পরিবেশ রক্ষার জন্য আছে পরিবেশ আইন। ওই আইনে বিচারের জন্য করা হয় পরিবেশ আদালত। অথচ যে ভবনে পরিবেশ আদালতের অবস্থান, সে ভবনের প্রবেশের মুখেই আছে ময়লার স্তূপ। দুর্গন্ধের জন্য সেখানে দাঁড়িয়ে থাকাই কষ্টকর।
আদালতের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীরা উৎকট গন্ধে নাক ঢেকে যান।
ঢাকার পুরোনো জেলা জজ ভবনের দ্বিতীয় তলায় ৩১ নম্বর কক্ষে ঢাকা বিভাগীয় পরিবেশ আদালত। যুগ্ম জেলা জজ পদমর্যাদার একজন বিচারক এই আদালতের বিচারক। পরিবেশ-সংক্রান্ত মামলার পাশাপাশি ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার বিচার হয় এই আদালতে। কিন্তু এ আদালতের নিচে ময়লা থাকায় বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীরা ক্ষোভের সুরে বলেন ‘বাতির নিচেই অন্ধকার।’
পাঁচতলা ওই ভবনে উঠার সিঁড়ি খুঁজতে গেলেই চোখে পড়বে ময়লা। সিঁড়িতে উঠতে গেলেই হাতের ডানপাশে দেখা যাবে আবর্জনা স্তূপ। আর রয়েছে দুর্গন্ধ।
খায়রুল কবির নামের এক আইনজীবী জানান, ঢাকার আদালতের প্রায় বিভিন্ন জায়গায় ময়লা আবর্জনা থাকে। তার মধ্যে পরিবেশ আদালতের নিচেই ময়লা হাস্যকর ব্যাপার। আদালতপাড়ার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নকর্মীরা তা পরিষ্কার না করে এখানে আরো বেশি বেশি করে ময়লা ফেলছে। আর এতে পরিবেশের খুব ক্ষতি হচ্ছে।
খায়রুল কবির বলেন, ‘এখানে প্রচুর গন্ধ থাকে। নাক ঢেকে ওই ভবনে ঢুকতে হয়। এখানে প্রবেশ প্রথে এ ধরনের ময়লা আবর্জনায় আদালতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়।’
রাশেদ নামের এক বিচারপ্রার্থী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এ আদালতের (পরিবেশ) সামনে ময়লা দেখি। শুনছি এ আদালতের পরিবেশ যারা ক্ষতি করে তাদের বিচার হয়। কিন্তু আদালতের সামনে ময়লা ফেলে যারা নোংরা করছে তাদের বিচার কে করবে?’
রাশেদ বলেন, ‘এ আদালতের সামনে অনেক গন্ধ। নাক ঢেকে যাওয়া লাগে। দ্রুত এ ময়লা সরানোর ব্যবস্থা করলে বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের চলাফেরায় সুবিধা হতো।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক আবুল হাসনাত এনটিভি অনলাইনকে জানান, যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকলে তার মাধ্যমে শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এরমধ্যে পেটের পীড়া, শ্বাস কষ্ট থাকলে তার প্রদাহ বাড়বে, চামড়ায় সংক্রমণ হতে পারে। মশা ও মাছিবাহিত রোগের মাধ্যমে চিকনগুনিয়া, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো রোগ জীবাণু হতে পারে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন