‘মন্ত্রী একজন কিন্তু মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত হয় পরিবারে। মন্ত্রীর দুই ছেলে এবং স্ত্রীর সিদ্ধান্তই মন্ত্রণালয়ে শেষ কথা। মন্ত্রীও পরিবারের চাপে বেশকিছু সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছেন।‘ একটি বড় মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম ও দুর্নীতি সম্পর্কে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গোপন প্রতিবেদনে এভাবেই মন্তব্য করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা। গত ১৮ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যে কটি মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম ও দুর্নীতির রিপোর্ট পাঠানো হয় তাঁর মধ্যে এটিই ছিল প্রধান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ এবং বড় ক্রয় বিক্রয়ের সব সিদ্ধান্ত আসে মন্ত্রীর ছোট ছেলের মাধ্যমে।‘ প্রতিবেদনে এরকম চারটি বরাদ্দপত্র সংযুক্তি হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে প্রথমে বরাদ্দ না দেওয়ার পর আবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে কোনো কাজ হয়নি স্রেফ ভাগ বাটোয়ারা হয়েছে।‘ দুদকের প্রতিবেদনে জনৈক ইমরান এবং পারভেজ বলে দুই ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে। এরা মন্ত্রীর দুই পুত্রের নাম ভাঙ্গিয়ে দুটি অধিদপ্তরে দালালী এবং অর্থ আদায় করে।
দুদক বলছে, মন্ত্রীর বড় ছেলে রাজনীতি করলেও মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন নিয়োগ বদলী এবং ছোট টেন্ডার দেখভাল করেই তাঁর দিন কাটে। বড় ছেলে কয়েকটি টেলিফোন কথোপকথনও দুদক লিপিবদ্ধ করে প্রতিবেদনে সংযুক্তি আকারে জমা দিয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তাকে তিনি বিশেষ একটি কাজ একটি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
গোপন প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে ‘ওই মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর ছোট ছেলে প্রতিমন্ত্রী আর বড় ছেলে উপমন্ত্রী বলে হাস্যরস হয়।’ প্রতিবেদনে শেষে বলা হয়েছে, ‘এসব ঘটনা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।’
বাংলা ইনসাইডার
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন