রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় স্কুলছাত্রীসহ ৩ তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়না তদন্তের জন্য লাশগুলো মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতরা হলেন উত্তরা পূর্ব থানা এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী আফরিদা তানজিল মাহি (২১), রমনা থানার মগবাজারের তামান্না আক্তার বিথী (১৮) ও খিলক্ষেত থানা এলাকার মাহেনুর আক্তার মৌ (১৮)।
উত্তরা পূর্ব থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মোঃ জানে আলম দুলাল সোমবার রাত ১০টায় ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে আফরিদা তানজিল মাহির লাশ উদ্ধার করেন।
লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, মাহি উত্তরা ৮নম্বর সেক্টর, ১২ নম্বর রোডের এ/৪ নম্বর বাসায় থাকতো। ব্রাক ইউনিভার্সিটির ইংরেজী বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্রী ছিলো সে। গত ১৪ জানুয়ারি রাত ২টা থেকে পরদিন বেলা ১টার মধ্যে পরিবারের সবার অগোচরে ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় মাহি। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে রমনা থানার মগবাজার দিলু রোডের ৪১/এ নম্বর ৬তলা বাসা থেকে সোমবার ১টায় তামান্না আক্তার বিথীর লাশ উদ্ধার করে উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কুদ্দুস। মাদারীপুর শিবচর উপজেলার বাঁশকান্দি গ্রামের শাহজাহান মিয়ার মেয়ে বিথী।
মৃত বিথীর মামা আরিফুল ইসলাম জানান, ২বছর আগে বিথীর বিয়ে হলেও বনিবনা না হওয়ায় তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর থেকে পরিবারের সাথে মগবাজার দিলু রোডের ওই বাসায় থাকতো সে। এরপর আবার স্থানীয় প্রভাতী উচ্চ বিদ্যা নিকেতনে ভর্তি হয় সে। সেখানকার এসএসসি ছাত্রী ছিলো সে।
এক ভাই ৩ বোনের মধ্যে ২য় সে। সোমবার রাতে তার মা শিল্পী বেগম তার ছোট ভাইকে নিয়ে বাসার বাইরে যায়। ১১টার দিকে বাসায় ফিরে ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।
এদিকে খিলক্ষেত নামাপাড়া চানাচুর ফ্যাক্টরী এলাকার ২২৮/৩ নম্বর টিনসেড বাসা থেকে আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মৌ'র লাশ উদ্ধার করে এসআই মোঃ শফিকুল ইসলাম।
বরিশাল বানারীপাড়া উপজেলার আহমদাবাদ গ্রামের মিন্টু আহমেদের মেয়ে সে। স্বামী রাজমিস্ত্রি রাকিব হোসেনের সাথে নামাপাড়ার ওই বাসায় থাকতো মৌ। লেকসিটি কনকর্ড শপিংমলে কাজ করতো সে।
মৃত মৌ'র মামা মিরাজ হোসেন জানান, ২ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারা নামাপাড়ায় থাকতো। তাদের কোন সন্তান নেই। আজ রাতে স্বামী স্ত্রী একই রুমে শুয়ে ছিলো। ভোর ৫টার দিকে স্বামী রাকিব ঘুম থেকে উঠে মৌ'কে ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পায়।
ব্রেকিংনিউজ/
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন