সৌদি আরবে জিয়া পরিবারের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ আছে। কম্বোডিয়া সফর শেষে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। পরদিনই হুংকার ছাড়েন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রতিবাদের যারপরনাই তীব্র ভাষায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। নইলে মামলার করা হবে।‘ এজন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামও দেন ফখরুল।
মির্জা ফখরুলের প্রতিবাদের ভাষায় আপামর জনতা আশায় বুক বেঁধেছিল তাহলে জিয়া পরিবারের অবৈধ সম্পদের কথা সঠিক নাও হতে পারে। কিন্তু জনগণের ওই আশায় চিঁড় ধরালেন ফখরুল নিজেই। তাঁর আল্টিমেটামের ২৪ ঘণ্টা পেরোলে, পরে ৪৮, ৭২ ঘণ্টাও পেরোলে। মির্জা ফখরুলের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ঘোষণার পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেল কিন্তু হুমকির কোনো বাস্তবায়ন এখনো দেখেনি দেশবাসী। উল্টো গণমাধ্যমে খবর আসছে, মধ্যপ্রাচ্যে জিয়া পরিবারের সম্পদ রক্ষায় নাকি ‘ল ফার্ম’ নিযুক্ত করা হয়েছে। আর মির্জা ফখরুল ব্যকফুটে গিয়ে বলেছেন,‘ জিয়া পরিবারের অবৈধ সম্পদের কথা সরকারকে প্রমাণ করতে হবে।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, জিয়া পরিবারের অবৈধ সম্পদের তদন্ত করছে সৌদি আরবসহ সংশ্লিষ্ট মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। দেশগুলোর সরকার তদন্তে বাংলাদেশ সরকারের সহায়তা চাইলেই শুধু দেশের সংশ্লিষ্ট সংস্থা এগিয়ে যেতে পারে। আর জিয়া পরিবারের অবৈধ বিষয়টি তো সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অনেক সংবাদমাধ্যম এরই মধ্যে প্রকাশই করেছে। এর পর আর কী প্রমাণ বিএনপির চোখের সামনে ধরতে হবে।
অবশ্য মির্জা ফখরুলের হুংকার এবং পরে স্বরপতন, বিএনপির চিরায়ত গলাবাজির আরেক নিদর্শন হয়ে থাকল। কোনো অভিযোগ এলেই বিএনপির দুএকজন গৃহবাসী নেতা হুংকার ছাড়েন, ‘মিথ্যা, বানোয়াটা।’ চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখালেও তারা চোখ বন্ধ করে বলবেন প্রমাণ দেখছি না। আর দেখে নেওয়া হবে বলে তো আল্টিমেটাম আছেই। কদিন পেরোতেই বোঝা যায় তা ফাঁকা বুলি ছাড়া কিছুই না।
নিজেদের দেশের অন্যতম বৃহৎ দল দাবি করা বিএনপি এভাবে আর কতদিন ফাঁকা বুলির রাজনীতি করবে। আর বার বার এমন ঘটনা ঘটতে থাকলে জনগণই তাঁদের ওপর কতটুকু আস্থা রাখতে পারবে?
বাংলা ইনসাইডার
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন