আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ওমরাহ পালনে স্বস্ত্রীক সৌদি আরব গেছেন। তিনি সৌদি আরব যা্ওয়ার পরপরই শুরু হয় তার বিরুদ্ধে মামলা। এ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করা হয়। তারমধ্যে মঙ্গলবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মেহেরপুরে ও টাঙ্গাইলে তিনটি মামলা এবং এর আগে কুড়িগ্রাম ও নাটোরে দুটি মামলা হয়।
সূ্ত্রে জানাগেছে, দেশের সার্বভৌমত্ব, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে কটূক্তি করায় অভিযোগ এনে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মেহেরপুরে ও টাঙ্গাইলে মামলা করা হয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির অভিযোগ এনে মঙ্গলবার এ মামলা তিনটি করা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমলি আদালতে (‘ক’ অঞ্চল) মামলা করেন জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ইয়াসমিন সুলতানা। টাঙ্গাইল জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে করা মামলার বাদী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান খান সোহেল। আর মেহেরপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা করেছেন মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লাভলী ইয়াসমিন।
এর আগে কুড়িগ্রাম ও নাটোরেও তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির অভিযোগে দুটি মামলা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, আসামি মাহমুদুর রহমান বাংলাদেশের সার্বভৌম ও বাংলাদেশের জনগণকে অসত্য বক্তব্য দিয়ে জনগণকে ভুল বুঝিয়ে জনযুদ্ধে লিপ্ত করার তথা বাংলাদেশের অস্তিত্বকে ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্র করছেন। যা দেশদ্রোহের শামিল।
বাদীর আইনজীবী মিজানুর রহমান জানান, বিচারক শরিফুল ইসলাম মামলাটি গ্রহণ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নিয়মিত এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
টাঙ্গাইলে করা মামলার বাদীর আইনজীবী এস আকবর খান জানান, বিচারক আব্দুল্লাহ্ আল মাসুম অভিযোগ আমলে নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টাঙ্গাইল সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদী সাইফুজ্জামান খান বলেন, মাহমুদুর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পর্কে কটূক্তি এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করে বক্তব্য দিয়েছেন। এ কারণে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে তিনি এই মামলা দায়ের করেছেন।
মেহেরপুরের দায়রা জজ আদালতের মুখ্য বিচারিক হাকিম মহিদুজ্জামান তার আদালতে করা মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে পুলিশকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১ ডিসেম্বর ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বর্তমান সরকার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক সম্পর্কে কটূক্তি করেন ও অসত্য বক্তব্য দেন। এ ছাড়া তিনি জাতির জনকের পরিবারের নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে বক্তব্য প্রদান করেন। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশকে বহির্বিশ্বে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে খুন,গুম নিয়ে অসত্য তথ্য উপস্থাপন করে বলে জানা যায়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন