বে-ওয়ারিশ কুকুরের অবাধ বিচরণ ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে। রোগীদের খাবার দাবার রাখা দায় হয়ে পড়েছে। অবস্থা দেখে মনে হয়, হাসপাতালটি এখন বে-ওয়ারিশ কুকুরের দখলে।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের নারী ও শিশু রোগীদের ওয়ার্ড নিচতলায়। আর পুরুষ রোগীদের ওয়ার্ড দোতলায়। এসব ওয়ার্ডে প্রতিদিন অসংখ্য বে-ওয়ারিশ কুকুর ঘুরে বেড়ায়। নিচতলা বা উপর তলার রোগীদের ওয়ার্ড থেকে শুরু করে ওটি (অপরারেশন কক্ষ) রুমের পাশেও একাধিক কুকুর ঘুরে বেড়ায়।
৫০ শয্যার এ হাসপাতালকে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল হিসেবে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সভায় অনুমোদন দেয়া হয়। অনেক রোগী জায়গা না পেয়ে হাসপাতালের মেঝেতে শয্যা পেতে চিকিৎসা নিয়ে থাকে। কিন্তু বে-ওয়ারিশ কুকুরগুলো এসব রোগীর বিছানার ওপর দিয়েও চলাচল করে অবাধে। রোগীদের খাবার দাবার এখানে নিরাপদে রাখতে পারে না রোগী বা তার অ্যাটেন্ডডেন্টরা।
আব্দুল্লাহ হক নামে একজন রোগী ঢাকাটাইমসকে জানান, বে-ওয়ারিশ কুকুরগুলো রোগীদের আত্মীয়-স্বজনদের আনা খাবার-দাবার অনেক সময় মুখে করে নিয়ে যায়।
মকবুল হোসেন নামে একজন রোগী ঢাকাটাইমসকে জানান, হাসপাতালের স্টাফরা এসব কুকুরকে কখনো তাড়ায় না। তাই সুযোগ পেলেই রোগীদের খাবার নিয়ে পালিয়ে যায়।
আনিসুর রহমান মিঠু নামে একজন জানান, কুকুরগুলো হয়তো হাসপাতালের স্টাফদের পালিত। বাড়ি থেকে আসার সময় স্টাফদের সঙ্গে হাসপাতালে চলে আসছে। সে কারণে হয়তো কেউ তাড়ায় না। এ কারণে কুকুর রোগীর বেডের নিচে অনেক সময় শুয়ে থাকে।
শরিফুল ইসলাম নামে একজন জানান, হাসপাতালের মেঝে দিনে কয়েকবার ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু অবাধে কুকুরের বিচরণ ঠেকানো না গেলে মেঝে পরিষ্কার করে লাভ নেই।
নজরুল ইসলাম নামে একজন রোগী ঢাকাটাইমসকে জানান, কুকুরগুলো শুধু খাবারই নিয়ে যায়নি, অনেক সময় রোগীদের উপর দিয়ে হেঁটে চলে যায়।
জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক রাজিউর রাজি স্বপন ঢাকাটাইমসকে বলেন, দলীয় এক কর্মীকে দেখতে গিয়ে আমি হাসপাতালে কুকুরের অবাধ বিচরণ দেখেছি। আমি চাই, হাসপাতাল থেকে দালাল উচ্ছেদ ও কুকুর তাড়াতে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।
হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকাটাইমসকে জানান, হাসপাতালে কুকুরের উপদ্রপ ঠেকাতে কুকুর নিধনের ব্যাপারে পৌরসভাকে একাধিকবার পত্র দেয়া হয়। কিন্তু পৌর কর্তপক্ষের কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুব্রত কুমার সেন ঢাকাটাইমসকে, হাসপাতালে বর্তমানে জনবল কম। ৫০ শয্যার জনবল দিয়ে জেলা শহরের এই হাসপাতালটি চালাতে হচ্ছে। তারপরও হাসপাতালে কুকুরের বিচরণ বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন