ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি হায়দ্রাবাদ শহর দিয়ে তার ভারত সফর শুরু করার মধ্য দিয়ে এই শহরের সাথে ইরানের ৫০০ বছরের সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেছেন।
শুক্রবার তিনি মক্কা মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করেছেন।
যদিও এটি সুন্নিদের মসজিদ। কিন্তু তারপরও এই ঐতিহাসিক মসজিদের দরোজা খুলে দিয়ে স্বাগত জানানো হয়েছে এই শিয়া রাজনৈতিক নেতাকে। খবর বিবিসির
নামাজ আদায়ের পর তিনি উপস্থিত মুসল্লিদের প্রতি একটি ভাষণও দিয়েছেন।
হায়দ্রাবাদ শহরের প্রতীক বিখ্যাত তোরণ চারমিনারের কাছে এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে কুতুব শাহী আমলে।
এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয় ১৬১৬-১৭ সালে।
সেটি ছিল সুলতান মুহাম্মদ কুতুবের রাজত্বকাল।
কুতুব শাহী সুলতানেরা ১৫১৮ সোল থেকে ১৬৮৭ সাল পর্যন্ত দাক্ষিণাত্যের গোলকোন্ডা রাজ্য শাসন করেছেন।
এই বংশের ৬ষ্ঠ সুলতান মোহাম্মদ কুলি ১৫৯১ সালে হায়দ্রাবাদ শহরের পত্তন করেন।
এই শহরে তিনি সুরম্য প্রাসাদ ও বাগান নির্মাণ করান এবং খাল খনন করান।
এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে চারমিনার।
ইরানের মাশহাদ এবং ইসফাহান শহরের ভবনের আদলে চুনাপাথর দিয়ে এই তোরণটি নির্মাণ করা হয়।
প্রেসিডেন্ট রোহানি তার সফরের সময় কুতুব শাহী সুলতানদের কবরও জিয়ারত করেন।
এই রাজবংশের পূর্বপুরুষরা ইরান থেকে ভারতে এসেছিলেন বলে দাবি করা হয়।
কাশ্মীরে ফের স্বাধীনতাকামীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর বন্দুক যুদ্ধ!
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে শুক্রবার স্বাধীনতাকামী ও ভারতীয় সৈন্যের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। খবর সিনহুয়া’র।
ভারত শাসিত কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরের প্রায় ৩২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমের বড়মোল্লা জেলার পলান-পাঠান গ্রামে এ বন্দুক যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা সিনহুয়াকে বলেন, শুক্রবার সকালে জেলার পলান-পাঠান গ্রামে বন্দুক যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। ওই এলাকায় স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের উপস্থিতির ব্যাপারে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালাতে গেলে এ বন্দুক যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে চলে এ বন্দুকযুদ্ধ।
স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, তারা গুলির শব্দ শুনেছেন এবং ওই এলাকায় পুলিশ ও সেনা দলের উপস্থিতি দেখেছেন। সেখানে এ বন্দুক যুদ্ধের ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
পাঠক মন্তব্য
In Quran, there is no such thing as Shia or Sunni. Only Muslim.
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন