নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে আলোচিত দুই নাম- শামীম ওসমান এমপি এবং সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত শহরের চাষাঢ়া ও প্রেস ক্লাবের সামনে দু’জনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ভিডিও ...click here
সংঘর্ষ চলাকালে নিজ সমর্থকদের লাঠি হাতে নিবৃত্ত করতে দেখা যায় শামীম ওসমানকে।
অন্যদিকে শামীম ওসমানের সমর্থকদের ইটপাটকেলের মুখে ভিড়ের চাপে পড়ে যান মেয়র আইভী। এসময় তাকে কিছুটা বিচলিত দেখা যায়।
মঙ্গলবারের এই সংঘর্ষে মেয়র আইভীসহ অর্ধশত আহত হন। আহত অন্যদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ, তাপস সাহা, শিপন, যুবলীগ নেতা শাহাদাত হোসেন সাজনু, হেলাল ও ভাগ্নে জুয়েলের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা গেছে।
হামলার জন্য আইভীকে দায়ী করে শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি এর বিচার আল্লাহর কাছে দেব। আমাদের নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছে। আমাদের প্রচুর লোকজনদের মেরে আহত করা হয়েছে। আমরা আইন নিজের হাতে তুলে নেইনি।’
অভিযোগ অস্বীকার করে মেয়র আইভী বলেন, ‘বিনা উস্কানিতে আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে। নিরীহ লোকজনদের মারধর করা হয়েছে। শামীম ওসমান রাইফেল ক্লাবে থেকে গুলি করেছেন। তার লোকজন একের পর এক গুলি করেছে।’
নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আসাদুজ্জামান বলেন, আহত ৩০ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের ৫-৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান পরিবর্তন ডটকমকে জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন