মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোড়া বলে খ্যাত ইসরায়েল। সেই ইসরায়েলের সাথে এখন মধ্যপ্রাচ্যের সর্ম্পক নতুন মোড় নিয়েছে। উচ্চ পর্যায়ে ইসরায়েল সফরের কথা জানিয়েছে ফ্রান্সের গণমাধ্যম। সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান গতমাসে গোপনে ইহুদিবাদী ইসরাইল সফর করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইসরাইলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ফ্রান্সের বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর দিয়েছে।
এ ছাড়া, ইসরাইলি সাংবাদিক ইরাইল কাহনা এক টুইটার বার্তায় লিখেছেন, একটি উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদল নিয়ে সালমান তেল আবিব সফর করেন এবং সেখানে তিনি ইসরাইলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর আরবী ভাষায় ইসরাইলি রেডিও এক খবরে জানিয়েছিল, সৌদি আরবের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা গোপনে ইসরাইল সফর করেছেন এবং সেখানে তিনি ইসরায়েলের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাতে আঞ্চলিক শান্তি অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।
ঐ খবরে বলা হয়, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর রিয়াদ সফর থেকে সৌদি আরবের সাথে ইসরায়েলের সহযোগিতা বৃদ্ধি পায়।
খবরে আরো বলা হয়, সেখানে (ইসরায়েলে) এখনও অনেক সৌদি কর্মকর্তারা রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত ইসরায়েলী কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাত হচ্ছে। যারা সৌদি-ইসরায়েল যৌথ স্বার্থ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করচে।
এদিকে ইসরাইলের যোগাযোগমন্ত্রী ও পার্লামেন্টে লিকুদ পাটির সংসদ সদস্য আইয়ুব ঘারা জানিয়েছেন, মিশর, জর্দান ও সৌদি আরবসহ বহু আরব দেশ ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ইরাকের আধা-স্বায়ত্বশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলের নেতারাও ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চান বলে জানান ঘারা।
সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইল ও কিছু আরব দেশ নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনে ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়েমিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছিলেন, আরব দেশগুলোর সাথে বিভিন্ন পর্যায়ে আমদের সহযোগিতা রয়েছে তবে কোন শান্তিচুক্তি নেই। তবে এই যোগাযোগ অপ্রকাশ্যেই হয়ে থাকে। সূত্র : আল-জাজিরা , আনাদোলু এজেন্সি, ইয়েনিসাফাক।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন