মন্ত্রী আর সচিব গিয়ে তো প্রশ্নফাঁস করেনি, তাদের কেন সরে যেতে হবে, যারা করেছে তাদের ধরিয়ে দেন, ব্যবস্থা নেব।
প্রশ্নফাঁস হচ্ছে ২০ মিনিট বা এক ঘন্টা আগে, এতো ট্যালেন্ট কোন ছাত্র যে এই সময়ের মধ্যে পড়ে মুখস্ত করে লিখবে।
প্রশ্নফাঁস নতুন কিছু না, যুগযুগ ধরে হচ্ছে।
রোম সফর শেষে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা; খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায়ের পর এই প্রথম তাকে সামনে পেলেন সাংবাদিকরা।
>> শেখ হাসিনা বলেন, মন্ত্রী কি নিজে প্রশ্ন পত্র ফাঁস করতে গেছে, না কি সচিব গেছে?
>> প্রশ্ন ফাঁসের জন্য ব্যর্থতার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- মাছরাঙা টেলিভিশনের রেজওয়ানুল হক রাজার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশ্ন ফাঁস নতুন কিছু না, কখনও প্রচার হয়, কখনও প্রচার হয় না।
প্রশ্নগুলো কতদিন আগে ফাঁস হয়েছে, তা জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। উত্তর পেয়ে বলেন, ২০ মিনিট আগে প্রশ্ন ফাঁস হলে আপনি কি করবেন?
তিনি বলেন, আর আমাদের এখানে এত বেশি ট্যালেন্টেড কে আছে, আধা ঘণ্টা আগে, ২০ মিনিট আগে ওই প্রশ্ন অনুযায়ী বই খুলে উত্তর মুখস্থ করে খাতায় লিখবে, এত ট্যালেন্টেড কে আছে?
>> শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন না করলে কারও কিছু করার নেই, গতবারও করেনি। নির্বাচনে যদি না আসে, তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। নির্বাচন সময় মতোই হবে।
>> শেখ হাসিনা বলেন, এতিমের টাকা মেরে খেলে শাস্তি, এটা আদালতও দেয়, আল্লাহর তরফ হতেও দেয়। আমাদের তো কিছু করে নাই।
>> শেখ হাসিনা বলেন, রায়টা তো আমি দিইনি, রায়টা দিয়েছে কোর্ট। মামলাটা করেছে কে? ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দীন সরকার। ফখরুদ্দীনকে গভর্নর করেছিল। নয়জনকে ডিঙ্গিয়ে মইন উ আহমেদকে সেনাপ্রধান করেছিল। আর ইয়াজউদ্দীন তো তাদের ছিলই। মামলাটা তারা দিয়েছে।
এই মামলাটা ১০ বছর চলেছে। এই মামলায় তিন বার জজ পরিবর্তন হয়েছে, সময় চেয়েছে ১০৯ বার। বহু টালবাহানা আপনারা দেখেছেন। ২৬১ দিনের মতো তারিখ পড়ল। আপিল বিভাগে ২২ বার রিট করা হয়েছিল। এত কিছুর পর তিনি মাত্র ৪৩ দিন কোর্টে হাজির হয়েছিলেন।
>> শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০১৪ সালে নির্বাচন ঠেকানোর নামে তারা আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। গাড়িতে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে। ২০১৩-১৫ পর্যন্ত তারা পাঁচশর মতো মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।
>> আমাকে যখন জেলে নিয়ে গেল আমি জিল্লুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করলাম। আমি আমার বোনকেও করিনি, ছেলেকেও করিনি।
আর আমি কিছু বলতে চাই না। আমরা কিছু বললে তো অনেক দোষ।
>> খালেদা জিয়ার রায় এবং বিএনপির গঠনতন্ত্র সংশোধন নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কোর্ট রায় দিয়েছে, আমাদের কিছু করার নেই। এরপরও দোষ আসে আমাদের উপর।
দেখুন কোর্টের রায়ের আগে ৭ ধারা সংশোধন করে ইসিতে সাবমিট করেছে।
বিএনপির একটি গঠনতন্ত্র আছে, ওটার কোনো খোঁজও পাওয়া যায় না। বিএনপিতে সব ক্ষমতা চেয়ারম্যানের হাতে, আমাদের গঠনতন্ত্রে তা নেই।
দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হলে কেউ তাদের দলে থাকতে পারবে না, তারা সেটা সংশোধন করে নিল। এটা ঠিক চেয়ারম্যান না থাকলে এক নম্বর ভারপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান হবেন চেয়ারম্যান। কিন্তু তিনিও আবার ফেরারী আসামি। আমার প্রশ্ন বিএনপিতে কি এমন কোনো নেই, যাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা যেত। একটা লোক কি খুঁজে পাওয়া গেল না, যাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা যেত।
>> আইনটি প্রণয়নের আগে উদ্বেগ বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
>> শেখ হাসিনা বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। কেউ কোনো কিছু না করলে অপপ্রয়োগ হবে কেন।
>> মালিক পক্ষ প্রতিনিধি পাঠাতে দেরি করায় ওয়েজ বোর্ড গঠনে দেরি হয়েছে, বলেছেন শেখ হাসিনা।
>> সাংবাদিকদের মধ্যে শুরুতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগের আশঙ্কার কথা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল। সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড দেওয়ার ঘোষণার জন্য সরকার প্রধানকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
>> শেখ হাসিনা বলেন, তিনটি সুখবর দিলাম; আরেকটি আছে, সেটা পরে দেব।
>> বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে কার্গো বিমান পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ‘সুখবর’ও দেন শেখ হাসিনা।
>> আগাম মার্চের যে কোনো সময় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে যাবে বলে সুখবর শোনান তিনি।
>> সংবাদ সম্মেলনে ফোর জি যুগে বাংলাদেশের যাওয়ার কথা জানান তিনি। একে তথ্য প্রযুক্তিতে ‘মাইলফলক’ অভিহিত করেন শেখ হাসিনা।
>> মোটামুটি ১০ মিনিটের মধ্যে লিখিত বক্তব্য শেষ করে শেখ হাসিনা রসিকতাচ্ছলে বলেন, ‘শেষ, এবার যাই তাহলে।”
>> পোপ ফ্রান্সিসের বৈঠকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কট অবসানে মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখতে ক্যাথলিক ধর্মগুরুকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
>> লিখিত বক্তব্যে জাতিসংঘের কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (আইএফএডি) কার্যক্রম এবং গভর্নিং কাউন্সিলের সভায় অংশগ্রহণের বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
>> সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ভাষার মাসে বাহান্নোর ভাষাশহীদদের স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
>> গণভবনের ব্যাংকোয়েট হলে সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার সঙ্গে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
>> ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলের এই মামলায় রায় দিয়েছে আদালত। কোনো ক্ষেত্রেই এর সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
>> দেড় সপ্তাহেও রায়ের অনুলিপি না পাওয়া এবং খালেদাকে কারাগারে ডিভিশন দিতে দেরিকেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলছে বিএনপি।
>> বিএনপির অভিযোগ, সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় সাজানো রায় দিয়ে তাদের নেত্রীকে বন্দি করে নির্বাচন থেকে বাইরে রাখতে চাইছে।
>> গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় আদালত ৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়ার পর বিএনপি চেয়ারপারসন বন্দি আছেন পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের পুরনো কারাগারে।
বিডিনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন