গণফোরামের সভাপতি ও সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন দীর্ঘদিন পর বিএনপি সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে পেরেছে। আওয়ামী লীগ গতকাল (শনিবার) নাগরিক সমাবেশ করেছে। দলগুলো সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন করছে এটিকে আমরা স্বাগত জানাই । আমরা আশা করবো গণতান্ত্রিক পরিবেশের বিস্তৃতি আরো লালন করা হবে। শুধু এ দু’দল নয়, সকল দল যেন তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার যেটা সংবিধানে নিশ্চিত করা আছে তা ভোগ করতে পারে। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ তৈরি করা থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে একই মঞ্চে ছিলেন ড. কামাল হোসেন।
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চে ভাষণকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া নাগরিক সমাবেশের মঞ্চে আপনি নেই? এমন প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর কর্মী ছিলাম। আজকে তো আমি এই দলে নাই। ১৯৯৩ সালে আমি অন্য একটি নতুন দল করেছি। আমরা আজকে যে রাজনীতি করছি সেখানে আমার মূল আবেদন হলো সকল মানুষের কাছে আমাদের মধ্যে যেসব মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্য আছে সেগুলোকে কেন্দ্র করে আমারা জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলি। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য, সংবিধানকে রক্ষা করার জন্য এবং সংবিধানের যে মূলনীতিগুলো আছে সেগুলোকে রক্ষা করার জন্য। বিভিন্ন দল থাকবে। বহুদলীয় গণতন্ত্র আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু এর মধ্যে গণতন্ত্র, আইনের শাসন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এসব মৌলিক বিষয়গুলোতে আমরা ঐকমত্য থাকবো। আর কেউ যদি এগুলো পালন না করে। তাহলে আমি বলবো এসব পালন করা উচিত। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে ছিল আজকের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম। স্বাধীনতাতো আমরা পেয়েছি। এটাতো ঐতিহাসিক অর্জন আমাদের। সংবিধানে লেখা আছে অর্থনৈতিক মুক্তি, সামাজিক ন্যায়বিচারের অধিকার কিভাবে আমরা ভোগ করবো। এই লক্ষ্যগুলো নিয়ে কোনো বির্তক নেই। সংবিধানে এটি বঙ্গবন্ধুর স্বাক্ষরিত দলিল। আমাদের সকলের দায়িত্ব রয়েছে এই লক্ষ্যগুলোকে অর্জন করার জন্য আমরা যথাযথভাবে সচেষ্ট থাকবো। আমরা যে জনগণের ঐক্যের কথা বলে যাচ্ছি অর্থনৈতিক মুক্তি, ন্যায় বিচারের জন্য এটি অপরিহার্য।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন