কুটিল এবং গরলে ভরপুর।
আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভারতের মতো পশ্চিমা দেশগুলোও বেশ কৌশলী আচরণ শুরু করেছে। তারা অতীতের মতো বাগাড়ম্বর না করে ধীরস্থিরভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন। তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তাদের মিত্রদের সাথে সতর্কতার সাথে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন এবং সরকার ও বিরোধী দলের সাথে সমানতালে যোগাযোগ রাখছেন। তারা অতীতের মতো মিডিয়ায় সরব হচ্ছেন না এবং দৃশ্যমান তৎপরতা বন্ধ রেখেছেন। তারা তাদের সরকার, পশ্চিমা মিডিয়া সংস্থা, দাতা সংস্থা, মানবাধিকার সংগঠন এবং এনজিওগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের আগামী সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে একটি সেতুবন্ধ রচনা করে নীরবে নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং তাদের মিত্ররা আগামী নির্বাচন নিয়ে দেশী-বিদেশী শত্রু-মিত্রদের নানা ধরনের সমীকরণ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল রয়েছেন বলেই আমার বিশ্বাস। তারা সব বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবেলা করে নির্বাচনের ফলাফলকে নিজেদের আয়ত্তে রাখার চেষ্টাস্বরূপ বহুমুখী পরিকল্পনা নিয়ে আগামী কয়েকটি মাস নানামুখী তৎপরতা চালাবেন। তারা তাদের শ্রেণীশত্রু, নিজ দলের মুনাফেক, প্রতিদ্বন্দ্বী ও বহিঃশত্রুর বাহারি আক্রমণ প্রতিহত করে প্রচলিত রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে বহু নাটক, গীতিনাট্য এবং কাব্যকাহিনী মঞ্চস্থ করে দেশবাসীকে দিল্লির মজাদার লাড্ডু খাওয়াবেন অথবা দিল্লিকা লাড্ডুর রসমঞ্জুরীর পিচ্ছিল ও চটচটে স্পর্শ থেকে রক্ষা করবেন।
লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন