বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির যে শৃঙ্খলাবিধি সরকার তৈরি করেছে তা সম্পূর্ণ আত্মঘাতী, অর্থহীন এবং অসাংবিধানিক।’
তিনি বলেন, ‘এই শৃঙ্খলাবিধি সম্পূর্ণভাবে সংবিধানের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। এর মধ্য দিয়ে নিম্ন আদালতের বিচারকগণ সম্পূর্ণভাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে গেল।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের হল রুমে অপরাজেয় বাংলাদেশ আয়োজিত ‘মহান বিজয় দিবস ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মওদুদ বলেন, ‘এই শৃঙ্খলাবিধির মাধ্যমে প্রশাসন থেকে বিচার বিভাগকে পৃথকীকরণের মৃত্যু ঘটেছে। মাজদার হোসেন মামলায় বিচার বিভাগকে পৃথকীকরণ করা সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের যে নির্দেশ ছিল তার পরিপন্থী। সুতরাং এখন বলা যাবে না যে, বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক একটি প্রতিষ্ঠান।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ নিয়ে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার সঙ্গে বিচার বিভাগের মতবিরোধ ছিল। কারণ তিনি এর বিরোধিতা করে বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে অক্ষুণ্ন রাখতে চেয়েছিলেন। সরকার তাকে বিতাড়িত করে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করেছে।’
শৃঙ্খলাবিধি বিচার বিভাগের স্বাধীনতার উপর একটি রাজনৈতিক আঘাত এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এই বিধিমালা আইনজীবী সম্প্রদায়সহ দেশের কোনো শ্রেণির মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।’
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক এবং নিম্ন আদালতের বিচারকরা এই শৃঙ্খলাবিধি প্রত্যাখ্যান করবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অপরাজেয় বাংলাদেশের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব ভিপি ইব্রাহীমে সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ফরিদা মনি শহিদুল্লাহ, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাঈল হোসেন বেঙ্গল, এনডিপি'র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুরুল হোসেন ঈসা প্রমুখ।ল হোসেন ঈসা প্রমুখ।
পাঠক মন্তব্য
section 22. The State shall ensure the separation of the judiciary from the executive organs of the State.
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন