বিশেষ প্রতিনিধি
জাতিসংঘের এজেন্ডা নির্ধারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু এজেন্ডা হিসেবে গৃহীত হয়েছে। এতে ভোটাভুটির মাধ্যমে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বন্ধে প্রস্তাব পাশ করেছে সদস্যরাষ্ট্ররা। প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ ১৩৫টি দেশের ভোট পড়ে। বিপক্ষে ভোট পড়ে চীন, রাশিয়া সহ ১০টি দেশের। এতে ভোট দানে বিরত ছিল ভারতসহ ২৬টি দেশ।
ভারতেক বাংলাদেশ সরকার 'বন্ধুরাষ্ট্র' বলে প্রচার করলেও স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ সংকটের মধ্যে দিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়ায়নি শেখ হাসিনার 'বন্ধুরাষ্ট্র'। বরং মিয়ানমারের বর্বর সেনাবাহিনী ও সরকারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের প্রস্তাবে ভোট দেয়া থেকে বিরত থেকে পরোক্ষভাবে মিয়ানমারের পক্ষে দাঁড়িয়েছে মোদির দেশ। এর মাধ্যমে অবশ্য নরেন্দ্র মোদি মিয়ানমারকে দেয়া তার কথা রেখেছেন। গত মে মাসে নেইপিদো সফরে অং সাং সুচিকে তিনি বলেছিলেন, ভারত রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের পাশে থাকবে।
জাতিসংঘের বৈঠকে রোহিঙ্গাদের ওপর সামরিক অভিযান বন্ধে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে আহবান জানানো হয়। সেইসাথে দেশ থেকে বিতাড়িত ও বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে আসার এবং এবং তাদের পূর্ণ নাগরিকত্বের অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করা হয়।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে ৫৭ মুসলিম দেশের সংগঠন ওআইসির আহবানে এ ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ পরিষদের মানবাধিকার কমিটি এ ভোটাভুটি অনুমোদন করে।
এতে মিয়ানমারের ঘনিষ্ট প্রতিবেশি চীন, সেইসাথে রাশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও লাওসসহ ১০টি দেশ বিপক্ষে অবস্থান নেয়। এদিকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে জড়িয়ে পড়া বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে দেশটির ঘনিষ্ট মিত্র ভারত। সেইসাথে দক্ষিণ এশিয়ার নেপাল, শ্রীলংকাসহ ২৬টি দেশ এ ভোটাভুটিতে নিজের অবস্থান জানাতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে। রাখাইনে গণহত্যার শুরু থেকে ভারত সরকার এ ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে আছে দাবী করা হলেও এ ভোটাভুটিতে তারা অংশ নিতে বিরত থাকে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন