সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কোনোভাবেই প্রশ্নফাঁস রোধ করা যাচ্ছে না। একের পর এক প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যেও স্বচ্ছতার প্রশ্নে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কোথাও কোথাও শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা এসব ঘটনাকে সুযোগ হিসেবে নিচ্ছে।
এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় এবার দ্বিতীয় শ্রেণির প্রশ্নও ফাঁস হলো। আর তাতে বাতিল হয়েছে গেলো বরগুনার শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণিত পরীক্ষা।
শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় রবিবার সকালেই জেলার ১৪০টি বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে শুরু করে প্রাথমিক পর্যায়ের সকল শ্রেণির গণিত পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হয়।
বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.আব্দুল মজিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার পর আমরা রবিবারের গণিত পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করেছি। ঘটনার তদন্তে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
প্রশ্নফাঁসের এসব ঘটনায় শিক্ষকরা জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দোষী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উচিৎ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর বরগুনা সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিতের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। এরপর ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর বরগুনা সদর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম ও চতুর্থ শ্রেণির তিনটি বিষয়ের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হয়। সে সময় সদর উপজেলার ২৪৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত করতে বাধ্য হয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্তৃপক্ষ।
এদিকে রবিবার সচিবালয়ে এক যোথসভায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় শিক্ষকদের অভিযুক্ত করে বলেন, ‘প্রশ্নফাঁস বন্ধে যখন নানা ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে তখন শিক্ষকরা নিজেরাই এসব প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষকেরাই আসল প্রশ্নফাঁসকারী। প্রতিটি কেন্দ্রে পরীক্ষার দিন আধঘণ্টা আগে প্রশ্ন ছাপিয়ে পরীক্ষা নেয়ার কথা হয়েছে। কিন্তু আমরা যখন বুঝলাম, আসল প্রশ্নফাঁসকারী তো শিক্ষক, তখন আধাঘণ্টা আগে দিয়েই লাভ কী! কিছু শিক্ষক ক্লাসে না পড়িয়ে বাড়িতে বা কোচিংয়ে পড়ান। যে শিক্ষক যত বড় ও ভালো তিনি ক্লাসে তত কম পড়ান।’
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন